নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিত্তিহীন কিছু গালগল্প ও কোরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা | এভিডেন্স পোস্ট

২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭



ঘটনা এক

নবী স. ও ইহুদি বুড়ির গল্প । ইহুদি বুড়ি নাকি কাঁটা বিছিয়ে রাখতো । একদিন কাঁটা দেখতে না পেয়ে নবী স. ওই ইহুদির মহিলাকে অসুস্থ অবস্থায় পেলেন ও সেবা করলেন !!!

এই গল্পের কোন প্রমাণ কোরআন হাদিস ও ইতিহাসে নাই । আপনি জেনে থাকলে কমেন্ট করুন ।

ঘটনা দুই

কাবা শরীফের উপরে পাখি উড়ে না বিমান যায় না ! অভিকর্ষ নাকি সব কিছুকে টেনে নিয়ে যায় !

সম্পূর্ন ভুল কথা । কাবার উপরে যে পাখি উড়ে ইভেন বসেও থাকে তার অনেক ভিডিও ইউটিউবে আছে। ওই জায়গায় ক্যামেরা নেয়ায় কিছুটা বিধিনিষেধ থাকায় মানুষ এসব সম্পর্কে অবগত নয় । আর বিমান উড়ে না কারণ কাবা হচ্ছে রেস্ট্রিক্টেড এয়ারস্পেস । এর উপরে দিয়ে বিমান উড়ালে সৌদি সেনাবাহিনীর এয়ারডিফেন্স আর্টিলারির মিসাইল দিয়ে বিমান শুট ডাউন করা হবে। যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর বাসভবনের অর্থাৎ হোয়াইট হাউসের উপর দিয়েও বিমান চালানো নিষেধ । এরকম আইন না থাকলে বিমান ঠিকই ওড়ানো যেত । কোরআন হাদিসের কোথাও কাবার উপরে কিছু উড়তে পারবে না এমন কথা বলা নেই । আর অভিকর্ষের কারণেই যদি বিমান না উড়তো তবে তো হজ্জ্ব করতে যাওয়া মানুষদেরই আগে কাবা শরীফের গায়ে আটকে থাকার কথা !

ঘটনা তিন

বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর দেশে মরলে কোন হিসেব নিকেশ হবে না ।

একদম ফাও কথা । সাহাবীরা যেখানে মরার পরে নবীর দেশ আরবে থেকেও হিসেবে নিকেশের ভয় করতো ঐখানে আব্দুল কাদের জিলানীর রেফারেন্স দিয়ে শাস্তি মওকুফ একদম মিথ্যা কথা ।

ঘটনা তিন,

নবীর দেশ বলে সৌদি আরবের কোন অভাব হবে না । তারা স্বর্ণের উপরে ভাসমান !!!

বড়োই উদ্ভট কথা ! তেল আবিস্কার হওয়ার আগে আরব বিশেষত সৌদির লোকজন চরম দরিদ্র ছিলো । খিলাফত শেষ হওয়ার পর তাদের দুর্দশা নেমে আসে ! এখন যখন তেলের ভান্ডার ফুরিয়ে আসছে তখন সৌদি আরবের ক্ষমতাসীনরা মক্কা মদিনাকে আলাদা রেখে বাকি আরবকে পর্যটন কেন্দ্র বানাতে কাজ করছে যাতে আরব আমিরাতের মতো টাকা কমানো যায় । এরচেয়েও বড় কথা নবীর স. সময় আরব পুরোটা এক ছিল, কাজেই এখন সৌদি আলাদা বলে তারা সব পাবে আর বাকিরা কিছু পাবে না ওটা কেমনে হয় !


ঘটনা চার,

মক্কা পৃথিবীর কেন্দ্র !

যদি বলা হয় এই সেন্সে যে মানুষের ধর্মীয় মিলনস্থল তবে ঠিক থাকতে পারে কিন্তু যদি এটাকে জিওগ্রাফিক্যাল দৃষ্টিতে বলা হয় তবে এটা একদম মিথ্যা কথা।

পৃথিবীর কি সমতল নাকি যে এর ভূপৃষ্ঠস্থ কেন্দ্র থাকবে ?!!!
পৃথিবী হলো গোলাকার । এর কেন্দ্র হচ্ছে মাটির ৬৫০০ কিঃমিঃ গভীরে যেটা অতি উত্তপ্ত প্রায় ৬০০০℃ তাপমাত্রার(এই তাপমাত্রা সূর্যের পৃষ্ঠেও !!! বুঝেন তাইলে কতো গরম পৃথিবীর কেন্দ্র । এনিওয়ে সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা হলো প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস !!!) লোহা দিয়ে গঠিত ! তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেয়া যায় সমতল কেন্দ্র আছে তবে ওটা হবে অক্ষ রেখা ও দ্রাঘিমা রেখার মিলনস্থল যেটা আফ্রিকার দেশ ঘানার দক্ষিণ দিকে ৬১১ কিঃমিঃ দূরে আটলান্টিক মহাসাগর আরো স্পেসিফিকলি বললে গিনি উপসাগরে অবস্থিত ।

