নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সভ্য পৃথিবীর, যেখানে মানুষের মাঝে সত্যিই শুধু মানুষ পাবো, যেখানে মানুষের বেশে কোন অমানুষ থাকবে না ।

অচেনা হৃদি

অচেনা হৃদির ডিজিটাল ডায়েরিতে আপনাকে স্বাগতম!

অচেনা হৃদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

লস এঞ্জেলস ডায়েরি

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৪



ফ্রিহ্যান্ড লস এঞ্জেলস হোটেলের বারে একা বসে মানুষজনের কর্মকান্ড দেখছিলাম। আমার পাশে চাইনিজ চেহারার এক মহিলা এসে বেশ আয়েশ করে বসলেন। তারপর গ্লাসভর্তি লাল রঙের পানীয় নিয়ে চুমুক দিতে লাগলেন। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তার মদ খাওয়া দেখছি। বয়স কত হতে পারে? খুব বেশি হলে ত্রিশ! এর বেশিও হতে পারে, আমি আবার মানুষের বয়স সহজে অনুমান করতে পারি না।
আমার দিকে তাকিয়ে চাইনিজ বলে উঠলেন, ‘হেই গোলমুখওয়ালী, কি খবর?’
সম্বিৎ ফিরে পেয়ে আমি বলি, ‘ভালো, তোমার কি খবর?’
-হ্যাঁ ভালোই। তুমি ড্রিংক করছ?
-না, করছি না।
-ওহ, তাই তো দেখছি। কারো জন্য অপেক্ষা করছ?
-না তাও নয়।
চাইনিজ চেহারা হাসি দিয়ে বলল, ড্রিংক করছ না, কারো অপেক্ষাতেও নেই, তো কি করছ তুমি?
আমি কিছুটা লজ্জা পেলাম। তবুও পাল্টা হাসি দিয়ে জানাই, আমি আসলে মানুষ দেখছি। মুভিতে আমেরিকান পাব আর বারের দৃশ্য অনেক দেখেছি। আজ স্বচক্ষে দেখছি, এই যা।
-ওহ, ঘটনা এটাই। বুঝেছি আমি। কোন দেশ থেকে? ইন্ডিয়া?
-না না, আমি ইন্ডিয়ান নই, বাংলাদেশি। বাংলাদেশ চেনো না?
-কেন নয়? আমরা তো বাংলাদেশের কাছের দেশ। থাইল্যান্ড। তোমাদের চেহারা ভারতীয়দের মত, আর এখানে তো ভারতীয়দের বেশি দেখা যায়, তাই তোমাকেও আমি ভারতীয় মনে করেছি। ভারতীয় বলায় খুব রিয়েকশন দেখিয়েছ, আঘাত পেলে নাকি?
আমি হেসে বলি, নাহ, ব্যপার না। এই দেখো আমিও তোমাকে চেহারার কারণে চীনা মনে করেছিলাম।
আমার হাসিতে থাই মহিলাও যোগ দিলেন। হাসি থামিয়ে বলল, ঠিক আছে, মানুষ দেখো। তবে একটা ড্রিংক নিয়ে মানুষ দেখো। এতে মজাটা বেশি পাবে।
-নাহ প্রিয়, আমি আসলে এলকোহলে অভ্যস্ত নই।
-আহা বাংলাদেশি, মদই খেতে হবে কে বলল? একটা সফট ড্রিংক ট্রাই করে দেখো।
-এখানে সফট ড্রিংক আছে?
থাই নারী হাসিতে মুখর হয়ে উঠে, সফট ড্রিংক থাকবে না কেন? মনে হয় লোকটাকে তুমি সফট ড্রিংকের কথা জিজ্ঞেস করেও দেখনি।
আমি লজ্জিত কণ্ঠে বলি, আসলে এই বারে ড্রিংকের যত বোতল দেখছি সবই তো মদের বোতল মনে হচ্ছে। তাই আমি ভেবেছিলাম সফট ড্রিংক থাকবে না।
বারটেন্ডারকে ডেকে থাই নিজেই সফট ড্রিংক নিয়ে নিল। সফট ড্রিংক মানে পেপসি। প্রথম চুমুক দিয়ে মনে হল- আরে, এই পেপসি তো আমাদের দেশের পেপসির চেয়ে বেশি মজা! তবে পরের চুমুকে আর বেশি মজা মনে হল না। একই তো জিনিস।

