নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ টাইগার ক্লাব ( বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ উপলক্ষে রি-পোস্ট )

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৮



আমাদের মহল্লার আলতাফ ভাই যখন বি এ ক্লাসের ছাত্র, আমরা তখন ক্লাস নাইন টেনে পড়ি। আলতাফ ভাই ছিলেন খুব পাড়া হিতৈষী মানুষ। পাশের পাড়ার ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলে আমরা একবার ৫-০ গোলে হেরে যাবার পর তিনি আমাদের ডেকে বললেন, ‘এভাবে হবে না। ক্লাব তৈরি করতে হবে।’

দেশ স্বাধীন হবার আগের কথা। দেশত্যাগী এক হিন্দু পরিবারের ফেলে যাওয়া পতিত জমিতে ক্লাব তৈরি করা হলো। বাড়ি বাড়ি, দোকানে দোকানে চাঁদা তুলে ইট, সিমেন্ট, বালু কিনে আমরা নিজেরাই পাঁচ ইঞ্চির দেয়াল গেঁথে বারো হাত বাই ষোলো হাত ক্লাব ঘর তুলে ফেললাম। মিস্ত্রী খরচ বাঁচাতে গিয়ে আমাদের হাত সিমেন্ট-বালুতে ফুটো হয়ে গেল। কিন্তু ক্লাব ঘর তৈরির উত্তেজনায় হাত ফুটো হবার কষ্ট ধামাচাপা পড়ে গেল। আলতাফ ভাই বললেন, ‘সাবাস! তোরা পারবি।’
ক্লাব ঘরে টিনের ছাউনী দেবার কাজ মিস্ত্রী এনে করা হলো। সে কোন মজুরী নিল না। হাফ ডজন জর্দা দেওয়া পান খেয়ে হাসিমুখে সে কাজটা করে দিল। আলতাফ ভাই বললেন, ‘সাবাস! খাঁটি দেশপ্রেম কাকে বলে, দেখ।’

ক্লাবের নাম দেওয়া হলো ‘টাইগার ক্লাব।’ আলতাফ ভাইয়ের পছন্দের নাম। কেউ কেউ বললো, টাইগারের আগে রয়েল বেঙ্গল দিলে কেমন হয়? আলতাফ ভাই ধমক দিয়ে বললেন, ‘চুপ থাক! আগে টাইগার হয়ে দেখা, তারপর রয়েল বেঙ্গল। ব্যাটা, বিড়ালের মতো পাঁচ গোল খেয়ে এলি, লজ্জা করে না? মেনি বিড়ালের রয়েল বেঙ্গল হওয়ার শখ!’ কথা ঠিক। আগে বিড়াল থেকে অন্ততঃ মেছো বাঘ তো হওয়া যাক, তারপর না হয় রয়েল বেঙ্গলের কথা ভাবা যাবে। আলতাফ ভাই ক্লাবের সভাপতি হলেন। একই সাথে তিনি ক্লাবের ম্যানেজার, কোচ ও ক্যাশিয়ারও হলেন। সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হলো আরেক সিনিয়র ভাই অশোক দাদাকে। ক্লাবের খেলাধুলা ইনডোর ও আউটডোর দু’ভাগে ভাগ করা হলো। ইনডোরে থাকবে দাবা ও ক্যারাম। আউটডোরে থাকবে ফুটবল, হকি আর ক্রিকেট। এখনকার মতো তখন ক্রিকেটের এত রমরমা ছিল না। হকিও ছিল দায়সারা গোছের। আসল খেলা ছিল ফুটবল।
তো সেই ফুটবলের জন্য শুরু হয়ে গেল ধুন্ধুমার প্রস্তুতি। প্রতিদিন খুব ভোরে আলতাফ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা পাড়ার ছেলেরা চলে যেতাম রাজশাহী কলেজের মাঠে। সেখানে এক ঘণ্টা ফুটবল প্র্যাকটিস করার পর আমরা চলে যেতাম পদ্মার চরে। সেখানে বালুর মধ্যে দৌড়াদৌড়ি। আলতাফ ভাই হাতে একটা ছড়ি নিয়ে তদারকি করতেন আর মাঝে মাঝে হুংকার দিয়ে বলতেন, ‘সাবাস! তোরা পারবি।’

অশোক দাদা একটু জবুথুবু টাইপের মানুষ। তিনি তাঁর মতো আরও কিছু নির্জীব ছেলেকে নিয়ে ইনডোরে দাবা ও ক্যারাম প্র্যাকটিসে মগ্ন হয়ে থাকতেন। আর আমরা বিশ পঁচিশ জন ছেলে আলতাফ ভাইয়ের কোচিং-এ ‘কালোমানিক পেলে’ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
এমন সাংঘাতিক জোশের মধ্যে এসে গেল ‘ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট।’ শহরের বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতার বর্ণাঢ্য আয়োজন। জেলা প্রশাসক নিজে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন এবং টুর্নামেন্ট শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। আলতাফ ভাই ক্লাবের সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসলেন। তাঁর কথা হলো, এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতেই হবে। টাইগার ক্লাবের নাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার এটাই মোক্ষম সুযোগ। আমরা হাত তালি দিয়ে আলতাফ ভাইয়ের প্রস্তাব সমর্থন করলাম। তিনি হুংকার দিয়ে বললেন, ‘সাবাস! তোরা পারবি।’ টান টান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে মিটিং শেষ হলো।

