নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জন্মসূত্রে মানব গোত্রভূক্ত; এজন্য প্রতিনিয়ত \'মানুষ\' হওয়ার প্রচেষ্টা। \'কাকতাড়ুয়ার ভাস্কর্য\', \'বায়স্কোপ\', \'পুতুলনাচ\' এবং অনুবাদ গল্পের \'নেকলেস\' বইয়ের কারিগর।

কাওসার চৌধুরী

প্রবন্ধ ও ফিচার লেখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। পাশাপাশি গল্প, অনুবাদ, কবিতা ও রম্য লেখি। আমি আশাবাদী মানুষ।

কাওসার চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোটের পলিটিক্স আর ক্ষমতার রাজনীতি (ফিচার)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৭


রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আমাদের দেশে নীতি ও আদর্শহীন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের ডিগবাজি বোঝাতে কথাটি বেশ প্রচলিত। তবে রাজনীতি শব্দটির মাঝে আভিজাত্যের ছোয়া আছে। কেমন যেন রাজকীয় একটি আবহ পাওয়া যায়। তবে 'পলিটিক্স' শব্দটি আমাদের সমাজে নেতিবাচক অর্থে বেশী ব্যবহৃত হয়। ব্যক্তি ও সমাজে নীতি এবং আদর্শের বিচ্যুতির ক্ষেত্রে অনেক সময় পলিটিক্স শব্দটির প্রয়োগ ঘটে। যেমন, কেউ কোথাও ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করলে আমরা বলি এখানে পলিটিক্স চলবে না। কেউ দু'টি পক্ষের মধ্যে উসকানি দিলে, চালবাজি করলে সেক্ষেত্রেও বলি এক্কেবারে পলিটিক্স শিখিয়ে দেব ইত্যাদি। আর জোটবদ্ধ পলিটিক্স হলে বুঝি অনেকগুলো লোক/পক্ষ কোন খারাপ উদ্দেশ্যে মিলিত হয়ে সমাজের কোন ক্ষতি করছে বা করার প্লানে আছে। তবে পলিটিক্স বাদ দিয়ে 'রাজনৈতিক জোট/মহাজোট' নাম দিলে শুনতে তেমন খারাপ লাগে না।

ঐক্যজোট, মহাজোট, ঐক্যফ্রন্ট সবই হলো ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি। এখানে নীতি-আদর্শ আর গণতন্ত্রের সবক হলো ভন্ডামী আর কোটিপতি হওয়ার হাতিয়ার মাত্র। 'ঐক্যফ্রন্ট' নামধারীরা 'মহাজোট' নামধারীদের ল্যাং মেরে ক্ষমতায় যেতে চায়; আর 'মহাজোট' নামধারীরা পারলে বিনা ভোটে ঐক্যফ্রন্টকে ধোঁকা দিয়ে আবার ক্ষমতার মঞ্চে দাদাগিরি করতে চায়। এজন্য ভোটের আগে চলে একজোট অন্যজোটকে ঠকানোের কুটনামি। এরা কৌশলে, প্রয়োজনে ভোট চুরি করে, খুন খারাপি করে একে অন্যকে হারিয়ে 'মাননীয় সংসদ সদস্য' হতে চায়। আবার দুই পক্ষই সাধারন ভোটারদের ঠকাতে চায় সুকৌশলে। ভোটের দিন এরা ঠিকই ভোটারদের ঠকিয়ে ক্ষমতায় বসে। আর গণতন্ত্র নামক আমাদের "আলাদীনের চেরাগ তন্ত্র" পাঁচ বছরের জন্য তাদের রক্ষাকবচ হয়।

কয়েক বছর আগে লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপলে এক বাংলাদেশী ভদ্রলোকের সাথে পরিচয়। কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম তিনি বাংলাদেশের একজন নামকরা রাজনীতিবিদ। ১৪ দলীয় জোটের শরীক একটি দলের প্রধান। কিছুদিন হল লন্ডনে বেড়াতে এসেছেন। তাঁকে চিনতে না পারার অজ্ঞতার জন্য লজ্জিত হলাম। অনেক চেষ্টা করেও উনার নামটি কোনদিন শুনেছি বলে মনে করতে পারলাম না। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, ভদ্রলোক যে দলের প্রধান সেই দলটির নামও তো কোনদিন শুনিনি! এত বড় একটি রাজনৈতিক জোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ দল ও দলের চেয়ারম্যানকে চিনতে পারলাম না? এজন্য লজ্জা লাগছিল। তবে আমি অধম এ অজ্ঞতা উনাকে তেমন বুঝতে দেইনি। বাংলাদেশের পলিটিক্সটা আমার মগজে ঠিক ঢু্ঁকে না বলে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার আগ্রহ নেই, তারপরও রাজনীতিবিদরা যেহেতু দেশটা চালান সেহেতু দেশের রাজনীতির খবরা খবর সব সময় রাখার চেষ্টা করি।

যদি প্রশ্ন করা হয় 'মুসলিম লীগ' দলটির নাম কি কোনদিন শুনেছেন? যারা উপমহাদেশের রাজনীতির খবরাখবর রাখেন তারা বলবেন, এটা কোন প্রশ্ন হল? পাকিস্তানের নামকরা একটি রাজনৈতিক দলের নাম এটি। কিন্তু যদি বলা হয় খোদ বাংলাদেশে এমন একটি রাজনৈতি দল আছে। যারা ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক। নির্ঘাত মাথায় হাত দেবেন, জিহ্বায় কামড় দিয়ে মনে করার চেষ্টা করবেন। শরীরে চিমটি কেটে বুঝার চেষ্টা করবেন স্বপ্ন দেখছেন না তো?

বাংলাদেশ পিপলস লীগ, ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টি, ন্যাপ (ভাষানী), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ইত্যাদি রাজনৈতিক দলের নাম বাংলাদেশের শতকরা নিরান্নব্বই জন মানুষ শুনেনি বা এদের রাজনৈতিক কোন কার্যক্রম কোনদিন দেখেনি। এরা সবাই বিশ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক। এছাড়া এ জোটের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ইত্যাদি দলগুলোর পরিচিতি ও কার্যক্রম চোখে না পড়লেও দলীয় প্রধানরা সমাজে পরিচিত মুখ। তবে অনেকটা নাম সর্বস্ব একক মালিকানায় পরিচালিত দল বলতে পারেন। এখানে ব্যক্তির পরিচিতি ও প্রতিষ্ঠা পাওয়াটাই মুখ্য।

চৌদ্দ দলীয় জোটের বাংলাদেশ গণআজাদী লীগ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি ইত্যাদি নাম ও প্যাড সর্বস্ব দলগুলোও দেশের মানুষ চিনে না। দলগুলোর অস্থিত্ব আদৌ আছে কিনা কেউ বলতে পারবে না। এছাড়া এ জোটে বাসদ নামে নেতা সর্বস্ব দু'টি দলও আছে। জোটের জাসদ, গণফোরাম ও ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যক্রম ব্যক্তি কেন্দ্রিক ও বিবৃতি/প্যাড নির্ভর।


এই দুই জোটের বাইরেও এরশাদের জাতীয় পার্টি সহ অসংখ্য ছোট বড় দল আছে। জোটের প্রধান দুই নেত্রীকে তাদের জোটের শরীক এসব দলের নাম ও দলগুলোর নেতাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে খুব সম্ভবত কিছুই বলতে পারবেন না, কোন তথ্য দিতে পারবেন না। এসব নাম সর্বস্ব দলের বেশিরভাগের নির্বাচন কমিশনে কোন নিবন্ধন নেই। নেই কোন রাজনৈতিক কার্যক্রম, এমনকি নেই রাজনৈতিক কার্যালয়। কোন কোন দলের চেয়ারম্যান ছাড়া অন্যকোন সমর্থক নেই, এজন্য প্রয়োজনে সেক্রেটারি ধার করে আনতে হয়। তারপরও বহাল তবিয়তে দলগুলো বেঁচে আছে, জোট করছে, এমপি/মন্ত্রী হচ্ছে। ভবিষ্যতে যদি অটো এমপি/মন্ত্রী হওয়ার চান্স থাকে তাহলে এসব দল ও জোটের পরিধি নির্ঘাত বাড়বে এটা বলা যায়।

প্রশ্ন হল বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কেন এসব নাম সর্বস্ব দলগুলোকে প্রশ্রয় দেয়, জোটবদ্ধ করে? তাদের এক একটি দলের তো কোটির উপরে সক্রিয় কর্মী আছে। এ বিষয়ে অনেকের ভিন্ন মতামত থাকতে পারে। তবে আমার মতে এজন্য প্রধানত দু'টি কারণ হতে পারে। প্রথমত, দলের সংখ্যা যত বাড়বে সাধারণ মানুষ ধরে নেবে জোটটি বিশাল আকাররের। আর দ্বিতীয় কারণটি হল অবিশ্বাস। বড় দলগুলোর কোটির উপরে সমর্থক থাকলেও কেন যেন নির্বাচন আসলে কর্মীদের উপর বিশ্বাস রাখতে পারে না। হয়ত হেরে যওয়ার আশংকা থেকে ভিন্ন মত ও আদর্শের দলের সাথে জোটবদ্ধ হয় তারা।

সারা পৃথিবীব্যাপী যত রাজনৈতিক দল আছে তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু নীতি ও আদর্শ থাকে। এসব ভিত্তির উপর নির্ভর করে দলগুলো পরিচালিত হয়, জোটবদ্ধ হয়। ক্ষমতায় গেলে এসব চেতনার উপর নির্ভর করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে তারা। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক জোটগুলো অদ্ভূত। এখানে ধর্মীয় দল, বামপন্থি ও ডানপন্থী সবাই এক ঘাটে জল খায়। ধর্মীয় দলগুলোর নীতি ও আদর্শ বামপন্থি/কমিউনিস্ট দলগুলোর সম্পূর্ণ বিপরীত হওয়ার কথা। তাহলে এদের মধ্যে রাজনৈতিক জোট হয় কেমনে? এটা কী দলগুলোর মৌলিক নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী নয়? এটা অনেকটা জল, তেল ও দুধে মিশ্রণের মত কিছু একটা দেখায়। যার নেই কোন স্বাদ, নেই কোন রং, নেই কোন গন্ধ। বলতে পারেন বর্ণচোরা।

কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় পড়েছিলাম ফিদেল ক্যাস্ট্রো বিমানে ভারতে যাত্রা বিরতি করে কোথাও যাচ্ছিলেন। এ সময় দিল্লি এয়ারপোর্টে ভারতের কয়েকজন কমিউনিস্ট নেতা তাঁর সাথে দেখা করেন। ক্যাস্ট্রো জিজ্ঞেস করেছিলেন ভারতে কমিউনিস্টদের অবস্থান কেমন? শুনেছি ভারতে কমিউনিস্ট পন্থী অনেকগুলো রাজনৈতিক দল আছে, আসলে প্রকৃত সংখ্যা কয়টি জানতে পারি? জবাবে নেতারা জানালেন কমি বেশি সতেরো-আঠারোটি হবে। সতেরো-আঠারোটি? বিস্বয়ে ক্যাস্ট্রো চোখ কপালে তুলেছিলেন সেদিন। তারপর একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলেছিলেন তাহলে ভারতেও কমিউনিজমের ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি!

বাংলাদেশের প্রায় সব কমিউনিস্ট দলগুলো উপরিউক্ত দুই রাজনৈতিক জোটে আছে। দলগুলোর বেশিরভাগ রাশিয়ান ভ্লাদিমির লেলিন ও জার্মান কার্ল মার্কসপন্থী (লেলিন-মার্কস)। তাদের দেওয়া রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার নির্দিষ্ট কিছু নীতি ও আদর্শ আছে। তবে বাংলাদেশী নাম সর্বস্ব এসব কমিউনিস্ট দল কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে বলে মনে হয় না। যেমন, চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টির অনেকগুলো নীতির মধ্যে অন্যতম হলো তাদের দলের কোন সদস্য কোন ধর্ম বিশ্বাস রাখতে পারবে না। যদি প্রমাণিত হয় কেউ ধর্ম চর্চা করছেন বা বিশ্বাস পোষণ করেন তবে তার দলের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে।

জোটের এ তেলেসমাতি পলিটিক্সকে বিখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ টমাস ম্যালথাসের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জ্যামিতিক হারের সাথে তুলনা করা যায়। যেমন- একটি জোটে ১৪টি নাম সর্বস্ব দলের অস্তিত্ব থাকলে, অন্যদল করবে একলাফে ২৮ দলের জোট। এখন ১৪ দল ওয়ালারা ২৮ দলকে টেক্কা দিতে করবে ৫৬ দলীয় জোট। এভাবেই চলতে থাকবে জোটের ইঁদুর-বিড়াল খেলা। আর নিজেদের সমর্থকরা সংখ্যার রাজনীতি নিয়ে মেতে উঠবে। ভাবখানা এমন, জোটে যত বেশি দল থাকবে ভোটের রাজনীতিটাও পোক্ত হবে!