ঘটনা পাঁচ

ফেরাউনের লাশ পাওয়া গেছে সাগরের নিচ থেকে ।

ফেরাউনের বলতে একটি পদবীকে বুঝায়(ফারাও) । মুসা আ. এর সময়কার ফেরাউন ছিলো অলিদ। তো ফেসবুকে ও ইউটিউবে যে লাশটির ভিডিও দেখানো হয় এবং বলা হয় ওটা নাকি লোহিত সাগরের নিচ থেকে উঠানো হয়েছে সেটা একদম প্রমাণ ছাড়া কথা । আল্লাহ যে ফেরাউনকে শাস্তি দিয়েছিল তার লাশ বলে ওটাকে প্রচার করা হচ্ছে সেটা বিশ্বাস করা যেত তখনই যখন এটা আসলেই পানির নিচ থেকে উঠানো হতো। যে ভিডিওটিকে বা ভিডিওর ফারাওকে অর্থাৎ রামসেস-২ কে ফেরাউন বলা হচ্ছে তার মমি উদ্ধার করা হয়েছিল ১৮৮১ সালে মিশরের "দেইর আল বাহারি" নামের এক গোপন রাজকীয় কুঠুরীর ভেতরের থেকে, সাগরের নিচ থেকে নয়। এছাড়া আসল ফেরাউনের লাশের ব্যাপারে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন তিনিই সেটাকে নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণ করছেন কিন্তু রামসেস-২ এর লাশকে ১৯৭৫ সালে ফ্রান্সে পাঠিয়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশন এর ট্রিটমেন্ট করা হয় । কাজেই রামসেস-২ কোনমতেই কোরআনের বর্ণিত ফেরাউনের লাশ বা মমি নয় ।


আমার কথা যাচাই করে দেখতে পারেন ইন্টারনেটে বা আপনার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে । ভুল প্রমাণিত হলে ভ্যালিড এভিডেন্স সহকারে কমেন্ট করে জানান , আমিও শিখি সত্যটা ।


এই পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য কি ???

উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে কোন মুসলিম ধর্ম নিয়ে তর্ক করতে যেয়ে বিপাকে না পড়ে । এই জিনিসগুলো আমি নিজেও আগে জানতাম না । এই কারণে ব্লগে নাস্তিকদের সাথে তর্ক করতে গেলে ঝামেলায় পড়তাম !

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এমন অনেক গাল গল্প আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে।যা সাধারন মানুষ বিশ্বাসও করে।
এই সব মিথ্যা গাল গল্প থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজদ করুন।
সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

রসায়ন বলেছেন: এগুলোর কৃতিত্ব কতিপয় হুজুরদের । পান চাবায় আর এসব আবোল তাবোল কথা বলে মুসলিমদের বিপাকে ফেলে !

২| ২৩ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিশ্বাসে বস্তু মেলে তর্কে বহুদুর।
দেখাযাক জ্ঞানী ব্লগাররা কি বলে

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

রসায়ন বলেছেন: জ্ঞানী ব্লগার কি জিনিস ভাই। মাথার ব্রেন কাজে লাগালেই তো হয়।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আপনার কথায় যু্ক্তি আছে বটে ।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৫| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি দেখেছি ধার্মিকেরা বেশি কুসংস্কারবাদী হয়।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

রসায়ন বলেছেন: আমার মতে ধার্মিকরা বেশি উদাসীন হয় । এরা নিজেরা কিছু জানার প্রয়োজন মনে করে না । হুজুর , পুরোহিত , ফাদার এসব ধর্মগুরুর কথা চোখ বুজে বিশ্বাস করে আর এই সুযোগে কিছু ধুরন্ধর ধর্মগুরু কুসংস্কার এর বিস্তার ঘটিয়ে নিজের আখের গুছায় ।

৬| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ধর্মের বিষয় নিয়ে তর্ক করতে গেলে ধর্ম বিষয়ে আগে জানতে হবে।সেই লাইনে পড়াশুনা করতে হবে। আপনার মতে আমি গায় মানেনা আপনে মোড়ল সাজবো? যত্তসব

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

রসায়ন বলেছেন: মোড়ল সাজতে গেলাম কই !
এনিওয়ে, খাজুইরা আলাপ করার সময় নাই। পোস্টের কোন একটা ঘটনা মিথ্যে প্রমাণ করতে পারেন কিনা দেখেন। লাগলে কাবার ইমাম সাহেবের সাহায্য নেন ।

৭| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ফেরাউনের লাশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ আরো বাড়লো।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

রসায়ন বলেছেন: জানুন ভাই । যত জানবেন ততোই কাঠমোল্লাদের কাস্টমার কমবে । মুসলিম হিসেবে পড়াশোনা করা বা জানা আমাদের উপরে ফরজ ।

৮| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

কানিজ রিনা বলেছেন: হযরত মোহাঃ সাঃ যাতায়াতের পথে কাঁটা
বিছিয়ে রাখত আবু লাহাবের স্ত্রী। সুরা
লাহাবের সানে নজুল পড়ার জন্য অনুরোধ
রইল। হযরত মোহাঃ সাঃ জীবন আদর্শে
এরকম অনেক অনেক ঘটনা বর্ণিত আছে
যা হাদীসে উঠেছে। হযরত মোহাঃ সাঃ জীবন
আদর্শ বর্ণিত হাদীস সবই কোরআনে উল্লেখিত
নাই। সাহাবা খলিফার মুখের বানী হাদীসে
বর্ণিত করা হয়েছে। যুক্তি কিন্তু আরজ আলি
মাতব্বরও দেখিয়েছিল। আপনি এক কাজ
করুন বিজ্ঞানী ডাঃ শমসের আলির কোরআন
ভিত্তিক বিজ্ঞানের বইগুল সংগ্রহ করুন জ্ঞানের পরিধি বাড়বে। পৃথিবীর মাঝখান কোন বরাবর
মক্কা অবস্থিত শমসের আলির গবেশনায়
পাবেন। ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

রসায়ন বলেছেন: আবু লাহাবের স্ত্রী আর প্রচলিত বুড়ির ঘটনা একদম আলাদা । বুড়ির ঘটনায় এটা বলা হয়েছিল যে, বুড়ি নাকি রাসূল স. গুণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম এনেছিলো কিন্তু লাহাবের স্ত্রী তো কোরআন কর্তৃক ঘোষিত জাহান্নামি ।