থাই বলল, ও বাংলাদেশি। তোমার নাম এখনো বলনি। কি নাম তোমার?
-হৃদি। তুমি হৃদি বলতে পারো।
-সুন্দর নাম তো। আমি সিরিকিত দাউ। দাউ বলে পরিচিত হই সবার কাছে।
কি খটমটে নাম। তবুও সৌজন্য দেখিয়ে বললাম, তোমার নাম খুব চমৎকার।
দাউ বলল, তোমার কি বয়ফ্রেন্ড আছে?
কি আশ্চর্য! শুরুতেই এই কথা বলে ফেলে কেউ? আমি লজ্জা কাটিয়ে বলি, হ্যাঁ আছে। জিশান তার নাম। তবে আমাদের দেশের বয়ফ্রেন্ড আর আমেরিকা ইউরোপের বয়ফ্রেন্ড এক রকম নয়। আমাদের দেশে আমরা মেয়েরা কোন ছেলেকে বিয়ের জন্য পছন্দ করলে তাকে বয়ফ্রেন্ড মনে করতে পারি। বয়ফ্রেন্ডের সাথে বাংলাদেশি মেয়েরা সব ধরনের সম্পর্ক রাখে, তবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়ে হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আমরা এ ব্যপারে একটু রক্ষণশীল।
থাই নারী দাউ মুচকি হেসে বলল, জানি আমি। মালয় মেয়েরাও এরকম। তোমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি দেখাতে পারবে?
-হ্যাঁ অবশ্যই। আমি মোবাইলে জিশানের ছবি বের করে দাউকে দেখাই। দাউ প্রসন্ন চোখে বলল, ওয়াও, খুব স্মার্ট ছেলে! আমার মনে হয় সে ভালো কোন পেশাতে আছে!
আমি হেসে বলি, তোমার ধারণা মন্দ নয়। সে ট্যাক্স ক্যাডার।
-ট্যাক্স ক্যাডার ব্যপারটা বুঝিনি।
ওহ নো। এই মহিলাকে আমি এখন কিভাবে বুঝাই ট্যাক্স ক্যাডার জিনিসটা কি রকম। মুচকি হেসে বললাম, আমাদের দেশে ট্যাক্স এর সাথে রিলেটেড একটা বড় সরকারী ডিপার্টমেন্ট আছে। জিশান, মানে আমার বয়ফ্রেন্ড, সেই ডিপার্টমেন্টে যোগ দিয়েছে। এখন সেটাই তার পেশা। এটা লোভনীয় একটা পদবী বলতে পারো।
-বুঝেছি। তো বাংলাদেশি, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করবে? বুঝতে পারছো কি বলেছি।
আমি হেসে উত্তর দিই, আমি বুঝেছি। বাংলাদেশে ওর একটা ট্রেনিং চলছে সেটা শেষ হলেই আমাদের বিয়ে হতে পারে। বেশিদিন লাগবে না, বড়জোর চার মাস। দেশে ফিরে গেলেই বিয়ে হয়ে যেতে পারে।
-ওহ আচ্ছা। মানে তুমি কয়েক মাসের জন্য এখানে বেড়াতে এসেছো?
-ঠিক। আমি আমার ভাইয়ের কাছে এলাম। বেড়ানো শেষ হলে আমার ভাই, ভাইর স্ত্রী এবং তাদের বাচ্চাদের নিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যাবো। আমার ভাই ভাবি বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকবেন, এরকম প্ল্যান আছে। আচ্ছা আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জানলে, তোমার কিছু বলবে না? তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে?
-আমি বয়ফ্রেন্ড দিয়ে কি করবো? আমি তো বিবাহিতা নারী। আমার স্বামী আছে।
-ওহ দুঃখিত। তুমি বিবাহিতা জেনে ভালো লাগলো। তোমার স্বামী কি করে?
-এখন সে তার বাবার শস্য খামারে চাষবাস করে। আগে আমেরিকান সেনাবাহিনীতে মেজর ছিল।
-ওয়াও, সেই মেজরকে তুমি বাগে আনলে কিভাবে বল তো।
-আমি ওকে বাগে আনিনি, সে নিজেই আমাকে বাগিয়ে নিয়েছিল। এসব শুনে তোমার ভালো লাগবে না। অন্য প্রসঙ্গে কথা বলি।
-না, দয়া করে মেজরের কথাই বল, আমি এটা শুনতে খুব আগ্রহী।
-তুমি কি লম্বা কাহিনী শুনতে চাও?
-হ্যাঁ অবশ্যই। আমার ভালো লাগবে।
দাউ আমার গ্লাসের দিকে তাকিয়ে বলল, তুমি কি ড্রিংক উপভোগ করতে পারছ না? এতো ছোট চুমুক দিয়ে পান করছ মনে হচ্ছে যেন খুব গরম কফি খাচ্ছ। এই গ্লাস শেষ হতে তো এতো সময় লাগার নয়।
-আমি সত্যিই উপভোগ করছি। আসলে ছোট চুমুক দিয়ে খাচ্ছি কারণ আমার কোন তাড়া নেই। আমার হাতে তোমার গল্প শোনার মত যথেষ্ট সময় আছে। দয়া করে বল আমাকে।

