নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চন্দ্রমোহিয়ান।

মিথী_মারজান

মুক্ত আমি,রুদ্ধ দ্বারে..বন্দী করে কে আমারে!!!

মিথী_মারজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পান খাওয়া লাল টুকটুকে ঠোঁটের টিয়াপাখি ; প্রিয় দাদী আমার

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

কখনো যদি জ্বর আসে, দাদীকে অনেক মিস্ করি। জ্বর কম হোক অথবা বেশি, বিছানাতে মাথার নীচে প্লাস্টিকের রাবার ক্লথ বিছিয়ে তারউপর শুইয়ে দিয়ে মগ অথবা এ্যালুমিনিয়ামের বদনার নল দিয়ে মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালা আর ভালবেসে মাথায় হাত বুলানো। ওহ্! কি অদ্ভুত শান্তি! প্রায়ই আমি মাথার তালুতে সেই ঠান্ডা পানির প্রবাহটা খুব মিস্ করি। দাদীর মধ্যে আরেকটা ব্যাপার ছিল তা হল জ্বর হলে কিছুতেই ভাত খেতে দিতেন না। জ্বর মানেই স্যুপ খাওয়া আর সেই সাথে পাউরুটি। আর একটু পর পর এক চুমুক করে হলেও লেবুর শরবত অথবা ডাবের পানি খেতে হত। আমাদের কারোর বিশেষ করে আমার গায়ে জ্বর দেখা দিলেই বাসায় সাথে সাথে চলে আসত চায়না জাংশন রেস্টুরেন্ট এর থাই স্যুপ, অলিম্পিয়া পাউরুটি, কলা এবং মাখন। পাউরুটির প্যাকেটের সাথে এক ফ্লাক্স গরম পানি আর হরলিক্সের বয়াম সারারাত আমাদের বেডসাইড টেবিলে রাখা থাকত যেন রাতে যেকোন সময় ঘুম ভাঙ্গলে সাথে সাথে দাদী আমাকে কিছু একটা খাওয়াতে পারেন। এগুলোতেও তার শান্তি ছিলনা, একটু পরপর উনার অনবরত জিজ্ঞাসাবাদ ছিল - ' ও দাদন! একটু চিন্তা করে দেখো তো, কি খেতে মন চায়!' আরো কত্ত কত্ত ভালবাসা!...

রাতের বেলা ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে গরমে যখন ঘুম ভেঙ্গে যায়, খুব করে দাদীকে মনে পরে। ছোটবেলায় এমন হলেও কখনো গরম লাগত না। ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল কিনা টেরও পেতামনা। গরম লাগার আগেই হাতপাখা দিয়ে দাদী বাতাস করতে থাকতেন।

খুব মনে পরে সেই ছোট্ট ফর্সা, সুন্দর মুখটা। সবসময় পান খাওয়া লাল টুকটুকে ঠোঁটটা। আমি দাদীকে ডাকতাম টিয়াপাখি বলে। আমার প্রাণের টিয়াপাখি। আমার জন্য দাদীর একটা এক্সট্রা টান ছিল সবসময়। আসল কথা টানটা ছিল দাদাজানের প্রতি। খুব ভালবাসা ছিল দুজনের। দাদাজানের মৃত্যুর পর আমার দাদী খুব বেশি মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন। একদম চুপচাপ হয়ে যান। উনাকে সামলানো সবার জন্য খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল। দাদাজানের চলে যাওয়ার দুই বছর পর আমার জন্ম হয়। সেই গায়ের রঙ, সেই চেহারা নিয়েই নাকি আমার জন্ম। আমাকে কোলে নিয়েই নাকি দুই বছর পর আমার দাদী হেসেছিলেন। সেই থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাকে ডাকতেন 'খন্দকার সাহেব' বলে।

দাদীর বিয়ের গল্পটা মনে পড়ে গেল। কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার মধুপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের খুব সুন্দরী মেয়ে ছিলেন আমার দাদী। আমার দাদা তখন সরকারী উচ্চপদস্হ কর্মকর্তা। ভাল বংশের শিক্ষিত ছেলে পেয়ে খুব খুশি হয়ে দাদীর বাবা ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে ফেললেন। ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিল বিয়ের দিন যখন দাদীর মা আমার দাদাকে প্রথম দেখলেন। উনার এত সুন্দর আদরের মেয়েকে এমন কালো ছেলের সাথে কিছুতেই বিয়ে দেবেন না তিনি। এদিকে দাদীর বাবাও এত ভাল পাত্র হাতছাড়া করতে নারাজ। কিভাবে যেন কথাটা আমার দাদা জেনে গেলেন। মুরুব্বীদের আপত্তি সত্ত্বেও আমার দাদা তখন সাফ জানিয়ে দিলেন আমার দাদীর সাথে তিনি সরাসরি দেখা করতে চান এবং দাদীর অমত থাকলে এ বিয়ে তিনি করবেন না। তখনকার সমাজ ব্যবস্হায় ব্যাপারটা একটু অন্যরকম ছিল। শেষমেশ আমার দাদাকে সরাসরি দেখে, কথা বলার পর দাদী বিয়েতে মত দিলেন। যদিও আমার দাদীর বিয়ে পড়ানোর সময় অন্যদিকে নাকি তার মায়ের মাথায় পানি ঢালা হচ্ছিল।(হাহাহা):p

দাদীকে পরে জিজ্ঞেস করেছিলাম, 'আপনি কেন রাজী হলেন দাদী?'
দাদী বলেছিলেন, 'মানুষটার গায়ের রঙ কালো। এটাতো কোন দোষ হতে পারেনা। তাছাড়া আমার মতামত চেয়ে যে সম্মান আমাকে দিয়েছিলেন সেটাই আমাকে মুগ্ধ করেছিল'।
দাদাজান সত্যিকার ভাবেই দাদীকে কখনো অসম্মানিত হতে দেননি। বিয়ের পর দাদীর কিছু একটা শারীরিক সমস্যা থাকায় সন্তান হতে দেরী হয়েছিল। গ্রামের মানুষ আর আত্মীয়- স্বজনদের কাউকে কখনোই দাদীকে কিছু বলার সুযোগ দেননি দাদাজান। ইন্ডিয়া, পাকিস্তান যখন যেখানে পোস্টিং ছিল সেখানেই দাদীকে নিজের কাছে রেখেছেন। লেখাপড়া করিয়েছেন। চিকিৎসা করিয়েছেন। অবশেষে কলকাতার কোন এক মিশনারী হাসপাতালের সফল চিকিৎসায় বিয়ের আট বছর পর এবং সর্বোমোট নয়টি অপারেশন শেষে প্রথম সন্তানের মুখ দেখেন এই দম্পতি। এরপর অবশ্য আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। চার ছেলে, চার মেয়ে, ছেলেদের বউ, মেয়েদের জামাই ছাড়াও একগাদা নাতি নাতনী নিয়ে রূপকথার মত সুখের জীবন কাটিয়েছেন একসাথে।

এত সুন্দরী ফুটফুটে মহিলার আটটি সন্তানেরই গায়ের রঙ কালো। নাতি- নাতনীও সব কালো। যে কালো নিয়ে এক সময়ময় বেচারীর বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছিল আমি সেটা নিয়েই দাদীকে খোঁচাতাম। 'ও দাদী! আপনার মা তো আমাদের সবাইকে দেখলে স্ট্রোক করেই মারা যেতেন।'
দাদী খিলখিল করে হাসতেন। বলতেন, 'না রে দাদন। অনেক আদর করত তোমাদের পেলে। পরে তো তোমার দাদাজানকে ক-ত ভালবেসেছেন!' দাদী যখন এই গল্পগুলো করতেন তার চোখগুলো সুখ স্মৃতিতে চকচক করত। আমরা নাতী নাত্নীরা দাদীর কোলে শুয়ে, পিঠে হেলান দিয়ে কত ঠাট্টা তামাশা করতাম।