শমসের আলী কি "গবেশনা" করেছিলেন যেটা জেনারেল লজিকে প্রমাণ হয় না ? আপনিই একটু কষ্ট করে মক্কার অবস্থান সংক্রান্ত উনার বক্তব্য উপস্থাপন করুন । পড়ে দেখি ।

৯| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার মতে ধার্মিকরা বেশি উদাসীন হয় । এরা নিজেরা কিছু জানার প্রয়োজন মনে করে না । হুজুর , পুরোহিত , ফাদার এসব ধর্মগুরুর কথা চোখ বুজে বিশ্বাস করে আর এই সুযোগে কিছু ধুরন্ধর ধর্মগুরু কুসংস্কার এর বিস্তার ঘটিয়ে নিজের আখের গুছায় ।

জ্বী, ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

রসায়ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

১০| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

কানিজ রিনা বলেছেন: শমসের আলি একজন বিজ্ঞানী জেনারেল
লজিকে প্রমান হবে না কেন? বিজ্ঞান তো
জেনারেল লজিক। তবে আমি ডাঃ শমসের
আলির গবেশনার লজিক বুঝাতে আর একটু
পড়তে হবে। তথাপি আপনি দেখুন ইউটিউবে
মক্কা অবস্থিত কোন বরাবর বিস্তারিত পাবেন।
পৃথিবী গোল ভূপৃষ্ট সমতল পরিমাপে মক্কা
পৃথিবীর মাঝখানেই অবস্থিত। ইসলাম নিয়ে
তর্কের বিষয় না বুঝার জানার জ্ঞানের বিষয়।
ধরুন একটা রুটি জড়ানো অবস্থায় থেকে
সমান করলে যেমন রুটির মাঝখান ও চারপাশ
পরিমাপ করলে মাঝ খানের অবস্থান
জানা যায় তেমনই পৃথিবী সমতল পরিধি
পরিমাপে মক্কা মধ্যখানে অবস্থিত। ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

রসায়ন বলেছেন: আপনার কথার কোন যুক্তিই পেলাম না। আর ইউটিউবে এরকম এভিডেন্স ও প্রুফ সহ তেমন কোন ভিডিওই নেই আজাইরা টক শো ছাড়া !
আপনার রুটির কথা ধরেই বলি, আপনি একেতো গোলাকার পৃথিবীকে সমতল ধরে নিয়ে প্রথম উল্টো কাজটা করলেন । যেটা দেওয়াই আছে গোলাকার ওটাকে আবার সমতল ধরতে হবে কেন । আচ্ছা এরপরও যদি ধরেও নিলাম সমতল হিসেবে তাহলে মক্কা কেন আমি পৃথিবীর যেকোনো অংশকে সেন্টার ধরে এটিকে বিস্তৃত করতে পারি । যেমন আপনি একটি কমলার খোসার যেকোনো অংশকে কেন্দ্র ধরে বাকি অংশকে আলাদা করতে পারেন। এতে তো যেকোনো একটি অংশ সেন্টার হিসাবে প্রমাণ হয় না ।

১১| ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

কানিজ রিনা বলেছেন: একটা কমলার খোসা সম্পুর্ন অক্ষত অবস্থায়
সমান ভাবে
পরিমাপ করলে নিশ্চয় মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে
নিতে পারি সাগর মহাসাগর ধরেই, সেই
মধ্যবর্তী অবস্থানেই মক্কা অবস্থিত। আমি
তোমাকে বোঝাতে পারবো বলে মনে করছিনা।
ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

রসায়ন বলেছেন: সেটাই তো বললাম । আপনি কমলার খোসার কোন বিন্দুকে কেন্দ্র করে খোসা সমান ভাবে ছাড়ানো শুরু করবেন তার বিপরীত পাশই হবে সেটার সেন্টার । যেমন আপনি চিলির পার্শ্ববর্তী প্রশান্ত মহাসাগর থেকে যদি পৃথিবীর খোসা ছাড়ানো শুরু করেন তবে ছাড়ানো খোসার কেন্দ্র হিসেবে পাবেন ওই অংশের বিপরীত অংশকে অর্থাৎ বাংলাদেশকে !!!
এরমানে কি এই দাঁড়ালো যে, বাংলাদেশই পৃথিবীর কেন্দ্র ?????
তেমনি মক্কার বিপরীত প্রান্ত থেকে যদি পৃথিবীর ভূমিকে সমান করতে শুরু করেন তবে কেন্দ্র হিসেবে আসবে মক্কা।

সহজ কথা বোঝেন না কেন ।

১২| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুক ও ইউটউবের যুগে এইগুলো আরো বেশি বিস্তার লাভ করেছে।কিছু দিন আগে একটা ইসলামী গান ফেসবুকে লোড করে বলা হল এটা নাকি মাইকেল জ্যকসনের গাওয়া শেষ গান যেটা নাকি তার মৃত্যর পর প্রকাশিত হয়েছে! পরে বিরুদ্ধ পক্ষ মুল গায়কের নাম ধাম হাজির করল। একটা ভিডীওতে দেখলাম কাবা শরীফে জ্বীনের ভিডিও! এই ধরনের কাজ কারবার আসলে ইসলামের অযথা ক্ষতি করছে।

যে বিশ্বাষী তাকে যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস করানোর কিছু নাই। বিশ্বাস সে করবেই। আর যে অবিশ্বাশী তাকে হাজারো যুক্তি দিয়েও বিশ্বাস করানো যাবে না।

২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

রসায়ন বলেছেন: এরকম আরো আছে যেমন নিল আর্মস্ট্রং নাকি মুসলিম হয়েছিস চাঁদে আজান শুনে । অথচ তিনি মুসলিম হননি আর তার থেকেও বড় কথা চাঁদে কোন বাতাসই নেই তো শব্দ আসবে কোত্থেকে !!

