নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

Dr. Brighton, শেখ দীন মোহাম্মদঃ ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ইংরেজি ভাষার বইয়ের লেখক, বৃটেনে ইন্ডিয়ান রেস্তোরাঁর গোড়াপত্তনকারী এবং...!!!!!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯



-‘কত্তবড় স্পর্ধা। তোমার মতো একটি কালা আদমী ইউরোপীয়ান মেয়েকে বিয়ে করার সাহস কেমন করে হয়?’

আঠারো শতকের শেষের দিকে এক শেতাঙ্গ বাবার এই ভয়ানক হুমকী আয়ারল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে থেকেও ভারতীয় উচ্চাভিলাষী যুবককে দমাতে পারে নি।

মেয়ের বাবার চোখ রাঙানি ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে ধন্যাঢ্য আইরিশম্যানের মেয়ে প্রিয়তমা জেন ডেলিকে নিয়ে ১৭৮৬ সালের হিম ঠান্ডা এক নিশিকালো রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেলেন দীন মোহাম্মদ আয়ারল্যান্ডের পাহাড়ঘেরা অঞ্চলে। কিন্তু...।

যে সমাজ এখনো নিজেদের উঁচুতলার মানুষ মনে করে তারা কি দীনের এই অপরিণামদর্শী আচরণ মেনে নিবে। ঠুনকো আভিজাত্য যাঁদের আল্পসসম, তাদের তা মেনে নেওয়ার কথাও না। না, মেনে নেয়ও নি।

শর্ত চড়িয়ে দেওয়া হয়। কোন এক তুষার পড়া নিস্তব্দ রাতে দীন মোহাম্মদ শেখকে এংলিকানিজম খ্রিস্টানে দীক্ষিত হতে হয়।

জীবন নিয়ে জুয়াখেলা দীনের এবার নিজেকে ইউরোপীয়দের মতো জাতে তোলার পালা। এই জাতে তুলতে গিয়ে দীন কি তাঁর মা-মাটি-মানুষকে ভুলে গিয়েছিল?

না, যায় নি। সে গল্পই শুনব আমরা আজঃ

White Mughals গ্রন্থের লেখক William Dalrymple ‘দ্যা স্পেকটেটর’ এ লেখা আর্টিকেলে দীনকে উল্লেখ করেছেন এভাবে ‘An Indian with a Triple First’.

তিনিই ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি আয়ারল্যান্ড থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষায় ১৭৯৪ সালে প্রথম বই লিখে প্রকাশ করেছিলেন। বইয়ের নাম--

The Travels of Dean Mahomet,A Native of Patna in Bengal Through Several Parts of India While in the Service of the Honourable East India Company, Written by Himself in a Series of Letters to a Friend.



তিনিই প্রথম দক্ষিণ এশীয় যিনি বৃটেনে সর্বপ্রথম রেস্তরাঁ ব্যবসার গোড়াপত্তন করেন। লন্ডনের জাঁকজমকপূর্ণ এলাকা পোর্টম্যান স্কয়ারে ‘Dean Mahomet's Hindostanee Coffee House’ নাম দিয়ে যুগান্তকারী এই ঘটনার ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেন। বিবিসির ভাষায় সেখানে উপমহাদেশ ফেরত ব্রিটিশদের জন্য তিনি বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্না চালু করেন। খাঁটি ভারতীয় আমেজ সৃষ্টির জন্য হুকোয় 'ছিলিম' তামাক সেবনের ব্যবস্থাও করেন।



তিনিই প্রথম ভারতীয় তথা বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যিনি ‘শ্যাম্পু’ করা পশ্চিমা মানুষদের শিখিয়েছিলেন। এই ‘শ্যাম্পু’ নামটার আবিস্কারকও বলা যায় তাকে। shampoo শব্দটি হিন্দি ভাষার ‘চ্যাম্পি’ থেকে এসেছে যার মানে ‘মালিশ’। এজন্য দীনকে ডাকা হত ‘Shampooing Surgeon’. তিনি রাজা চতুর্থ জর্জের জন্য Vapour Bath সিস্টেম চালু করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। তৎকালীন লন্ডন তথা বৃটেনে তিনি নিজেকে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও পশ্চিমারা অন্য আরো অনেক কীর্তির মতো এই আবিষ্কারও বাটপাড়ির মাধ্যমে নিজেদের করে নেয়।

তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভেষস গাছপালার বৈজ্ঞানিক উপায়ে “Britain’s First Indian Massage Parlor’ এ থেরাপির ব্যবস্থা করেছিলেন পশ্চিমাদের জন্য। যার জন্য তাকে ডাকা হত ব্রাইটন সার্জন (Dr. Brighton) । তাঁর এই গোসল করার কৌশল এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে ইউরোপের অন্য দেশের রাজা-বাদশারাও দীনের ভেষজ চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসত। কেট এলমস এর লেখায় দেখা যায় এমনি একজন পোল্যান্ডের প্রিন্সেস Poniatowsky শুধুমাত্র বাথিং এর জন্য ব্রাইটনে এসেছিলেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

তিনিই প্রথম ভারতীয় তথা দক্ষিণ এশীয় যিনি পশ্চিমা দেশে গিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক কথার ব্যাপক প্রচলন করেছিলেন। নানারকম সামাজিক, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দক্ষিণ এশীয়দের রাস্তাটি প্রশস্ত থেকে প্রশস্ততর করে গিয়েছেন। আজকে বৃটেনের ৩ মিলিয়নেরও বেশি উপমহাদেশের লোকজনের মাথাউঁচু করে বসবাসের প্রথম ইট তিনিই গেঁথেছিলেন।

বাংলাপিডিয়াক্রাইটেরিয়ন কোয়ার্টারলিতে তোহিদ আহমেদ দীন মোহাম্মদকে এভাবে বর্ণনা করেছেন---