পড়াশুনার তাগিদে বেশ কয়েক বছর লন্ডনে থাকায় সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম কাছে থেকে দেখেছি। পর্যবেক্ষণ করেছি। কয়েকবার পার্লামেন্ট ইলেকশনে ভোট দিয়েছি। সেখানে ছাত্র রাজনীতি নামক কোন বস্তুর অস্তিত্ব নেই। নেই রাজনৈতিক দলগুলোর শাখা, প্রশাখা, উপশাখা। তরুণরা ভুলেও রাজনীতি নিয়ে ভাবে না, সরাসরি রাজনীতি করা তো অনেক পরের কথা। যারা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আগ্রহী, ভবিষ্যতে পলিটিশিয়ান হতে চায় তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি সম্পৃক্ত বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করে, লেখালেখি করে, গবেষণা করে। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করে। ছাত্রাবস্তায় এদের কোন পরিচিতি থাকে না। এমনকি এমপিদেরও অনেকে চেনে না। দলগুলো নমিনেশন দেওয়ার আগে প্রার্থীর অতীত ইতিহাস যাচাই করে। কোন ক্রিমিনাল অফেন্স আছে কিনা নিশ্চিত হয়। ছাত্র জীবনের অর্জনগুলোকে মূল্যায়ন করে। সবশেষে যদি মনোনয়ন বোর্ড তাকে যোগ্য মনে করে তাহলে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে। এখানে নেই কোন স্বজনপ্রীতি, নেই কোন পারিবারিক দাপট, নেই টাকার খেলা। এজন্য দলের মনোনীত পার্থীকে ভোটাররা বিশ্বাস করে। প্রার্থীকে চেনার কোন প্রয়োজন মনে করে না।

কিছুদিন থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জোট নিয়ে একটি আইডিয়া মাথায় এসেছে। ধারণাটি হলো বড় রাজনৈতিক দলগুলো এসব ব্যক্তি ও নাম সর্বস্ব দলগুলো নিয়ে জোট না করে বরং তাদের নামে বেনামে যে সমস্ত সহযোগী/উপসহযোগী দল আছে তাদেরকে নিয়ে একটি জোট করতে পারে। এছাড়া জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে যে সকল গ্রুপ সক্রিয় আছে তাদের নিয়েও জোট গঠন করা যায়। এতে দলীয় নেতা কর্মীদের মনোবল চাঙা হবে। জোটের নীতি ও আদর্শ একই থাকবে। ধরা যাক প্রতিটি জেলায় বড় দুই দলের গড়ে দশটি করে উপদল, শাখা দল ও গ্রুপ থাকলে সারা দেশে হবে মোঠ ৬৪০ টি। এ জোটটি নিশ্চয় নাম সর্বস্ব দলগুলোর চেয়ে আকারে অনেক বড় ও সক্রিয় হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা, সংখ্যার রাজনীতিটাও বহুগুণ বেড়ে যাবে। বাড়তি পাওনা হিসাবে গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ডে ৬৪০ দলের বিশাল জোটের জন্য বিশ্ব রেকর্ড হয়ে যাওয়ার একটা চান্সও থাকবে।

একজন সাংসদ/এমপি হতে হলে ন্যুনতম কি কি যোগ্যতা থাকা বাঞ্ছনীয়? টাকা, পেশি নাকি বাচালতা? বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই তিনটিই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা। এখানে পার্লামেন্ট ইলেকশন করতে হলে রাজনৈতিক দলকে/বড় নেতাকে কোটি টাকা ডোনেশন দিতে হয়, এলাকায় নিজের ধাপট ধরে রাখতে গুন্ডা-লাঠিয়াল-পিকেটার-চাটুকার পালতে হয়, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হলে মামলা-হামলা করতে হয়, জনগনকে উন্নয়ন মূলা দেখাতে হলে গলাবাজি করতে হয়, পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে মিলাদ-চল্লিশা-উরুসে যেতে হয়। সভা-সমিতি আর সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে প্রধান অতিথি হতে হয়, নিজের পকেটের টাকা খরছ করে "নাগরিক সংবর্ধনা" নিতে হয়। এগুলো হলো 'যদি লাইগ্যা যায়' জ্যাকপটের ইনভেস্টমেন্ট। এছাড়া এক'শো টাকার মুড়ি মুড়কি বিতরণ করলেও পত্রিকায়/ফেইসবুকে ফলাও করে নিউজ দিতে হয়। ইলেকশনে কোটি কোটি টাকা খরছ করে ভোটার কিনতে হয়, এজেন্ট কিনতে হয়, পাবলিককে চা-শিঙাড়া খাওয়াতে হয়, মিছিল-মিটিং-পোস্টার-ব্যনার-ফেস্টুনে ইনভেস্ট করতে হয়।

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি থেকে রিটায়ার্ড করার পর যত আমলা-টামলা রাজনীতিবিদ হওয়ার লাইনে দাঁড়ান তা সম্ভবত পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশে নেই। সামরিক অফিসার কিংবা বিচারপতিরা পর্যন্ত এমপি/মিনিস্টার হওয়ার জন্য, ভিআইপি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদ নামক বিনোদন রিসোর্টে অবসর কালীন ছুটি কাটাতে বড়ই আগ্রহ তাদের। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ্য নেতৃত্বের ঘাটতি থাকায় অবসরপ্রাপ্ত এসব চাকরিজীবীরা সুযোগের ফায়দা লুটে। নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরছ করে। তাদের সীমাহীন অর্থের উৎস রহস্যময় হলেও দুদকের তেমন দৌড় ঝাঁপ চোখে পড়ে না।

কোনমতে এমপি হতে পারলে তো আর কোন কথাই নেই!! আসে কাড়িকাড়ি টাকা, সাথে পুলিশি পাহারা। শুনা যায় কমিশন বাণিজ্য আর তদবীর হলো এমপি সাহেবদের আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আর মিনিস্টার হতে পারলে তো আরেক কাঠি সরস। সাইট বিজনেস হিসেবে অনেকেই শুরু করেন ইউনিভার্সিটি ব্যাবসা, হসপিটাল-ডায়াগনস্টিক ব্যবসা, ইয়াবা-ফেন্সিডিলের ব্যবসা, রেডিও-টিভি-পত্রিকার ব্যবসা। চুল-দাঁড়িতে কলপ লাগে, চেহারায় চিকচিকে ভাব আসে, এসি পাজেরোর কল্যাণে ভিআইপি সার্ভিস পান। যদিও এমপিদের দায়িত্ব সংসদে দেশের আইন প্রণয়ন। পাশাপাশি, দেশের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারন, বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন, সামরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সংবিধানের আলোকে দেশ পরিচালনা, সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিতর্ক (Legislation), বাজেট প্রণয়ন করা, তাৎক্ষণিক দেশের দুর্যোগ-যুদ্ধ বিগ্রহে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আইন পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া এবং এ বিষয়ে স্টাডি করে নিজের মতামত উপস্থাপন করা। এজন্য একজন সুশিক্ষিত-আইন জানা এবং সংবিধান, সংসদ ও রাষ্ট্র বুঝার মত মানুষ এমপি হতে হয়। টাকায় সব কিনতে পারলেও সংসদে কোন কাজে আসে না। এখানে ঘিলু থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ এমপির সে যোগ্যতা নেই বলে "সারাক্ষণ নেতা/নেত্রী তোষণ" করে। 'মাননীয়' বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলে। এরা হলো মগজহীন মৌমাছি।

এখন পার্লামেন্ট ইলেকশন হলো এদেশের ধনীদের "জ্যাকপট লটারির" মত। কোনমতে জিততে পারলেই পাঁচ বছরে কমপক্ষে শতকোটি টাকা কামানোর বৈধ লাইসেন্সধারী হওয়া যায়। এজন্য বাংলাদেশ মহান জাতীয় সংসদ এখন দেশের শীর্ষ ধনী আমলা-কামলা আর ব্যবসায়ীদের "স্ট্যাটাস ক্লাবে" পরিণত হয়েছে। এখানে টাকাহীন, পেশীহীন, গলাহীন "নীতিবান, সুশিক্ষিত আর গুণীজনের" প্রবেশাধিকার এক প্রকার নিষিদ্ধ। এদেশে টাকা থাকলে 'গণতন্ত্র' শব্দটা বানান করতে না পারলেও "মাননীয় সংসদ সদস্য" হতে কোন বাঁধা নেই।।



ফটো ক্রেডিট,
গুগল।

চাইলে পড়তে পারেন-

আমার সবচেয়ে পঠিত পোস্ট।
সবচেয়ে লাইকপ্রাপ্ত গল্প-ধূমকেতু
ধর্ষণ ও ধর্ষক (বাংলাদেশ/বহির্বিশ্ব)
অনুবাদ গল্প-(দি নেকলেস)
দি গিফট অফ দ্যা ম্যাজাই
গল্প লেখার সহজ পাঠ
সবচেয়ে পঠিত প্রবন্ধ।
আধুনিক কবিতার পাঠ (সমালোচনা)
আলোচিত ফিচার 'দি লাঞ্চিয়ন'।
ব্রিটেনের প্রবাস জীবন- স্মৃতিকথা।
সবচেয়ে পঠিত গল্প।
ছবি ব্লগ (লন্ডনের ডায়েরি-১)।

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৬

আরোগ্য বলেছেন: কাওসার ভাইয়ের পোস্ট পেয়ে আনন্দিত।
খুব বড় পোস্ট রাতও অনেক হয়েছে। দিনে পড়ে আবার মন্তব্য করবো।
আশা করি ভাই রাগ করবেন না।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় "আরোগ্য" ভাইকে প্রথম কমেন্টে পেয়ে খুব ভাল লাগলো। বেশি রাতে লেখা পোস্ট করেছি এজন্য দুঃখিত। আমি বাংলাদেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংসদ, সাংসদ ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। এসব নিয়ে ভাবতে গেলে ইতিবাচক তেমন কিছু পাই না বলে কষ্ট পাই। এজন্য অনেকটা নিজেকে সান্তনা দিতে এগুলো নিয়ে লিখি। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করি মাত্র।

শুভ রাত্রি, ভাই।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: কাউসার ভাই,
এগুলো মোটা দাগে বলা উচিৎ ছিল,
এখন পার্লামেন্ট ইলেকশন হলো এদেশের ধনীদের "জ্যাকপট লটারির" মত। কোনমতে জিততে পারলেই পাঁচ বছরে কমপক্ষে শতকোটি টাকা কামানোর বৈধ লাইসেন্সধারী হওয়া যায়। এজন্য বাংলাদেশ মহান জাতীয় সংসদ এখন দেশের শীর্ষ ধনী আর ব্যবসায়ীদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। এখানে টাকাহীন, পেশীহীন, গলাহীন "নীতিবান, সুশিক্ষিত আর গুণীজনের" প্রবেশাধিকার এক প্রকার নিষিদ্ধ। এদেশে টাকা থাকলে 'গণতন্ত্র' শব্দটা বানান করতে না পারলেও "মাননীয় সংসদ সদস্য" হতে কোন বাঁধা নেই।। 

আসলে ভাই,
আমাদের বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক দল যখন ক্ষকতায় যায় তখন পুঁজিবাদিদের শুধু ব্যাংক ভর্তি হয়, আর অবৈধভাবে অবৈধ মানুষগুলো ধনী হয় বিপরীতে দরিদ্রতা দরিদ্রদের আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠে। কিন্তু শ্লোগান উঠে "ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ"

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, প্রিয় 'সৈয়দ ইসলাম' ভাই। আপনি আমার অপ্রয়োজনীয় লেখাটি গুরুত্ব দিয়ে পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ। এছাড়া শেষ প্যারাটি কোটেশন করে কমেন্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আসলে, মনের কষ্ট থেকে কথাগুলো বলেছি। এদেশের অল্প শিক্ষিত সাধারন মানুষ মনে করেন, ইলেকশনের দিন নিজের ভোট মহানন্দে দিতে পারাটাই গণতন্ত্র।

কিন্তু বাস্তবে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, নীতিবান, সুশিক্ষিত, রাজনীতি সচেতন আর মেধাবী মানুষকে নিজের আমানত ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করাই হলো গণতন্ত্র।

সাধারন মানুষ সচেতন না হলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো টাকাওয়ালাদের নমিনেশন দিয়ে যাবে। আর এরা ক্ষমতায় গিয়ে নিজের আখের গোছাবে, দেশ বিক্রি করবে, দেশের ইজ্জত বিক্রি করবে, প্রবাসীদের কষ্টের রেমিটেন্স কালোবাজারে চালান করবে।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, এখনো বাংলাদেশের মেজরিটি নাগরিক ভোটকেই গণতন্ত্র মনে করে (উইদাউট ব্লগার)। এই বিশ্বাসের দিক ধরে রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো অপ্রাণ চেষ্টাও করে, এবং তারা সফল হচ্ছে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি ঠিকই বলেছেন, ভাই। এজন্য দরকার জনসচেতনতা, রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক ধারা নিয়ে জানাশোনা, পড়াশোনা আর মানুষের কর্মসংস্থান। দেশে বেকারত্বের হার কমে আসলে মানুষ স্বাবলম্বী হবে, আর স্বাবলম্বী হলে সচেতনতা বাড়বে। এছাড়া দেশে আইনের শাসন ও দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা কমিয়ে না আনলে গণতন্ত্রের সুফল পাওয়া যাবে না।