কিন্তু ভজঘট শুরু হলো পরদিন থেকে। ডিসি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হলে ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে। কিন্তু টাইগার ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন নাই। আলতাফ ভাই দমে যাবার পাত্র নন। তিনি অশোক দাদাকে সাথে নিয়ে রাত জেগে বসে বসে রেজুলিউশন, মাইনুটস-এসব কী কী সব কাগজপত্র তৈরি করে ফেললেন। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা হলো। ক্যাশ বই ও এক্সপেন্ডিচার স্টেটমেন্ট তৈরি করা হলো। শহরের দু’চারজন নামী দামী লোককে ক্লাবের পরিচালনা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। তারপর সেসব কাগজপত্রের সাথে ক্লাব রেজিস্ট্রেশনের টাইপ করা আবেদনপত্র নিয়ে তিনি দল বেঁধে চলে গেলেন ডিসি অফিসে।

তখনকার দিনে খেলাধুলার জন্য ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন পাওয়া খুব একটা কঠিন ছিল না। এডিসি (সার্কেল) সাহেব টাইগার ক্লাব পরিদর্শনে এলেন। তাঁর জন্য এক ডাক্তার সাহেবের চেম্বার থেকে গদিওয়ালা চেয়ার আনানো হলো। নানারকম খাবার ও পানীয়র ব্যবস্থা করা হলো। তিনি সেসব খাওয়ার পর ঢেকুর তুলতে তুলতে আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। আমরা ঘন ঘন হাত তালি দিয়ে তাঁর ভাষণ দীর্ঘ করে দিলাম। কিন্তু এডিসি সাহেবের জন্য তৈরি করে আনা ফুলের মালা তাঁর গলায় পরিয়ে দেওয়ার কথা কারো মনে ছিল না। বিদায় নেওয়ার সময় সেটা তাঁর গলায় পরিয়ে দেওয়া হলো। আলতাফ ভাই প্যাকেট করা এক পিস নতুন সিল্কের টাই তাঁকে উপহার দিলেন। ‘এসবের কী দরকার ছিল’ বলতে বলতে এডিসি সাহেব আমাদের তুমুল করতালির মধ্যে গাড়িতে উঠে প্রস্থান করলেন।

এক সপ্তাহের মধ্যে ক্লাবের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেল। নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ডিসি কাপ টুর্নামেন্টে টাইগার ক্লাবের নাম লেখানো হয়ে গেল। খেলোয়াড়দের জন্য সাদা ও সবুজ রঙের কম্বিনেশনে জার্সি বানানো হলো। জার্সির বুকে বাঘের মাথার ছাপ। পিঠে বড় বড় অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা TIGER CLUB . আলতাফ ভাই নিজ হাতে আমাদের একজন খেলোয়াড়ের গায়ে জার্সি পরিয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে বললেন, ‘সাবাস! তোরা পারবি।’

এরপর ভজঘট হলো বুট নিয়ে। টুর্নামেন্টে খালি পায়ে খেলা যাবে না। অথচ এতদিন আমরা খালি পায়ে খেলে অভ্যস্ত। বুট পরে প্র্যাকটিস করতে গিয়ে আমাদের দৌড়ের গতি কমে যায়। আলতাফ ভাই হাতের ছড়ি ঘুরিয়ে হুংকার দেন, ‘ফাস্ট, ফাস্ট।’ টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র সাতদিন দেরি আছে। ফিকচার অনুযায়ী প্রথম দিনেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাইট স্টার ক্লাবের সাথে নবাগত টাইগার ক্লাবের খেলা। এই সাত দিনের মধ্যে বুট পরে খেলায় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। অতএব প্র্যাকটিস আর প্র্যাকটিস। স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে সকাল বিকাল শুধু বিরামহীন প্র্যাকটিস। আলতাফ ভাই বাড়িঘর প্রায় ছেড়ে দিয়ে টাইগার ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে সারাদিন মাঠে পড়ে রইলেন।