দীন মোহাম্মদ (১৭৫৯-১৮৫১) তাঁর ভ্রমণ বিষয়ক বইয়ে বলেছেন তিনি বিহারের পাটনাতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যারা কিনা মুর্শিদাবাদের নবাবের সাথে সম্পর্কিত। (এতে বোঝা যায় তাঁর বাঙালি পরিবার নবাবের পতনের পর অন্য অনেকের মতো বাংলা ত্যাগ করে বিহারে নিবাস গড়েন, যদিও এর সত্যতা নিরুপিত হয় নি)। তাঁর বাবা সুবেদারের মর্যাদায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আন্ডারে চাকরিরত ছিলেন। যা তৎকালীন সময়ে সর্বোচ্চ পদবী। তিনি নিজেও এ চাকরিতে পরবর্তীতে যোগ দেন।

আঠার শতকের উন্মাতাল দিনগুলোতে অনেকের মতো মুসলিম শাসকদের পতনের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের অন্য অংশেও নিজেদের প্রভাব বাড়িয়ে তোলে। সেখানে নতুন ফোর্স নিয়োগ হলে দীন মোহাম্মদের বাবাও সেখানে যোগ দেয়। বাবার চাকরি সুবাদে তাঁকে ভারতীয় উপমহাদেশের নানা শহরে ঘুরতে হয়। ফলে তাদের জীবনযাত্রার একটি চিত্র তাঁর মনের গহীন কুঠিরে গাঁথা ছিল যা বই রচনার রসদ যোগায়।

দীনের বন্ধু ছিলেন বৃটিশ নাগরিক ইভান্স বেকার। তিনি কোম্পানির চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে নিজ দেশে ফেরত আসতে চাইলে দীন মোহাম্মদও বন্ধুর সাথে পশ্চিমা দেশে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। এখানে দীনের ভ্রমণেচ্ছু মানসিকতার সন্ধান পাওয়া যায়।


ডেলীর সাথে রোমান্স

দীন মোহাম্মদ আয়ারল্যান্ডের কর্ক শহরে পদার্পণ করেন ১৭৮৪ সালে। ইভান্সের ফ্যামিলি এই ২৫ বছরের টগবগে পড়াশুনা করতে ইচ্ছুক যুবককে স্কুলে ইংরেজি শিক্ষার জন্য পাঠায়। এবং তীব্র ইচ্ছাশক্তির জোরে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় বেশ দক্ষ হয়ে উঠেন।

সেখানেই পরিচয় হয় অসম্ভব রুপবতী কন্যা দীনের ক্লাসমেট জেন ডেলির সাথে। জেন ছিল কর্ক শহরের বেশ সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। একে তো দীন মুসলিম আবার কালা আদমীর দেশের লোক। স্বাভাবিকভাবেই এই প্রেমের পরিণতি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। বুঝতে পেরে একদিন কাওয়া ডাকা ভোরে দুজনে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।

এভাবে তারা পশ্চিমের পাহাড়ে প্রায় এক বছর লুকিয়ে থাকে। অবশেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে জেন ডেলির পরিবার তাদের সন্ধান বের করে। এবং কিছুটা বাধ্য হয়ে তাদের বিয়েকে মেনে নেয়। তবে শর্ত ছিল ক্রিশ্চিয়ানে দীক্ষিত হতে হবে। উচ্চাভিলাষী দীন নিজের নাম পরিবর্তন না করলেও জেনের প্রেমের টানে বাপ-দাদার ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে ইউরোপীয় সমাজের অন্তর্ভুক্ত করেন।

ইংরেজি বই রচনা ও প্রকাশ

এত কিছুর পরেও দীন তাঁর মা-মাটি-মানুষকে ভুলতে পারেন নি। তাঁর প্রবল ইচ্ছে হল ভারতীয়দের কথা তিনি পশ্চিমাদের জানাবেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭৯৪ সালে বের করেন তাঁর সেই বিখ্যাত ভ্রমণ বিষয়ক বই। যা বহুদিন দক্ষিণ এশীয়দের অজানায় ছিল।



তিনি শুধু বই লিখেই ক্ষান্ত হন নি। রীতিমত পণ করে মাঠে নেমেছিলেন যে এই বই পশ্চিমাদের পড়িয়ে ছাড়বেন। ফলে নিজে পাবলিশ করে আজকের মতো কর্ক একজামিনার ডেইলিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করেছিলেন। মানুষ হুমড়ি খেয়ে তা কিনেছিল। বিশেষ করে যারা সেসময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরি নিয়ে উপমহাদেশে আসত। এই বই ছিল তাদের কাছে এক মূল্যবান সম্পদ। কারণ এতে তাঁর ভারতীয়দের নানা দিক সম্পর্কে অবগত হত।

প্রায় দুশ বছর দীনের এই বই ভারতীয়দের কাছে অজানা এক অধ্যায় হিসেবেই ছিল। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস থেকে ১৯৯৩ সালে পূণঃপ্রকাশিত হওয়ার পরেই এ বই নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।

এরপর মাইকেল এফ ফিশার (Michael F. Fisher) এই বইয়ের নানাদিক আলোচনা করলে এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। এবং ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজনও জানতে পারে দীন মোহাম্মদ সম্পর্কে।

কূটনৈতিক মাহাবুব আলম তাঁর ‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’ বইয়ে দীন মোহাম্মদ ও তাঁর বই নিয়ে লিখেছেনঃ