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ফিচার থেকে আমার সন্দেহ হচ্ছে যে, আপনি একজন এমপি'র দায়িত্ব সম্পর্কে জানেন কিনা? জানলে, ২/১ লাইনে বলুন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার অগোছালো পোস্টে আপনার মত অভিজ্ঞ রাজনৈতিক লেখক ও রাজনীতি সচেতন মানুষকে পেয়ে খুশি হলাম। আপনার রাজনৈতিক পোস্টের নিয়মিত পাঠক আমি। আসলে, এ ফিচারটিতে আমি রাজনৈতিক দলগুলোর "জোটের কারসাজি আর গণতন্ত্রের নামে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি" নিয়ে আলোকপাত করেছি। পাশাপাশি, গণতন্ত্র/এমপিদের যোগ্যতা/নীতি ও আদর্শ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে কিছুটা ইঙ্গিত করেছি। সব বিষয় নিয়ে একসাথে লেখতে গেলে পোস্টের কলেবর বেড়ে যায়, পাঠকরা বিরক্ত হন। এজন্য এমপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে খুব বেশি লেখা এখানে সম্ভব হয়নি। আশা করি, এ বিষয় নিয়ে আগামী দিনগুলোতে একটা বড় ফিচার লিখব।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৯

সোহানী বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। দেশের পুরো রাজনীতিকে একটি ফিচারে নিয়ে এসেছেন। আর সত্যটা হলো গণতন্ত্র নামের এ শব্দটা দেশে অনেক আগেই ডিকশেনারী থেকে লোপ পেয়েছে। শেষ প্যারায় যা বলেছেন এর চেয়ে সত্য কিছু নেই। এখন এর সাথে সাধারন মানুষের কোন সম্পর্ক নেই। আছে টাকা বা শক্তির.........

গাজী ভাই, শুধু বিরোধিতার খাতিরে মন্তব্য অন্তত আপনার মত বিচক্ষন মানুষের কাছে আশা করি না।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, কেমন আছেন? গত এক মাস খুব ব্যস্ত থাকায় ব্লগে তেমন সময় দিতে পারনি। আশা করি, আপনার ব্যস্ততা কমলে লিখবেন। আপনার লেখার অপেক্ষায় সব সময় থাকি। গণতন্ত্র বলতে কোনও জাতিরাষ্ট্রের এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক বা সদস্যের সমান ভোটাধিকার থাকে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সু্যোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে।

খ্রিস্টপূর্ব ৪২২ সালে ক্লিয়ান ডেমোক্রেসিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে- That shall be the democratic which shall be the people, for the people. পৃথিবীর শিক্ষিত আর সভ্য দেশগুলো নিজেদের মত করে গণতন্ত্রকে পরিস্ফুটন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও আমরা তা করতে পারিনি। এটা জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমাদেরকে লজ্জিত করেছে। জনগন সুশিক্ষিত, সচেতন আর বিবেকবান না হলে দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতির বিকাশ সম্ভব নয়।

গাজী-ই প্রথম গাজী-ই (পানির টাংকি) সেরা। ইদানিং অবশ্য বাজারে 'সেরা' নামেরও টাংকি মিলে!

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: দারুন বিশ্লেষন করেছেন এই দেশের রাজনীতির।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, 'ঢাবিয়ান' ভাই। আমি রাজনীতির মানুষ নয়, কিন্তু রাজনীতি সচেতন একজন সাধারন পাবলিক। এজন্য দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র আর ক্ষমতার রাজতন্ত্র নিয়ে ভাবতে গেলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আশা করি, দেশের আগামী প্রজন্ম সচেতন হবে।

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

নজসু বলেছেন:




দীর্ঘ বিরতির পর পোষ্ট পেয়ে ভালো লাগছে।
প্রায় সময়ই আপনার ব্লগবাড়ি যেয়ে খালি হাতে ফিরে আসি।
আজকের পোষ্ট, কমেন্ট এবং কমেন্টের জবাবগুলো সব পাঠ করবো।
আসলে রাজনীতি বিষয়টা আমি বুঝিনা।
তাই কিছু বলার সাহস পাইনা।

আশা করি ভালো আছেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ, 'সুজন' ভাই। আসলে ইউনিভার্সিটি, রিসার্চ আর আমাদের 'TEA' কোম্পানীর বিভিন্ন কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকায় গত এক মাস ব্লগে তেমন একটা সময় দিতে পারিনি। আপনি মাঝে মাঝে আমার ব্লগবাড়ি ঘুরে গেছেন শুনে খুব খুশি হলাম। আমার মত সাধারন একজন ব্লগারের লেখা মিস করেছেন এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। তবে, সময় সুযোগে আপনার অনেক পোস্ট পড়েছি, মন্তব্যও করার চেষ্টা করেছি।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সময়োপযোগী পোষ্ট, মনে আগেও একবার পড়েছি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, তারেক ভাই? আশা করি, ভাল আছেন। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আপনার লেখা পেলাম।

সুন্দর লেখা। পড়ে আরাম পাওয়া যায়।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হুম, ঠিকই বলেছেন 'রাজীব' ভাই। আশা করি, এখন নিয়মিত সময় দিতে পারবো। আর লেখাটি আপনার মত গুণী ব্লগারের ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভাল থাকুন আর নিয়মিত ব্লগ মাতিয়ে রাখুন। (ধন্যবাদ)

১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মাঝে মাঝে ঘুড়ে যােই। দেখি নতুন লেখা নেই।

আজ পেলাম।

আবার যেন অতীত ফিরে না আসে-রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক অতীত।

ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় মাইদুল ভাইকে ধন্যবাদ। আপনার মত গুণীজন মাঝে মাঝে আমার ব্লগবাড়ি ঘুরে গেছেন জেনে খুব সম্মানিত বোধ করছি। আশা করি, এবারের ইলেকশনে রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কোন পদক্ষেপে রাজনৈতিক দলগুলো নেবে না। সাধারন মানুষ আশংকামুক্ত হয়ে চলাফেরা করতে পারবে।

ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: যে যায় লন্কায় সেই হয় রাবন। আমি আগামী ইলেকশনে কষ্ট করে ভোট দিতে যাব কিনা ভাবছি। আর একটা কথা, আমরা বাংগালীরা ঐতিহাসিকভাবে দ্বীধাবিভক্ত থাকতে পছন্দ করি। সেটা আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল, মোহামেডান-আবাহনী, আওয়ামীলিগ-বিএনপি, রাশিয়া-আমেরিকা, ডলার-রুবেল, ভারত-পাকিস্তান যেটাই হোক না কেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 'ইমরান আশফাক' ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন, যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবন। বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে তা শতভাগ সত্য। আমিও এবার হয়তো ভোট দিতে যাব না। কারণ, ক্ষমতাসীন সরকার গণতান্ত্রিক না হলে শুধু ভোটের গণতন্ত্রের কোন ভ্যলু নেই। গণতন্ত্রের সাথে আইনের শাসন, নাগরিকের সম অধিকার, সু শাসন, দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র গঠন ইত্যাদি অনুসঙ্গগুলো জড়িত।

আমরা জাতি হিসেবে অতি আবেগ প্রবণ ও অসচেতন। এছাড়া মনের দিক থেকে 'ফ্রি থিংকার' না হওয়ায় দ্বীধাবিভক্ত। এদেশে মুখস্ত নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্তা মানুষের বিবেক জাগ্রত করার প্রধান অন্তরায়।

১২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

টিয়া রহমান বলেছেন: ভাইয়া আমি রাজনীতি বুঝি না, তবে আপনার ছবিগুলো আমাকেও বুঝিয়ে দিয়েছে, শুধু আমাকে কেন ছোট বাচ্চারাও এই ছবি দেখে বুঝে যাবে যে রাজনীতি কেমন করে সাধারণ জনগণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।

ছবিগুলো কি আপনি এডিট করেছেন ভাইয়া?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আসলে এদেশের রাজনীতির প্যাচ বুঝতে পারা সহজ নয়। এখানে, মুখে মুখে গণতন্ত্র আর সুশাসনের বুলি আওড়ানো হয় কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই। এজন্য এদেশে চলে 'মুনাফিকি' টাইপের পলিটিক্স। এগুলো বুজতে হলে কুটিল কিসিমের পাবলিক হতে হয়। আমি, আপনি হলাম অযোগ্য আম-পাবলিক। তবুও লিখতে হয়, অপশাসনের বিরুদ্ধে বলতে হয়।

ব্লগে আপনার পথচলা সুন্দর হোক এই কামনা রইলো। (ধন্যবাদ)

১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

জুজুগাগা বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র একটি মুলা।ঝুলিয়ে রাখা হয় সমাজবাদী ও ধর্মপন্তী রাজনীতিবিদের আর তারা চুষে চুষে খায় ৫ বছর।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি ঠিকই বলেছেন। এদেশে চলে গণতন্ত্রের নামে "মুলাতন্ত্র"। পাবলিক এককাপ চা, এক পিস কেক আর গোটা দুয়েক সিঙাড়া-সমুচা গিলেই নেতার গুণগ্রাহী হয়ে যান। ইলেকশনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। এজন্য গনতন্ত্রের সুফল পেতে হলে 'পাবলিক সচেতনতা' সবচেয়ে বেশি জরুরী। এজন্য সুশিক্ষা আর স্বাধীন চিন্তা-চেতনার কোন বিকল্প নেই।

ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই,
প্রথমত লেখাটি উপভোগ করেছি। রাজীব ভাইয়ের মতোই বলবো, লেখা পড়ে আরাম পেলাম।
তবে, ভাই কয়েকটা জায়গায় কিছু পয়েন্ট যোগ করতে চাই.....

১)বাংলাদেশে বাম রাজনীতির কেন কোন শক্ত অবস্থান নাই? এর কারণ একজন মানুষ নিজেকে বাম বলার জন্য যে সাহস বা যোগ্যতা লাগে, তা আমাদের খুব কম মানুষের আছে। একটা জিনিস দেখবেন, যারা সত্যিকারের বাম, তাদের আপনি নিজের আদর্শ থেকে টলাতে পারবেন না, তারা বিপ্লবী মানুষ, ইলেকশনে যাওয়া নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নাই, তারা দুবেলা রুটিন করে লেলিন আ্উরাবে, আর মদ গিলবে।

২) বাংলাদেশে একজন মানুষ তখনই এমপি হবে, যখন তাকে লোকে চিনবে। আমরা ইংল্যান্ডের উদাহরণ থেকে শুধুই দুঃখের ঝুলিতে বোঝা বাড়াবো। এদেশের মূর্খ মানুষ, তাকেই ভোট দিবে--যে একসময়কার কুখ্যাত ছাত্রনেতা, গতবার কয়েকশ কোটির মালিক হয়েছে, এবার হজ করে মাওলানা হয়ে গেছে।

৩)আসলে এই জোটের পলিটিক্সটা এইখানে, তারা মানুষকে বুঝাতে চায়, সব ধরনের লোক আমার আছে। সুইং ভোটারদের ভোটেই সব কিছু সিদ্ধান্ত হয় (নেতারা মনে করে)। তবে আমি বলবো, এই দেশে মুষ্টিময়ের শাসন চলছে, কার্যত এলিট ব্যবসায়ীরা এই সরকার চালায়, এই রাষ্ট্র চালায়। আমি স্বজ্ঞানে কোনদিন ভোট দিবো না।

৪)মার্ক্স, ম্যালথাসের জনসংখ্যা বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করেছেন। আজকে দেখেন, চীনের কম্যুনিষ্ট সরকার কি করছে, এই তত্ব মেনে তারা নিলো, এক সন্তান নীতি। এক সন্তানের মায়ের গর্ভমোচন করলো। নারীরা এক সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে "ছেলে" প্রাধান্য দিলো.....ফলাফল: চীন কার্যত বৃদ্ধদের দেশ। দেশের তিন কোটির মতো তরুন বউ পাবে না, চীন সরকার এখন দুই সন্তান নীতি দিলো, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মহাচীন সামনে এই জন্য আরো সমস্যায় ভুগবে।
(এই অংশের সাথে আপনার মূল লেখার কোন জোরালো সম্পর্ক নাই, ম্যালথাসের কথা থেকে আসলো। দেখেন, ভারতে গনতন্ত্র বলবৎ আছে বলে সেখানে এক সন্তান নীতি টিকে নাই, মানুষ বিরোধীতা করার সুযোগ পেয়েছে, চীনে সেটা পায় নাই।)