সব কিছু মনে পড়ে দাদী।
আর মনে পড়ে আপনাকে নিয়ে কাটানো প্রতিটা মা দিবসের কথা।
মা দিবস মানেই আমাদের বাসায় ছিল এক প্রকান্ড আয়োজন। দাদীর সব ছেলে মেয়ে আর নাতী নাতনীরা সবাই মিলে দাদীকে ঘিরে সারাদিন ধরে হৈ চৈ। সাধারণত দাদী রান্না না করলেও ঐদিন দাদী নিজ হাতে সবার জন্য ইলিশ খিচুড়ী রাঁধতেন। এটা ছিল দাদীর হাতের স্পেশাল ডিশ। আমরা সবাই আঙ্গুল চেটে চেটে খেতাম। আহ্! কি অদ্ভুত স্বাদ! ভাবলেই সেই সুঘ্রাণ আমি এখনো পাই।

আরেকটা ঘ্রাণ আমি চোখ বন্ধ করলেই পাই।
দাদীর বুকের এক অদ্ভুত মিষ্টি ঘ্রাণ।
আনন্দ,কষ্ট, অভিমানে আমার বাবা, চাচা,ফুফু সহ আমার মা, চাচীরা এমনকি আমরা ভাই-বোনেরা বিভিন্ন সময় মুখ গুজে রাখতাম যেখানে, কিভাবে ভুলি সেই ঘ্রাণ! মানুষটা আমাদের রেখে চলে গেছে সেই ২০১২ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর। ঘ্রাণটা আর ভালবাসার স্মৃতিগুলো এখনো যেন অমলিন। এত ভালবেসে সবাইকে জড়িয়ে রাখতে সবাই পারেনা।

আরো একটা গোপন কষ্ট আছে আমার। আমার সংসার, আমার সন্তানকে দাদী দেখে যেতে পারেন নি। তবে আমি জানি, উনার দোয়া সবসময় আমাদের সাথেই আছে। খুব জানতে ইচ্ছা করে,পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া আপনজনেরা হারিয়ে গেলে কোথায় যায়! উনারা কি আমাদের দেখতে পায়? আমার কেন যেন মনে হয় উনারা আমাদের দেখতে পান।মনেহয়, দাদী আর দাদাজান ওপারে আবার সুখে সংসার গড়েছেন। নাতী পুতি যাদেরকে দাদাজান দেখে যান নাই তাদেরকে দেখিয়ে দেখিয়ে দাদী দাদার কাছে পরিচয় করিয়ে দেন,নাম ধরে ধরে গল্প করেন। আমাদের মজার সব কর্মকান্ড দেখে দুজনেই একসাথে হাসেন আর পান খান। আমাদের দু:খ দেখলে, দাদী দাদার বুকে মাথা রেখে কাঁদেন,আর দাদাজান দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে আদুরে বউয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেন। হয়ত: দুজন মিলেই আমাদের জন্যই অপেক্ষা করেন,কখন আমরা একে একে উনাদের কাছে যাব। আর আমাদের পরম মমতায় আদর করে বুকে টেনে নেবেন।
জানি এটা সঠিক না, কল্পনা।তবুও এমন কল্পনা করতে আমার ভাল লাগে। কেন যে এভাবে চিন্তা করি সেটাও জানি না। শুধু জানি খুব মিস্ করি আমার দাদীকে। মিস্ করি কোনদিন না দেখে শুধু দাদীর মুখে শুনে যাওয়া তার ভালোবাসার মানুষ আমার দাদাজানকে। কিছুই করার নাই, তাই মনেপ্রাণে দোয়া করি। দোয়া করি খুব ভাল থাকুক হাজার মাইল আকাশের দূরত্বে হারিয়ে যাওয়া আমাদের সকল প্রিয় মানুষ।

২৪.০৯.২০১৭ইং।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

চোখেরে কাঁটা বলেছেন: সাবলীল উওপস্থাপনা ভালো লেগেছে আপু

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

মিথী_মারজান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাদী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন আজ ছয় বছর পূর্ণ হল।
বছর যতই পূর্ণ হচ্ছে, ঠিক ততটাই অপূর্ণতার শূন্যতায় ঘিরে ধরছে আমাদের।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: দাদীর সাথে কোন স্মৃতি নেই। আমি খুব ছোট থাকতেই দাদী মারা গিয়েছিলো, তার ও ৬/৭ বছর পূর্বেই উনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলো!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

মিথী_মারজান বলেছেন: ওহ্!
খুব খারাপ লাগলো জেনে।
মহান আল্লাহ্ উনাকে জান্নাতবাসী করুক।
আমার আবার পুরো উল্টো।
শৈশব, কৈশর থেকে শুরু করে দাদীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি ছিলাম তার ন্যাওটা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
ভাল থাকবেন।:)

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেয়েদের কাছে গায়ের রং কখনো সমস্যা ছিলো না

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

মিথী_মারজান বলেছেন: তাহলে কি সকল বৈষম্যের উদ্ভব ছেলেদের মন থেকে? :p
(স্যরি, মজা করে বললাম) :)
আমার নিজেরও মনেহয়,ছেলে/মেয়ে, কালো/ফর্সা এগুলো কোন ফ্যাক্ট না।
পুরোটাই ডিপেন্ড করে মেন্টালিটির উপর।
আর সন্তানের বিয়ের ক্ষেত্রে সব মায়েরই মনোবাসনা থাকে রাজপুত্রের মত মেয়ের জামাই অথবা পরীর মত অপরূপা সুন্দরী পুত্রবধু।
আমি এটাকে ঠিক বৈষম্য বলিনা, এটা মায়েদের একধরণের ফ্যান্টাসি।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আমার দাদা দাদী কে আমি কখনো দেখিনি, আমার জন্মের আগেই উনারা পরপারে চলে গেছেন,
আপনার লেখায় কিছুটা হলেও মনে হয় তাদের খুঁজে পেয়েছি।
হোক সেটা আপনার আনন্দ , তবুও আপনার লেখার প্রাণ সেটা আমায় ও ছুঁয়ে গেল।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

মিথী_মারজান বলেছেন: আহারে...
খুব খারাপ লাগে যখন শুনি কেউ দাদা-দাদীর আদর পায়নি।
দাদকে আমিও পাইনি ভাইয়া তবে সবসময় দাদীর কথা বার্তায় আমার দাদার সঙ্গ মনেহয় আমি পেতাম।
খুব আপ্লুত হলাম আমার লেখায় দাদা-দাদীকে খুঁজে পেয়েছেন জন্য।
অনেক ধন্যবাদ লেখাটি ফিল করার জন্য।
আপনিও ভাল থাকবেন।:)

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

চোখেরে কাঁটা বলেছেন: দাদি ওপারে যেন ভাল থাকেন। এই কামনা।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকুক কাছের দূরের সকল প্রিয় মানুষ।:)

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর , মায়াময় স্মৃতিচারণ । নিশ্বাসপ্রশ্বাসে আপনি দাদিকে নিয়ে থাকুন।

শুভকামনা আপুকে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

মিথী_মারজান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার নি:শ্বাসে প্রশ্বাসে এই মানুষটার অবদানই সবচেয়ে বেশি।
দাদী নিজ হাতে আমাকে যত্ন করে বড় করেছেন।
স্নেহ মমতায় সবসময় আগলে রেখেছেন।