তারপর চলে এল সেই বহু প্রতিক্ষিত দিন। মাদ্রাসা মাঠে (এই নামে একটা বড় মাঠ রাজশাহীতে এখনো আছে) টুর্নামেন্টের প্রথম খেলা। শুরু হবে বিকেল চারটায়। সকাল থেকে আমাদের ক্লাবে ও পাড়ায় হৈ হৈ রৈ রৈ অবস্থা। পাড়ার ছেলে বুড়ো সবাই টাইগারদের খেলা দেখার জন্য মাঠে চলে এলো। চারদিক লোকে লোকারণ্য। এত দর্শকের মধ্যে আমরা কোনদিন খেলিনি। তাই সবার বুকের মধ্যে একটা ঢিপ ঢিপানি ভাব। কিন্তু আলতাফ ভাইয়ের কড়া নির্দেশ, সকলের চেহারার মধ্যে একটা ড্যাম কেয়ার ভাব থাকতে হবে। আমরা চোখ মুখ কঠিন করে আলতাফ ভাইয়ের নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু খুব একটা যুতসই হচ্ছে না।
ডিসি সাহেব লম্বা চওড়া অবাঙ্গালী অফিসার। তিনি দুই দলের খেলোয়াড়দের সাথে হ্যান্ডশেক করে পরিচিত হলেন। উদ্বোধনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি কিছুক্ষণ উর্দুতে ভাষণ দিলেন। তারপর একসাথে বাঁধা কয়েক ডজন বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করে গাড়িতে উঠে চলে গেলেন। চেহারায় বাঘের মতো হিংস্রতা নিয়ে আমরা আলতাফ ভাইয়ের নেতৃত্বে মাঠে প্রবেশ করলাম। মাঠের সীমানা নির্দেশক দড়ির বাইরে থেকে আমাদের পাড়ার দর্শকরা বিপুল হাত তালি দিয়ে অভিনন্দন জানালো। আমাদের সাহস বেড়ে গেল। আজ কিছু একটা করে দেখাতেই হবে। ব্রাইট স্টার ক্লাবের খেলোয়াড়রা মাঠে প্রবেশ করলে তাদের সমর্থকরাও হাত তালি দিয়ে অভিনন্দন জানালো। আলতাফ ভাই ‘বডি ল্যাংগুয়েজ, বডি ল্যাংগুয়েজ’ বলে চিৎকার করছেন। আগে থেকে সিদ্ধান্ত ছিল যে, আমাদের প্রতিপক্ষ দল মাঠে নামার সাথে সাথে আমরা বডি ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে ওদের চিবিয়ে খেয়ে ফেলার মতো একটা ভাব দেখাবো, যাতে ওরা ঘাবড়ে যায়। আলতাফ ভাইয়ের মতে, এতে নাকি খেলায় অর্ধেক জেতা হয়ে যায়। কিন্তু খেলা শুরুর আগে ওদের নিখুঁত ড্রিবলিং ও পাশিং প্র্যাকটিস দেখে আমাদের বডি ল্যাংগুয়েজ ততটা ভালো হলো না। আমরা নিজেদের মধ্যে বল দেয়া নেয়া করতে করতে ওদের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাচ্ছি বটে, কিন্তু ওরা আমাদের পাত্তাই দিচ্ছে না। মনে হয়, আলতাফ ভাইয়ের ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ তত্ত্ব মাঠে মারা গেল।

যাই হোক, রেফারীর বাঁশি বাজার সাথে সাথে খেলা শুরু হয়ে গেল। ব্রাইট স্টার রাজশাহীর পুরাতন ক্লাব। প্রায় প্রতি বছরই ওরা চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স আপ হয়। খেলা শুরু হওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে ওরা আমাদের দু’গোল দিয়ে দিল। দর্শকদের মধ্যে ভীষণ হৈ চৈ। প্রতিপক্ষের সমর্থকরা হাত তালি দিয়ে হা হা করে হাসছে। আলতাফ ভাই মাঠের বাইরে থেকে চিৎকার করে আমাদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ওদের খেলোয়াড়দের পিছু পিছু দৌড়ানো ছাড়া আমরা বিশেষ কিছু করতে পারছি না। আসলে খেলোয়াড় হিসাবে আমরা অতটা খারাপ ছিলাম না। কিন্তু বুট পরে খেলার কারণে আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারছিলাম না। তার ওপর বুট পরে প্র্যাকটিসের কারণে আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের পায়ের আঙ্গুলে ফোস্কা পড়ে ছিল। কিন্তু প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়ার ভয়ে তারা সে কথা প্রকাশ করেনি। খেলার প্রথমার্ধে আমরা ৪-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলাম।

আলতাফ ভাই রাগে থর থর করে কাঁপছেন। চিৎকার করতে করতে তাঁর গলা ভেঙ্গে গেছে। তিনি আকাশের দিকে মুখ করে ফ্যাসফেসে গলায় বললেন, ‘এই হারামখোরদের জন্যে ধার দেনা করে টিম তৈরি করলাম। আর এরা এই খেলা খেলছে! ছিঃ ছিঃ ছিঃ!’

দ্বিতীয়ার্ধে দু’জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করা হলো। সেন্টার ফরোয়ার্ডে আসলামকে বসিয়ে হান্নানকে নামানো হলো আর গোল কিপার হুদাকে বসিয়ে আলতাফ ভাই নিজেই নেমে গেলেন কিপিং করতে। তিনি স্কুল জীবনে মুসলিম হাই স্কুলের নাম করা গোল কিপার ছিলেন। ভাগ্যিস, স্ট্যান্ড বাই চারজন খেলোয়াড়ের তালিকায় আলতাফ ভাই নিজের নাম রেখেছিলেন! আমরা একটু সাহস পেলাম।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ওরা আরও হেসে খেলে আমাদের গোল দিতে লাগলো। একটা করে গোল হয়, আর মাঠের বাইরে ব্রাইট স্টারের সমর্থকরা হাত তালি দিয়ে হেসে খুন হয়ে যায়। আলতাফ ভাই লম্ফ ঝম্ফ দিতে দিতে হয়রান। এর মধ্যে কীভাবে কীভাবে যেন আমাদের হান্নান একটা গোল করে বসলো। ফলাফল ৭-১। আলতাফ ভাই গোল বার থেকে চিৎকার করে বললেন, ‘সাবাস হান্নান, সাবাস! বাঘের বাচ্চারা দেখিয়ে দে।’ এক পর্যায়ে অতি উত্তেজনায় আলতাফ ভাই নিজের গোল বার ছেড়ে বল পায়ে ছুটে চললেন ওদের গোল বারের দিকে। গোল কিপার গোল করার জন্য ছুটে চলেছে, এমন দৃশ্য দর্শকরা কেউ কোনদিন দেখেনি। তারা হাত তালি দিয়ে উৎসাহ যোগাচ্ছে আলতাফ ভাইকে। টান টান উত্তেজনাকর দৃশ্য। কিন্তু মাত্র দু’মিনিটেই উত্তেজনা শেষ। আলতাফ ভাইয়ের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ওরা নিজেদের মধ্যে পাশ দিতে দিতে এনে আমাদের অরক্ষিত গোল বারে মোলায়েম ভাবে ঢুকিয়ে দিল। ফলাফল ৮-১।

মাথা গরম করে আমাদের একজন খেলোয়াড় ডি-বক্সের ভেতর ওদের একজন খেলোয়াড়কে ফাউল করে বসলো। রেফারী পেনাল্টির বাঁশি বাজালো। ওদের স্ট্রাইকার গোলবারের ডান দিকে শট নিল। আলতাফ ভাই বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ফলাফল ৯-১।

শেষে আর সহ্য হলো না। পা থেকে বুট খুলে ফেলে দিয়ে আমরা খালি পায়ে বাঘের মতো ওদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। আর কী আশ্চর্য! এতে যাদুর মতো কাজ হলো। ফলাফল ৯-২। কিন্তু খেলার বাই লজ ভঙ্গ করায় দু’দলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল। রেফারী আমাদের দ্বিতীয় গোল বাতিল করে দিল। শুরু হয়ে গেল মহা হট্টগোল। আমাদের পাড়ার দর্শকরা মাঠে ঢুকে পড়ে রেফারীর বাঁশি কেড়ে নিয়ে তাকে কিল ঘুষি মারা শুরু করে দিল। ব্রাইট স্টারের সমর্থকদের সাথে টাইগার ক্লাবের সমর্থকদের ইট পাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়ে গেল। সে এক এলাহী কাণ্ড! মাঠের ভেতর কে কাকে মারছে বোঝার উপায় নাই। রেফারীর দুই পা ধরে মাটিতে ছেঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন দর্শক। আলতাফ ভাই মাটিতে শুয়ে পড়ে চিৎকার করছেন, ‘জার্সি খুলে পালিয়ে যা।’ ওদের খেলোয়াড়রা পালিয়ে গেছে। আমরাও বুট জার্সির মায়া ত্যাগ করে মাঠ ছেড়ে পালিয়ে গেলাম।

আলতাফ ভাইকে নিয়ে আমরা দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ক্লাবে ফিরে এসে দেখি, তিনি আমাদের আগেই পালিয়ে এসেছেন এবং অশোক দাদা সহ অন্যান্যদের সাহায্যে মোখলেসকে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে ক্লাবের ভেতর বসিয়ে রেখেছেন। মাঝবয়সী শীর্ণদেহ মোখলেস হলো আমাদের পাড়ার উঠতি গনক। পেশায় বেকার। মানুষ জনের হাত দেখে ভবিষ্যৎবাণী করা তার একমাত্র কাজ। খেলতে যাওয়ার আগে সে ভবিষ্যৎবাণী করে বলেছিল, টাইগার ক্লাব ২-১ গোলে জিতবে। দোয়া পড়ে সে খেলোয়াড়দের মাথায় ফুঁ দিয়ে দিয়েছিল। আলতাফ ভাই খুশি হয়ে তাকে পাঁচটা টাকাও দিয়েছিলেন।
‘এখন তো তো তোরাই বল, এই ব্যাটাকে কী শা শা শাস্তি দেওয়া যায়?’ আলতাফ ভাই রাগে তোতলা হয়ে গেছেন।
আমাদের মধ্যে একজন বললো, ‘নাপিত এনে ওর মাথা ন্যাড়া করে দিলে কেমন হয়?’
আলতাফ ভাই হুংকার দিয়ে বললেন, ‘সাবাস! নি নি নিমাইকে এখুনি ডেকে নিয়ে আয়।’
**************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।
ছবিঃ নেট।

মন্তব্য ৮৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৮৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৪

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দ্বিতীয় হইছি কি খাওয়াইবেন কন? :-B

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রোজার মাসে খাওয়া দাওয়া বন্ধ।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ৯-১ গোল সত্যিই টাইগার বটে! ঠিক এবার আমাদের টাইগাররা আফগানদের সাথে যা করলো তেমনি এক চিত্র

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জি, আপনি ঠিকই বলেছেন। পার্থক্য শুধু ফুটবল আর ক্রিকেট।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি তো ছোটখাট মানুষ, মাইরের অংশটা কি একটু বেশীই ছিল আপনার ভাগে? :`>

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইঁদুর তো ছোট্ট একটা প্রাণী, কিন্তু তারে হাত দিয়া কোনদিন ধরতে পারছেন? হে হে হে। :P

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হায় আল্লাহ, ইফতার সেহরি সবই বন্ধ কইরা দিলে কেম্নে কি??