Democracy is a myth

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ভাই, আদরের প্রান্ত।
দেশের রাজনীতি আর দলাদলি নিয়ে চমৎকার একটি বিশ্লেষণ পড়ে প্রীত হলাম। এই বয়সেও তুমি এ বিষয়টি নিয়ে সচেতন তা দেখে খুব ভাল লাগছে। এভাবে নতুন প্রজন্ম রাজনীতি সচেতন হোক এই প্রত্যাশা রইলো।

(১) আসলে বাম রাজনীতি সারা পৃথিবীতে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। বর্তমান ক্যাপিটালিজমের যুগে বামতন্ত্র রাষ্ট্র পরিচালনায় চলনসই নয়। এজন্য আমাদের দেশের বামরা নিজেদের নীতি ও আদর্শ ভুলে ইসলামপন্থীদের সাথেও জোট করছে। এখানে দলীয় নীতি আর আদর্শ খুব একটা প্রয়োজনীয় নয় এখন। যে কোন হাতির পীটে চড়ে ক্ষমতায় যাওয়াটাই তাদের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান।

(২) বাংলাদেশে এমপি হতে হলে পাবলিককে চিনতে হয়। এজন্য থাকতে হয় এলাকায় ধাপট, পেশি শক্তি, কোটি কোটি টাকা। এগুলো না থাকলে কোন দল আপনাকে মনোনয়ন দিবে না। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা আর আদর্শ খুবই গৌণ। যার ফলশ্রুতিতে আমরা মাথামোটা এমপি/মিনিস্টার পাই। আর দেশ পায় মগজহীন আর ভন্ড নেতৃত্ব।

(৩) তোমার এ বিশ্লষণটি খুব ভাল লেগেছে। তুমি ঠিকই বলেছ, "আসলে এই জোটের পলিটিক্সটা এইখানে, তারা মানুষকে বুঝাতে চায়, সব ধরনের লোক আমার আছে। সুইং ভোটারদের ভোটেই সব কিছু সিদ্ধান্ত হয় (নেতারা মনে করে)। তবে আমি বলবো, এই দেশে মুষ্টিময়ের শাসন চলছে, কার্যত এলিট ব্যবসায়ীরা এই সরকার চালায়, এই রাষ্ট্র চালায়।"

ভাল থাকিও প্রিয় প্রান্ত। জীবনে অনেক বড় হও এই আশীর্বাদ রইলো।

১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ১৯৩, নিবন্ধিত ৩৯। মোট জোট ১৪+বুঝুন কী অবস্থা!!!

রাজনীতি নিয়ে চিন্তাকরা বাদ দিমু। মাথায় খুব প্রেসার পড়ে। কী হবে এসব ভেবে?
অযথা এসব লিখে?....

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জানেমন, B-)
আপনি একটি রাজনৈতিক দলের ঘোর সমর্থক হলেও আপনার মাঝে বিবেক আছে। আপনি যুক্তিবাদী মানুষ। এজন্য নিজ দলের সমালোচনা করতেও পিছপা হন না। এটা আপনার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। এদেশের রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিনিয়ত পাবলিক ঠকাতে বিজি থাকে। এরা মনে করে আবাল ভোটার কিছুই বুঝে না!! এজন্য জোটের নামে এক ব্যক্তির, এক সদস্যের রাজনৈতিক দলও জোটের শরীক হয়। এটা দেশের গণতন্ত্রের বিকাশের মূল অন্তরায়। এগুলো হলো ধোকাবাজির পলিটিক্স। ছোট্ট এই দেশে ১৯৩টি দল থাকবে কেন? কেন এবং কোন যুক্তিতে ইসি ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দিল তা আমার বোধগম্য হয়নি।

এদেশে যেমন পাবলিক-তেমন ইলেকশন কমিশন-তেমনই রাজনৈতিক দলগুলো।

১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে গোটা দেশে যেভাবে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে সেখানে দেখছি আপনিও পিছিয়ে নেই। এই ফিচারটি লেখার মধ্য দিয়ে আপনিও নিজে উপস্থিতি জানান দিলেন । আমিও দেরীতে এই ময়দানে ঢুকে নিজে উপস্থিত জানান দিলাম। সামান্য একটু পড়ে বিষয়টা বোধগম্য করে লাইক দিলাম। । এরপরে পোস্ট পড়ে পরবর্তী কমেন্টে আবার আসছি। ভোটের পিন্ডি চটকানো পোষ্টের জন্য হা হা হা হা হা ........

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয়, গুরুজি,
সামনে নির্বাচন। তাই টিভি, পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোটার ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বেশ সক্রিয়। মানুষ ভোটকে উৎসব হিসেবে নেয়। এজন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করার খুব দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীদের যোগ্যতার চেয়ে টাকা আর পেশিশক্তিকে অধিক গুরুত্ব দেয়। ফলে যোগ্য পাবলিক নির্বাচন করতে পারে না। এগুলো হলো আমাদের উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দূর্বলতা। এজন্য গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হচ্ছে না, জনগনের ক্ষমতায়ন হচ্ছে না।

আপনাকে আমার পোস্টে পাওয়া মানেই, অনেক প্রেরণা পাওয়া। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো প্রিয় ভাই, প্রিয় গুরুর জন্য। ভাল থাকুন সব সময়।

১৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ১. "আমি আমার মত" এর ইংরেজী কী হবে?


#এদেশে যেমন পাবলিক-তেমন ইলেকশন কমিশন-তেমনই রাজনৈতিক দলগুলো।
খারাপের মধ্যেও ভালো খবর হল, মানুষ এখন সচেতন হচ্ছে। তরুণরা অরেকটু এগিয়ে আসলে দেশে পরিবর্তন আসবে। হয়তো সময় লাগবে, তবে হবে।


##(২) বাংলাদেশে এমপি হতে হলে পাবলিককে চিনতে হয়। এজন্য থাকতে হয় এলাকায় ধাপট, পেশি শক্তি, কোটি কোটি টাকা। এগুলো না থাকলে কোন দল আপনাকে মনোনয়ন দিবে না। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা আর আদর্শ খুবই গৌণ।
দলকানাদের আমি কেয়ার করি না। তবে ম্যাশকে দেখে কেন জানি ঈর্ষা হচ্ছে। ইশ! আমার যদি অনেক টাকা থাকতো!!!!!:(

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



জানেমন,
এত কঠিন একটি translation ধরিয়ে দিলেন? কেমনে কি করি এখন? "আমি আমার মত" এর ইংরেজি হবে, "আই মাই লুক লাইক"!! "খারাপের মধ্যেও ভালো খবর হল, মানুষ এখন সচেতন হচ্ছে। তরুণরা অরেকটু এগিয়ে আসলে দেশে পরিবর্তন আসবে। হয়তো সময় লাগবে, তবে হবে।"....... সহমত জানেমন। আমিও তাই মনে করি।

ম্যাশকে দেখে হিংসে হয়!! তবে, মন্দের ভাল হলো ম্যাশ গলাবাজ, দুর্নীতিবাজ আর গুন্ডা এমপিদের চেয়ে অনেক ভাল হবে। তরুনরা সুস্থ রাজনীতিতে আগ্রহী হবে। এগুলো অবশ্যই পজেটিভ দিক।

১৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: @Yoda, কাউসার চৌধুরি এই ব্লগের একজন সুলেখক। উনার লেখা দিয়েই উনি এই ব্লগে একটি পাঠক শ্রেনী তৈরী করেছেন। আপনি উনার পেছনে কেন লাগলেন এইবার সেটা ব্যখ্যা করেন। এত সময় একজন ব্লগারের পেছনে ব্যায় করার রহস্য কি? আপনি কি গোয়েন্দা?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পোস্টের বিষয়ের বাইরে গিয়ে বারবার কমেন্ট করা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। আশা করি, তিনি বিষয়টি অনুধাবন করবেন। খুশি হবো উনি যদি নিজের প্রতিভা পোস্ট লেখায় ব্যয় করেন।

১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ আরেকটি পোস্ট। ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

কোন এক পোস্টে শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতি ঠিক করতে হলে নতুন করে নবী আসতে হবে। মাঝে মাঝে আমারো তাই মনে হয়।

এদেশের রাজনীতি আর ঠিক হবার নয়।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কমেন্টে নিজের ভাল লাগা জানিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আর বাংলাদেশে কোন নবীর আগমন ঘটলেও পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। দেখা দেবে নতুন সমস্যা। শুরু হবে শিয়া-সুন্নি, ওহাবি-পীর, মাযহাবি-লামাযহাবি, কওমী-আলীয়া ফাসাদ। এছড়া ধার্মিক-ধর্মহীন, স্বধর্মী-বিধর্মী সংঘাত। এগুলো কোন ইলেকশন দিয়ে, ব্রিটেন-আমেরিকার গণতন্ত্র দিয়ে ফয়সালা করা সম্ভব নয়।

শুভ কামনা আপনার জন্য।

২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুজীর জোটের পলিটিক্স শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়লাম। জোট সর্বস্ব রাজনীতিতে পোস্টটিকে আদ্যোপান্ত একটি পূর্ণাঙ্গ পোস্ট বলেই মনে হয়েছে। । জোটের উৎপত্তি, বিকাশ জোট কে বাঁচিয়ে রাখার বড় দলগুলোর তাগিদ- সব মিলিয়ে নির্বাচন প্রাক্কালে অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং সার্থক পোস্ট করলে বলে মনে হয়েছে। তবে কেন জানি না আপনার লেখার প্রেক্ষিতে ওখানে জোট রাজনীতি এতটা প্রাসঙ্গিকতা পেলেও ভারতে সে তুলনায় অনেকটা অচল। আসন বন্টনকে কেন্দ্র করে ভারতে রাজ্য বিধানসভা বা কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতাকে কেন্দ্র করে যে দর কষাকষি শুরু হয় ফলোতো নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করাটা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় । সে ক্ষেত্রে নির্বাচন-পরবর্তীকালে বরং বিভিন্ন দলগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে যেটা আপনার হেডলাইনের পরবর্তী অংশ পরিষ্কার। কিন্তু সেখানেও যে এমন জোট বিশেষ সুবিধা করতে পারে মনে হয় না । কারণ ভোট পরবর্তী সময় থেকে পদ নিয়ে নিজেদের মধ্যে শুরু হয় এক ঠান্ডা লড়াই ।এক্ষেত্রে এই সরকারও বা জোড়াতালী সরকারের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায়। ভারতে নব্বইয়ের দশকে ভি পি সিং ,আই.কে .গুজরাল, চন্দ্রশেখর এমনকি বি জি পির অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বে সরকারও কিন্তু ভয়ানক প্রশ্নের মুখে পড়েছিল এহনো জোট সর্বস্ব রাজনীতির কবলে পড়ে। তাদের সম্পর্কে কৌতুক করে বলা হতো সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভা।

এজন্য জোট রাজনীতিকে একটু অন্যভাবে বলা যায় হাং পার্লামেন্ট । আমি গাণিতিক সংখ্যার বিচারে কোরাম করতে না পারার জন্য পার্লামেন্টের মধ্যে ঢুকছি না। বিষয়টিকে একটু অন্যভাবে দেখলে বরং আমজনতার মধ্যে অবশ্য কেন্দ্রে বিজেপি বা কংগ্রেস দলের গ্রহণযোগ্যতা যতটা বেশি হাং পার্লামেন্টের অন্তর্ভুক্ত দলগুলির গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু সে তুলনায় অনেকটাই কম।( আমি ধরেই নিচ্ছি হাং পার্লামেন্টের মধ্যে কংগ্রেস বা বিজেপিকে বাধ্য হয়ে ক্ষমতায় যেতে হচ্ছে )। যদিও কয়েকটি স্থানে কিছু আঞ্চলিক দল যথেষ্ট সক্রিয় কিন্তু দিল্লির রাজনীতিতে বরাবরই দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলই শাসন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে গেছে।

ক্ষমতায় গিয়ে গ্রহণযোগ্যতার দিক দিয়ে দেখা গেছে দিল্লিতে কংগ্রেস বা দলের নেতারা যতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছেন সে তুলনায় হাং পার্লামেন্ট ভুক্ত মন্ত্রিসভার সদস্যরা কিন্তু রাষ্ট্রের কোষাগার লুটেপুটে খেয়েছেন। জড়িয়েছেন একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে।

যাই হোক ভোট সর্বস্ব রাজনীতিতে ভোট উৎসবকে সামনে রেখে আমরা আবার একটি নিপাট বিনোদনে অংশগ্রহণ করতে চলেছি যদিও ভবিষ্যৎ কি সেটা ভবিষ্যতই বলবে।