আপনার জন্যও শুভ কামনা ভাইয়া।
ভালো থাকবেন।:)

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মিথী_মারজান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সনেট কবি।
আপনি লেখাটি পড়েছেন দেখে ভাল লাগলো।

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

করুণাধারা বলেছেন: কি প্রাণবন্ত গল্প। মনে হচ্ছিল দাদি, নাতনী, দাদা সবাইকে দেখতে পাচ্ছি।

দাদি নিশ্চয়ই জানতে পারছেন, তার আদরের নাতনি আজো তার জন্য কতটা ভালবাসা আগলে রেখেছে! আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাতবাসী করেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

মিথী_মারজান বলেছেন: দোয়া করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপুনি।
আপনি সবসময় এত আন্তরিকতার সাথে মন্তব্য করেন মন ছুঁয়ে যায়।
খুব ভাল থাকবেন আপু।
শুভ কামনা।:)

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,



পান খাওয়া লাল টুকটুকে ঠোঁটের টিয়াপাখি দাদীকে নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণ আপনার টুকটুকে রঙিন একখানা মনকেই যেন দেখিয়ে দিয়ে গেলো । বেশ সাবলীল অথচ আবেগী একটি লেখা ।

সব দাদীরা যেন আপনার মতো নাতনীদের দেখা পান ! আর গন্ধে মৌ মৌ আপনার দাদী যেন আপনার জীবনকাল ধরে এমনি করেই গন্ধ ছড়িয়ে যান ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

মিথী_মারজান বলেছেন: আমি একটু অন্যভাবে বলবো ভাইয়া।
সব নাতনীরা যেন এমন একজন দাদী পান।
আমরা ভাই বোনেরা জন্মগতভাবে খুব লাকি,এত সুন্দর মায়ার একটা পরিবার পেয়েছি জন্য।
তবে এটার পুরো কৃতিত্ব এই একটা মানুষের।
তিনি হচ্ছেন আমার দাদী।
মাঝেমাঝে অবাক হয়ে ভাবি, কিভাবে এতগুলো মানুষকে এত ভালোবাসায় বেঁধে রাখতেন তিনি!
মাহান আল্লাহ্ আমার দাদীকে খুব খুব ভালো রাখুক, আমিন।

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অদ্ভুত মায়ার রেশ নিয়ে শেষ হয় লেখাটা !
কী যে মমতায় একেঁছ টিয়াপাখি কে-

চমৎকার বোঝাপরার অপূর্ব সুখের সংসারের গল্প মন ভালো করে দেয়। হুম কিছুটা না পাওয়া রয়ে গেছে দাদীকে নিয়ে তোমার; কিন্তু উনার দোয়া উনার স্মৃতি রয়ে গেছে তোমার কাছে । নিশ্চিত উনি ওপারে বসে তোমার জন্য প্রানভরে আশির্বাদ করছেন ।

ঠিক তোমার মত মায়ার বাক্স ভরা লেখা।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

মিথী_মারজান বলেছেন: আপু, আমার বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া থেকে শুরু করে সব যত্ন দাদী নিজ হাতে করেছেন।
কতটা যে ঋণী তার কাছে আমি সেটা বলে বোঝানোর মত নয়।
আমাকে বেশি আদর করতেন এটা ঠিক, তবে আমার অন্যান্য কাজিনদের সবাইকেও এমন যত্নেই বড় করেছেন।
আম্মু, চাচীরা এখনো দাদীকে মিস্ করে মন খারাপ করেন।
আমার দেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন আমার দাদী।
কতটুকু মায়ায় এঁকেছি জানিনা তবে আসল মায়ার বাক্স ছিলেন তিনি নিজেই।

লাভ ইউ প্রিয় মন আপু।
আপনি নিজেও একজন মায়াবতী। :)

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

ওমেরা বলেছেন: আমার দাদীকে আমি দেখিনি আপনার দাদীর গল্প মন ছুয়ে গেল।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

মিথী_মারজান বলেছেন: আহারে.
আপনার দাদীকে আল্লাহ্ জান্নাতবাসী করুক, আমিন।
ধন্যবাদ ওমেরা আপু।
শুভেচ্ছা।:)

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দাদীকে নিয়ে চমৎকার কথামালা, চমৎকার স্মৃতিচারণ ।
এ লাইনে বেশ মজা পেলাম- 'ও দাদী! আপনার মা তো আমাদের সবাইকে দেখলে স্ট্রোক করেই মারা যেতেন।'
মিথীর দাদুর জান্নাতবাস কামনা করছি।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

মিথী_মারজান বলেছেন: হাহাহা।
হুম ভাইয়া, খুব মজা করতাম এটা নিয়ে আমরা দাদীর সাথে।
নিজের বিয়ের গল্পটা ছিল আমার দাদীর কাছেও বেশ পছন্দের।
প্রায়ই তিনি আমাদের এই গল্পটা করতেন আর আমি তখন শুধু তার এক্সপ্রেশন দেখতাম।
খুব লাজুক ভঙ্গিতে, এক পৃথিবী সমান আনন্দ চোখে নিয়ে দাদী সবসময় আমার দাদার গুণগান করতেন।
চলে যাওয়ার এত ববছর পরও একটা মানুষকে কতটা ভালোবেসে প্রিয়জনেরা হৃদয়ে করতে পারে এটা আমি তার কাছে দেখতাম আর শিখতাম।
আন্তরিক দোয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মহান আল্লাহ্ আমার দাদা - দাদীকে সুখে রাখুক।:)

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৭

শিখা রহমান বলেছেন: মিথীমনি লেখায় প্রতিটা লাইনে ভালোবাসা জড়িয়ে আছে, প্রতিটা শব্দে মায়া। লেখাটা পড়ে তোমার মিষ্টি টিয়াপাখি দাদীকে আমিও ভালোবেসে ফেললাম। উনি যে একজন আসাধারণ মানুষ ছিলেন সেটা তোমাকে দেখেই বোঝা যায়। উনি বেঁচে থাকলে তোমার জন্য গর্ববোধ করতেন অবশ্যই।

আকাশবাড়িতে ভালো থাকুক সব হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষেরা। ওনারা ভালো থাকবেন ভেবেই যে আমাদের ভালো থাকা।

ভালো থেকো বুকের মাঝে টিয়াপাখিকে নিয়ে মিথীমনি। ভালোবাসা আর আদর।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১২

মিথী_মারজান বলেছেন: থ্যাংক ইউ প্রিয় শিখা আপু।
দাদীর মত ভাল মানুষ এখনো হয়ে উঠতে পারিনি।
কখনো বোধহয় পারবোও না।
একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ।

আকাশবাড়িতে অনেক ভাল থাকুক প্রিয়জনেরা।
আমার দাদা-দাদী, আংকেল (আপনার আব্বু), সবাই।
আপনার আদর পেলে বিড়ালের মত আদুরে লাগে নিজেকে।
অনেক ভালোবাসা আপু।:)

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৬

চাঙ্কু বলেছেন: দাদীর কথা মনে করিয়ে দিলেন। কত স্মৃতি!!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২২

মিথী_মারজান বলেছেন: ভাল থাকুক পৃথিবীর সকল দাদী, সকল নানী আর প্রবীণ প্রিয়জনেরা।
মহান আল্লাহ্ আপনার দাদীকে ভালো রাখুন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।:)