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হোটেল তো খোলা আছে ভাই। শুধু একটু কষ্ট কইরা সেখানে যাওন লাগবো, এই আর কি!

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিজেকে কি ইন্দুরের মতো গেয়ানী ভাবেন? :-P

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হে হে হে। ভাবলে দুষ কী? ইন্দুর খুবই গেয়ানী। কাপড় চোপড় কাইটা তুলা বাইর কইরা ফালায়।

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি আগে কিভাবে যে মিস করেছিলাম কে জানে!

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগের সব পোস্ট কী পড়া সম্ভব? কত পোস্ট আমার চোখের আড়াল দিয়ে চলে যায়।


ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

৮| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ফুটবল নিয়ে আমরাও অনেক মারামারি করেছি। এমনকি অফিস থেকে খেলতে গিয়েও ঝগড়া করে ফিরেছি ফলাফল গত ৭ বছর ধরে অফিসে খেলা বন্ধ।

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে দেখুন কত কী হয়! জিনেদিন জিদানের সেই মাথা দিয়ে ঢুস মারার কথা মনে আছে নিশ্চয়।


ধন্যবাদ ভাই শাহিন-৯৯।

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হেনা ভাই,আমার মনে হয় আপনাদের টাইগার ক্লাবের ফুটবলারদের গায়ে ব্রাজিল দলের বাতাস লাগছিল।আর তাই ফলাফল
৯-১ ;) ( আমি কিন্তু ব্রাজিল দল নিয়ে কিছু বলি নাই :P )

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হেনা ভাই,আমার মনে হয় আপনাদের টাইগার ক্লাবের ফুটবলারদের গায়ে ব্রাজিল দলের বাতাস লাগছিল।আর তাই ফলাফল
৯-১ ;) ( আমি কিন্তু ব্রাজিল দল নিয়ে কিছু বলি নাই :P


ব্রাজিল দল নিয়ে কিছু বলেন নাই, ভালো করেছেন। আমি ব্রাজিলের গুন্ডা পাণ্ডা সমর্থকদের মধ্যে এক নম্বর। হে হে হে। =p~

ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল।

১০| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

সিগন্যাস বলেছেন: টাইগার ক্লাব নিশ্চয় পরে বন্ধ করে দিয়েছিলেন???

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ধরণের ক্লাব তো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে টাইগার ক্লাব কয়েক বছর পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।


ধন্যবাদ ভাই সিগন্যাস।

১১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: জিনেদিন জিদানের সেই মাথা দিয়ে ঢুস মারার কথা মনে আছে নিশ্চয়। ঐ মাতারোজ্জি শয়তানটারে মেরে ফেলা উচিত ছিল।


আমি যদিও ব্রাজিল দলকে সার্পোট করি তবুও এই লোকটার খেলা আমার খুব ভাল লাগত। ৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে একাই হারিয়ে দিয়েছিল ব্রাজিলকে।

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জিদান অবশ্যই বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের একজন অন্যতম সেরা ফুটবলার।

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪১

সনেট কবি বলেছেন: দারুন উপভোগ্য গল্প।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সনেট কবি।

১৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: হেনা ভাই?
হাচু আপা রাজশাহীতে আসার সময় মাদ্রাসা মাঠে গিয়েছিলাম। পদ্মাপাড়, দরগাপাড়া, পদ্মাগাডেন, সাহেব বাজার সহ বেশ কিছু জায়গায় ঘুরেছি!
"রেডিও পদ্মার" বাবু ভাই, আবরার সাইর, লাবনী বৃষ্টি আমার পরিচিত।:)

‘সাবাস! তোরা পারবি।’
- দারুন এক ডায়লগ! আমার খুব পছন্দ হয়েছে!
আলতাফ ভাই এখন কোথায়??

আমার প্রিয় ফুটবলার জিদান..;)

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাদ্রাসা মাঠে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। এই মাঠেই সেই খেলাটা হয়েছিল।

আলতাফ ভাই ঢাকায় তাঁর বড় ছেলের কাছে থাকেন। স্ত্রী অনেক দিন আগে মারা গেছেন। ৭০/৭২ বছর বয়সে তাঁর দেখাশুনার প্রয়োজনেই তিনি ছেলের কাছে থাকেন। তাঁর সাথে বহুদিন আমার দেখা সাক্ষাৎ হয় না।

ধন্যবাদ ভাই নিজাম উদ্দিন মণ্ডল।

১৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বিশ্বকাপকে সামনে রেখে চমৎকার একটি পোস্ট। বরাবরের মতো ভাল লাগলো।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাওসার চৌধুরী।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অামার এই পোস্টটি আগে পড়া ছিল না গুরুজী। তাই আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। রসাসো গল্পটি দারুণ লিখেছেন।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান সুজন।

১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা ও স্মৃতিচারণা। ৭-১ গোল আসার পর ব্রাজিল-জার্মানীর কথা মনে পড়ল। কিন্তু পরে সেটা হল ৯-১(২)! পরে কী কখনো আপনারা সাফল্য পেয়েছিলেন? আলতাফ ভাইয়ের মান(!) রেখেছিলেন?