তাঁর ঢাকার বিবরণ পড়লে মনে হবে যে, শহরটির সঙ্গে দীনের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। তবে কি দেশ ছাড়ার আগে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেই তাকে ঢাকা টেনে এনেছিল? এসব প্রশ্নের সদুত্তর দেওয়া কঠিন। তবে এটুকু মনে করিয়ে দেওয়া সংগত হবে যে, ঐতিহাসিক সিরাজল ইসলামের ধারণা তিনি বাংলার মানুষ এবং পূর্ব বাংলারই। ১৭৮৩ সালে ঢাকা থেকে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌকা করে কলকাতা পৌঁছেন দীন আর বেকার সাহেব।

বইটি দুস্প্রাপ্য। এখন পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে কয়েকটি মাত্র কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রথম খণ্ডের পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৯০+৩২, দ্বিতীয় খণ্ডের ১৬২+২০। লেখকের নামের জায়গায় বলা হয়েছেঃ Written by himself, in a series of letters to a friend.’ , মোট আটত্রিশখানা চিঠির আকারে লেখা, মোটামুটি একটি পরিচ্ছদ একটি চিঠি। এ রীতিতে আত্নকাহিনি লেখার নাম ‘Epistolary’ পদ্ধতি। দীন মোহাম্মদ কল্পিত পত্রে প্রাপকের নাম উল্লেখ না করে বরাবর ‘Dear Sir’ বলে সম্বোধন করছেন।


দীন মোহাম্মদের ১৭৮৩ সালের ঢাকা ঘুরে যাওয়ার বিস্তারিত রয়েছে তাঁর বইয়ের ৩৬ নাম্বার পত্রে। সেখানে লিখছেনঃ

আমরা ঢাকায় পৌঁছিলাম, বাংলা প্রদেশের সব থেকে বড় শহরগুলোর একটি, গঙ্গার একটি পূর্ব শাখা নদীর তীরে অবস্থিত। শহরটি প্রস্থে সরু, কিন্তু প্রায় পাঁচ মাইল লম্বা ও নদীপথের অনুসারে আঁকাবাঁকা। ঢাকা সোনা, রুপো ও রেশমের সূচিকার্যের জন্য বিখ্যাত।
সুতি কাপড় ও সূক্ষ্ম ডোরাকাটা আর কাজ করা মসলিন ইত্যাদি তৈরি হয়। দেশের অন্যান্য জায়গায় যা তৈরি হয় তার থেকে অনেক ভালো। সূচের কাজ সব বর্ণনার অতীত, ইউরোপে যা হয় তাঁর চেয়ে অনেক গুণে ভালো এবং লক্ষণীয়, তা মহিলারা করে না, করে পুরুষেরা, তাদের ধৈর্য আশ্চর্যজনক।
(অনুবাদঃ অরুণ নাগ, দীন মোহাম্মদের ভ্রমন বৃত্তান্ত, দেশ)।

নৌবিহারের বর্ণনাঃ

শ্যামসুন্দর নবাবের এক বজরার নাম। এক বিশাল আকৃতির আকর্ষনীয় কারুকার্য খচিত এ নৌকা। ভেনিসের নরপতি যেমন গদি দখলের দিনটি উদযাপন করেন নদীতে নৌবিহার করে, তেমনি ইউরোপের ভেনিস ঢাকায়ও নবাব তাঁর গদি আরোহণের দিনটি উদযাপন করে থাকেন শ্যামসুন্দরে চড়ে নদীতে উৎসব করে।
শ্যামসুন্দর নামের বজরাটি রূপার পাত দিয়ে মোড়ানো। নৌকার মধ্য ভাগে একটি প্লাটফর্মে একটি বেদি স্থাপন করা হয় রূপা দিয়ে মোড়াই করে। বেদিটির চারপাশে সাজিয়ে স্থাপন করা হয় নৌকার নইলচা। মাথার উপরে শামিয়ানা হিসেবে স্থাপন করা হয় একটি সুসজ্জিত সোনার জরির চাঁদোয়া। চাঁদোয়ার নিচে তাকিয়ায় কনুই রেখে আরামে আসন নেন নবাব। শ্যামসুন্দরের সাজ-সজ্জা, মাঝি-মাল্লা প্রভৃতি বাবদ খরচ হয় লক্ষাধিক টাকা।
(অনুবাদঃ সিরাজুল ইসলাম, ঐতিহাসিকের নোটবুক)।

আজকের বৃটেনের রেস্তরাঁ শিল্পের তুলির প্রথম আঁচড়টা তিনিই দিয়েছিলেন। ফলেই ৩ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা আজ প্রায় সবটাই বাংলাদেশী তথা উপমহাদেশের হাতে।



কিন্তু দুর্ভাগ্য গুণী এই মানুষের নামই আমরা বেশির ভাগ শুনি নি। এর কারণ কি আমি বুঝে উঠতে পারি নি। ইন্ডিয়ান ইংলিশ লিটারেচার বিষয়ে লিখিত উইকিপিডিয়ার প্রবন্ধেও এ বিষয়ে এক লাইন লিখেই সমাপ্তি টেনেছে। এর বাইরে কোথাও তেমন আলোচনাও চোখে পড়ে না। কিন্তু আমার মতে এটা আরো অনেক বেশি আলোচিত হওয়া দরকার ছিল ভারত, পাকিস্থান, বাংলাদেশে। কারণ দীন মোহাম্মদ যে প্রতিকূল অবস্থায় এত সব অর্জন করেছেন এর সিকিভাগ অর্জন নিয়েও অনেকে নিজেদের এলিট জাতে তুলে রেখেছেন। সে জন্যই ভাবনাগুলো উঁকি দিচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে দীন মোহাম্মদের কেন আলোচিত হওয়া উচিত। কারণঃ

১। যে সময় কালা পানি ডিঙ্গিয়ে বিলেত যাওয়াকে পাপ হিসেবে গণ্য হত, সেখানে দীন রাজা রামমোহনের রায়ের প্রায় অর্ধ-শতাব্দি আগে বিলেতে গমন করেন। এক যুগান্তকারী ঘটনায় বটে।