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

জুন বলেছেন: মিথী মারজান আপনার এই গল্প আমার অনেক দিন আগের স্মৃতিকে জাগিয়ে তুল্লো সাথে এক সুগভীর দীর্ঘশ্বাস।
আধুনিক জমানার বাচ্চারা নিউক্লিয়াস পরিবারে বড় হচ্ছে, জানেনা দাদা দাদীর আদর কত মিষ্টি মধুর মায়াম।
অনেক ভালোলাগলো আপনার লেখাটি। সাথে মনে পরছে দাদীর স্নেহাতুর মুখখানি।

+

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

মিথী_মারজান বলেছেন: আপনার দাদীর জন্য শ্রদ্ধা রইলো আপু।
আপনার সাথে আরেকটা ব্যক্তিগত মজার গল্প শেয়ার করি, বাসা থেকে যখন আমার বিয়ের প্রিপারেশন চলছিলো, তখন এক পরিচিত আত্নীয় খুব সুন্দর একটা প্রোপোজাল এনে আব্বুকে ছেলের ডেসক্রিপশন দিয়ে বলেছিলো, খুব ভাল ছেলে ভাই। মা বাবা কেউ নাই, একদম নির্ঝঞ্ঝাট।
আব্বু বলেছিলো, এই প্রোপোজাল এখনি বাদ। বাবা মা না থাকলে আমার নাতী- নাত্নীরা দাদা-দাদীর আদর কোথায় পাবে!
এমন নির্ঝঞ্ঝাট ছেলে আমার দরকার নাই।
হাহাহা।
এখনকার বাচ্চারা যতই আধুনিকতার সাথে বেড়ে উঠুক না কেনো অনেক মৌলিক ব্যপারগুলো থেকে আমাদের চেয়ে তারা অনেক পিছিয়ে।
ধন্যবাদ প্রিয় জুন আপু।
শুভ কামনা আপনার জন্য।:)

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমি আমার দাদাজানকে দেখিনি। দাদী ছিলেন। আমাদের অনেক ভালবাসতেন। আমার দাদীও খুব সুন্দরী ছিলেন।

দাদীকে মনে পড়ে, বুকটা কেমন যেন করে।

++++++++

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

মিথী_মারজান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার দাদীর কথা জেনে।
আপনার দাদীর জন্য দোয়া রইল ভাইয়া।
স্মৃতিতে সমব্যথী হওয়ায় ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।:)

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমার দাদীকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার, আপনার দাদী গল্প মন ছুয়ে গেল, যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন আমাদের প্রিয়জনেরা। পোষ্টে লাইক।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

মিথী_মারজান বলেছেন: আপনার দাদীর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
আল্লাহ্'র কাছে অনেক শুকরিয়া আমাকে এমন দাদী পৃথিবীতে দিয়েছিলেন জন্য।
ভালো থাকুক কাছের দূরের সকল প্রিয়জন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।:)

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: সত্যি বলতে আমি নিজে একটু একা একা থাকতে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি বাবা মা'র একক ফ্যামিলি। আমার জন্মের আগে তারা যৌথ পরিবারে ছিলেন। আমাদের আর থাকা হয়নি একান্নবর্তী পরিবারে। তাই এই বৃহৎ একটা পরিবারের প্রাণের চাঞ্চল্যতা কেমন হয়- সবাই কিভাবে সবার সাথে মিলেমিশে অথবা ঝগড়াঝাঁটি করে থাকে সে সম্পর্কে আমার জ্ঞান শুধু বই পড়ে আর সিনেমা দেখে।
আমার দাদী মারা যান আমার বয়স যখন খুব কম তখন। একদিন রাত দুপুরে দেখি বাবা বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন, এ্যাম্বুলেন্স ডাকা হলো। বাবা চাচারা দাদীকে নিয়ে গেলেন সদরে হস্পিটালে। কয়েকদিন পর আবার একটা এ্যাম্বুলেন্সে করে এলো দাদীর মৃতদেহ। দাদীর মৃত্যুর পরে কয়েদিন পর্যন্ত আব্বু তার মায়ের গল্প আমাদেরকে বলতেন।
একটা কথা আমার খুব মনে দাগ কেটে আছে, আমার বাবা-চাচা-ফুফুরা নয় ভাই বোন। ছোটবেলায় সবাই একত্রে ঘুমাতেন। মেঝেতে মাদুর পেতে নয় ভাইবোন একত্রে ঘুমাতেন। আর দাদী সারাদিন সারারাত গৃহস্থালি দেখাশুনা করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক বাটি সরিষার তেল ঘুটে এক এক করে নয়জন ছেলেমেয়ের মাথায় দিয়ে দিতেন। হয়ত নয়জেনেই ততক্ষণে ঘুমিয়ে গেছেন কিন্তু দাদীর ঐ কাজটা করা চাইই। এরপর সকাল হলে আবার যে যার কাজে। বিশাল গৃহস্থ পরিবার ছিল, কাজের প্রচুর চাপ। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে কে কোথায় গেল, কে কি খেয়ে গেল এসব দেখার ফুসরত দাদীর ছিল না। সন্তানদের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ তাই পুরোটা দেখা যেত কেবল ঐ এক বাটি সরিষার তেলের মধ্য দিয়েই।
যেহেতু দাদীকে সেভাবে কাছে পাইনি, তাই আমার দাদীর স্মৃতি বলতে বাবার শৈশবটা তার মায়ের কাছে যেমন ছিল তেমনি মনে হয় রয়ে গেছে আমার কাছে।

দাদুর মৃত্যুর পর দাদী কয়েকবছর একা একা বেঁচে ছিলেন। নিজে একা একা থাকতেন। কারও সাথে না। এই হচ্ছে আমার দাদীর স্মৃতি। তাই সেরকম অর্থে দাদী ঠিক কিভাবে আদর করতে পারেন সেটা অনুভব করতে পারি না।
আপনার দাদীর স্মৃতিকথা পড়ে মনে হলো- আমি কিছু একটা পাইনি।

পান খাওয়া লাল টুকটুকে ঠোঁটের টিয়াপাখি ; প্রিয় দাদী আমার দাদী আমার- শব্দ দুটির মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে দাদীকে আপনি ও দাদী আপনাকে কতটা আপন করে নিয়েছিলেন।
অনেক অনেক ভালোলাগা ও শ্রদ্ধা রইলো আপনার দাদীর প্রতি। আপনাকেও শ্রদ্ধা, এরকম কয়জন আছে যে তার দাদীকে নিয়ে এভাবে এতটা গভীরে ভাবেন। আপনি নিশ্চয়ই তার সেই ভালোবাসার ও আদরের যোগ্য।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা মিথী আপু।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

মিথী_মারজান বলেছেন: ওহ্! ভাইয়া! :(
আমার নিজেরও মন কেমন করছে আপনার দাদীর কথা শুনে।
আত্মসম্মান, আত্মঅভিমান কিংবা স্বেচ্ছা নির্বাসন যেভাবেই হোক, কোন মানুষ একা থাকে এই ব্যপারটা আমার কেন যেন খুব কষ্ট লাগে।
একা একা থাকার কথা আমি নিজের ক্ষেত্রে ভাবতেও পারিনা।
যদি বেঁচে থাকি, বৃদ্ধকালে আমি খুব ভাল একটা দাদী / নানী হতে চেষ্টা করবো।
বৃদ্ধকালে কখনো একা থাকতে হলে আমি মনেহয় এই কষ্টেই কাঁদতে কাঁদতে মারা যাবো।
আপনার দাদীর জন্য দোয়া রইল ভাইয়া।
ভালোবাসার প্রকাশ সবাই সমানভাবে করতে পারেন না।
দৈনন্দিন এত কাজের চাপ সত্ত্বেও রাতে বাচ্চাদের মাথায় নিয়মিত তেল দেয়ার যত্নটুকু ছোট হলেও গভীর ভালোবাসার প্রকাশ।
আমার আব্বু - চাচারাও এমনকরে একবিছানায় ছোটবেলায় থাকতো।
বড় হবার পরেও নাকি এমন হতো।
শুনেছি, রাতে বাড়ি ফিরে গল্প করতে করতে নাকি একই ঘরে চাচা, ফুফু, চাচী, দাদী সবাই একসাথে খাটে, সোফায়, মেঝেতে ঘুমিয়ে যেত পরে সকালে উঠে যে যে, যার যার মত ফ্রেশ হতো।
আমাদের পুরো বাড়িতে এখনো কোন সিঙ্গেল বা সেমি ডাবল খাট নেই।
এত ছোট খাট হলে রুমে শুয়ে বসে আড্ডা জমবে কিভাবে! হা হা।