শুভ কামনা ও বিমুগ্ধতা প্রিয় গুরুদেবকে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার সময়ের মূল্য আমি বুঝি। তবুও এত সময় নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী আরেকটি কমেন্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো, গুরুজি। বাংলাদেশ ও ভারতের গণতান্ত্রিক ধারার অনেক পার্থক্য আছে। এর অন্যতম কারণ হলো, ভারতে প্রাদেশিক সরকার আছে, যা আমাদের দেশে নেই। এছাড়া বিধান সভা, লোকসভা, রাজ্যসভা ইত্যাদি গণতান্ত্রিক ধাপগুলোও নেই।

আরেকটি বিষয় না বললেই নয় তা হলো, আঞ্চলিকতা। বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের চিন্তা চেতনা, সংস্কৃতি, ভাষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা। এজন্য দক্ষিণ ভারতের কেরালা, তামিল নাডু, ঊড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা, অন্দ্র প্রদেশ, কর্ণাটক ইত্যাদি রাজ্যের মানুষের রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে মধ্য ও উত্তর ভারতের রাজনৈতিক মতাদর্শের অনেক অমিল আছে। উত্তর পূর্ব ভারত, কাশ্মির ও পশ্চিম ভারতের গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, মুম্বাই ইত্যাদি এলাকার সাথে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মতাদর্শের অনেক অমিল আছে।

এজন্য হয়তো ভারতে ভোটের আগে জোটবদ্ধ হওয়া দলগুলোর জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। নির্বাচনে বেশি আসন পাওয়া দলের সাথে জোটবদ্ধ হওয়া বোধহয় অধিক লাভজনকও বটে!! আপনি ঠিকই বলেছেন, "যদিও কয়েকটি স্থানে কিছু আঞ্চলিক দল যথেষ্ট সক্রিয় কিন্তু দিল্লির রাজনীতিতে বরাবরই দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলই শাসন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে গেছে।" সহমত, গুরুজি। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশে দু'টি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি থাকে। তৃতীয় শক্তিশালী পক্ষ তেমন একটা দেখা যায় না।

ভারত অনেক বড় রাষ্ট্র হওয়ায় জাতীয় নির্বাচনে "আঞ্চলিক" দলগুলোর অনেক প্রভাব থাকে। যা বাংলাদেশের বেলায় ঘটে না। আমাদের এখানে নাম সর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল আছে যাদের কোন কর্মী সমর্থক নেই। অনেকটা "এক মালিকানা কোম্পানী"!! ইলেকশন আসলে এসব নেতা শুধুমাত্র এমপি হওয়ার জন্য জোটের বড় দলগুলোর প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। এখানে নীতি নৈতিকতার কোন লেশ মাত্র নেই। ক্ষমতার ছোয়া পাওয়াই এদের একমাত্র উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে "হ্যাং পার্লামেন্ট" হওয়ার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। আবারও প্রণাম গুরুজি।

২১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: রাজনীতি থেকে দূরে থাকি তাই এ ব্যাপারে মন্তব্য করাটাও শোভনীয় নয়। শুধুমাত্র প্রিয় কাওসার ভাইয়ের পোস্ট দেখে চোখ বোলালাম। কেমন আছেন আপনি?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



সম্রাট ভাই, কেমন আছেন? আমি ভাল আছি। রাজনীতি আমাদের দেশে এখন নীতিহীন, টাকাওয়ালা আর গলাবাজদের বাপ দাদার সম্পত্তি হয়ে গেছে। এজন্য নেতার ছেলে নেতা হয়। মিনিস্টারের ছেলে এমপি হয়। এগুলোকে গণতন্ত্র কিংবা রাজনৈতিক কোন ধারা বলা যাবে না। এগুলো "কুটনামীতন্ত্র"। এজন্য এগুলো আপনি, আমি কেউ বুঝি না। শুদ্ধ গণতান্ত্রিক চর্চা দলগুলোর মধ্যে হলে এদেশের হাজারো শিক্ষিত তরুণ রাজনীতিতে যোগদান করতো। এতে দেশ ও সমাজ পরিবর্তন হতো।

ভাল থাকুন প্রিয় সম্রাট ভাই।

২২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

সামিয়া বলেছেন: পুরোটা পড়িনি যদিও, যতটুকু পড়লাম ভালো বলেছেন ভাইয়া।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপু, আপনি আমার ব্লগে এসে লেখাটি কিছুটা পড়েছেন জেনে ভাল লাগলো। আমি নিয়মিত আপনার পোস্ট পড়ি, খুব ভাল লাগে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

২৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

আরোগ্য বলেছেন: কাওসার ভাই এটি একটি তথ্যবহুল পোস্ট, যা আমার মত রাজনীতি বিষয়ে কম অবগতদের জন্য জানার বিষয়।
রাজনীতিতে আমিও তেমন আগ্রহ রাখি না। সেদিন কাজের বুয়াকে জিগ্যেস করলাম, কারে ভোট দিবেন। উত্তর দিলো " কেউরে দিমু না, কেউ আমগো ভাত দেয় না। ভোট দেওন বড় ঠেকা না।" রাজনীতিকে সাধারণ মানুষ এখন খুব ঘৃণা করে।

গতবার আমার এক আত্মীয় ভোটকেন্দ্র থেকে মার খেয়ে আসছে। তার অপরাধ ছিল ক্ষমতাসীন দলকে সমর্থন করে নি।ভাবছি যদি সেনাবাহিনী থাকে তবেই ভোট দিতে যাবো।

কোথায় যেন একটা কথা শুনেছি গরম রক্তে রাজনীতি হয় না।
আর বাংলাদেশের রাজনীতি আর বলিউড একই রকম। জনসমক্ষে একেবারে দেবদূত আর গোপনে গোপনে রক্তচোষা প্রাণী।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রথম কমেন্টে আপনাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম। আবার কমেন্ট করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আমি বর্তমান সময়ের দেশের রাজনীতি, কুটনীতি, জোটনীতি নিয়ে মনের ক্ষোভ থেকেই বিষয়টি নিয়ে লিখেছি। তবে, আশার কথা মানুষের মধ্যে এখন সচেতনতা আসছে। তরুন প্রজন্মও এখন রাজনৈতিক দলগুলোর এমন ভাওতাবাজি বুঝে।

এখনকার কাজের বুয়ারাও রাজনৈতিক দলগুলোর ভেলকির রাজনীতি বুঝে। তাইতো বুয়ার সহজ উত্তর, "কেউরে দিমু না, কেউ আমগো ভাত দেয় না। ভোট দেওন বড় ঠেকা না।"

এবার আমি ভোটকেন্দ্রে যাব না, এসব ভোটের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের রাজনীতি আর বলিউড একই রকম!! উভয়ই খুব গরম আর সব করতে পারার আলাদীনের চেরাগ থাকে।

২৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কাওছার ভাই, বাংলাদেশের রাজনীতি এবং পাব্লিকনীতি নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে। আমাদের দেশের মানুষ রাজনীতি বলতে বুঝে, এন্টি পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। মারপিট, গেঞ্জাম, দখলদারিত্ব বা সন্ত্রাসী করা।

রাজনীতি, অর্থনীতি, নীতি বুঝতে হলে সুশিক্ষার প্রসার অনিবার্য।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, জুনায়েদ ভাই? চমৎকার এ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি খুব সুন্দর বলেছেন, "আমাদের দেশের মানুষ রাজনীতি বলতে বুঝে, এন্টি পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। মারপিট, গেঞ্জাম, দখলদারিত্ব বা সন্ত্রাসী করা।"

মুগ্ধ করার মতো একটি লাইন -
"রাজনীতি, অর্থনীতি, নীতি বুঝতে হলে সুশিক্ষার প্রসার অনিবার্য।" ....... সহমত।

২৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার!
সময়োপযোগী ও বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট।
ভাল লাগলো।।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় "হাসান জাকির" ভাই।

২৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ভাই। আপনি কেমন আছে?

(আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবা।)

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, প্রিয় ভাই। আপনি ভাল আছেন জেনে খুশি হলাম। আমি মোটামুটি ভালই আছি। আপনার লেখাগুলো নিয়মিত পড়ি, বেশ ভাল লাগে। যদিও অনেক সময় বিজি থাকার ফলে কমেন্ট করতে পারি না। শুভ কামনা রইলো, আপনার জন্য।

২৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অনেক দিন পর প্রিয় কাওসার ভাইয়ের লেখা পেয়ে ভালো লাগছে।
অনেক ভালো লিখেছেন আপনি, রাজনীতি সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া গেলো আপনার লেখায়।
আমার ভালবাসা ও দোয়া আপনার সাথে নিরন্তর। শুভ কামনা।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ফারিহা আপু,
শুভেচ্ছা রইলো। চমৎকার ও আন্তরিক কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। গত এক মাস বিভিন্ন কারণে খুব ঝামেলায় ছিলাম; এজন্য পোস্ট লিখতে পারিনি। বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতি, জোটনীতি আর পেটনীতি দেখে খুব হতাশ হই। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও দেশে একজন 'জনগনের নেতা' কিংবা 'রাষ্ট্র নায়ক' আসেন নাই। এতে জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে গেছি। আশা করি, নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক রাষ্ট্র নায়ক পাব, যোগ্য ও সুশিক্ষিত এমপি/মন্ত্রী পাব। এরা হবে বিচক্ষণ ও দুর্নীতিমুক্ত।

শুভ কামনা আপনার জন্য। লিখুন মন খুলে। (ধন্যবাদ)

২৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

বলেছেন: পার্লামেন্ট ইলেকশন হলো এদেশের ধনীদের

১) জ্যাকপট লটারি"
২) তেলেসমাতি পলিটিক্স
৩) ঠকানোর কুঠনামি
৪)একক মালিকানার দল
৫ নীতিহীন রাজনীতি,
WHAT AN OBSERVATION ?
HATS OFF KAWSAR BHIIIIIIIIশুভ কামনা ও বিমুগ্ধতা প্রিয়

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




ধন্যবাদ, প্রিয় 'রহমান লতিফ' ভাই। আমার বেশ কয়েকটি শব্দ কোটেশন করেছেন দেখে ভাল লাগলো। আমি দেশের রাজনীতির উপর মহা বিরক্ত। মনের কষ্ট থেকে কথাগুলো বলেছি। ভাল থাকুন সব সময়। পরিবারের সবার জন্যও শুভ কামনা রইলো।

২৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এমপি'র দায়িত্ব, আইন প্রনহয়ন", ৪টি শব্দই যথেষ্ট

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




আবারো কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি ঠিকই বলেছেন, এমপিদের দায়িত্ব দেশের আইন প্রণয়ন। পাশাপাশি, দেশের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারন, বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন, সামরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সংবিধানের আলোকে দেশ পরিচালনা, সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিতর্ক (Legislation), বাজেট প্রণয়ন করা, তাৎক্ষণিক দেশের দুর্যোগ-যুদ্ধ বিগ্রহে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আইন পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া এবং স্টাডি করে নিজের মতামত উপস্থাপন করা। এজন্য সুশিক্ষিত ও আইন জানা, রাষ্ট্র বুঝার মত মানুষ এমপি হতে হয়। টাকায় সব কিনতে পারলেও সংসদে কোন কাজে আসে না। এখানে ঘিলু থাকাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ এমপির সে যোগ্যতা নেই বলে "সারাক্ষণ নেত্রী তোষণ" করে। এরা হলো মগজহীন মৌমাছি।

৩০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন:


শ্রদ্ধেয় কাওসার ভাইয়া তাহলে অপেক্ষার প্রহর শেষ করালেন :) সত্যিই তো বাংলাদেশে শরিক দলগুলোর আদতে কোনো অস্তিত্ব দেখি না । অনেকটা নতজানু প্রধান দলের কাছে।ক্ষমতা নয় ,সেবার মানসিকতায় যত দিন পর্যন্ত দলগুলো আসতে পারবে না তত দিন রাজনীতিতে ভালো অবস্থানে যাওয়া খুব কঠিন।লন্ডনে কি আপনি নাগরিকত ছিলেন? :|| পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন যেহেতু।আপনার পোস্ট কেমন হয়েছে সেটা নতুন করে না বললেও হবে । :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শেষ পর্যন্ত আমার প্রিয় 'রাকু হাসান' ভাইকে পোস্টে পেলাম। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশের রাজনীতির নীতিহীনতা আমাকে পীড়া দেয়। জীবনে রাজনীতি করার, পার্লামেন্টে, বিশ্ব দরবারে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার খুব ইচ্ছা ছিল। ইংল্যান্ডের মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্তা আর রাজনৈতিক দলগুলোর স্বচ্ছতা থাকলে এদেশেও অনেক জ্ঞানী-গুণী নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারতো। এতে দেশ লাভবান হত, নতুন প্রজন্ম আশাবাদী হতে পারতো।

ইংল্যান্ডে কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোর নাগরিকরা নির্বাচনে ভোটের অধিকার পায়। আমিও এজন্য ভোটার হয়েছিলাম। আমি তিনিটি পার্লামেন্টে নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। এছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোটার ছিলাম।