২। নবাবের তথা মুসলিম শাসনের অবসানের পর মুসলিমরা ইংরেজদের সাহায্য করতে বিরত থাকে। ইংরেজি শিক্ষাতেও আলোকবর্ষ পিছিয়ে পড়ে হিন্দু ভাইদের কাছে। এর পরেও একজন মুসলমান নামধারী (যদিও পরবর্তীতে খ্রিস্টান) কেউ গোটা উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম ইংরেজি ভাষায় বই লিখে ফেলেছে এ এক অবিস্মরণীয় ঘটনা হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত।

৩। আজকের ভারতীয় তথা বাংলাদেশীদের বৃটেনে রেস্তরাঁ শিল্পে রমরমা অবস্থার পিছনে যে ব্যক্তির ওয়ান ম্যান আর্মির ভূমিকা নিয়ে বিন্দু থেকে সিন্ধুতে পরিণত করেছেন সেই ব্যক্তির নাম আলোচিত না হওয়ার কারণ কি?

৪। শ্যাম্পু শব্দটার ব্যবহার ও ডিকশনারীতে উঠাতে যে ব্যক্তির ত্যাগ-তিতিক্ষার উচ্চতা এভারেস্ট শিখর ছুঁয়েছে তাঁর অবদান কি হিসেবে বিবেচিত হবে?

৫। আজকেরবৃটেনে উপমহাদেশের কমিউনিটির সাড়াজাগানো উপস্থিতিযাঁর হাত ধরে গোড়াপত্তন ঘটেছে সেই মানুষের পরিচিতি এত ঘোলাটে হওয়া কি উচিত?

ব্রাইটনের সেন্ট নিকোলাস চার্চের গ্রেইভইয়ার্ডে শায়িত আছে এই অালোচিত কিংবদন্তিতুল্য মানুষটি।



তথ্যসূত্র: লেখাতে উল্লিখিত ও লিংক যুক্ত করা হয়েছে।
ছবি: গুগল মামা।

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

মেমননীয় বলেছেন: অজানা ইতিহাস,
চমৎকার লেখনি!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: একজন কিংবদন্তী সম্পর্কে জানতে পারলাম। উনার কৃতিত্ব আলোচিত হওয়ার দাবী রাখে।


ধন্যবাদ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: উনার কৃতিত্ব আলোচিত হওয়ার দাবী রাখে। -- সহমত।


মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্যি অবাক করা তথ্য!
অজানা তথ্য, বিষ্ময়কর ইতিহাস!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: সত্যি অবাক করা তথ্য!
অজানা তথ্য, বিষ্ময়কর ইতিহাস!
-- আমার কাছেও প্রথমে তাই মনে হয়েছিল।


পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইল ব্লগার নূরু ভাই।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:




পুতিন বলছেনঃ চমৎকার! জেন ডেলিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়াতে ভেবেছি তাকে হত্যা করার জন্য লোক পাঠানো হবে। হত্যা তো হয় নি বরং ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার! জেন ডেলিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়াতে ভেবেছি তাকে হত্যা করার জন্য লোক পাঠানো হবে। হত্যা তো হয় নি বরং ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। -- সকলের এই ধারণা হওয়ায় স্বাভাবিক। দীন ক্রিশ্চিয়ান না হলে হয়তবা এর পরিণতি অন্যরকমও হতে পারত।

সেক্ষেত্রে দীন ইতিহাসে ঠাঁই নাও পেতে পারত।

ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর পোষ্ট। অনেক পরিশ্রম করেছেন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ব্লগার রাজীব নুর।

কষ্টটুকু অনুধাবন করতে পেরেছেন জেনে আবারো ধন্যবাদ রইল।

ভালো থাকুন।


৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। আমি উনার নাম আজ প্রথম জানলাম। আমার প্রবাস জীবনের প্রথম থাকাই হয়েছে ব্রাইটনে। এখন রামমোহন রায়ের সমাধি যেখানে সেই শহরে পাকাপাকি ভাবে থাকা হচ্ছে। আসলে কত কিছুই আমরা জানি না তা দীন মোহামেট এর ঘটনা প্রমান করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এ পোস্টটির জন্য।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: উনাকে নিয়ে তেমন একটা লেখালেখি হয় নি বাংলাতে। ফলে আমরা জানি না উনার এই বিশাল অবদান।

পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আল ইফরান বলেছেন: নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম, ব্লগে এখন এই ধরনের পোস্টের নিদারুন আকাল।
যে ধরনের হোমওয়ার্ক করে এই টাইপের একটা লেখা লিখতে হয়, তার জন্য আপনার অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য।
ভালো লেগেছে 8-|

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুশি হলাম।

মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা রইল।

ভালো থাকুন।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়া ও মন্তব্যের জন্য ব্লগার প্রামানিক।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৯

সোহানী বলেছেন: অসাধারন।

এমন অনেক কিছুই জানি না। কারন আমাদেরকে যা জানাতে চায় আমরা তাই শুধু জানি। তাই দীনকে নিয়ে ভারত মহাদেশের নিশ্চুপতাকে এককভাবে আমরা নয় বৃটিশ একনায়কতন্ত্র মনোভাব ও দায়ী। কারন তাকে সন্মানীত করলে নিজেদের ভাগে কম পরে যাবে যে।

অসম্ভব ভালোলাগা অসাধারন লিখায়।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০

আখেনাটেন বলেছেন: দীনকে নিয়ে ভারত মহাদেশের নিশ্চুপতাকে এককভাবে আমরা নয় বৃটিশ একনায়কতন্ত্র মনোভাব ও দায়ী। কারন তাকে সন্মানীত করলে নিজেদের ভাগে কম পরে যাবে যে। -- সহমত।