দাদীকে খুব আপন করে না পাওয়াটা মানে আসলেই লাইফে খুব বড় কিছু মিস্ করা ভাইয়া।
আমারতো মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সবাইকে নিয়ে লিখি, আমার চাচা, আমার ফুফু, ভাই, বোন বন্ধু-বান্ধব সবাইকে ঘিরে সম্পর্কের সব কথা।
প্রতিটা সম্পর্কের ভালোবাসাগুলোর কত রঙিন যে সব রূপ!
চাচা, ফুফুদের ভালোবাসাগুলো লিখলেও অনেক অনেক পেইজ লাগবে আমার।
এই যে এত বড় হয়েছি, এত বয়স হয়েছে, উনাদের কাছে পেলে আদরে আদরে এখনো নিজের বয়স ভুলে যাই আমি।
সময়, মেন্টালিটি অনেক চেইঞ্জ হয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজনের ভিত্তিতেই একক পরিবার গড়ে উঠছে।
তারপরও আমি বলবো, যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠার মত আনন্দ আর কোথাও নেই, কোথ্থাও না!

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: আমার দাদা আজ আড়াই মাস হল চলে গেলেন। দাদি কেমন নিশ্চুপ হয়ে গেছে। আপনার লেখাটা তাকে আরো মনে করিয়ে দিল :((

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

মিথী_মারজান বলেছেন: আহারে... :(
আপনার দাদীর জন্য আমার অন্তরের অন্ত:স্হল থেকে ভালোবাসা।
ঠিক এমন কষ্টের ভেতরই আমার দাদী একটা সময় পার করেছে এটা ভাবতে দাদীকে আবার একটু ফিল করলাম যেন।
মহান আল্লাহ্ উনাকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার তৌফিক দান করুক। :(
আপনার দাদাভাইয়ের জন্যও দোয়া রইল।
সম্ভব হলে দাদীকে একটু বেশি সঙ্গ দিন।
মহান আল্লাহ্ আপনাদের পরিবারকে হেফাজত করুক, আমিন।


২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: পান খাওয়া লাল টুকটুকে ঠোঁটের টিয়াপাখি ; প্রিয় দাদী আমার
কি চমৎকার ভাবেই না দাদীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন! পুরোনো দিনের সব স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
ভালো থাকুন সব সময়। ধন্যবাদ ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

মিথী_মারজান বলেছেন: আমার দাদীকে দেখতে আমার কাছে এমনটাই সুন্দর লাগতো ভাইয়া।
সবসময় পান খেতেন তিনি আর ঠোঁটদুটো কি সুন্দর লাল হয়ে থাকতো।
কোন মানুষ ফর্সা নাকি কালো এসব নিয়ে কোনদিনও মাথা ঘামাইনা আমি কিন্তু দাদীকে যখন এমন টুকটুকে লাল ঠোঁটের টিয়াপাখির মত দেখতে লাগতো, তখন ছোটবেলায় আমার খুব আফসোস হত মনেহলে যে বৃদ্ধাকালে পান খেলেও কখনো আমাকে এমন সুন্দর লাগবেনা কি না এটা ভেবে। হা হা।
আর এই পানখাওয়া মুখের সুগন্ধে কথা বলার সময় চারপাশ কেমন মৌ মৌ করতো।
মাঝে মাঝে আমাদের আব্দার রক্ষার্থে ছোট্ট পিতলের হামানদিস্তাটা দিয়ে পান ছেঁচে ছেঁচে সব নাতী-নাত্নীকে খেতে দিতেন।
ক-ত খেয়েছি দাদীর চিবানো পানের সামান্য একটু অংশ তার মুখ থেকে কেড়ে নিয়ে!

আমাকেও অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
আন্তরিক মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ।:)

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রথমেই মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আপনার দাদিকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।
মানুষটার গায়ের রং কালো এটা তো কারও দোষ হতে পারে না,এই কথাটির মাধ্যমেই আপনার দাদির উদার মন মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।সেই কতদিন আগে আপনার দাদি কত উদার মনের ছিলেন।আর এখনও পর্যন্ত আমাদের সমাজ এই সাদা-কালোর দন্দ থেকে বের হতে পারেনি!
আপনার দাদা-দাদির মাঝে যে অকৃত্তিম ভালবাসা ছিল বর্তমান সমাজে সেটাও বিরল।
আপনার দাদির ইলিশ খেচুড়ির কথা শুনে কিন্তু লোভ লাগল।আপনিও নিশ্চয় ইলিশ খেচুড়ি ভাল রাধেন?একদিন আলাদা করে ইলিশ খেচুড়ি নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েন মিথী আপু।
আমার দাদি আমার বয়স যখন ৫-৬ তখন মারা গেছেন।দাদির স্মৃতি আমার তেমন মনে নেই।তবে মা গল্প করেন আমার দাদি আমাকে খুব ভাল বাসতেন।তিনাকে কিছু খেতে দিলে আমাকে না দিয়ে কখনই খেতেন না।

দাদিকে নিয়ে আপনার লেখাটি সত্যি মন ছুয়ে গেল।সব সময় ভাল থাকুন সে কামনায় করি।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

মিথী_মারজান বলেছেন: দাদীকে ভেবে দোয়া করায় আর এত সুন্দর করে ফিল করায় থ্যাংক ইউ ভাইয়া।
আর, আমি কখনো সেভাবে ইলিশ খিচুড়ি রান্না করার সাহসই করিনি আজ পর্যন্ত।
আমি একচুয়েলি রান্না শেখা শুরুই করেছি আমার বিয়ের পর থেকে।
দাদীর এত আদুরে ছিলাম, কোনদিন যে বিয়ে দিতে হবে, রান্না করে খেতে হবে এটা মনেহয় উনার মাথায়ও ছিলোনা। হা হা।
আর,আমিই বা কেমন ছিলাম!
দাদীর রান্নার নিজস্ব জাদুটা যে শিখে রাখা জরুরী এটা কখনো মাথাতেই আসেনি।
নাতী-নাত্নীদের রান্নাঘরে দেখলেই দাদী কি যে রাগ করতেন!
(আসল কথা তিনি বোধহয় চাইতেন লেখাপড়াটা আগে ঠিকমত করি) :)
তবে একবার খুব দু:সাহস নিয়ে ইলিশ খিচুড়ি ট্রাই করেছিলাম।
মাছ ভেঙে টেঙে বিশ্রী অবস্হা!:(
ভালো একটা কথা মাথায় ঢুকালেন ভাইয়া।
বড়চাচী আর বড়ফুফু খুব মজা করে রাঁধতে পারে।
যদিও আমার দাদীর হাতের রান্নাটা অবশ্যই বেস্ট, তারপরও শিখে নিতে হবে উনাদের কাছ থেকে।