এসব ফাউল কথাবার্তা বলে মুসলিমদের হেয় করা হচ্ছে । যেসব মুসলিম পড়াশোনা করেন না তারা সুবাহানাল্লাহ বলে চিৎকার করছে আর যারা পড়াশোনা জানা তারা এসবের জন্য নাস্তিক ও ভিন্নধর্মীদের কাছ থেকে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন !

১৩| ২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার সাথে আমার কোলাকোলি করা দরকার।

২৩ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫

রসায়ন বলেছেন: ঈদ আছে সামনে !

১৪| ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

শিখণ্ডী বলেছেন: কানিজ রিনার কতা আমি বুচছি হে যেটা কইচে হেডাই টিক! তারে বিগজানি বানান হোক :D

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৫১

রসায়ন বলেছেন: বিগজানি :P

১৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৭

মাহের ইসলাম বলেছেন:
ভালো লাগল।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৩৬

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৫০

খনাই বলেছেন: আমি কিন্তু আশা করেছিলাম আপনি আরো একটু পড়ে আর জেনে লিখবেন এমন একটা লেখা | আমি আপনার এক আর পাঁচ নং ঘটনা নিয়ে কয়েকটা কথা বলি |

কতগুলো জিনিষতো কুরআন হাদিসে থাকার দরকার নেই | যেমন রাসূলের (সাঃ) বাবা বা দাদার নাম | কুরআন হাদিসে খুঁজলে এই নাম কোথাও নেই |তাই বলে কি এটা মিথ্যে হয়ে যাবে ? ইতিহাস বলতেতো একটা ব্যাপার আছে তাই না ? কিছু জিনিস ইতিহাস থেকেও নেয়া হতে পারে |বিশ্বাসযোগ্য হলে বিশ্বাস করতে হবে | রাসূল আর ওই বুড়ি মহিলার গল্প (সে ইহুদি ছিল কিনা জানি না ) কি খুব অস্বাভাবিক ? এ’ধরণের হাদিস কিন্তু আছে | যেমন বুখারী শরীফেই সম্ভবত আছে একটা হাদিস | একজন গরিব মহিলা রাসূলের মসজিদের ধোয়া মোছা করতো | তাকে কয়েক দিন এক নাগাড়ে না দেখে একদিন রাসূল (সাঃ) তার সম্পর্কে খোঁজ নিলে সাহাবীর বললেন সে মারা গেছে তার দাফনও হয়েছে | রাসূল (সাঃ) তাদের বললেন যে কেন তারা মহিলার মৃত্যু সম্পর্কে জানায়নি ?| উনি সবাইকে নিয়ে মহিলার কবর জিয়ারত করতে গেলেন এবং দোয়া করলেন | এটা একটা সহীহ হাদিস | দেখুন সাহাবীরা সামান্য মনে করে যেই গরিব মহিলার মৃত্যু সম্পর্কে রাসূলকে (সাঃ) জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি রাসূল (সাঃ )কিন্তু সেই মহিলার কবরও জিয়ারত করতে গেছেন তার মৃত্যুর কথা শুনেই এবং দোয়া করেছেন | কত দয়ালু ছিলেন নবী তাহলে ! সহীহ হাদিসে এমন বর্ণনা আছে তিনি দানের ক্ষেত্রে ছিলেন হাওয়ার মতো | তার হাতে যখন অর্থ আসতো তিনি কত দ্রুত দান করা যায় সেটা ভাবতেন | এমনকি কেউ সাহায্য চাইলে সেই সময় সামর্থ্য না থাকলে রাসূল (সাঃ) ধার করে হলেও সাহায্য করার চেষ্টা করতেন | হজরত ওমর (রাঃ ) রাসূলের এই ধার করেও সাহায্য করা সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এমন কি হজরত ওমরের (রাঃ) ওপর একটু অপ্রসন্ন হয়েছিলেন | এটাও সহীহ হাদিসেই আছে সভবত বুখারি শরীফেই | এমন দয়ালু নবীর পক্ষে একজন বয়স্ক মহিলার জন্য দয়া দেখানো কি এতটাই অসম্ভব ? এই হাজার বছর থেকে চলে আসা একটা সাধারণ ঘটনা তাই সত্যি হতেতো কোনো বাঁধা নেই |আর রাসূলের দ্বীন সংক্রান্ত সব তথ্যই হাদিসে উল্লেখ করা আছে | ব্যক্তিগত জীবনের সব তথ্যও যে হাদিসে থাকতে হবে তাতো না | এটা যে মিথ্যা সেটাতো নিশ্চিত করে কেউ বলতেও পারছে না | তাই এটা সত্যি হতে দোষ কোথায় ? তাই এই ঘটনাটার সত্যতা এতদিন পরে কেন বিগ ইস্যু হবে সেটাইতো আমি বুঝলাম না !
রামেসিস II যে এক্সডাসের সময়কার ফ্যারাও বা কুরআনে বর্ণিত ফ্যারাও সেটা আপনি কোন রেফারেন্সে দেখলেন ? এটা কেউ বললে ভুল বলছে | হজরত মুসার জন্মের সময়কার ফ্যারাওয়ের নামছিলো রামেসিস II | হজরত মুসা ফ্যারাওয়ের একজন লোককে হত্যা করে যখন মাদায়েন (আমার ধারণা এটাই উচ্চারণ ইংরেজিতে Midian)পালিয়ে গিয়েছিলেন তখন ফ্যারাও রামেসিস II -এ'র মৃত্যু হয় | এক্সডাসের সময়কালে ফ্যারাও ছিল রামেসিস II - এর উত্তরসূরি মার্নেপতাহ (Merneptah) |এ'প্রসঙ্গে মরিসবুকাইলি আর্কিওলজিকাল ফাইন্ডিন্সগুলোসহ বাইবেলের বিশেষ করে পাম (Psalm ) এবং এক্সডাস (Exodus ) থেকে উদ্ধৃতি দিযে প্রমান করেছেন তার The Bible, The Quran and Science বইয়ে যে রামেসিস II - এর উত্তরসূরি এক্সডাসের সময়কালীন ফ্যারাও ছিল মার্নেপতাহ | ১৮৯৮ সালে লরেট (Loret) থিবসের কিংস ভ্যালি (পিরামিড থেকে অল্প দূরে) থেকে মার্নেপতাহ-র মমি উদ্ধার করেন | ইলিয়ট স্মিথ ১৯০৭ সালে এই মমির ঢেকে রাখা আচ্ছাধনগুলো খোলেন | তারপর থেকেই মমিটি মিশরের কায়রো জাদুঘরে কাঁচের একটা কেজে মাথা ও গলা অনাবৃত অবস্থায় সর্বসাধাৰণের দেখার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে |

১৯৭৫ সালে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ ডক্টর মরিস বুকাইলিকে মমিটি পরীক্ষা করার সুযোগ দেন | ডক্টর বুকাইলির নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ শরীরতত্ববিদ বিশদভাবে মার্নেপতাহর মমির বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ পরীক্ষা করেন |মমির শরীরীদের ভেতর পরীক্ষা করার জন্য এন্ডোস্কোপি করা হয় যা মমির ভেতরের অবস্থা অসম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধাৰণা দেয় | এ'প্রসঙ্গে টেস্ট রেজাল্টের ভিত্তিতে ডক্টর বুকাইলি মন্তব্য করেছেন “ He most probably died either from drowning, according to the scriptural narrations, or from very violent shocks preceding the moment when he was drowned -or both at once.” কোরান বলেছে, "অতএব আজকের দিনে রক্ষা করছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে" (সুরা ইউনুস, আয়াত ৯২ ) । ডক্টর বুকাইলির মমির টেস্ট সম্পর্কে সিন্ধান্ত ও মন্তব্য কিন্তু কুরআনের বক্তব্যকে পুরোপুরি সত্যায়িত করেছে | এই মমি উদ্ধার আর তারপরে এর টেস্টগুলো সব বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানের সাহায্যেই করা হয়েছে |
এখানে আরেকটা কথা বলি, মরিস বুকাইলির বই প্রকাশিত হবার প্রায় দশ বছর পরে আমেরিকার ওহাইও স্টেটের বিখ্যাত কেস ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফিজিশিয়ান ড: উইলিয়াম এফ কেম্পবেল মরিস বুকাইলির বইয়ের উত্তর হিসেবে একটা বই লিখেন " দা কোরআন এন্ড দা বাইবেল ইন দা লাইট অফ হিস্ট্রি এন্ড সাইন্স" নামে | এই বই লেখার উদ্দেশ্য ছিল ডক্টর বুকাইলির দাবি বাইবেলে বিজ্ঞানভীতিটাকে ভুল ও কুরআনের বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ের নির্ভুলতা নিয়ে একটি তুলনামূলক আলোচনা করা | এই বই লিখার জন্য তিনি তার ইউনিভার্সিটি থেকে তিন বছরের ছুটি নিয়েছিলেন | এই বইয়ে ডক্টর ক্যাম্পবেল কিন্তু ফ্যারাও সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য এবং মার্নেপতাহ-র মমি উদ্ধার এবং তার এক্সডিএসের সময়কালীন ফ্যারাও হবার কোনো তথ্যকে কোনোভাবেই চ্যালেঞ্জ করেননি | তাই এটা বলাই যায় মার্নেপতাহ-ই কুরআন বর্ণিত সেই ফ্যারাও (এছাড়া অন্য কোনো ফ্যারাওয়ের পানিতে ডুবে মারা যাবার কোনো তথ্য পাওয়া যায় না হাইরোগ্লিফিক্স থেকে বা অন্য কোনো ইতিহাস থেকে) | আর তার মমি প্রায় তিনহাজার বছর ধরে চোখের আড়ালে সংরক্ষিতই ছিল নিপুন ভাবে |আর এমন সময় তার মমি মানুষ আবার আবিষ্কার করেছে যখন তথ্য আর ধ্বংসের সুযোগ নেই | নানান ভিডিও, প্রিন্টেড ফরমেটে এই মমির ফটো আর তথ্য চিরদিনের মতো সংরক্ষিত হয়ে গেছে |এমন কি এখন মমি ধ্বংস হলেও এই সব তথ্য সংরক্ষিতই থাকবে চিরিদিন মানুষের জন্য নিদর্শন হিসেবে যা কুরআন বলেছে ! কুরআনের বর্ণনা, ফ্যারাওয়ের পানিতে ডুবে মৃত্যু, তিন হাজার বছর ধরে তার লাশ সংরক্ষণ সবই সত্যি | শুধু আপনার বলা রামেসিস II নয় সেটা হবে ফ্যারাও মারনেপতাহ |কুরআনের বর্ণনায়তো কোনো ভুল নেই |আপনি যে মমির ভিডিওর কথা লিখেছেন সেটা যদি ডক্টর মরিস বুকাইলির বলা মারনেপতাহ-র মমির ভিডিও হয়ে থাকে তাহলে সেটা সত্যি কিন্তু |

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫২

রসায়ন বলেছেন: দয়া দেখানো বা না দেখানোর প্রশ্ন না , কথা হচ্ছে এভিডেন্স ভিত্তিক। যেটার কোন প্রুফ বা এভিডেন্স নেই ওটাকে সত্যি ভেবে প্রচার করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত ?! যেমন আমিই যদি এমন একটি ঘটনা লিখি যে নবী স. কোন এক ইহুদিকে আগুনের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন তবে এটা শুনতে ভালোই শোনাবে কিন্তু আদতে এটা প্রমাণবিহীন !