৩১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,




রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এটা হলো আমাদের দেশে নীতি ও আদর্শহীন রাজনৈতিক দল ও নেতাদের মুখস্ত বুলি যা লুটেপুটে খাওয়ার রাস্তা তৈরীর তরিকা ।
ভালো লিখেছেন আর শেষের প্যারাটাই হলো আসল পলিটিক্স এর দীর্ঘমেয়াদের নেট ফলাফল ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনাকে আমার পোস্টে পাওয়া মানে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস আসা। গুণীজনের মন্তব্য আমাকে ভীষণ প্রেরণা যোগায়। এজন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। আমাদের দেশের রাজনীতিতে আসলেই শেষ কথা বলে কিছু নেই। এটা হলো, ভাওতাবাজির একটি সিন্ডিকেট তন্ত্র। এ চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন নতুন নেতৃত্ব আর দেশপ্রেমিক ও সৎ জনপ্রতিনিধি।

ভাল থাকুন, স্যার।

৩২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



মজার কথা হচ্ছে দেশে সবাই গনতন্ত, গনতন্ত্র বলে চিল্লায় । কিন্তু সেটা কিভাবে আনবে সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না । সবাই মনে করে ঘরে বসে গনতন্ত্র চলে আসবে ।

আবার আমাদের বামেরা কিন্তু দাড়াতেই পারে না তো তাদের অবস্থা ভেলায় আছি এখানেই থাকি । লাফ দিয়ে মরার কি দরকার ।

আপনার বিশ্লেষন থেকে একটা কথা মাথায় আসছে বাংলাদেশে বিশ্ব বিদ্যালয় লেভেল পর্যন্ত রাজনীতি বন্ধ করতে হবে । অথবা দলে শিক্ষিত লোকজনের মধ্যে নীতির শিক্ষা দিতে হবে । তবে এটা সম্ভব বলে মনে হয় না ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আসলে সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্রের অসংখ্য মডেল আছে। প্রতিটা দেশ তাদের ভৌগলিক অবস্থা, জনগনের ইচ্ছা আর দেশের জন্য উপযোগী পলিসির উপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচন করে। এজন্য ইংল্যান্ড - আমেরিকা - ভারত ইত্যাদি দেশগুলোতে গণতন্ত্রের মডেল সমান নয়। আমরা কোন মডেলই ফলো করি না, আবার নিজস্ব সময়োপযোগী কোন মডেলও আমাদের নেই। যা আছে তা হলো নেতা/নেত্রী তোষামোদতন্ত্র।

আপনি ঠিকই বলেছেন, "আপনার বিশ্লেষন থেকে একটা কথা মাথায় আসছে বাংলাদেশে বিশ্ব বিদ্যালয় লেভেল পর্যন্ত রাজনীতি বন্ধ করতে হবে । অথবা দলে শিক্ষিত লোকজনের মধ্যে নীতির শিক্ষা দিতে হবে।"........ হুম, এটাই করতে হবে। না হলে গণতন্ত্রের নামে গুন্ডা আর চাঁদাবাজরা এমপি হবে।

৩৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: দীর্ঘ বিরতির পর কাউসার ভাই’র পোষ্ট পেলাম।

পলিটিক্স নিয়ে অামার এমন কোন মাথা ব্যথা নেই, বলতে গেলে কম বুঝি।

আপনার দারুন বিশ্লেষনধর্মী পোষ্ট, মন্তব্য ও প্রতিত্ত্যর পড়ে কিছুটা বুঝতে পেরেছি।

আশা করছি, ভালো আছেন, আপনাকে ব্লগে অনেকদিন মিস করছি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যরি, প্রিয় তারেক ফাহিম ভাই। কিছু কাজে বিজি থাকায় গত একমাস ব্লগে নিয়মিত হতে পারিনি। আশা করি, নিয়মত এখন সময় দেওয়ার চেষ্টা করবো। পলিটিক্স নিয়ে আপনার সরল স্বীকারোক্তি দেখে ভাল লাগলো। আর পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার ব্লগ আমি নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করি।

ভাল থাকুন প্রিয় ভাই।

৩৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: যারা রাজনীতি একেবারেই বোঝেন না, কিন্তু বর্তমান সময়ের জটিল অবস্থায় রাজনীতি বুঝতে চান, তাদের বোঝার জন্য খুবই সহায়ক একটা পোস্ট। শুধু লেখা নয়, ছবি গুলো এমন যে দেখামাত্র বোঝা যায়, বর্তমান সময়ের রাজনীতি এবং রাজনীতিকরা জনগণের জন্য কি উপহার নিয়ে আসেন!! এরা কৌশলে, প্রয়োজনে ভোট চুরি করে, খুন খারাপি করে একে অন্যকে হারিয়ে 'মানণীয় সংসদ সদস্য' হতে চায়। আবার দুই পক্ষই সাধারন ভোটারদের ঠকাতে চায় সুকৌশলে। ভোটের দিন এরা ঠিকই ভোটারদের ঠকিয়ে ক্ষমতায় বসে। আর গণতন্ত্র নামক আমাদের "আলাদীনের চেরাগ তন্ত্র" পাঁচ বছরের জন্য তাদের রক্ষাকবচ হয়।

১৫ নাম্বার প্রতিমন্তব্যর শেষ লাইন খুব ভালো লেগেছে।

নির্ভীক, বিশ্লেষণমূলক পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাওসার চৌধুরী।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা,
শুভেচ্ছা রইলো। আপনার কমেন্ট আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। আপনি খুব নিবিড় একজন পাঠক। আপনি সময় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেন। এমন পাঠকের প্রতি শুধু ধন্যবাদ দেওয়া সমীচীন নয়। আপনার সুচিন্তিত কমেন্ট আমাকে ভাবায়, প্রেরণা যোগায়। আপনি আমার মনের মত কয়েকটি কথা কোটেশন করেছেন -

"এরা কৌশলে, প্রয়োজনে ভোট চুরি করে, খুন খারাপি করে একে অন্যকে হারিয়ে 'মানণীয় সংসদ সদস্য' হতে চায়। আবার দুই পক্ষই সাধারন ভোটারদের ঠকাতে চায় সুকৌশলে। ভোটের দিন এরা ঠিকই ভোটারদের ঠকিয়ে ক্ষমতায় বসে। আর গণতন্ত্র নামক আমাদের "আলাদীনের চেরাগ তন্ত্র" পাঁচ বছরের জন্য তাদের রক্ষাকবচ হয়।"

আর (১৫) প্রতি মন্তব্যের শেষ লাইনটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। ভাল থাকুন আপা। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনারা জন্য।

৩৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যেখানে লাভ বেশি সেখানে ভীরও বেশি।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি ঠিকই বলেছেন, সুজন ভাই। রাজনীতি এখন অনেক লাভজনক ব্যবসা।

৩৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

ফোয়ারা বলেছেন:

ভাইজান.... রাজনীতি নিয়া ভালই ম্যাওপ্যাও করলেন। এসব লিখা পত্রিকার জন্য বিক্রিত পণ্য। আর ব্লগে হট হিটার। কিছু উচ্চমর্গীয় রাজনৈতিক পড়ুয়া ব্লগার এখানে এসে এই লিখাই রাজনৈতিক এনতেন বলে বুলি উড়াবে।

দিনশেষে সবাই, ঘরে বইসা বউবাচ্চা নিয়া আঙুল চুষবে। আর বস্তাসস্তা রাজনৈতিক ব্যক্তিরে ভোট দিয়া আসবে।



১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



হা...হা...হা....
ভাইজান আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলে এগুলো নিয়ে না লিখলেও কিছু যায় আসে না। পাবলিক তাদের ভালবাসার মার্কা আর নেতা/নেত্রীকে অধিক ভালবাসার কারণে তাদেরই নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ভোট দেবে। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম ভোটারও আছেন। যারা দল কিংবা নেত্রী পূজা করেন না। তারা নিশ্চয়ই এমন লেখা পড়ে সচেতন হবেন। আমরা চাই এসব বিষয়ে লিখে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে। এতে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
যেই দেশে নুর হোসেন এর মতো জীবন দেয়া বৃথা যায়, সেখানে আমি আপনি আর কি বলব?
বাংলাদেশের মানুষ হলো বেইমান। এরা খুব তাড়াতাড়ি ইতিহাস ভূলে যায়......এই জন্যই আজকে দেশের মানুষের এই অবস্থা!

এদেশে যেমন পাবলিক-তেমন ইলেকশন কমিশন-তেমনই রাজনৈতিক দলগুলো।
কারন সব শেষে আসল হলো ব্যবসা। শর্টকাটে বড়লোক হতে চান, রাজনীতি ছাড়া কোন উপাই নেই....।একবার ক্লিক করলেই আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাবেন। তিন পুরুষ খেয়েও শেষ করতে পারবেন না...অবশ্য এইসব রাজনৈতিক লোকজন তিন পুরুষ না পরের পুরুষকেই সপাটে অর্থবিত্ত দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয় কারন তারাই তো সব চেয়ে ভালো জানেন কি হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে .....

আপনার বিশ্লেষন থেকে একটা কথা মাথায় আসছে বাংলাদেশে বিশ্ব বিদ্যালয় লেভেল পর্যন্ত রাজনীতি বন্ধ করতে হবে । অথবা দলে শিক্ষিত লোকজনের মধ্যে নীতির শিক্ষা দিতে হবে
সর্বনাশ এরা তো না খেয়ে মারা যাবে? কে এদের হয়ে চাঁদাবাজী করে বেড়াবে???????

আমি বাংলাদেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংসদ, সাংসদ ইত্যাদি বিষয়গুলো এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।
আগে মনে করতাম মেয়েদের মন বুঝা কঠিন, এখন দেখি এইসব বুঝা মেয়েদের মন থেকেও কঠিন। খোদ বিধাতা এদের ঠিক মতো বুঝেন কিনা বলেন???? আমার সন্দেহ আছে!

এরা কৌশলে, প্রয়োজনে ভোট চুরি করে, খুন খারাপি করে একে অন্যকে হারিয়ে 'মানণীয় সংসদ সদস্য' হতে চায়। আবার দুই পক্ষই সাধারন ভোটারদের ঠকাতে চায় সুকৌশলে। ভোটের দিন এরা ঠিকই ভোটারদের ঠকিয়ে ক্ষমতায় বসে। আর গণতন্ত্র নামক আমাদের "আলাদীনের চেরাগ তন্ত্র" পাঁচ বছরের জন্য তাদের রক্ষাকবচ হয়।
এটাই সেই মূলা যেটা যেটা পাবলিকের মুখের সামনে ধরা থাকে আর আম পাবলিক খাতু খাতু করে...আর দিন শেষে পশ্চাৎদেশে পায় .........।

আসলে সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্রের অসংখ্য মডেল আছে। প্রতিটা দেশ তাদের ভৌগলিক অবস্থা, জনগনের ইচ্ছা আর দেশের জন্য উপযোগী পলিসির উপর ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচন করে। এজন্য ইংল্যান্ড - আমেরিকা - ভারত ইত্যাদি দেশগুলোতে গণতন্ত্রের মডেল সমান নয়। আমরা কোন মডেলই ফলো করি না, আবার নিজস্ব সময়োপযোগী কোন মডেলও আমাদের নেই। যা আছে তা হলো নেতা/নেত্রী তোষামোদতন্ত্র।
আপনার সাথে ঠিক একমত হতে পারলাম না, যা আছে সেটা হলো পরিবার তোষামোদতন্ত্র। ঠিক বলেছি কিনা আপনি চিন্তা করে বলুন! দেশটাকে এর পারিবারিক সম্পত্তি মনে করে। ভূল বললাম, নিন উদাহরন- গন ভবন পর্যন্ত কারো নামে বরাদ্দ হয়ে যায়!

শুনুন, সব কিছুর একটা শেষ হবে। হবেই হবে, তবে সেটা ভালো কিছুর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে না......

এই সব নিলর্জ্জ বেহায়া লোকদের ইতিহাস বার বার চোখে আংগুল দিয়ে দেখাতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু না বলেও পারা যায় না।
ইতিহাস বড় বেহায়া, এটা কাউকেই কখনোই ক্ষমা করে না..........

চমৎকার একটা লেখার জন্য আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছে রইল আর রেখে গেলাম শুভ কামনা.....।
ধন্যবা.