দাউ আরেক গ্লাস লাল পানি নিল। ওর ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে সে আমাকে লম্বা একটা সময় দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। লাল পানিয়ের গ্লাসে এক চুমুক দিয়ে দাউ বলল, আমি থাইল্যান্ডে খুব অল্প বয়স হতেই টাকা কামানো শুরু করেছিলাম। চিয়ার লিডার হিসেবে আমার জীবন শুরু হয়। চিয়ার লিডার বালিকারা কৌশলে অনেক টাকা আয় করতে পারে। আমিও অনেক করেছি। কিন্তু টাকা কখনো জমিয়ে রাখতে পারিনি। কোন না কোনভাবে আমার টাকা খরচ হয়ে যেত।
দাউ তার গ্লাসে দ্বিতীয় চুমুক দিল। গলা ভিজিয়ে নিয়ে আবার শুরু করল, আমি কত কাজ করেছি, কত পেশা নিয়েছি জানো? ব্যাংককের এক নামকরা হোটেলে স্পা এর কাজও করেছি। যখন যা সুবিধা মনে হত তাই করতাম। স্পা এর কাজেই একদিন আমেরিকান মেজরের সাথে পরিচয় ঘটেছিল। সে তখন মেজর ছিল না, ক্যাপ্টেন ছিল। তার নাম রবার্ট লিসন। থাই-আমেরিকান সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়ার কাজে ব্যাংকক যায়। একদিন সে স্পা নিতে আসে, আর তার সাথে দেখা হয়ে যায় আমার। লিসন আমাকে দেখে পছন্দ করেছিল। শুধু স্পা নিয়েই সে তৃপ্ত হল না। আমার আরও অনেক সেবা নিল সে। আমার আর তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশিদিন লিসন ব্যাংকক ছিল না। আমার সাথে দেখা করার জন্য আসা যাওয়া করার সুযোগও বেশি ছিল না তার। তবে যখনি সুযোগ পেত চলে যেত আমার কাছে। ব্যাংককের কাজ শেষে লিসন আমেরিকা ফিরে আসে। চলে আসার পরেও আমার সাথে সে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। আমিও তার সাথে যোগাযোগ ধরে রাখতে আগ্রহী ছিলাম, একজন আমেরিকান খদ্দের কে হারাতে চায় বল। এরপর খবর পেলাম লিসন পদোন্নতি লাভ করে মেজর হল। ২০০৪ সালে সে ইরাক যায়। পরের বছরেই জঙ্গিদের সাথে এনকাউন্টারে ডান পা হারিয়েছে। পঙ্গু মেজর লি আমেরিকায় ফিরে সরকার থেকে মেডেল অব অনার পায়। আমি সব জানতাম। মাঝে মাঝে লম্বা বিরতি থাকলেও আমার আর লির যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে থাকার মত লোক নয় লি। তার বাবার বড় র‍্যানশ আছে। সেখানে গিয়ে ভুট্টা চাষ শুরু করে। একদিন ফেসবুকে লি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তো মহাখুশি। একজন আমেরিকান ভেটেরানের স্ত্রী হব। আমেরিকার নাগরিক হব। এ তো আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। সবকিছু ছাপিয়ে, অন্য লোকদের অপবিত্র কামুক দেহ ঘষাঘষি করতে হবে না আমাকে। আমি লির প্রস্তাবে অনতিবিলম্বে রাজি হয়ে যাই। চলে এলাম আমেরিকা। লির সাথে বসবাস শুরু করি। তারপর প্রায় ছয় মাস পর বিয়ে হল আমাদের।
লম্বা কাহিনী বলে দাউ আবার তার থাই ঠোঁট লাল তরলে ডুবিয়ে নেয়। আমি বুঝতে পারছি দাউ আরও কিছু বলবে। প্রায় ত্রিশ সেকেন্ড বিরতি দেবার পর দাউ শুরু করল, এটাই কিন্তু শেষ নয়। আমি অচিরেই দেখতে পেলাম আরও অনেক আমেরিকান পঙ্গু সেনা থাই মেয়েদের বিয়ে করেছে। প্রকৃতপক্ষে, ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় থেকে আমেরিকান সেনাদের মাঝে এই ট্র্যাডিশন চালু হয়েছে। যে আমেরিকান সেনারা থাইল্যান্ড হয়ে ভিয়েতনাম আসা যাওয়া করতো তারা সুযোগ বুঝে কোন এক থাই প্রস্টিটিউটের সাথে ভাব জমিয়ে নিত। তারপর আমেরিকান সেনা শেষ বয়সের কাছাকাছি এলেই পরিচিত সেই থাই হোরকে বিয়ের প্রস্তাব দিত। থাই মেয়েগুলো খুশি হয়ে রাজি হয়ে যায়, রাজি কেন হবে না বল, সামনে তাদের আমেরিকান উন্নত জীবনের হাতছানি। তাই মাতৃভুমি ছেড়ে বৃদ্ধ কিংবা পঙ্গু আমেরিকানের সাথে এদেশে চলে আসে। আমিও এরকম এক নারী।
দাউ তার ঠোঁট আবার রেড ওয়াইন দিয়ে ভেজালো। তার ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে, বুঝলাম না, লাল ওয়াইন কি তার চেহারাও লাল করে দিতে পারে?
দাউ আবার বলল, তুমি জানো? থাই মেয়েরা স্বামীভক্ত হয়। থাই মেয়েদের এই দুর্বল চিত্তটিকে আমেরিকান বুড়োরা কাজে লাগাচ্ছে। তারা শেষ বয়সে একটা স্থায়ী সেবিকা পাবার আশায় থাই মেয়েদের শিকার করে নেয়। আমিও একজন সেবিকা। আমার সাথে লির বয়সের ব্যবধান মাত্র বারো বছর, ভাবতে পারো? জীবন শুরু করেছিলাম চিয়ারলিডার হিসেবে, আমার মনে হয় যেন আমার একটুও উন্নতি হয়নি, আমি এখনো চিয়ারলিডার রয়ে গেছি।