আর দ্বিতীয় অংশের অর্থাৎ মমি নিয়ে উত্তর হলো রামসেস ২ কে ফেরাউন বলে প্রচার করছে মুসলিমরাই। একটু গুগল বা ইউটিউবে মুসলিমদের এটা নিয়ে কাণ্ডকীর্তি দেখে আসুন। আর আপনি যে দাবি করেছেন মেরনেপতাহ হলো কোরআনের ফেরাউন সেটা তো ধোপেই টিকবে না কারণ তার লাশ লোহিত সাগর বা নদী থেকে নয় , উদ্ধার হয়েছে ওই পিরামিড থেকেই। তার লাশের বর্ণনার কোথাও ডুবে যাওয়ার কথা বলা নেই। কাজেই এটা কোনমতেই কোরআনের বর্ণনার ফারাও না । রেফারেন্স হিসেবে মিশরীয় ট্যুরিস্ট সাইটের লিংক দেখতে পারেন

http://www.touregypt.net/featurestories/merenptah.htm

১৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাময়িক সহানুভূতির জন্য কিছু মুসলিম কিছু কাহিনী বানিয়েছে যা মোটেও ঠিক হয়নি। অনেক বছর আগে আমস্ট্রং-এর চাঁদে আজান শোনার ঘটনা যে মিথ্যা - তা পড়েছি। এভাবে নেপালে মসজিদের মিনার সরানোর ঘটনাও ভূয়া। কিছু মুসলিম ইসলামেরই ক্ষতি করছে এসব করে...

২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

রসায়ন বলেছেন: ঠিক তাই ।

১৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৪৪

খনাই বলেছেন: আপনি মনে হয় আমার কমেন্টটা অনেক বড় হয়ে গেছে দেখে পড়েননি ভালো করে |মরিস বুকাইলি কিন্তু পরিষ্কার ভাবেই ডুবে যাবার কথাটা বলেছে মার্নেপতাহর মমির পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে | তার নিজের যে কোটেশনটা আমি দিয়েছি তার বই থেকে সেটাতেওতো পরিষ্কার করেই সেই ডুবে যাবার কথা আছে |

রামেসিস II কে এক্সডাসের ফ্যারাও বলা একটা ভুল |যারাই বলুক | আমি প্রতিষ্ঠিত আর্কিওলজিকাল এভিডেন্সের ভিতিত্তে যে তথ্য সেটাই বলেছি | কুরআনে ফেরাউনের লাশ সমুদ্রে সংরক্ষণ করা হবে এমন কথাতো নেই | সূরা ইউনূসের ৯২ আয়াত ছাড়া সংরক্ষণ করার কোনো কথা কোরআনে নেই | আর রাজা ডুবে মরলে তার বডি তার লোকেরা তুলে নিয়ে মমি করে পিরামিড ধরণের কোথাও সম্মানের সাথে সংরক্ষণ করবে সে সময়ের নিয়ম অনুযায়ী সেটাইতো স্বাভাবিক | আর তাই সংরক্ষিত ডেড বডি সমুদ্রে না কবর ধরণের কোথাওই সংরক্ষিত থাকতে হবে |যুক্তিতো সেটাই বলে |আর মরিস বুকাইলিতো সেটা প্রমানই করেছেন তার বইয়ে যে এক্সডাসের সময় ফ্যারাও ছিল মার্নেপতাহ | মরিস বুকাইলি বইটা কিন্তু ওর্য়াল্ড রিনোন একটা বই | এতে এই ব্যাপারে (যেটা বইয়ের মু আলোচনার অন্যতম ) ভুল থাকলে এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ হত সাথে সাথেই অনেক | কিন্তু হয়নি | ডক্টর ক্যাম্পবেলও কিন্তু এই তথ্যের বিরোধিতা কড়েননি তার বইয়ে ডক্টর বুকাইলির অনেক সমালোচক করলেও | আপনি মরিস বুকাইলির বইটাও পড়তে পারেন | ওখানে অনেক ডিটেইল আলোচনা আছে একটা পুরো চ্যাপ্টার জুড়েই এই বিষয়ে | এর থেকে এই ধারণা করাটাই সঠিক যে মার্নেপতাহ-ই কোরআনে বলা ফ্যারাও | আমিকিন্তু প্রতিষ্ঠিত কিছু যুক্তি -এভিডেন্সই দিলাম আপনি যেমন চেয়েছেন !

আর নবী (সাঃ )আর বুড়ি মহিলার গল্পটা কিন্তু সাম্প্রতিক কোনো গল্প নয় | এটা হাজার বছর ধরেই প্রচলিতো |আর এই গল্পের বিষয়টা খুব অস্বাভাবিক নয় | স্কলাররা কিন্তু খুব জোর দিয়ে অস্বীকার করেনি যে এটা ঘটেনি | আপনি যেমন বললেন আজকে একটা গল্প লিখলেন ওনাকে নিয়ে আপনি সেটা লিখলে মিথ্যাই হবে সন্দেহাতীত ভাবে |কিন্তু এই গল্পের ক্ষেত্রে কিন্তু সেই সন্দেহাতীত ব্যাপারটা নেই | আর রাসূলের (সাঃ) ব্যক্তিগত জীবনের কিছুই প্রায় কুরআনে বলা হয়নি | হাদিসেও তার ব্যক্তিগত যে ব্যাপারগুলো দ্বীনেরসাথে সম্পর্কিত নয় সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কোনো বর্ণনা নেই |তাই কুরআন হাদিসে নেই বলেই সব উড়িয়ে দিতে হবে তাতো না | তাঁর সিরার অনেক বিষয়ই হাদিসের বই গুলোতে নেই | বিশেষ করে রাসূলের (সাঃ)বালক, কিশোর বয়সের কথা | কিন্তু রাসূলতো (সাঃ) সেই সময় পার করেছেন তাই না ? তখনকার ঘটনা কিন্তু হাদিসের বাইরের সোর্স থেকেই পাওয়া যায় |এই গল্পটাও সেরকম সোর্স থেকে এসেছে | আর এটাতো দ্বীন অসম্পর্কিত কোনো ঘটনা না | এটা হয়তো সত্যি ঘটেছিলো | হয়তো মিথ্যাই | কিন্তু সন্দেহাতীতভাবে মিথ্যা বলা অসম্ভব আপনার যুক্তিমত | সেটাই আমি বললাম এতো কথা বলে |