আপনার দাদীর জন্যও শ্রদ্ধা আর দোয়া রইলো ভাইয়া।
দাদী নানী মনেহয় আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
উনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসার কখনোই তুলনা হয়না।

ভালো থাকবেন ভাইয়া।
অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।:)

২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন। আপনার দাদি যেনো ওপাড়ে শান্তিতে থাকনে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা রইল।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওপারে - এপারে সবখানে ভালো থাকুক সকল প্রিয়জন।:)

২৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার দাদীকে দেখতে আমার কাছে এমনটাই সুন্দর লাগতো ভাইয়া।
সবসময় পান খেতেন তিনি আর ঠোঁটদুটো কি সুন্দর লাল হয়ে থাকতো।
কোন মানুষ ফর্সা নাকি কালো এসব নিয়ে কোনদিনও মাথা ঘামাইনা আমি কিন্তু দাদীকে যখন এমন টুকটুকে লাল ঠোঁটের টিয়াপাখির মত দেখতে লাগতো, তখন ছোটবেলায় আমার খুব আফসোস হত মনেহলে যে বৃদ্ধাকালে পান খেলেও কখনো আমাকে এমন সুন্দর লাগবেনা কি না এটা ভেবে। হা হা।
আর এই পানখাওয়া মুখের সুগন্ধে কথা বলার সময় চারপাশ কেমন মৌ মৌ করতো।
মাঝে মাঝে আমাদের আব্দার রক্ষার্থে ছোট্ট পিতলের হামানদিস্তাটা দিয়ে পান ছেঁচে ছেঁচে সব নাতী-নাত্নীকে খেতে দিতেন।
ক-ত খেয়েছি দাদীর চিবানো পানের সামান্য একটু অংশ তার মুখ থেকে কেড়ে নিয়ে


অড প্রশ্ন করলাম, আপনি কি পান খান?

এখনকার মেয়েরা বা ছেলেরা যার কথাই বলেন না কেন, কেন জানি কেউ পান খেতে চায় না অথচ ছোট বেলায় একটু বয়স হলে সবাই কে পান খেতে দেখতাম। বাবা মা দাদা দাদী নানা নানী কেউ বাদ যেত না। ছোট বেলায় সবার জন্য কত পান কিনে এনে দিতাম। আহ, সেই দিন গুলি কই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

ভালো থাকবেন আপু।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

মিথী_মারজান বলেছেন: এমনিতে রেগুলার পান খাইনা ভাইয়া।
কোন অকেশনে বিশেষ করে বিয়ে বাড়িতে গেলে মিষ্টি পান খাই।
তবে যেদিন প্রথম দাদী/নানী হবো সেদিন থেকে অবশ্যই রেগুলার পান খাবো এটা আমি আগেই ভেবে রেখেছি।
পান খাওয়া দাদী/নানী আমার খুব পছন্দ।:)

আপনিও ভাল থাকবেন।:)

২৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন:

আপু :) লেখাটি আগেই পড়ে লাইক দিয়ে গেছিলাম । মন্তব্য পরে করবো বলে করিনি ।
প্রিয় মানুষদের নিয়ে খুব চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ করলেন ।
আপনার দাদির কথা পড়ে আমার দাদির কথা মনে পড়ে গেল । উনি অসুস্থ ,তবে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঠিকিই খোঁজ রাখে আমাদের । কে খেলো,কে কে বাকি আছে ,কার কি লাগবে । কে এখনো বাসায় ফিরেনি ,দেরি হচ্ছে কেন ইত্যাদি ইত্যাদি । সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ নিবেন । আর শিরোনামটি খুব ভালো হয়েছে । ছোট বেলায় পান খেতাম দাদির কাছে থেকে =p~
প্রিয়জনরা যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

মিথী_মারজান বলেছেন: দোয়া করি, জলদি সুস্হ হয়ে উঠুক আপনার দাদী।
আমার দাদী ভালই বৃদ্ধ বয়সে মানে প্রায় ৯৩ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন।
শেষ বছরটায় বেশিরভাগ সময় অসুস্হ থাকলেও তার আগ পর্যন্ত আমাদের সবকিছু ছিলো উনার নখদর্পনে।
কোন ছেলে কি করলো, কোন নাতি পুতির কি অবস্হা সবদিকে খেয়াল ছিল।
আমার কোন চাচাকে কোনদিনও দেখিনি দাদীর কথার উপরে কোন কথা বলার সাহস করতে।
দাদী কিন্তু মোটেও রাগী ছিলেন না, কিন্তু উনার কনট্রোলিং পাওয়ার, বিচক্ষণতা আর মনের জোর ছিল অসাধারণ।
কখনো দেখিনি কারোর উপর কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে।
তবে এমন সুন্দর সব আচরণ করতো সবাই নিজ থেকেই উনার বশীভূত হয়ে যেত।
নিজের আট সন্তান ছাড়াও আরো কত যে মানুষের মা ছিলেন তিনি গুণেও শেষ করা যাবেনা।
খুব অবাক লাগে, একটা মানুষ কিভাবে একা এত দিক সামলাতেন!

দাদীদের পান অন্যরকম মজার হয় খেতে, তাই না ভাইয়া! :)
কোন পানওয়ালার পানই এমন মধুর অনুভূতিতে মন ভরাতে পারেনা।
সবসময় আন্তরিকতার সাথে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর থাকুন সবসময়, শুভ কামনা।:)

২৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে---
আপনার দাদী নিয়ে পোষ্ট
আমাকে আমার দাদীর কথা মনে করিয়ে দিলেন।
অনেক স্রৃতি আছে আমার। সব লিখব।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

মিথী_মারজান বলেছেন: লিখুন ভাইয়া।
আমরাও জানি আরেকজন প্রাণপ্রিয় দাদীকে।
আপনার দাদীর জন্য দোয়া রইল।

ধন্যবাদ ভাই নূর।:)

২৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ বাহ ! কি সুন্দর লেখা আপু । অনেক ভালো লাগলো আপনার আর আপনার দাদীর গল্প । আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার দাদী অসুস্থ ছিল এবং মারা গিয়েছে তাই দাদী কে খুব বেশী পাইনি আর দাদীর সাথে আমার তেমন কোন স্মৃতি নেই । কিন্তু আপনার দাদীর মত মুখখানি ছোট্ট আর ফর্সা ছিল। সবচেয়ে বেশী সুন্দর ছিল তার পা খানি । এখনও মনে আছে ।

আপনার গোপন কষ্টের মত আমারও গোপন কষ্ট আছে মিথী আপু ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রিয় ফুলঝুরি, আরও কত কিছু মনে করিয়ে দিলেন!
আমি গতকালও বাসায় বলছিলাম যে, দাদীর পায়ের মত সুন্দর পা আমার জীবনে আমি দেখিনি।
খুব ছোট্ট আর পাতলা গড়নের খুব সুন্দর ছিল পা জোড়া।
ওয়াশরুমে যাওয়া ছাড়া দাদীকে কখনো স্যান্ডেল পড়তে দেখিনি।
জুতা পড়তেন সবসময়।
বড়দের পায়ের মাপের জুতা লাগতোনা দাদীর পায়ে।
ছোটদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাইজ যেটা সে মাপের জুতো কিনতে হত দাদীর জন্য।
সে জুতো জোড়াও আবার যেমন তেমন হলে চলবে না।
খুব সফ্ট আর কালো অথবা লেদার ব্রাউন কালার হতে হবে।
এনিয়ে একসময় কত যে হাসাহাসি করতাম আমরা।
আর এখন ভাবতেই বুকটা কেমন টনটন করে।:(
আমি সবসময় নিয়মকরে দাদীর নখ কেটে দিতাম।
পায়ের নখ কাটার সময় কতদিন যে ভালোবেসে হাত বুলিয়েছি সেখানে, সেই মুহূর্তগুলোও এখন মিস্ করি।
ঈদে, জন্মদিনে, পরীক্ষায়, রেজাল্টে সেই পা জোড়া ছুঁয়ে কত যে ভরসা আর সাহস মনে জুগিয়েছি!
কেন প্রিয়জনেরা আমাদের ছেড়ে চলে যায়?
একসাথে চলে যাওয়ার নিয়ম হলে খুব ভালো হত ফুলঝুরি।:(

২৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: দাদীকে আমিও খুব মিস করি। লেখাটা আমার মন ছুঁয়েছে।দারুন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আজ প্রথম এলেন আমার ব্লগে।
সুস্বাগতম।
শ্রদ্ধা জানবেন।:)

২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

সুমন কর বলেছেন: আপনার দাদী'র আত্মা যেন শান্তিতে থাকে। লেখা খুব ভালো হয়ে, খন্দকার সাহেব.....!!

আমার এমন সুন্দর ভাগ্য হয়নি, দাদা-দাদী ও নানা-নানী সবাই দূরে থাকত। এখন কেউ বেঁচে নেই.....
+।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মিথী_মারজান বলেছেন: দারুন নস্টালজিক করে দিলেন ভাইয়া।
কতটা ভালোবেসে যে দাদী আমাকে এই নামটায় ডাকতেন!
তখনো ফিল করেছি, এখনো ফিল করি।
আর এটা নিয়ে আমিও খুব ভাব নিতাম অন্য কাজিনদের সাথে।:p
বাসার সবাই বলে আমার সাথে দাদার চেহারায়, আচরণে অনেক মিল।
আমি নিজেও এজন্য অনেক খুশি।

আপনার দাদা-দাদী, নানা-নানীর জন্যও দোয়া রইল।
অনেক ধন্যবাদ।:)

২৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেকটা আবেগী লেখাটি।

লিখাটি পড়ে মন ছুয়ে গেল।

জ্বর হলে মাথায় পানি দেওয়াটা আমার সাথে মিল আছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০১

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
আপনার দাদীও এভাবে মাথায় পানি ঢালতেন?
কি অদ্ভুত সে প্রশান্তি! তাই না ভাইয়া!!!:)
দাদীকে নিয়ে লেখাতে যখন কারো মন ছুঁয়ে যায়,তখন এটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগে।
মনেহয়, যাক্, তাহলে লেখায় কোন ভুল হয়নি সম্পর্কের বিশ্লেষণে।

অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
ভাল থাকবেন।:)

৩০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমার দাদীকে সবাই সুন্দরীর মা ডাকতো। । আর সেও খুব পান খেতো।।
বাংলা শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক ছিলো না। তবে পিতা কারী। ফার্সি পাস। আগে উর্দু ফার্সি পাসের যে ব্রিটিশ পদবি ছিল।
আর ভাইরা সব শিক্ষক, আর আর্মি থাকায় দাদি ছিল স্বশিক্ষিত।।। বলতে গেলে খুব চালাক আর বুদ্ধিমতী । সে আমাদের ঠিক এমনি করে আদর করতেন। দুর্ঘটনাবশত হাত অচল ছিল। অনেকদিন।

শেষ কষ্ট পেয়েছি যে দাদি মারা যাওয়ার পর আমিই কবরে নিয়ে গিয়েছিলাম। খাটিয়াতে করে নিজের কাধে।।।


এটা খুব কষ্ট দেয়

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
সুন্দরীরর মা!
কি সুন্দর ডাক!
আপনার দাদীর জন্য আমার শ্রদ্ধা ও দোয়া রইলো ভাইয়া।
সুশিক্ষিতের চেয়ে একজন স্বশিক্ষিত মানুষ আরো বেশি উন্নত ও সম্মানিত।
আমার দাদীরও একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিলোনা।
দাদীর আব্বা ছিলেন জেলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
উনার আগ্রহে দাদী বেশ কিছু বছর ছেলেদের স্কুলেই একা মেয়ে সহপাঠী হয়ে ক্লাস করতেন।
একে তো সেইসময় তার উপর আবার অজ পাড়া গাঁ।
দাদীর মুখে তার সেসময়কার গল্পও শুনেছি।
ইভটিজিং তো দূরের কথা উল্টো একা একটা মেয়ের সাথে একসাথে ক্লাস করতে হচ্ছে সেজন্য নাকি ছেলেরা নিজেরাই লজ্জাবনত হয়ে থাকতো সবসময়।
কথা বলা তো দূরে থাক! দাদী যে বেঞ্চে বসতেন সেই বেঞ্চ ছেড়ে দিয়ে অন্যটায় বসতেন তারা।
স্কুলের কিছু টিচারও নাকি এটা নিয়ে সুযোগ পেলেই দাদীর আব্বাকে কিছু কথা শোনানোর সুযোগ ছাড়তেন না।(তিনি কখনোই এসব পাত্তা দেননি)।
আমার দাদীর আব্বাও আরবী লাইনে শিক্ষিত ছিলেন।
পেছনে মানুষ নাকি তাকে আধুনিক মাওলানা টাইপ খোঁচা মারা কথা বলতেন, মেয়েকে সাথে করে স্কুলে নিয়ে ছেলেদের সাথে ক্লাস করাতেন জন্য।
পরবর্তীতে তো বিয়ে হয়ে যায় দাদীর।
তুলামূলক কম বয়সই ছিলো তার।
তখন থেকে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি, তবে পরবর্তীতে চাকরীসূত্রে ইন্ডিয়ায় চলে যাবার পর, বাসায় টিচার রেখে দিয়েছিলেন আমার দাদা।
এভাবেই চলেছে টুকটাক পড়াশোনা।
আপনার শেষের লাইনগুলোতে মন ভারী হয়ে এলো ভাইয়া।
আমারও খুব মনেপড়ে একটা ভয়ঙ্কর দিনের কথা।
এ্যাম্বুলেন্সে সেদিন দাদীর সাথে আমি বসেছিলাম।
হাতটা এত শক্ত করে ধরে রেখে প্রার্থনা করছিলাম যেন কোন শক্তি তাকে আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে না পারে।
আল্লাহ্ আমার দোয়া কবুল করেছিলেন সেদিন।
আই সি ইউ তে সতেরো দিন থাকার পর চোখ মেলেছিলেন।
এরপর আরো তিনমাস বেঁচে ছিলেন।
দাদী মারা যাওয়ার দিনটাও খুব মনে পড়ে।
কি যে কষ্ট হচ্ছিলো আমার কিন্তু কোন কান্নাই চোখে আসেনি।
চেষ্টাও করিনি জোর করে কাঁদতে, নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছি এই ভেবে যে, চলে যাওয়াটা তার জন্য এখন খুব প্রয়োজন।
তার শারীরিক কষ্টটার জন্য তো কিছুই করতে পারছিলাম না আমরা।
দূরে গিয়েও যদি ভাল থাকে সেটাও তো আমাদের জন্য মস্ত পাওয়া।:(

কাছে বা দূরে, খুব খুব ভালো থাকুক আমাদের প্রিয়জনেরা।:(

৩১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৩

সূর্যালোক । বলেছেন: যেমন লেখা তেমব পাঠক মন্তব্য ও উত্তর। সব পড়লাম। ভালো লাগা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