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: টাইগার ক্লাব চার পাঁচ বছর টিকে ছিল। পরে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ক্লাবটি বন্ধ হয়ে যায়। বিচ্ছিন্নভাবে দু' চারটা খেলায় সাফল্য এসেছিল, যা উল্লেখ করার মতো নয়।


ধন্যবাদ ভাই বিচার মানি তালগাছ আমার।

১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: এই লেখাটা আগে পড়িনি।

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এখন পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

১৮| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে আমার মনে হয় আপনি ফুটবল না খেলে আশোক দার সাথে ইনডোরে ভালো করতে পারতেন, ওখানে কিন্তু বুট পায়ে দেওয়া লাগতো না :-B

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই কথা আগে কইবেন না?

১৯| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মোখলেছ কবিরাজের পড়া পানি তো আগে কাজ করতো আপনাদের বেলায় কাজ না করার কারণ হতে পারে আপনারা সঠিক ভাবে ওনার পানি ব্যবহার করেন্নি =p~

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মোখলেছ তো পানি পড়া দেয় নাই। সে দোয়া দরুদ পড়ে আমাদের মাথায় ফুঁ দিয়ে দিয়েছিল। তবে এটা হতে পারে যে, বিড়ি সিগারেট খাওয়া মানুষ মোখলেছের ফুঁ-এর মধ্যে বিড়ি সিগারেটের নাপাকি গন্ধের কারণে কাজ হয় নাই।

২০| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ম্যাড মাক্স বলেছেন: ছোট বেলা থেকে কিশোর হওয়া পর্যন্ত নিজেরা এমন ২/৩ টা ক্লাব গঠন করেছি। টাইগার ক্লাব এর মত ঘটনাও ঘটেছে দুই একবার। সে সব দিনের কথা মনে পরে গেল!

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তাহলে দেখা যাচ্ছে, অনেকেরই এমন অভিজ্ঞতা আছে। হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই ম্যাড মাক্স।

২১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
তাহলে এই কবিরাজের স্বরনাপন্ন হলে পারতেন

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ফু ফা কবিরাজ, নাকি কুফা কবিরাজ? একে তো কুফা, তার ওপর ভাদাইমা, তার ওপর আবার তার ছেঁড়া। এই লোকের শরণাপন্ন হইলে তো আমরা ১৮ গোল খাইতাম। এইসব বটতলার কবিরাজ আপনি কই পান?

২২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন:



টানটান উত্তেজনাময় এক ফুটবল ম্যাচের চিত্র যেন চোখে ভেসে উঠলো।

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জাহিদ অনিক। লেখার মাধ্যমে ছবি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি, এই স্বীকৃতি পেয়ে খুব ভালো লাগলো।

২৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

শামচুল হক বলেছেন: হে হে হে ্ওই বেটার তাবিজ দুই নম্বর ছিল, আমার দেয়া কামাখ্যা তাবিজ নিতেন তাইলে ঠিকই জিততে পারতেন।

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। কম বয়সে এরকম ফুটবল খেলার ইতিহাস নিশ্চয় আপনারও আছে। লিখে ফেলুন ভাই শামচুল হক।


লেখাটি পুনঃ পাঠের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:১১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ইশ! পড়তে পড়তে অন্য এক যুগে যেন চলে গিয়েছিলাম! সরল, সুন্দর একটা সময়ে!

অনেককক ধন্যবাদ হেনাভাই এমন সুন্দর লেখা উপহার দেবার জন্যে।
শুভেচ্ছা।

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইশ! পড়তে পড়তে অন্য এক যুগে যেন চলে গিয়েছিলাম! সরল, সুন্দর একটা সময়ে!


কথাটা ভালোই বলেছ। সুন্দর শান্তিময় একটা সময় পেরিয়ে এসেছি আমরা। সময়টা ফিরে পেতে খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু এই ইচ্ছে পূরণ হবার নয়।

তুমি বিশ্বকাপ টপিক দিয়ে হই হুলস্থূল বাধিয়ে দিয়েছ। সেটাকে এই পোস্ট দিয়ে আর একটু গিয়ার আপ করলাম আর কি!

ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭।

২৫| ১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ। আপনি যখন লিখেন মনে হয় লেখার মাঝে নিজেকে সঁপে দেন। খুব সুন্দর। ভালো লাগলো।

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না সাজ্জাদ সাহেব। ব্যাপারটা ঠিক সেরকম নয়। অত মনোযোগ দিয়ে আমি আসলে লিখি না। আপনার কাছে এরকম মনে হওয়ার কারণ হলো আমার লেখার মধ্যে এক ধরনের ভিশনারি এ্যাপ্রোচ থাকে। পড়ার সময় পাঠকের মনে হয়, তিনি পড়ছেন না, ঘটনাগুলো দেখছেন। তা' ছাড়া হিউমার ও উইট পাঠককে লেখার মধ্যে ধরে রাখে। অন্যথায় লেখার মধ্যে নিজেকে সঁপে দেওয়া বলতে যা বুঝায়, আমার অত ধৈর্য নাই ভাই। এক দেড় ঘণ্টার মধ্যে একটা ছোট গল্প লিখে শেষ করতে না পারলে আমার ছটফটানি ধরে যায়। হাঃ হাঃ হাঃ।

যাই হোক, লেখাটি আপনার কাছে ভালো লাগায় অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৬| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প ড়ে ভালো লাগলো । এত গোল না খেলেও পারতেন। আপনাদের টাইগার ক্লাবের ভবিষ্যৎ কি হয়েছিলো বা কেমন হয়েছিল ?