অনেক ধন্যবাদ |

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

রসায়ন বলেছেন: মরিস বুকাইলির নামে সৌদি সরকারের থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আছে। সে যাই হোক, লাশ সাগরে ডুবে মরলে সেটা হায়ারোগ্লিফিক্স বা প্রাচীন মিশরীয় লিপিতে লিখা থাকতো। সেরকম কোন কথাই নেই। এরপর , মরিস সাহেব ডুবে যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত হিসেবে বলেন নি , লাশের ভিতরে লবণ দেখে বলেছেন কিন্তু লবণ তো বাকি সব মমিতেও আছে । এটা মমি তৈরির একটা উপকরণ। কাজেই মারনেপতাহ কোনমতেই কোরআনের ফেরাউন না।

আর নবীর স. এর যেকোনো ঘটনার কোরআন হাদিসের বাণী না থাকুক তবে ঐতিহাসিক বর্ণনা তো থাকবে । বুড়ির ঘটনার এরকম কোন এভিডেন্সই নেই।

১৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ফেরাউন ছিল ষাট হাত লম্বা!

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

রসায়ন বলেছেন: গুজবে কান দেবেন না B-)

২০| ২৪ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

ক্স বলেছেন: মক্কা পৃথিবীর কেন্দ্রে, তবে তা আপনার হিসাব অনুযায়ী নয়, এটা হবে ফিবোনাক্কি রাশিমালা অনুযায়ী, যাকে গোল্ডেন মিন বা সোনালী কেন্দ্র বলা হয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এখানে
https://themuslimtimes.info/2012/10/05/mecca-the-golden-mean-point-of-earth/

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

রসায়ন বলেছেন: পড়লাম । গোঁজামিল আর অদ্ভুত সব কথাবার্তা

২১| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

চোরাবালি- বলেছেন: আপনার ঘটনা তিনের সাথে আমি পুরাই দ্বিমত- এখানে অভাব হবে না যদি তারা অপচয়কারী না হয়।
আজ মক্কার অধিকাংশ ব্যাবসা বাণিজ্য আজ চায়না সহ ভিনদেশীদের দখলে।
তারা আছে বিলাসিতায়, অন্যদিকে তাদের সম্পদ নিয়ে যাচেছ ভিনদেশীরা। আর খিলাফতের পর চরম দুর্দশা নেমে এসেছিল তাদের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ দণ্ডের ফলে

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

রসায়ন বলেছেন: অপচয় না করলে তথা হিসেবি হলে সৌদি কেন বিশ্বের কোন দেশ বা জাতিরই অভাব হবে না । এতে সৌদির আলাদা মাহাত্ম্য প্রকাশ পায় না

২২| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হিসেবে কাবা পৃথিীবির মধ্যে খানে নয়, এই নিয়ে বিতর্ক করা যায় না, যা সঠিক তা সঠিক ।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

রসায়ন বলেছেন: কি সঠিক ? কাবাকে একমাত্র মুসলিম রিলেজিয়াস সেন্টার ছাড়া আর কোনভাবেই পৃথিবীর কেন্দ্র প্রমাণ করা যায় না ।

২৩| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মানুষের মুখে মুখে এক সময়ের ঘটনা ঘটে একরকম বিকৃত হয় অন্যরকম।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

রসায়ন বলেছেন: ঘটনা মানুষের মুখে ঘটার কোন ব্যাপার না , যা ঘটবে সেটা বাস্তবেই হবে । মুখে মুখে যা ওটা গল্প আর রূপকথা ।

২৪| ২৪ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

ইনাম আহমদ বলেছেন: অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হিসেবে কাবা পৃথিবির মধ্যে খানে নয়, এই নিয়ে বিতর্ক করা যায় না, যা সঠিক তা সঠিক ।
আপাতত অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ আপেক্ষিক। আপনি যদি ঢাকার রমনা পার্কের বটগাছটাকে জিরো ডিগ্রী ধরেন তবুও আপনি সঠিক। তবে তখন হিসাবটা অন্যভাবে করতে হবে।
মুসলিম বিশ্ব চিরকালই ধর্মীয় ব্যপারে তীব্রভাবে অসহিষ্নুতা প্রদর্শন করে এসেছে। কোরআন-হাদীস হওয়ার কথা ছিলো পথপ্রদর্শক, কিন্তু তার বদলে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে মুসলমানরাই খোলাফায়ে রাশেদীনের পতন ঘটিয়েছে।
আপনি যতই চেষ্টা করুন, হুজুরের ওয়াজের বয়ানের বাইরে যে অন্যভাবে চিন্তা করা যায় এটা ধর্মান্ধদের শেখাতে পারবেন না।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

রসায়ন বলেছেন: সেটাই দেখছি। ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৫| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

কানিজ রিনা বলেছেন: ক্স অসংখ্য ধন্যবাদ, গোল্ডেনমিন সোনালী
কেন্দ্র। এটাই কাল খুজে বেড় করে রেখে
ছিলাম কিন্তু দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি
নাই। অবিশ্বাসীদের বুঝানোর থেকে চুপ থাকাই
ভাল।

