নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ সত্য বাকী সব মিথ্যা

মোঃ শওকত হোসেন বিপু

আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।

মোঃ শওকত হোসেন বিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষয়টা কি কেবল সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের??

২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঈদের ছুটি উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়ীতে গিয়েছিলাম পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে। স্বাভাবিকভাবে ঈদে যখন বাড়ী যাই তখন চেষ্টা করি বেশী করে ছুটি কাটাতে কারন ঈদ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে গ্রামের বাড়ীতে খুব একটা যাওয়া হয়না। সেটা যেমন নিজের কর্মব্যস্ততা, ঠিক তেমনী অন্যদের ছুটি বা মিলিত হওয়ার অনীহা, ইদানীং আবার ছেলে মেয়েদের স্কুলের ছুটিও অন্যতম কারন।

বাড়ীতে অফিস খোলাকালীন সময়ে থাকলে, নিজে যেহেতু ব্যাংকে চাকুরী করি, তাই চেষ্টা করি নিজের এলাকায় অবস্থিত শাখায় যেতে বা শাখার দায়িত্বরত ম্যানেজারের সাথে সাক্ষাৎ করতে। সে উদ্দেশ্যে এলাকায় অবস্থিত নিজেদের ব্যাংকের শাখায় গেলাম পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের জন্য। সরকারী ব্যাংকগুলোর যে কোন শাখার প্রবেশপথ, ভিতরকার পরিবেশ এমনিই পছন্দনীয় নয়, তার উপর ব্যাংকে চীৎকার চেঁচামিচি যেন নিত্য দিনকার ঘটনা। ব্যাংকে প্রবেশ করে গেলাম ম্যানেজারের রুমে দেখা করতে, দেখি ম্যানেজার চীৎকার করছে ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আনসারের সাথে, বুঝলাম আনসার সদস্য এবং মেসেঞ্জারের সাথে কোন একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে এবং ম্যানেজার সেটার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছে উচ্চ স্বরে চীৎকার করে। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর বললাম, আমি আপনার সাথে পরিচিত হতে চাচ্ছি, তারপর তিনি বললেন- বলেন, আমি বল্লাম, আমি আপনাদের ব্যাংকে চাকুরী করি, ব্লা ব্লা....।

তারপর তিনি বললেন, বসার জন্য এবং পরক্ষনে চীৎকার করার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করলেন, বললেন - "বুঝলেন, চীৎকার করেও এদেরকে ঠিক রাখতে পারিনা" আর আমি মনে মনে বলি - চীৎকার করেন বলেই ঠিক রাখতে পারেননা। সরকারী ব্যাংকে চাকুরীর আগে কিছুদিন বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করতাম, সেখানে অফিস সহকারীদের ডেকে যদি বলতাম, ..... .ভাই, চা দেয়া যাবে?, প্রতি উত্তরে বলতো - কি যে, বলেন স্যার, কেন দেয়া যাবেনা। আর যদি নিজের সরকারী ব্যাংকের কোন ম্যাসেঞ্জারকে বলি- অমুক ভাই, তমুক ভাই, চা দেয়া যাবে? বলে - স্যার, আমার এখন অনেক কাজ, অমুককে বলেন, অমুক বলে তমুককে বলেন, সুতরাং চা, কফি যাই খান, নিজে নিজে বানিয়ে খান। তাতে নিজে যেমন সাশ্রয়ী হবেন, ঠিক তেমনি দেশও হবে কর্মময়।

এর কিছুক্ষন পরে একবন্ধুসহ একই বাজারে অবস্থিত বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় গেলাম ব্যাংকিং কাজের জন্য। বন্ধুর পূর্ব পরিচিত বলে নিয়ে গেল ব্যাংক ম্যানেজারের রুমে। কথা বার্তায় যখন ম্যানেজার জানতে পারলো, আমি নিজেও ব্যাংকার, তারপর ম্যানেজারের সে কি সম্মান, আপ্যায়ন করার প্রানান্তর চেষ্টা। মনে মনে ভাবলাম, নিজের ব্যাংকে পাই না কথা বলার ফুসরত, অন্য ব্যাংকে সে কি সম্মান। বিষয়টা কি শুধুই সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের, নাকি মানসিকতার। দোষটা কি শুধুই ব্যক্তির?, প্রতিষ্ঠানের আবহ বা পরিবেশের কি কোন দায় নাই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। বিষয়টি মন মানসিকতার। সরকারী চাকুরীতে যোগ দিয়েই সবাই জেনে যায় যে তার চাকুরী পাওয়াটা যেমন কঠিন ছিল, যাওয়াটা তার চেয়েও বেশী কঠিন হবে। তাই সে আচার আচরণে কাউকে তোয়াক্কা করেনা, শুধুমাত্র নিজ বস ছাড়া, যে তার বেতন ভাতা কমাতে বাড়াতে না পারলেও অন্যভাবে হেনস্থা করতে পারে। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন মন মানসিকতা বদলাতে পারেন কেবল অফিসের বড় কর্তাগণ, তাদের ব্যক্তিগত দৃষ্টান্তমূলক আচার আচরণ দিয়ে।
পোস্টে ভাল লাগা + +

২| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: ভাল বলেছেন B-)

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারী অফিস গুলো আমাকে প্রায়ই যেতে হয়-
তাদের ব্যবহার খুব খারাপ। তাদের ভাব ভঙ্গি দেখলে মনে হয় তারা জমিদার।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: দেশের মানি মার্কেটের অবস্হা যে খুবি খারাপ সেটা ব্যান্কে গেলে বোঝা যায়। বে সরকারি ব্যান্কের পরিবেশও এখন আর আগের মতো নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.