মিথী_মারজান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি বেশ্ অনুপ্রেরণাদায়ক।
আপনি নিজেও অনেক আন্তরিকতার সাথে লেখাটি পড়েছেন।
অনেক ধন্যবাদ সূর্যালোক।
আমার ব্লগে স্বাগতম।:)

৩২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৫

প্রামানিক বলেছেন: দাদীর স্মৃতিচারণ পড়ে আমারো দাদীর কথা মনে পড়ে গেল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

মিথী_মারজান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাইয়া।
আপনার লেখায় বারবার ফিরে আসা কুষ্টিয়া নামটা পড়লেই আমার মন কেমন করে সবসময়।
এই শহরটা আমার দাদীর খুব প্রিয় ছিল।
শুনতে শুনতে শহরটা আমার অনেক পরিচিত হয়ে গিয়েছিল।

ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার দাদীর জন্য দোয়া রইল।:)

৩৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় নদীতো আত্মীয়,
জিনির হাজার বছরের মুখ বন্ধ বোতলের মুখ নয়, এই লেখায় পান খাওয়া লাল টুকটুকে ঠোঁটের টিয়াপাখি দাদির জন্য বোতল বন্দি ভালোবাসাটুকু সব উজাড় করে ছড়িয়ে দিয়েছেন ব্লগের পাতায় পাতায় I অসাধারণ হয়ে ফুটে উঠেছে লেখার রেখার আঁকা দাদির জন্য জমিয়ে রাখা আপনার ভালোবাসা I আমি আমার নানা, দাদা আর দাদি এই তিনজনকে দেখিইনি I নানীকে দেখেছি তাও আমার অনেক ছোট বেলাতেই উনি আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন I আপনার দাদিকে নিয়ে অনেক মায়ার লেখাটা তাই অনেক মুগ্ধ ভালোলাগা নিয়ে পড়লাম I খুব সুন্দর I ভালো থাকবেন I

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫২

মিথী_মারজান বলেছেন: প্রিয় নদীতো আত্মীয়,
বিশ্বাস করুন, অনুভূতির এক ফোঁটাও প্রকাশ করতে পারিনি লেখায়।
কতটা ভালবাসা আর যত্নে যে তিনি আজীবন আমাদের পুরো পরিবারটা আগলে রাখতেন আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে ভাবি।
জিনি'র ম্যাজিক তো ছিলো আমার দাদীর ভালোবাসায়!
আপনার গুরুজনদের প্রতি রইল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।
মহান আল্লাহ্ উনাদের প্রত্যেককে জান্নাত নসীব করুক, আমিন।
লেখাটি আপনার ভালোলেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
আপনি অত্যন্ত সজ্জন একজন ব্যক্তি, তাই সবকিছু এমন সুন্দর করে ফিল করেন।
আপনিও সবসময় ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা নিরন্তর..... :)

৩৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা পড়ার আগেই, শুধু শিরোনামটা পড়েই 'লাইক' দিয়ে রাখলাম, কারণ এই শিরোনামের ভেতরেই লুকিয়ে আছে সুগভীর ভালবাসা, এবং বুঝতে পারলাম, এখান থেকেই ঝরে পড়বে ভালবাসার ফল্গুধারা পোস্টের লাইনে লাইনে।
চায়না জাংশন রেস্টুরেন্ট টা কোথায় অবস্থিত?
"ও দাদন! একটু চিন্তা করে দেখোতো, কী খেতে মন চায়!" - আহা রে! কোথায় পাবে আজকের যুগের ছেলেপুলেরা এত্ত এত্ত ভালবাসা! আপনার দাদীর রঙ যেমন ছিল টুকটুকে ফর্সা, তেমনি আমার দাদীরও এবং আমার স্ত্রীর নানীরও। এবং আমরাও ছিলেম তাদের নয়নের মনি, যদিও আমি আমার দাদীকে সুস্থ অবস্থায় খুব কম সময়ের জন্যই পেয়েছিলাম। তাঁরা আমাদেরকে খুব ভালবাসতেন বলে তাঁদের কথা প্রায়ই আমাদের আলাপচারিতায় উঠে আসে। আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি ওনাদের ভালবাসার কথা।
"তাছাড়া আমার মতামত জানতে চেয়ে উনি আমাকে যে সম্মান জানিয়েছিলেন, সেটাও আমাকে মুগ্ধ করেছিল" - তিনি সঠিক কারণেই মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছিলেন।
আপনার দাদী পরম মমতা এবং ভালবাসা দিয়ে আপনাদের পরিবারের সবাইকে একত্রে বেঁধে রেখেছিলেন। সংসারে এমন সুশীতল স্নেহময় বিটপী'র ছায়াতলে বেড়ে ওঠার সৌভাগ্য সবার হয় না।
কি সুন্দর এক ভালবাসাময় পরিবারে আপনি মানুষ হয়েছেন। মনে পড়ে, আপনার একটা লেখায় বোধহয় পড়েছিলাম, কোন একটা পরীক্ষার সময় বিরাট এক ফ্যামিলি মিছিল আপনাকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়েছিল। :) ইন শা আল্লাহ, এমন ভালবাসা প্রজন্ম প্রজন্মান্তর ধরে আপনাদের মাঝে প্রবাহিত হবে।
শিখা রহমান (১৩) এবং জাহিদ অনিক (১৮) এর মন্তব্য ভাল লেগেছে। সেই সাথে ভাল লেগেছে আপনার ৩, ১০ ও ১৮ নং প্রতিমন্তব্য। +


৩৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

মিথী_মারজান বলেছেন: চায়না জাংশন রেস্টুরেন্টটি নারায়ণগঞ্জের এক সময়কার বেশ্ মানসম্পন্ন রেস্টুরেন্ট ছিল।
আমার দাদীর স্নেহ মমতা আমি চিরকালই খুব মিস্ করবো।
খুব ভালো লাগলো আপনার দাদী এবং আপনার স্ত্রী'র নানী অর্থাৎ আরো দুইজন মমতাময়ী শ্রদ্ধাভাজন মানুষগুলোকে জানতে পেরে।
মহান আল্লাহ্ উনাদেরকে জান্নাত নসীব করুন।
আসলেই তো! কি চাই আমরা সবাই! আর কি-ই বা রেখে যাই ভালোবাসার স্মৃতিগুলো ছাড়া।
উনাদের কথা ভাবলে এখনো শ্রদ্ধাবনত আর আপ্লুত হই সেটা তো উনাদের আচরণ গুণেই।
মহান আল্লাহ্ আমাদেরকেও এমন গুণে গুণান্বিত হওয়ার তৌফিক দান করুক।
আপনি আমার 'এক টুকরো শৈশবস্মৃতি আর ভালোবাসার অটুট বন্ধন' লেখাটি মনে রেখেছেন জন্য আপ্লুত হলাম। সেখানেই এস. এস. সি. পরীক্ষায় পরিবার পরিজন নিয়ে এমন দল বেঁধে পরীক্ষার হলে যাওয়ার কথা লিখেছিলাম।:)
পুরো সংসারটিকে আমার দাদী জাদুর পরশে বেঁধে রাখতেন। এমন করে ইচ্ছা থাকলেও সবাই পারেনা। আমরা ভাগ্যবান এমন একজন মায়াবতীর তত্বাবধানে বেড়ে উঠেছি জন্য।
এত সুন্দর করে দোয়া করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুক।
আপনার জন্যও একই দোয়া রইল।
পরিবার পরিজনদের মাঝে ভালোবাসায় থাকার মত সুখের অভিজ্ঞতা থাকুক আমাদের পরবর্তী প্রজন্মদের।
ভালো থাকবেন আপনি।:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.