অনেক লেখাতেই দেখা যায় দীনের এই অসম্ভব জনপ্রিয়তা তৎকালীন সাদাবাবুরাও ভালোভাবে নিতে পারে নি। একজন এশিয়ান হয়ে তাদের চেয়ে সাফল্য লাভ তাদের কাছে নিশ্চয় ভালো ঠেকে নি।

লেখা ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলুম।

ভালো থাকুন ব্লগার সোহানীপা।

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আজই প্রথমবার জানলাম উনার সম্পর্কে। চমৎকার ইতিহাস। তবে তাঁর বংশধরদের ব্যপারে কিছু জানা গিয়েছে কী?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: নতুন কিছু জানাতে পেরেছি জেনে ভালো লাগল ব্লগার বিচার মানি তালগাছ আমার।

দীন ও ডেলী দম্পতির সাত সন্তানের কথা জানা যায়। তাদের মধ্যে ফ্রেডরিক দীন মহামেদ মনে হয় বাবার ভেপার বাথ ব্যবসাতে যুক্ত ছিল। বাকিরা বিভিন্ন পেশায় সুনামের সাথেই জীবিকা নির্বাহ করেছে। পরবর্তী জেনারেশন অামেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতে শিফট করে।

আর পরের জেনারেশনের নামের মাঝে দীন থাকায় তাদের রেসিজমের স্বীকার হতে হয়। তাই দীন'কে ডিয়েন' রুপে নিয়ে নিজেদের বংশধারা বজায় রাখে।

ভালো থাকুন।

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

শেখ দীন মোহাম্মদের অজানা কাহিনী পড়ে ভাল লাগলো।

আপনাকে ধন্যবাদ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: শুনে খুশি হলুম।

ভালো থাকুন।

১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: শেখ দিন মোহাম্মদ সম্পর্কে তেমন জানতাম না | ভারতের দ্যা হিন্দু শেখ দিন মোহাম্মদ সম্পর্কে লিখেছিলো কয়েক বছর আগে সংক্ষেপে | আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানা হলো | কিন্তু আমার অন্য আরেকটা ব্যাপার মনে আসলো |এই লোককে অনেকটা নীরদ সি চৌধুরীর মতো মনে হলো শিকড় ছেড়া একজন | নীরদ চৌধুরী যেমন তার পান্ডিত্য দেশের জন্য না লাগিয়ে বিলেতের পেছনেই লাগিয়েছেন বেশি এই দিন মোহাম্মদ তেমনি | তারমতো শিক্ষিত মানুষ স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশের কাজে বেশি দরকার ছিল | কিন্তু উনি দেশ, ধর্ম সব ছেড়ে বিলেতের সেবাতেই জীবনটা কাটিয়ে দিলেন | আর তাতেই ইতিহাসের বাইরে চলে গেলেন | গান্ধী তার ব্রাইট আইনজীবীর জীবন ছেড়ে দেশে এলেন স্বাধীনতার কাজ করতে, মাইকেল মিধুসূদন উপলব্ধি করেছিলেন দেশের ভাষায় লিখতেই সাফল্য | তাই তারা দেশে এখনো সম্মানের | কিন্তু এতগুন থাকার পরও ইতিহাসে শেখ দিন মুহাম্মদ তাদের কাছের সন্মান কোনো সময়েই পাবেন না | ইতিহাস এই শিক্ষাই মনে হয় দেয় আমাদের | কেউ কেউ আমরা বুঝি সেই শিক্ষা আর বেশিরভাগই বুঝি না | শেখ দিন মোহাম্মদও বোঝেননি |

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার মলাসইলমুইনা আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য। কিছু জানাতে পেরেছি বলে খুশি হলাম। তবে আপনার কিছু বাক্যের ব্যাপারে অামি একমত হতে না পারার জন্য দুঃখিত।

এই লোককে অনেকটা নীরদ সি চৌধুরীর মতো মনে হলো শিকড় ছেড়া একজন | -- নীরদ সি চৌধুরীর সাথে দীন মোহাম্মদের তুলনাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয় নি। কারণ নীরদ সি চৌধুরীর জন্মের একশ বছরেরও বেশি আগে দীনের এত কিছুর অবদান। যখন উপমহাদেশের মানুষদের ইউরোপীয়নরা মানুষই মনে করত না। সে সময় তাদের ওখানে গিয়ে এদেশের কৃষ্টি-কালচার সম্পর্কে তাদের ধারণা দেওয়াটাকে আপনি ছোট করে দেখছেন কেন বুঝলাম না?

তারমতো শিক্ষিত মানুষ স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশের কাজে বেশি দরকার ছিল | -- এখানেও আপনি ভুল করেছেন। আপনি মনে হয় দীনের টাইমলাইনটা মনে রাখে নি। দীন যখন বিলেতে যায় তখন এদেশে স্বাধীনতা অান্দোলন শুরুই হয় নি। আবার দীনকে যে শিক্ষিত বলছেন সে শিক্ষাটাও দীন বিলেতে গ্রহণ করেছেন। এবং সে শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে এদেশের সমাজকে বিদেশে পরিচিত করে তুলেছেন। যা পরবর্তী জেনারেশনের জন্য পাথেয় হিসেবে কাজ করেছে।

পক্ষান্তরে নীরদ সি চৌধুরী এ দেশে শিক্ষা গ্রহণ করে এদেশের সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিলেতের গুণ-কীর্তন করেছেন স্বাধীনতার পর যা এদেশের মানুষের সংগ্রাম ত্যাগ-তিতিক্ষাকে হেয় করা হয়েছে।