[এই গল্প সম্পুর্ন কাল্পনিক, জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তির সাথে এই গল্পের কোন বাস্তব সম্পর্ক নেই। ব্লগার ভুয়া মফিজ ভাইয়া আমাকে লস এঞ্জেলস শহর নিয়ে একটা কাল্পনিক ভ্রমণকাহিনী লিখতে বলেছিলেন। আমি তাঁর চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলেছিলাম ভ্রমণকাহিনী লিখব। দুঃখিত জনাব ভুয়া ভাইয়া, পারলাম না। :( এরকম ভ্রমণকাহিনী লিখতে অনেক কিছু জানতে হয়, অনেক ভাবতে হয়। আমি পারলাম না। তবে একদম ছেড়ে দিতেও মন চাইলো না। তাই এই কাল্পনিক গল্পটি লিখেছি। ভাষাগত এবং তথ্যগত কোন ত্রুটি পেলে পাঠকগণ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আশা করি।]

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আসলেই সুন্দর হয়েছে :)

আচ্ছা, এখানে ভিনদেশী যে সংস্কৃতির কথাগুলো বলা হয়েছে, সেগুলো তো সত্যি। তাই না, আপু?

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: মৌরি আপুর প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগলো!

বিদেশি সংস্কৃতি ফুটে তলার চেষ্টা করেছি। আমেরিকান মুভিতে দেখে, আমেরিকা প্রবাসী আত্মীয়দের মুখে শুনে সেই অনুযায়ী লিখেছি। কতটুকু সফল হয়েছি জানি না।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ফেরেস্ট গাম্প অবলম্বনে লেখা নাকি?

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: আরে নাহ!
আপনি ফরেস্ট গাম্প মুভি দেখেননি? সেখানে এরকম কোন ঘটনা নেই। এটা সম্পুর্ন আমার কল্পনা প্রসুত গল্প!
হয়ত পরের ছবি দেখে এ মন্তব্য করেছেন। :)

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়ছোটোবোন,

কাল্পনিক হলেও গল্পে একটি নির্মম বাস্তবতা আছে। ভিয়েৎনাম যুদ্ধের যে প্রসঙ্গ টানলেন তার সঙ্গে গল্পের প্রাসঙ্গিকতা বর্তমান। সত্যিই বহুজাতিক বাহিনী পরিবার পরিজন ছেড়ে যুদ্ধ করতে পাড়ি দেয় দূর দেশে। সেখানে তাদের দীর্ঘ একাকীত্ব এরকম বহু ঘটনার জন্ম দেয়। যেখানে দুজনের চাহিদা থাকে দ্বিমুখী ।তবে পরে হয়ত মনের দেওয়া নেওয়া ততটা থাকেনা, তবুও কখনওবা স্থায়ীত্ব পায় এরকম সম্পর্ক ।

এবার রুশ বিশ্বকাপে দেখলাম, রাশিয়ার সরকার সে দেশের কুমারী সহ সকল প্রস্টিটিউটদের ফুটবল খেলা দেখতে আগত সকল বিদেশীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী না করতে পরামর্শ ও প্রচার করেছে। শেষবার রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার পর প্রচুর মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। সরকার এরকম সিঙ্গল প্যারেন্ট বাচ্চাকে এবার আর নাগরিকত্ব দেবেনা বলে আগে ভাগে প্রচার করে। সেখানে দাঁড়িয়ে বয়সের সামঞ্জস্যতার অভাব থাকলেও মানবিকতা গ্রাউন্ডে দুটি প্রাণ যে সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারছে - গল্পে এটা আমার ভালো লাগার দিক। ++

হোক কাল্পনিক, গল্পে থাই মহিলাকে আমার সহমর্মিতা জানালাম ।


২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, জানি গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে। কারণ সবার আগে আপনি লাইক দিয়ে দিয়েছেন। ভালো লেগেছে আমার একারণে যে, কুরবানির মৌসুমে পাঠক খরার দিনে আপনার মত পাঠক আমাকে মন্তব্য দান করলেন।

খুব দ্রুত বের হতে হচ্ছে, কুরবানির পশুর জন্য বাবার সাথে বাজারে যেতে হবে, তাই এই মুহুর্তে প্রাণখুলে প্রতিমন্তব্য করতে পারছি না। ইনশাল্লাহ রাতে আমাদের আবার দেখা হতে পারে।
ভাইয়া, একটা বিষয় জানার ছিল, আপনাদের সেখানে কি ঈদ আজ (সোমবার ) হয়ে যাচ্ছে? নাকি আগামিকাল হবে?

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভিন্ন প্রশ্ন, ট্যাক্স ক্যাডার। এটা একটি কাঙ্খিত পেশা না পদবী? যদিও আপনি লোভনীয় পদবী বলেছেন। আমাদের এখানে যেমন সরকারি আধিকারীকদের সি টি ও , আই টি ও বলা হয়। প্রথমটা কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার, আর পরেরটি ইনকাম ট্যাক্স অফিসার। পরের আর একটি কমেন্টে জিসানকে উইস করতে আসছি।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: আগের প্রতিমন্তব্য লেখার সময় এতো দ্রুত লিখে ফেলেছিলাম, তখন একটা ভুল কথাও লিখে ফেলেছি। আপনাদের সেখানে কি ঈদ আজ (সোমবার ) হয়ে যাচ্ছে আসলে বলা উচিৎ ছিল আজ (মঙ্গলবার) কি ঈদ হয়ে যাচ্ছে?