১২ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্বাধীনতার তিন চার বছর পর টাইগার ক্লাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ব্রাজিলের মতো বিশ্বসেরা দল গত বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে যদি ৭-১ গোলে হারতে পারে, তাহলে টাইগার ক্লাবের ৯-২ গোলে হেরে যাওয়ার মধ্যে কোন লজ্জা নেই। হাঃ হাঃ হাঃ।

আসলে ডিসি কাপ টুর্নামেন্টের মতো অভিজাত টুর্নামেন্টে একেবারে প্রথম খেলতে আসা, ব্রাইট স্টার-এর মতো শীর্ষ দলের বিরুদ্ধে খেলা, বুট পরে খেলার অনভ্যস্ততা, ভালো কোচিং-এর অভাব ইত্যাদি অনেক কারণ ছিল আমাদের বড় ব্যবধানে হারার পেছনে। তারপরেও এটা ঠিক যে অত খারাপ দল আমরা ছিলাম না। ভাগ্য রে ভাই, ভাগ্য।

ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার।

২৭| ১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার অবশ্য অমন অভিজ্ঞতা নেই। বাবা মা আমি খেলাধূলা করি পছন্দ করতেন না। পাড়ার খেলা হলে আমার তলব ঠিকই পড়তো। বাবা মা কে না জানিয়ে খেলা। তবে বড়ো বেলায় ব্রাজিল এন্ড রেস্ট অব দা ওয়ারর্লড সমর্থকদের প্রীতি খেলা জিমনেসিয়াম গ্রাউন্ডে ফাবি। আমরা হেরেছিলাম ৫-১ গোলে। আমি গোল করায় ওস্টাড। সেদিন বল ঢুকছিলনা । ছোট পোস্ট আর হয় নাই আরকি।ওরা ছিল সবাই খেলোয়াড়।আমার টিমে বলতে গেলে আমি একা। :)

১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ফুটবল অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার।

২৮| ২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

জুন বলেছেন: হা হা হা হেনা ভাই দারুন মজা পেলাম টাইগার ক্লাবের কান্ড পড়ে । বিশেষ করে শেষ অংশের মারামারি টুকু । বেচারা মোখলেস B-)
+

২৯ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন জুন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এমন টান টান উত্তেজনার খেলাময় গল্প অনেকদিন পড়া হয়নি।

অভিনন্দন।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

rezaul827 বলেছেন: হুম

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সাবাস! তোরা পারবি। - এরকম কথা বলার লোক আজকাল খুবই কম পাওয়া যায়। আলতাফ ভাই এর অসামান্য জোশের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো---
ইঁদুর তো ছোট্ট একটা প্রাণী, কিন্তু তারে হাত দিয়া কোনদিন ধরতে পারছেন? হে হে হে। - হে হে হে, খুবহাসলাম! :D
সামু পাগলা০০৭ এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে (২৪ নম্বর)। আপনার উত্তরটাও। +
পোস্টে প্লাস + +

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাবাস! তোরা পারবি। - এরকম কথা বলার লোক আজকাল খুবই কম পাওয়া যায়।


একদম ঠিক। সময়টা ছিল পাকিস্তান আমল তো, সেই সময় বাঙালি অবাঙালি নির্বিশেষে 'সাবাস' শব্দটির ব্যপক ব্যবহার ছিল।

ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারের আপনার লেখা মিস করছে

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক। আবার লেখালেখি শুরু করবো ভাবছি। তবে প্রিন্ট মিডিয়ায় আমার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।


ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।

৩৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি আগেও পড়েছি আবারো পড়লাম। যতবার পড়ি ততবারই মজা পাই। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুনরায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৩৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:০১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: গুরুজী, আমি যখন ক্লাস সিক্স সেভেনে পড়ি, তখন স্কুল ফাইনাল পরীক্ষার পর আমরাও আশে পাশের বাড়ীর ছোট বড় ছেলেরা মিলে একটা ফুটবল টিম করেছিলাম। সমস্যা হলো ১০ নম্বর জার্সি নিয়ে। দুই জন অনমনীয় দাবীদার ছিল। এই নিয়ে নানান ক্যাচাল। কিছু দিন বাদে যথারীতি চাট্টিবাট্টি গোল। :D

অঃটঃ ২০/২৫ দিন আগে ইউটিউবে অনেক মজা নিয়ে একটা বাংলা ছবি দেখেছিলাম। সেই দিনই ভেবেছিলাম আপনার সাথে শেয়ার করবো। জড়তা কাটিয়ে আজ শেয়ার করলাম। সময় সুযোগ করে দেখবেন। টেলিভিশন

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মোস্তফা সরোয়ার ফারুকির 'টেলিভিশন' ছবিটি আমি আগেই দেখেছি। তারপরেও শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। নিশ্চয় আবার দেখবো। ছবিটি বেশ ভালো।

আপনাকে অনেকদিন পরে দেখছি ব্লগে। কেমন আছেন?