১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় @ নীল আকাশ ভাই,
আমি আপনার গল্পের একনিষ্ঠ পাঠক, সময় সুযোগ পেলেই আপনার ব্লগবাড়িতে হানা দেই নতুন গল্প পড়ার আশায়। আপনি যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আর গণতন্ত্র নামক মূলাতন্ত্র নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ করতে পারেন তা জানতাম না। আপনার এ মূল্যবান কমেন্ট আমার পোস্টের মর্যাদা অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে।

এদেশে রাজনীতিতে শেষ কথা নেই, অর্থাৎ নীতিহীন রাজনীতি আর অসাধু রাজনীতি ব্যবসায়ীদের চরিত্রের তারল্য বুঝাতে এই মহান বানীটি আমরা বলে থাকি। এদেশের পাবলিক এসব তেলেসমাতিক আর ডিগবাজি খাওয়া দালাল নেতাদের বড়ই মহব্বত করে। এজন্য এমপি/মিনিস্টার হতে তেমন বেগ পেতে হয় না। টাকায় পাবলিক কেনা যায় এদেশে। আমি নিজেও বিশ্বাস করি, ভোটাররা সচেতন না হলে যোগ্য প্রার্থী কখনো নির্বাচিত হতে পারবে না।

দেশের পলিটিক্সকে লাইনে আনতে হলে সবার আগে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এরাই দুষ্টু রাজনীতিবিদদের পাওয়ার বেইস। ছাত্র রাজনীতি নিয়ে এ লেখাটি কিছুদিন আগে লিখেছিলাম।

শীতকাল হলো মূলার সিজন। আশা করি, ডিসেম্বর মাসে মূলার বাম্পার ফলন দেখতে পাব। সাথে সিঙাড়া-সমুচা-কালো চা-সাদা চা ইত্যাদি। আপনি চমৎকার বলেছেন, "এটাই সেই মূলা যেটা যেটা পাবলিকের মুখের সামনে ধরা থাকে আর আম পাবলিক খাতু খাতু করে...আর দিন শেষে পশ্চাৎদেশে পায়।"

আপনি তো আমার চেয়ে এক কাটি সরেস!! "পরিবার তোষামোদতন্ত্র".... হুম, এটি এমন এক যাদুর বাক্স, তাহাদের সুনজর মানেই কেল্লাফতে!! বাড়ি, গাড়ি, বিদেশ ভ্রমণ, কানাডায় বেগম পাড়ায় বাড়ি ক্রয় সবই এক পলকে করা যায়। এ এক ভয়ানক "আলাদীনের চেরাগ"। যত তোষণ তত মধু। মজাই মজা।

শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। ভাল থাকুন আর আমাদের জন্য লিখুন। (ধন্যবাদ)

৩৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন:


ইংল্যান্ডে কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোর নাগরিকরা নির্বাচনে ভোটের অধিকার পায়। আমিও এজন্য ভোটার হয়েছিলাম। আমি তিনিটি পার্লামেন্টে নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। এছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোটার ছিলাম।

একদম জানা ছিল না আমার ভাইয়া ।খুব ভালো সিস্টেম মনে হলো । তাহলে আপনার আরও দারুণ অভিজ্ঞতাও আছে :) । আন্তরিক মন্তব্যে ভালোলাগা । অনেক ভালো থাকুন সেই কামনা ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আবারো কমেন্টে পেয়ে দারন খুশি হলাম প্রিয় ভাইকে। এ বিষয়টি আমিও জানতাম না। নির্বাচনের আগে আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে জেনে প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। নাগরিক না হয়েও ব্রিটেনের মত দেশে সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়া যায়? পরে অনলাইনে নিজের ঠিকানা দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলাম। এই প্রক্রিয়াটি খুব সিম্পল। কোন হয়রানীর সুযোগ নেই।

আর ইলেকশনের দিন তো আরো অবাক হলাম। ভোটকেন্দ্রের সামনে কোন দালাল, এজেন্ট কিংবা উৎসুক জনতার ঢল নেই। এক দুই জন করে এসে ভোট দিয়ে চলে যায়। ভোট দিতে ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগে না। জনজীবন খুব স্বাভাবিক। ভোটকেন্দ্রের বাইরে থেকে টেরই পাওয়া যায় না ভেতরে ভোট হচ্ছে! পুলিশ-টুলিশও নাই।

৩৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: আমার প্রিয় লেখকদের লেখা আমি খুব যত্ন করে পড়ি, বেশ ভালো ভাবে পড়ি, কনফিউশন থাকলে বার বার পড়ি যাতে ভালো ভাবে মন্তব্য করা যায়। এক্ষেত্রে জী এস ভাই্য়ের একটা কথা মনে পড়ে গেল - আমি কোনও লেখা পড়লে তা ধৈর্য্য নিয়েই সবটা পড়ি নইলে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য কি করে করবো ? একটু আধটু পড়ে বা না পড়েই বাহবা দিয়ে কোনও মন্তব্যই করিনে, করিও নি আমার ব্লগীয় জীবনে। ওটা লেখকের সাথে একরকম প্রতারণা করারই মতো । - আমি একটু বেশী, মন্তব্যগুলিও মনোযোগ দিয়ে পড়ি। তারপর প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করি।

রাজনীতি বলে আর যাই বলেন, আমি এটার খুব কাছে ছিলাম এক সময়, স্টুডেন্ট পলিটিক্সও বলতে পারেন। অনেক বছর খুব কাছ থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি হালচাল দেখেছি, ক্লোজ ফ্রেন্ডরা ছিল বিভিন্ন দলে, বিভিন্ন ভার্সিটিতে, একসাথে আড্ডা মারতাম, সবই শুনা হত। বিশ্বাস করুন চরম হতাশা নিয়ে চলে এসেছি। এই ব্লগে এসে দেখি কিছু ব্লগের হুদাই না জেনে না বুঝে এইসব দল গুলিকে সমর্থন করে নির্বোধের মতো দিন কে দিন পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, এদের কে যাদের জন্য চিল্লচিল্লি করছে মনে হয় চিনেও না। এরকম লোকজন বহু দেখেছি, এর ইলেকট্রিসিটি ছাড়া মাইক হিসেবে খুব ভালো ফল দেয়, কোন খরচপাতি করতে হয় না। ;)
বাংলাদেশে বর্তমান রাজনীতি কে আমি ঘৃনা করি। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন এখান থেকে ভালো কিছু আসতে পারে আমার মনে হয় না।
তবে আমি হতাশা গ্রস্থ নই, একটা পরিবর্তন আসবেই, না এসে পারে না......কালের ইতিহাস তাই বলে....এরা এক সময় সময়ের আস্তা কূড়ে পরে হারিয়ে যাবে কিন্তু যা ক্ষতি করার তা করবেই। এটাই সময়ের খেলা......জানিনা সেটা কবে হবে....।

আপনি আমার খুব কাছের একজন ব্লগার। আমি আপনার গল্পের একনিষ্ঠ পাঠক, সময় সুযোগ পেলেই আপনার ব্লগবাড়িতে হানা দেই নতুন গল্প পড়ার আশায়। - কি সম্মান যে আপনি আমাকে দিলেন তা আমি লিখে মনে হয় শেষ করতে পারবো না!

ব্লগের মিথস্ক্রিয়ায় অবশ্যই আমাদের সব সময় কথা হবে।
ভালো থাকুন আর আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"আমার প্রিয় লেখকদের লেখা আমি খুব যত্ন করে পড়ি, বেশ ভালো ভাবে পড়ি, কনফিউশন থাকলে বার বার পড়ি যাতে ভালো ভাবে মন্তব্য করা যায়।"....... আমার মত সাধারন একজন ব্লগারকে প্রিয়তে নিয়েছেন; এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমিও মনে করি, গঠনমূলক মন্তব্য করতে হলে পোস্ট ও কমেন্টগুলো আগে মনযোগ দিয়ে পড়তে হবে। না হলে লেখকের মূল বক্তব্য অনুধাবন করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আর @ আহমেদ জী এস সাহেবের সুচিন্তিত মন্তব্য যেকেন ব্লগারকে অনুপ্রাণিত করবে।

আপনার স্টুডেন্ট পলিটিক্সের আশাভঙ্গের কাহিনী শুনে মন খারাপ হয়ে গেল। আপনার আমার মত হাজার হাজার তরুন এভাবে রাজনৈতিক কুটকৌশলের শিকার হয়ে রাজনীতি থেকে চিরদিনের মত মুখ ফিরিয়ে নেয়। এগুলো মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। নতুন প্রজন্ম রাজনীতি সচেতন না হলে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠবে না। তবে আপনার মত আমিও আশাবাদী। সামনের দিনগুলোতে একটি গুণগত পরিবর্তন আসবে রাজনীতিতে।

ব্লগের মিথস্ক্রিয়ায় অবশ্যই সব সময় পাশাপাশি থাকবো। আবারো ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

৪০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

এদেশের সুশীল সমাজ অনেক সময় আমার কাছে মেরুদন্ডহীন মনে হয় ।
একজন স্বৈরাচারের কিংবা ফ্যাসিস্ট দলের প্রপাগান্ডাবাজদের পক্ষে অবস্হান নেয়ার কোন যুক্তি নেই।

ক্ষমতার মসনদের জন্য যারা সব বিকিয়ে দেয় তাদের পক্ষে আমি নেই।

গণতন্ত্র মুক্তি পাক। স্বৈরাচার নিপাত যাক। আর যারা গণতন্ত্রের কারিগর হবে । মানুষের ভোটাধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অবতীর্ণ তারাই বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান। সত্যের জয় হোক।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় কবি, শুভেচ্ছা রইলো। আপনার কমেন্ট আমার জন্য অনেক প্রেরণাদায়ক। আসলে এদেশে এখন আর 'সুশীল সমাজ' বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। এখন দালাল, তোষামোদী আর তদবির সমজ সুশীলদের জায়গায় অবস্থান করছে। এ দেশে ভিসি হতে হলে, বিচারপতি হতে হলে, সুশীল সার্টিফিকেট পেতে হলে রাজনৈতিক সুনজর লাগে। এজন্য মেরুদন্ড সোজা রেখে সুশীলরা ঠিকতে পারে না।

ক্ষমতা বড়ই মিঠা জিনিস।

গণতন্ত্র মুক্তি পাক লিখে যাকে বন্ধুকের সামনে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি যদি দেখতেন এখন সেই সব নেতারা, তাদের রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচারদের জামাই আদর করছে। তাদের এখন গলায় গলায় পিরিতি। যদিও 'নূর হোসেন দিবস' বেঈমান নেতারা পালন করে। দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র আসুক, মানুষ সচেতন হোক।

৪১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে জোটবদ্ধ রাজনীতির খেলা শুরু হয়। এই জটিল বিষয়টির উপর কিছুটা আলোকপাত করে রাজনীতি-অসচেতন পাঠকদের বিষয়টি বোঝার জন্য বেশ সুবিধে করে দিয়েছেন, এ জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
আইন আদালত আর শাসন ব্যবস্থা গাণিতিক হারে কলুষিত হলে রাজনীতি জ্যামিতিক হারে অধঃপতিত হয়। আমাদের দেশে এখন সেটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



স্যার, আপনার কমেন্ট পেয়ে দারুন সুন্দর অনুভূতি হলো। এতে সব সময় প্রেরণা পাই। আসলে পৃথিবীর সভ্য কোন গণতান্ত্রিক দেশে ডান-বাম-ইসলামী-কমিউনিস্ট দলগুলো মিলে কোন রাজনৈতিক জোট হয় না। কারণ এসব দলের নীতি, আদর্শ আর দর্শন সমান নয়। ইলেকশন পরে যদি বড় কোন রাজনৈতিক দল সর্বাধিক আসন পেয়েও সরকার গঠন করার মত পর্যাপ্ত আসন হয় না, তখন সম মনা ছোট ছোট দলগুলোর সাথে জোটবদ্ধ হয়।

আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা এসব নীতির তোয়াক্কা করে না। ভোটারদের মধ্যে সচেতনতার অভাব হওয়ার এরা পার পেয়ে যায়। এসব জোট হলো পাবলিকের চোখে ধূলা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া। নিজের আখের গোছানো। তবে এরা মুখে মুখে বলে, "জনগন সকল ক্ষমতার উৎস"। মূলতঃ এই মুলা ভোটারদের সামনে ঝুলিয়ে ভোট ছিনতাই করে।

শুভ রাত্রি, স্যার।

৪২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: Only real educated and honest citizen can nurser the politics. But in Bangladesh we, most of the population are illiterate. So democracy is only a dream for us.

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



Democracy; in modern usage, has three senses—all for a system of government where the citizens exercise power by voting. In a direct democracy, the citizens as a whole form a governing body and vote directly on each issue. In a representative democracy the citizens elect representatives from among themselves.

The term "democracy" is sometimes used as shorthand for liberal democracy, which is a variant of representative democracy that may include elements such as political pluralism; equality before the law; the right to petition elected officials for redress of grievances; due process; civil liberties; human rights; and elements of civil society outside the government.[citation needed] Roger Scruton argues that democracy alone cannot provide personal and political freedom unless the institutions of civil society are also present.

But unfortunately, in Bangladesh educated & capable people are not welcome by political parties. Most voters are illiterate & less conscious. Thats why Democratic systems are not functioning well.