জিসানকে উইশ করার কিছু নেই ভাইয়া। এটা একটা ফিকশনাল ক্যারেক্টার। আমার পরের গল্পগুলোতেও জিসান নামটি আসবে। এই নামের জন্য খামাখা বিভ্রান্ত হবেন না দয়া করে।

ট্যাক্স ক্যাডার পেশা হতে পারে, তবে সুনির্দিষ্ট কোন পদবী নয়। সাধারনত সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আটাশটি ক্যাডারের মাঝে ট্যাক্স বা কর সংক্রান্ত ক্যাডারে যোগ দিতে পারে। তারা যখনই যোগ দেয় তখনি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেয়। তাদের পোস্টের নাম হয় সহকারী কর কমিশনার। আমি যতদূর জানি আয়কর কর্মকর্তার অবস্থান সহকারী কর কমিশনারদের অধীনে। :)

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: নিজেদের দেশের কথা উঠলে সবাই সতীপনা দেখায়। অথচ বাস্তবে দেখা যায় বিয়ের আগেই মহাসাগর।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার জন্য দুঃখ হচ্ছে। সম্ভবত আপনি এদেশে সতী মেয়ের সাক্ষাত পাননি। যে নিজে যেমন সে তেমন মানুষের সঙ্গ পেয়ে থাকে।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
লস এঞ্জেল যাওয়ার খুব শখ। মুভিতে এতবার দেখেছি। বইতে এত বার পড়েছি।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০০

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
আহারে ভাইয়া। আমারও তো সেইম কন্ডিশন!

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

লায়নহার্ট বলেছেন: {গোলমুখওয়ালী! লোল}

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১০

অচেনা হৃদি বলেছেন: Chubby! ;)

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হ্যাঁ দেখেছি। ঐ সিনেমাতেও একজন পঙ্গু ভিয়েতনাম ফেরত সৈনিক (পদটা ঠিক জানিনা) একজন এশিয়কে বিয়ে করেছিল

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সেখানে দেখানো হয় ফরেস্ট গাম্প (টম হ্যাংক) এর আর্মি অফিসার কর্নেল ডান (গ্যরি সিনিস) ভিয়েতনাম যুদ্ধে আহত হয়ে দুই পা হারিয়ে আমেরিকাতে ফিরে আসে। মুভির একদম শেষদিকে দেখা যায় কর্নেল ডান তাঁর এশিয় বাগদত্তাকে নিয়ে ফরেস্ট গাম্প এর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। তবে সেখানে আমার গল্পের মত অত ডিটেইলস দেখানো হয়নি।

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পরের ছবিটাও তো ঐ মুভির

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২২

অচেনা হৃদি বলেছেন: হ্যাঁ, মুভিতে কর্নেল ডান এর এশিয়ান ফিয়াসে কে এই একবারই দেখানো হয়েছে। আমার গল্পের সাথে এই মুভির কাহিনীর সম্পর্ক নেই। ধন্যবাদ!

১০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

লায়নহার্ট বলেছেন: {আমি পড়ার শুরুতে হালকা ফানি একটা মুডে ছিলাম, শেষ পর্যন্ত পড়ে পারলাম না।
তার বাবার বড় র্যা নশ আছে। লাইনটা বুঝলাম না ঠিক}

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২২

অচেনা হৃদি বলেছেন: সংশোধনী দেয়ায় ধন্যবাদ। এই বাক্যে ভুল ছিল। আমি লিখতে চেয়েছিলাম তার বাবার বড় Ranch আছে। এখন এডিট করে দিয়েছি।

১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
জীবন জীবনের জন্য

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটি পড়ে মন্তব্যও করেছি। খারাপ লাগছে কারণ আপনি নিজের নাম ঠিকানা দিয়ে ব্লগ খুলেও জেনারেল হয়ে আছেন। :(