তাই দীনের সাথে নীরদ সি চৌধুরীর তুলনা হতে পারে না।

কিন্তু উনি দেশ, ধর্ম সব ছেড়ে বিলেতের সেবাতেই জীবনটা কাটিয়ে দিলেন | -- অাপনি সময়টা ভুলে যাচ্ছেন। দুইশ বছর আগে একা একটা মানুষ শত প্রতিকূলতার মাঝেও নিজের দেশের সংস্কৃতিকে অন্য দেশে পরিচিত করাচ্ছে। এখনকার হিসেবে এটা তুচ্ছ হতে পারে। কিন্তু সে সময়ের কথা চিন্তা করুন। আজকে পশ্চিমা দেশে দলে দলে গিয়ে আমরা বসবাস করছি। প্রথম কণ্টকাকীর্ণ পথটা কিন্তু উনিই সাফ করে তৈরি করেছিলেন।

কিন্তু এতগুন থাকার পরও ইতিহাসে শেখ দিন মুহাম্মদ তাদের কাছের সন্মান কোনো সময়েই পাবেন না | -- আপনি যাদের কথা উল্লেখ করেছেন তাদের সাথে দীনের পার্থক্য সময়। তাই সময়ের খাতিরে দীনও একসময় সমুজ্জ্বল হয়ে উঠবে অাশা করি। অাস্তে অাস্তে তাই প্রমাণিত হচ্ছে নানারকম স্বীকৃতির মাধ্যমে।




১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

কালীদাস বলেছেন: আগে জানতাম না এই লোকের কথা না। থ্যাংকস :)
এই লোক নিশ্চয়ই ড্যাশিং লুকের রোমিও টাইপের কিছু একটা ছিল :P

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

এই লোক নিশ্চয়ই ড্যাশিং লুকের রোমিও টাইপের কিছু একটা ছিল :P -- হা হা। জেন ডেলীরা তো আর এমনি এমনি আগুনে ঝাঁপ দেয় নি। কিছু একটা ছিল নিশ্চয়।

১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম ! সময় করে আবার পড়ে নিবো। এখনো অনেক ভালো ভালো লেখকের নাম অজানা রয়ে গেল, তাদের বই পড়া তো দুরের কথা। :( শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তে নেওয়ার জন্য ব্লগার শাহরিয়ার কবীর।

১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ইনার নাম মনে হয় জীবনে প্রথম শুনলাম! তবে এতই চমকপ্রদ যে অন্যদেরকেও আমার শুনাতে হবে তাই প্রিয়তে রাখলাম! :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: ভাইয়া ইনার নাম মনে হয় জীবনে প্রথম শুনলাম! তবে এতই চমকপ্রদ যে অন্যদেরকেও আমার শুনাতে হবে তাই প্রিয়তে রাখলাম! -- এই কিছুদিন আগেও আমিও জানতাম না উনার সম্পর্কে। জানার পর শুধুই বিস্ময়! এ ব্যাটা সেসময় বিলেতেও (যে সময় সাদা বাদে অন্যদের কুকুরের মতো মনে করা হতো) রীতিমতো ঝড় তুলেছিল সাদাদের টপকিয়ে।

১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

শায়মা বলেছেন: তার পায়ে সালাম কোটি কোটি সালাম!!!!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের সকলের কাছ থেকে এই কিংবদন্তির এটা প্রাপ্য।

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শায়মার মতে তিনি লুল হবেন।অন‍্য ধর্মের মেয়ে বিবাহ !!!
আমার ভালো লেগেছে। ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি। বাধা র পাহাড় সে জয় করতে জানে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শায়মার মতে তিনি লুল হবেন।অন‍্য ধর্মের মেয়ে বিবাহ !!! -- হা হা হা হা। :P =p~ :D =p~ :P

এই 'লুল' শব্দ শুনে দীন বাবাজী না আবার কবর থেকে উঠে আমাকে অনুভূমিকভাবে থাপড়াইতে আসে। এতে ব্লগার কবি সেলিম আনোয়ারের ভাষায় শায়মার দোষ আমার একটুও না বলে দিব ক্ষণ।

ভালোবাসার শক্তি অনেক বেশি। বাধার পাহাড় সে জয় করতে জানে। -- কিন্তু ভাইজান সে বাধাটা কেউ যদি শিশা দিয়ে তিন মিটার পুরুত্বের সিলগালা করে ভিতরের কুঠরিতে বসে থাকে তা কি কাঠের হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ঢুকা সম্ভব। :(

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

শায়মা বলেছেন: @ আখেনাটেনভাইয়া সেলিম ভাইয়ার মাথা মাঝে মাঝে পুরাই আউলাই যায়। এখন তার সেই পৌষালী পাগলামী চলছে। তার ট্রিটমেন্ট হয় তাকে ব্লক করে রাখা নয় তো সামু অফিসে তার নামে কমপ্লেইন দেওয়া।

সেলিমভাইয়া সাবধান। সকালে মাথা ভালো ছিলো। এখন কিন্ত ধীরে ধীরে ......

মরার শখ না হলে দূরে গিয়ে মরো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: গুরুজনেরা কয় শীতকালে নাকি মাথা কিছুটা ঠান্ডা থাকে। উত্তরা বাতাস মাথার নাট-বল্টুকে হিম ঠান্ডা করে দেয় ফলে গরম হতে কম দেখা যায়।

এরপরও কেউ গরম হলে ভয়ঙ্কর ব্যাপার। এ ধরণের গরমা মাথার লোক সামলানোর মারফতি বিদ্যা আমার জানা নেই। :P

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

শায়মা বলেছেন: আমার আছে।

:)

দরকারে প্রয়োগিত হইবেক!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

আখেনাটেন বলেছেন:
ধার দিবেন আমাকেও চাহিবামাত্র। আমার চারপাশেও গরমা-গরমির অভাব নেই। দেখি আপনার বিদ্যাই কাজ হয় কিনা। ;)