৩৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: জ্বী হেনা ভাই ভাল আছি। নয়নতারার আহ্লাদী হাসির ছবিটা দেখলেই মনটা ভাল হয়ে যায়।

Hazaron khwahishein aisi

Zahra Haider Khan - Akele Na Jaana

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নয়নতারা এখন খুব দুষ্ট হয়ে গেছে। ওকে নিয়েই এখন আমার সারাদিন কাটে। কিছুদিন আগে ওর নানার বাড়ি থেকে ওকে যখন আনতে গিয়েছিলাম, তখন গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে নয়নতারা ওর এক খালার কোল থেকে লাফিয়ে আমার কাছে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে। ওর নানা, মানে আমার বেয়াই তখন হাসতে হাসতে বলেছিলেন, দেখেন বেয়াই, রক্তের টান কী জিনিষ!

ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা।

৩৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আরও একটা প্রিয় গজল Koi Fariyaad

গুরুজী, টেক গুড কেয়ার অফ ইউয়রসেলফ। বাই।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লিংকগুলোর জন্য আবারো ধন্যবাদ ভাই শুভ ঢাকা। আপনিও ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন? নতুন পোস্ট দিন।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাই। আজ অভিনেত্রী মধুবালার ওপর একটা নতুন পোস্ট দিয়েছি। সময় পেলে পড়ে দেখবেন।

৩৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





গুরু আমার টাইগার ব্লগার....


পোস্ট করেছি: ১৭৩টি
মন্তব্য করেছি: ১১৫৯১টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৭৪৯২টি
ব্লগ লিখেছি: ৪ বছর ৭ মাস




আহ! কি মোহনিয়া পরিসংখ্যান!

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ৪ বছর ৭ মাস সময়ের মধ্যে অসুস্থতার কারণে একটানা প্রায় দেড় বছর ব্লগিং করতে পারিনি। নীট হিসাবে সামুতে ব্লগিং করছি ৩ বছর ১ মাস।

ধন্যবাদ ভাই ভ্রমরের ডানা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৩৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




আপনি আমার লেখাগুলো একদমই পড়েন না। এতে আমি খুব কষ্ট পাই!

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি দুঃখিত। আসলে আমি কবিতা পড়তে খুব একটা পছন্দ করি না। তা' ছাড়া আমার জ্ঞানের স্বল্পতার কারণে বেশির ভাগ কবিতা বুঝতেও পারি না। আর জানেনই তো কোন বিষয় বুঝতে না পারলে মানুষ তার প্রতি আগ্রহ বোধ করে না। আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, বেশির ভাগ কবিতাতেই আমার কোন মন্তব্য নাই। এ ছাড়া দেশীয় রাজনীতি এবং ধর্মীয় পোস্টে আমি একেবারেই মন্তব্য করি না। এই দুটি স্পর্শকাতর বিষয়ের পোস্ট আমি এড়িয়ে চলি। তাই বলে যে আমি এগুলো পড়ি না, তা' নয়। তবে মন্তব্য মোটেই করি না। তো ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ এবং নীতিগত কারণে অনেক ব্লগার বন্ধুর পোস্টে আমার মন্তব্য করা হয় না। তারপরেও আমি নিজের পোস্টে যে পরিমান মন্তব্য পেয়েছি, তার তুলনায় অন্যের পোস্টে অনেক বেশি মন্তব্য করেছি।

আশা করি, আপনাকে বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

৪০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:






আপনি আড্ডা দিতে বেশি ভালবাসেন, কবিতায় আপনার আগ্রহ কম! আমি সেটা দেখেছি! থ্যাংকস! সত্য বলেছেন!

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনিও সত্য বলেছেন। আসলেই আমি আড্ডা দিতে বেশি ভালোবাসি, যেটা আসলে আমার বয়সের সাথে মানানসই নয়। ধন্যবাদ।

৪১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে, তবে আপনার মত লেখে প্রকাশ করার মত এতো সুন্দর রৌপ্যিক শব্দমালা না থাকায় পেড়ে উঠা সম্ভব হয় না।

তারপর, কেমন আছেন আপনি আর আমাদের নয়নতারা কেমন আছে?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সৈয়দ তাজুল ইসলাম।


আমি ভালো আছি ভাই। আর নয়নতারাও ভালো আছে। তিন চারদিন হলো ওর একটু সর্দি কাশি হয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব আর কি। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে। ওর জন্য দোয়া করবেন।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৪২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭

কালীদাস বলেছেন: আপনার এই লেখাটা সম্ভবত আগে পড়েছিলাম। আজকে পড়েও হাসলাম কতক্ষণ। আপনার রম্যগুলো অন্যদের চেয়ে একেবারেই আলাদা এবং সুখপাঠ্য :)

ব্লগে পাঁচ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা রইল !:#P

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ভাই, এটা রি-পোস্ট। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.