২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

রসায়ন বলেছেন: ভ্যালিড প্রমাণ দিতে না পারলেই অবিশ্বাসী কাফের এসব বলে বলেই তো মুসলিমদের আজকের এই পরিণতি ।

২৬| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

কানিজ রিনা বলেছেন: পৃথিবীতে অবিশ্বাসী আর কাফেরর
দৌড়াত্ব বেশী। যুগে যুগে কোরআন
অপবেক্ষায় তারা নিমজ্জিত তাই
যুগে যুগে তারাই আবর্জনার স্তুপে
জরো হয়েছে। কতকত মহারতী
মিলাতে পারেনা একমন একরতী।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

রসায়ন বলেছেন: শুদ্ধ বানান শিখে আসুন আগে।

২৭| ২৪ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হিসেবে কাবা পৃথীবির মধ্যে খানে নয়, উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু মাপ দিলে ও মাঝা মাঝি কাবা পরে না, ইসলামের ইতিহাসে এ নিয়ে বিতর্ক আছে বিতর্ক হয় কিন্তু প্রমাণহীন বিতর্ক করে ইসলাম কে বিতর্কিত করছেন তার্কিকরা। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র তবে ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয় - ইতিহাস কি পরিমান বিকৃত হয়েছে তার জন্য ব্লগে চাঁদগাজী ভাই কে জিগ্যাসা করতে পারেন ।

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

রসায়ন বলেছেন: ভৌগোলিক দিক দিয়ে কোনভাবেই কাবা পৃথিবীর মধ্যভাগে নয় ।

২৮| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এখানে যারা গোল্ডেনমিন ও অন্যান্য তথ্য দিচ্ছেন তাহলে - অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ ও উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু হিসাব বাদ দিলে পৃথিবীর মুল কেন্দ্র ঢাকা গুলিস্তান এটা প্রমাণ কারার জন্য ১৯৯৫ সনে পাস করা আমার মতো বি এস সি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন নেই, যে কোনো সাধারণ সার্ভেয়ার এই মাপটি করে দিতে পারবেন - শাহবাগ আজীজ সুপার মার্কেটে গোলাকার রাবারের প্লাষ্টিকের তৈরি পৃথিবী পাওয়া যায়, উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু আটকানো হুকটি খুলে নিলে আঙ্গুল দিয়ে যেখানে ধরবেন তাই মধ্যেখান । পৃথিবীর মধ্যেখান নিয়ে যদি ইসলাম বিতর্কিত হয় তাহলে ধর্ম মিথ্যা হয়ে যাবে এটা তার্কিকগণ বোঝা উচিত, ইসলামের ভিত্তি পৃথিবীর মধ্যখানে নিয়ে নয় এটা তর্কের বিষয় নয় এই তর্ক কোনো ভাবে সত্য প্রকাশ ও প্রমাণ করার ব্যাবস্থা নেই ।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

রসায়ন বলেছেন: দারুন জবাব ।

২৯| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার অনেক বানান ভুল আছে সেগুল
ঠিক করুন। পোষ্টে ও কমেন্টে আমিত তো
পোষ্টের কমেন্টের বানান ঠিক করতে পারব না
বানান ভুল হতেই পারে এটা অশীকার কেউ
করতে পারবে না। মনে কিছু নিওনা তর্ক
বিতর্ক আলাপ আলচনা ছাড়া জ্ঞান বাড়েনা।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

রসায়ন বলেছেন: বিতর্ক হবে সত্যকে পাওয়ার জন্য নিজের মতকে প্রতিষ্ঠিত করতে নয় ।

৩০| ২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নতুন বলেছেন: আপনি যেই বিষয়গুলি নিয়ে লিখেছেন তা জনগনের মুখে মুখে বলা কাহিনি।

এই গুলি কি কোরান দাবী করে? যদি না করে থাকে তবে এইগুলি প্রচলিত কাহিনির মতন।

এটা নিয়ে তক` বাড়িয়ে লাভ নেই।

এই রকমের অনেক জিনিস আছে যা সমাজে প্রচলিত যা মানুষ সত্য বলে বিশ্বাস করে.... তার কিছু সত্য...আর কিছু মিথ্যা।

২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

রসায়ন বলেছেন: আমি তো পোস্টেই বললাম এগুলো কোরআন হাদিস মোতাবেক সত্যি না বা এমন কোন কিছু বলা নেই এরপরও কিছু অতি উৎসাহী হুজুর ও ইসলামিস্ট এসব বানিয়ে বানিয়ে বলে মুসলিমদের হেয় করছে । যার এভিডেন্স নেই ওটাকে সত্যি বলে তো আর লাভ নেই । যেমন আলিফ লায়লার গল্পগুলো সবখানেই আল্লাহর শক্তির কাছে শয়তান ও খারাপের পরাজয় দেখানো হয়েছে কিন্তু আদতে এগুলো গল্পই । এখন কেউ যদি এটা নিয়ে ঘাড় তেরামি করে যে এগুলো সব সত্যি ঘটনা তখনই তো ঝামেলা লাগে ।

৩১| ২৬ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪৫

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



বর্তমানে মুসলমানদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে কোরআন না পড়া।
কেউ কেউ অবশ্য কোরআন তেলওয়াত করেন কিন্তু এর অর্থ কিছুই বোঝেন না।
কোরআন পড়তে হবে এর অর্থ বুঝে বুঝে।
আল্লাহপাক কোরআনে মানুষকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।

১২ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

রসায়ন বলেছেন: ঠিক সেটাই । কোরআন অর্থসহ না পড়লে কোন বস্তুগত লাভ নেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.