২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের অনেক অগ্রজই অপরিচিত রয়ে গেছে আমাদের কাছে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: ঠিক তাই। উনাদের সংগ্রামের ইতিহাসগুলো আমাদের জন্য নতুন দিনের স্বপ্ন দেখায়।

২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কম জানি বলে আমার বিন্দুমাত্র লজ্জা নাই। জানি না বলেই সেই বিষয়গুলো বুভুক্ষুর মতো পড়ি, আরো বেশি পড়ার জন্য ক্ষুধার্ত থাকি।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: কম জানি বলে আমার বিন্দুমাত্র লজ্জা নাই। জানি না বলেই সেই বিষয়গুলো বুভুক্ষুর মতো পড়ি, আরো বেশি পড়ার জন্য ক্ষুধার্ত থাকি। -- আপনি ভালো পাঠক মনে হচ্ছে। অনেকে তো লেখা বড় দেখে ভালো-খারাপ বিবেচনায় না নিয়েই গোল্লাছুট দেয়।

শুভকামনা আপনার জন্য।

২২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

আটলান্টিক বলেছেন: এই সম্পূর্ণ ইতিহাসটা আমার কাছে অজানা ছিল।ধন্যবাদ লেখককে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও লেখাটি কষ্ট করে পড়ার জন্য ব্লগার একটি অাটলান্টিক।

২৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



শুভ ভোর ২০১৮ !

জীবনভর হাসিখুশির জোয়ারে ভেসে যাক ...

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: দেরীতে প্রতিউত্তরের জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।


আপনাকেও নতুন বছরের ইরি ধানের কচি চারার পেলবও শুভেচ্ছা রইল।

২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারন , যাকে বলে না জানা ইতিহাস জানলাম।
দীন মোহাম্মদ আয়ারল্যান্ডের কর্ক শহরে পদার্পণ করেন ১৯৮৪ সালে। ১৭৮৪ হবে ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১২

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই পোস্ট পড়ে মন্তব্য রাখার জন্য। আমি নিজেও উনার সম্পর্কে বেশি কিছু জানতাম না কিছুদিন আগেও। কিংবদন্তি একজন মানুষ, অথচ অগোচরেই রয়ে গেছে।


*ঠিক করে দিয়েছি।

২৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

জুন বলেছেন: আখেনাটেন আমি মাত্র কিছুদিন আগেই এই ভদ্রলোককে নিয়ে কোথায় জানি একটি আর্টিকেল পড়েছি সেটা কিছুতেই মনে করতে পারছি না । যাই হোক তখন চোখ বুলিয়ে গিয়েছিলাম । তবে আপনার লেখাটি খুব মনযোগ দিয়েই পড়লাম । সুন্দর সহজ সরল ভাষায় লেখাটি পড়তে বেশ ভালোলাগলো । এমন কত শত বাংগালী হারিয়ে গেছে ইতিহাস থেকে । এমন একজনকে ব্লগের পাতায় তুলে ধরার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
+

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১১

আখেনাটেন বলেছেন: আখেনাটেন আমি মাত্র কিছুদিন আগেই এই ভদ্রলোককে নিয়ে কোথায় জানি একটি আর্টিকেল পড়েছি সেটা কিছুতেই মনে করতে পারছি না । -- উনাকে নিয়ে ইদানিং লেখা হচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়।


ধন্যবাদ জুনাপু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।

২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইতিহাসে কেন তিনি উপেক্ষিত জানিনা। কিন্তু সেময়ের প্রেক্ষাপটে তাকে নায়ক মনে হয়।

আর তার ধর্ম ত্যাগ অত্যন্ত দুঃখজনক।

অজানা ইতিহাস জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: ইতিহাসে কেন তিনি উপেক্ষিত জানিনা। কিন্তু সেময়ের প্রেক্ষাপটে তাকে নায়ক মনে হয়। -- উপেক্ষিত হওয়ার নানা কারণ আছে। তবে তা অাস্তে আস্তে উঠে আসছে।


আর তার ধর্ম ত্যাগ অত্যন্ত দুঃখজনক। -- সে সময় হয়ত উনার অন্য কোনো উপায় ছিল না। সেজন্যই হয়ত অন্যদের মতো নাম পরিবর্তন না করে পিতৃপ্রদত্ত নামেই থেকেছেন।

২৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: নাম ছাড়া তেমন কিছুই জানা ছিল না।
খুব ভালো লেখা হয়েছে। অনেক কিছু জানলাম।
দূর্দান্ত কিছু মানুষ নিরবে অন্তরালে রয়ে যায়।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: হুম, অনেক কিছু আমাদের অগোচরেই রয়ে গেছে নানা কারণে। আমিও উনার সম্পর্কে কিছুদিন আগেও বেশি কিছু জানতাম না। যতই জেনেছি ততই অবাক হয়েছি। বিশেষ করে ঐ রকম একটা সময়ে তিনি যা করেছেন তা ভেবে।

ধন্যবাদ ব্লগার রোকসানা লেইস মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

২৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !! চমৎকার
তথ্য বহুল লেখায় ভালোলাগা ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে শুনে দিলখুশ হলাম।

ভালো থাকুন নিরন্তর মনিরাপা।

২৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল।
তাছাড়া সব সময়ই আপনি আমার কাছে প্রিয় ফারাও। B-)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার জাহিদ হাসান।