Thanks, Mr. Firoz (good night)

৪৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার সচেতনতা ভালোলেগেছে , চমৎকার বিশ্লেষণ।
সবকিছু চলে আমাদের দেশে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মাঝে। আফসোস ! আক্ষরিক অর্থেই সবকিছু।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা, কেমন আছেন? আশা করি, প্রবাস জীবনে সংসার-সন্তান নিয়ে খুব সুখে আছেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি নিয়মিত ব্লগিং করেন দেখে ভাল লাগে। আপনাদের মত গুণীজন হলেন এ ব্লগের নিউক্লিয়াস। আমি সত্যি খুব আনন্দিত হই আপনার কমেন্ট পেয়ে। আমি যদিও রাজনৈতিক কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত নই, তবুও দেশের রাজনীতির খবরাখবর রাখার চেষ্টা করি। একজন নাগরিক হিসাবে দেশের অপরাজনীতি আমাকে কষ্ট দেয়। এদেশে গণতন্ত্র হলো একটি সুবিধাবাদী এলিট শ্রেণীর ক্ষমতা কুক্ষিগত করার, পাবলিকের ভোট বোতল বন্ধী করার কৌশল মাত্র। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও আমরা দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব পাইনি। ফলে জাতি হিসেবে আমরাও এগোতে পারিনি। তবে আমি আশাবাদী মানুষ; আগামী দিনে নতুন নেতৃত্বের মধ্য থেকে কেউ না কেউ উঠে আসবে।

শুভ কামনা রইলো, আপা।

৪৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রাজনীতি ধরনটা কিন্তু অর্থেই আমাদের দেশে ভিন্ন।। এখানে দেশপ্রেমিকদের সংখ্যা কম আর ব্যাবসায়ীদের সংখ্যাই বেশী।।
এখন দেখুন তো, নেতাদের মাঝে কে যে "কোথাথেকে" উঠে এসেছে বলা মুশকিল।। শুধু বর্তমান গুন কীর্তন।।
এখন আসলে আমরা সবাই মিলে সেই নেতাদের সুরেই কীর্তনের দোহার গাইছি।।
লোপার গানের মত, এর থেকে বেশী নয় বলা।।





































১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে খুব ভাল লাগলো। আশা করি, ভাল আছেন। আপনি অনেক অভিজ্ঞ মানুষ। একাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে আজ অবধি অনেক কিছুর স্বচক্ষে দেখেছেন। আপনি যথার্থই বলেছেন, এদেশে দেশপ্রেমিকের সংখ্যা কম কিন্তু রাজনৈতিক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। এদেশে রাজনীতির চেয়ে বড় ব্যবসা আর নেই। কোন রকমে এমপি/মিনিস্টার হতে পারলে "আলাদীনের চেরাগ" হাতে পাওয়া যায়। এজন্য ইলেকশন আসলে ব্যবসায়ীরা এমপি হওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা খরছ করে। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা কোটি টাকার বিনিময়ে এদের কাছে নমিনেশন বিক্রি করে।

দুঃখজনক।

৪৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কাউসার অনেক না হলেও রাজনীতির অভিজ্ঞতা আছে কিছুটা।। অনেককে উঠতে দেখেছি।। পতনও।।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই, এটাও কিন্তু একটি বুলিই
বড় কথা নয়, অনেককে নেতা বানাতে সাহায্য করেছি বা ভিন্নভাবে বলা যায় আমাদের ব্যাবহার করেই...… অবশ্যই তারা আমাদের চেয়ে বুদ্ধিমান।।
আমার অসংলঙ্গ কথায় বুঝে নিয়েছেন।।
আর ধন্যবাদ এমন বাস্তববাদী লেখার জন্য।। যে সাহসটুকু আজ আমি ও হারিয়ে ফেলেছি

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি ঠিকই বলেছেন, রাজনীতিতে উত্থান-পতন আছে। এজন্য বৃহৎ এক দলের নেত্রী আজ কারাগারে। এদেশে পাওয়ার পলিটিক্সে যে পেছনে পড়ে যাবে তাকে পাওয়ারফুলরা দুমড়ে মুচড়ে, লাথি মেরে এগিয়ে যায়। আমরা এদেরকে ভোট দিয়ে মহাপরাক্রমশালী বানিয়ে দেই।

অফটপিক, শুনেছিলাম আপনার চোখে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আশা করি, এখন ভাল আছেন। আশীর্বাদ করি, সুস্থ থাকুন সব সময়।

৪৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চশমাটা বদলে নিয়েছি।। তবু ডান চোখে একটু ছানি পড়েছে।।
এই সামান্য ব্যাপারটিও আপনার দৃষ্টি এড়ায় নি দেখে, কৃতজ্ঞ।।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনাকে বেশ কয়েকদিন ব্লগে না দেখে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আশা করি, নতুন চশমা নেওয়ার আগের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন। শরীরের প্রতি আরো যত্নবান হবেন আশা করি। দুশ্চিন্তা কম করবেন। দোয়া করি আপনি সুস্থ শরীর নিয়ে অনেক অনেক দিন আমাদের মাঝে থাকুন।

৪৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভাইয়া কি আছে ? :|| এই মাসে মাত্র একটি লেখা, নতুন গল্প কবে পাচ্ছি ভাইয়া ? বিজি আছেন নাকি অন্যকিছু ? আপুনি টা কে ও ভুলে গিয়েছেন ? :(

(রাজনীতি বিষয়টি আমার ভালো লাগেনা তাই লেখা নিয়ে নো কমেন্ট)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আ-পু-নি-!!
অনেক অনেক খুশি লাগছে আমার, প্রিয় কথাপুর আমার কথা মনে আছে দেখে B-)। এ মাসে ব্যস্থতা এতো বেশি যে, ঠিকমত ব্লগ পর্যন্ত পড়তে পারছি না। আপনাকেও অনেক মিস করি। আপনার গত ২-৩টি পোস্ট পড়া হয়নি। এজন্য দুঃখিত :(। সময় করে অবশ্যই পড়বো। গল্পের বেশ কয়েকটি প্লট মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু ব্যাটে বলে হচ্ছে না! আশা করছি ডিসেম্বর মাসে গল্প পোস্ট করবো।

খোঁজ নিতে ব্লগে আসায় কৃতজ্ঞতা রইলো। (শুভ রাত্রি)

৪৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব ব্যস্ততা কি কাটেনি? অনেকদিন হলো দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে না। আমরা যে বড় দুশ্চিন্তায় আছি । গত দু'দিনে বড়জোড় দুটি কমেন্ট দেখলাম অন্যের পোস্টে। আমার ভাবছি দেশে আছেন কিনা।


শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় গুরুদেবকে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজি!! স্যরি!!!
ডিসেম্বর মাস পুরোপুরি সামুতে সময় দেব। আপনাকে খুব মিস করি। কবে দেখা হবে জানি না। খুব মিস করি প্রিয় ভাইকে। দুই সপ্তাহ দেশের বাইরে ছিলাম অফিসিয়াল কাজে। ইদানিং নিজের চা কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্বও পড়েছে এজন্য খুব প্রেসারে থাকি। এজন্য ব্লগের হাজিরা খাতায় " অনুপস্থিতি" বাড়ছে!!

৪৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

বলেছেন: কেমন আছেন চৌধুরি ভাই ?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"রহমান লতিফ" ভাই কেমন আছেন? মিস করি আপনাকে; তবে আপনার কবিতা নিয়মিত পড়ি। কমেন্ট করার চেষ্টা করি। আমি ভাল আছি; তবে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে ইদানিং।

৫০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৫

আরোগ্য বলেছেন: কাওসার ভাই আশা করি আরোগ্য আছেন। সম্প্রতি মাইদুল ভাইয়ের পোস্টে আপনাদের মত গুণীজনদের পাশে আমার নামও এসেছে। দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছি সেই সাথে বিব্রত বোধ করেছি।
চাঁদগাজী সাহেবতো তার মন্তব্যে আপনাদের চারজনের নাম উল্লেখ করেছেন। বাকী আমাদের ছয়জনকে তো গোনায় ধরলেন না।
আপনাদের মত ব্লগারদের অনুপ্রেরণা না পেলে হয়তো সত্যি হারিয়ে যেতাম।
নতুন পোস্টের অপেক্ষায় আছি।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কেমন আছেন, প্রিয় আরোগ্য ভাই? আমার প্রত্যাশা ও বিশ্বাস খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। গতকাল মাইদুল ভাই এ বছরের নতুন কয়েকজন ব্লগার নিয়ে ইতিবাচক একটা পোস্ট লিখেছেন। উনার দৃষ্টিতে যারা ভাল লিখেন, নিয়মিত ব্লগে সময় দেন, পোস্টে গঠনমূলক মন্তব্য করেন তাদেরকে নিয়ে। উনার ছোট্ট এ তালিকায় আপনাকে দেখে খুব ভাল লেগেছে। আপনি পোস্টে ও মন্তব্যে ব্লগে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেছেন। এই সম্মান আপনার প্রাপ্য।

আর ব্লগে কত রকমের মানুষের আনাগোনা থাকে। সবার রুচি, বোধশক্তি আর সহ ব্লগারদের প্রতি সম্মানবোধ সমান নয়। এগুলোকে ইগনোর করেই এগিয়ে যেতে হবে। যারা গঠনমূলক মন্তব্য করেন তাদের প্রতি বিরূপ না হয়ে ইতিবাচক ভাবে নিলে লেখার মান বাড়াতে সহায়ক হবে। এতে লেখায় পরিপক্বতা আসবে। নিজের কাজটি সঠিকভাবে করার চেষ্টা করুন, দেখবেন সবাই মূল্যায়ন করবে। তবে এক-দুইজন ফালতু হিংসুটে সমালোচককে গুরুত্ব না দেওয়াটা বাঞ্ছনীয়।

৫১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

হাবিব বলেছেন: আমি নতুন কোন পোষ্ট করতে পারতেছি না....... you are banned from new post... লেখা আসতেছে। কোন নোটিশও নাই, নতুন মেইলও নাই

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভ সকাল, হাবিব ভাই। গত রাত ১১টা ১৫ মিনিটের পর থেকে ব্লগে নতুন কোন লেখা আপডেট/আপলোড হচ্ছে না। মনে হয় ব্লগে ট্যাকনিক্যাল কোন সমস্যা হয়েছে। আমি অনেকবার চেষ্টা করেও নতুন পোস্ট আপলোড করতে পারিনি। বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। টেনশনের কিছু নেই ঠিক হয়ে যাবে।

৫২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
প্রিয় কাউসার ভাই। শুভ সকাল।

আপনাকে দেখতে আসলাম। কেমন আছেন????


পোস্টটা এখনো পড়েনি 8-|

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



@ স্রাঞ্জি সে ভাই, কেমন আছেন? ব্লগে আপনাকে কয়েকদিন থেকে কম দেখছি। আশা করি, খুব ভাল আছেন। গত রাতে একটি লেখা পোস্ট করতে অনেকবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু ব্লগের টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য হয়নি। আমার পোস্টগুলো একটু বড় হয়, এজন্য কারো কারো কষ্ট হয়। তবে সময় সুযোগে লেখাটি পড়লে ভাল লাগবে।

শুভ কামনা রইলো ভাই। ভাল থাকুন আর নিয়মিত ব্লগ লিখুন।

৫৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

আল আমিন সেতু বলেছেন: কাউসার ভাই এটাই দেখছি আপনার লাস্ট পোস্ট। অনেকদিন ধরে আপনিও সামুতে নেই। লিখাটিতে এদেশের রাজনীতির কুৎসিত ফিলহাল উঠে এসেছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসল। এ নিয়ে ফিচার লিখুন । কোন দল কেমন ? কাদের জয়ের পাল্লা ভারী ? ভোটের হিসেব-নিকেশ ।নির্বাচন পূর্বাপর অবস্থা কী হতে পারে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




@ সেতু ভাই, আমি গত ২-৩ মাস থেকে একটু বেশি ব্যস্ত। এজন্য আগের মত নিয়মিত পোস্ট লেখতে পারছি না। আশা করছি, ডিসেম্বর মাসে ব্যস্ততা কমবে, তখন লেখতে চেষ্টা করবো। এ পোস্টে আমি দেশের overall রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখতে চেষ্টা করেছি। আলাদা আলাদা দলগুলোর আমলনমা নিয়ে, গণতন্ত্রের ভেলকিবাজি নিয়ে, নেত্রী পূজা নিয়ে লিখি না। বড় দলগুলোর রাজনৈতিক অদূরদর্শীতা দেখে কষ্ট পাই। এজন্য এগুলো নিয়ে লিখতে রূচিতে অরুচি আসে। এছাড়া সাধারন ভোটার/পাবলিক/কর্মী এরাও সচেতন নয়। তবে নির্বাচন নিয়ে ডিসেম্বর মাসে একটি হলেও ফিচার লেখবো আশা করি। তবে, কোন দল ক্ষমতায় যাবে, কার পাল্লা ভারী এগুলো নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। এরা মূদ্রার এপিট-ওপিট। এদের কেউ খারাপ, আর কেউ খারাপের মধ্যে আরো খারাপ।

ভাল থাকুন, প্রিয় সেতু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.