৩০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শেখ দিন মাহুমেট এর জীবনালেখ্য খুবই সুন্দর ভাবে তথ্য উপাত্ত ও ছবি সহ তুলে ধরেছেন ।
তাঁর জীবনালেখ্য ও কৃতিত্বের কথা ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জনমানুষের কাছে
অনেকটাই অজানা ও অবহেলিত থাকলেও খুদ বিলাতে তথা ইউকেতে তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায়
তারা রেখেছে। মায়ের পেটে করে বিলাতে গিয়ে স্থায়ীভাবেবসবাস কিংবা নাগরীকত্ব যারা পেয়েছে তাদের কাছেও
শেখ দিন মাহুমেট একান্তই অজানা রয়ে গেছেন । তবে বিদেশী অভিবাসী যারা বৃটেনে স্থায়ী হয়েছে কিংবা
নাগরিকত্ব পেয়েছে বা পেতে চান তাদেরকে অবশ্যই শেখ দিন মাহুমেটের কথা জানতেই হয় । লাইফ ইন দি
ইউকে টেস্ট পাশ করতে হলে এটা জানা বিশষ দরকার । বৃটিশ সরকারও তাঁর কৃতির বিষয়ে প্রয়োজনীয়
তথ্য লাইফ ইন দি টেস্টের অফিসিয়াল হ্যান্ড বুকে বক্স আকারে অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছে । সেই পুস্তক হতে
বক্স করা অংশ বিশেষ নীচে তুলে দেয়া হলো । বৃটিশেরা তাকে কেমন মর্যাদা দিচ্ছে তা কিছুটা বুঝা যাবে ।


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: দেরীতে প্রতিউত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।

তবে বিদেশী অভিবাসী যারা বৃটেনে স্থায়ী হয়েছে কিংবা
নাগরিকত্ব পেয়েছে বা পেতে চান তাদেরকে অবশ্যই শেখ দিন মাহুমেটের কথা জানতেই হয় । লাইফ ইন দি
ইউকে টেস্ট পাশ করতে হলে এটা জানা বিশষ দরকার । বৃটিশ সরকারও তাঁর কৃতির বিষয়ে প্রয়োজনীয়
তথ্য লাইফ ইন দি টেস্টের অফিসিয়াল হ্যান্ড বুকে বক্স আকারে অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছে ।
-- জানা ছিল না এটা। সুন্দর। তারমানে ব্রিটিশ সরকারও উনাকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছে।

আপনার নতুন তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্য ব্লগটিকে অারো শক্তিশালী করেছে।

আপনার শরীরের অবস্থা এখন কেমন?

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৩১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭

শামচুল হক বলেছেন: তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার শামচুল হক।

৩২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার সামিউল ইসলাম বাবু।

৩৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওনার নামটা জীবনে এই প্রথম শুনলাম এবং ওনার সম্বন্ধে অনেক কিছু জানলাম, আপনার সৌজন্যে। সেজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ ধরণের লেখা উপস্থাপনার পেছনে অনেক সময়, নিষ্ঠা এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন। সেসব অকাতরে ব্যয় করে এই সুন্দর লেখাটি এখানে উপস্থাপন করেছেন, এজন্য সাধুবাদ।
পোস্টে ভাল লাগা + +

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: এ ধরণের লেখা উপস্থাপনার পেছনে অনেক সময়, নিষ্ঠা এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন। -- কৃতজ্ঞতা প্রিয় ব্লগার খায়রুল অাহসান বিষয়টি অনুধাবণ করে সুন্দর মন্তব্য রাখার জন্য।

ভালো থাকুন।

৩৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অসাধারন একটা লেখা। দীন মোহাম্মাদ সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। ৩০০ বছর আগে এতো দেখি ইংল্যান্ডে হুলস্থুল কাজ করে ফেলেছিলো। বাঘের বাচ্চা

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: ৩০০ বছর আগে এতো দেখি ইংল্যান্ডে হুলস্থুল কাজ করে ফেলেছিলো। বাঘের বাচ্চা ---- ঠিক তাই; এখনকার কথা চিন্তা করলে উনার সেসময় এই অসম্ভব কাজগুলো করা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।

যেখানে সেসময় কালো মানুষদের সাদারা কুকুরের চেয়ে খারাপ চোখে দেখতে সেখানে শত বছর অাগে রাজার দরবার পর্যন্ত সন্মানের সহিত পৌঁছা বিরাট ব্যাপারই বটে।

অথচ এই লোকটিকে নিয়ে নানাকারণে অালোচনা নেই।

৩৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩০

বলেছেন: o . m g .................................

Mahomet had a remarkable life: ensign in the Thirtieth Sepoy Regiment in India, Protestant ‘Irish Indian’, inventor of the curry house and ‘Shampooing Surgeon’ to the kings of England.


In 1820 he built ‘Mahomed’s Baths’ near the Brighton Pavilion which offered therapeutic baths to invalids, and ‘Shampooing with Indian oils’. Shampooing was not as we know it today. Mahomet’s son, Horatio, later explained that shampooing consisted of ‘friction and extension of the ligaments…commencing by briskly administering gentle friction gradually increasing the pressure along the whole course of the muscles with both hands…’ More massage than hair cleaning. ‘Mahomed’s Baths’ attracted celebrity clientele and his crowning achievement was his appointment as ‘Shampooing Surgeon’ to Kings George IV and William IV. In 1820 he published Cases Cured, a far cry from his Travels book. Cases Cured was on the medical benefits of shampooing and extolled the virtues of the ‘Indian Medicated Vapour’ which he claimed to have invented.








Mahomed’s Baths, 1826 (W. Fleet, British Library)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: হুম; উনার অবদান বিস্ময়করই বটে!


অনেক অনেক ধন্যবাদ এতদিন পরে এই পোস্টে চমৎকার একটি লেখার অংশবিশেষ তুলে ধরার জন্য ব্লগার ল।

ভালো থাকুন।

৩৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর সহজ সরল ভাষায় লেখাটি পড়তে বেশ ভালো লাগলো ।
অনেক অজানা তথ্য জানলাম।
ধন্যবাদ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: পুরাতন লেখা খুঁজে পড়েছেন জেনে ভালো লাগল।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.