১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

বিজন রয় বলেছেন: আবার আসবো পড়তে। হুট করে চলে যেতে হচ্ছে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
আচ্ছা ঠিক আছে। এতো ব্যস্ততা কিসের বুঝলাম না। বিজনদা কি কুরবানির জন্য গরু কিনবেন?
:P =p~

১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আবার দুদিন পর থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবো, একটা ভালো কাজ করে যাই। গল্পটার সামারি করি, এমনিতেও পরীক্ষায় সামারি আসে।
___________________________________________________________________________
আমেরিকা ভ্রমনের সময় লস এঞ্জেলসের এক বারে লেখিকার পরিচয় হয় সিরিকিত দাউ নামের এক থাই নারীর সাথে। আলাপ চারিতা চালানোর সময় লেখিকার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন সিরিকিত দাউ। তারা অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকেন। আলোচনার শুরুটা ড্রিংক করা, জাতিসত্ত্বা ইত্যাদির মাঝে থাকলেও দুই নারীর আলাপ জমে উঠে তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। লেখিকা ড্রিংক করেন না, তাই সিরিকিতের পরামর্শে তিনি সফট ড্রিংক নেন এবং গল্প করা চালিয়ে যান।
লেখিকা থাই মহিলাকে তার (লেখিকার) ভালোবাসার মানুষটির কথা বলেন এবং দেশে ফিরে তাদের বিয়ে করার পরিকল্পনার কথা বলেন। কথা প্রসঙ্গে জানা যায়, থাই মহিলাটি বিবাহিত, এবং তার স্বামী আমেরিকার একজন প্রাক্তন সৈনিক যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে পা হারান। জনৈক আমেরিকান সৈনিককে বিয়ে করতে পেরে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশিত হলেও সত্যটা হলো, তিনি সুখী নন।
থাই মহিলাটি থাইল্যান্ডে সম্মানজনক কোন পেশায় ছিলেন না, এবং এই পেশার সূত্র ধরেই আমেরিকান সৈনিকটির সাথে তার পরিচয় এবং বিয়ে। যাপিত জীবন নিয়ে মহিলার হতাশা প্রতিফলিত হয়, যখন তিনি লেখিকাকে জানান যে, ভালোবাসা নয় তার (থাই নারীর) দেহের জন্যই তাকে বিয়ে করেছে আমেরিকান সৈনিকটি। এদিকে আমেরিকায় বসবাসের সুযোগ হাত ছাড়া না করার জন্য থাই মহিলাটি বিয়ের আগে এসব ভেবে দেখেননি।
লেখিকার এই গল্পের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমাদের জীবনদর্শনের আরেকটি দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে, যা আমাদের প্রাচ্যের মানুষের কাছে বড্ড হৃদয় বিদারক।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভালো। সবার আগে নিজের ক্যারিয়ার। তারপর বেঁচে থাকলে ব্লগিং। (এই কথাটা মাঝে মাঝে আমি নিজেও ভুলে যাই :P )

আপনার সামারি চমৎকার। খুব মনোযোগ দিয়ে গল্প না পড়লে এমন সামারি করা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

সামারিতে A দিলাম, ছোট একটি তথ্যগত ভুল আছে সামারিতে, নয়তো A+ দিয়ে দিতাম। :)

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুয়া ব্লগারের অনুরোধে ভুয়া প্লট? ভুয়া পাঠক লাগবে পড়ার জন্য

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনিও ভুয়া পাঠক নাকি? শেষের প্যারা যখন পড়েছেন তখন বুঝতেই হবে আপনি পুরো গল্প পড়েছেন। ভুয়া পাঠকের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়ায় আপনার হৃদিপুর্ন ধন্যবাদ।
হিহিহি...

তবে দুঃখ লাগলো, এতো বড় গল্পের শেষ ব্র্যাকেটবন্দী লেখাটাই আপনাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। :( (ওহ ধুর, ইমোটিকন কেন দিলাম। আপনি তো আবার ইমোটিকন বুঝেন না!)

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: হৃদি আপু, আমাকে একটু গল্প লেখা শিখিয়ে দিয়েনতো :P মাঝে মাঝে দু একটা গল্প লিখতে চাই কিন্তু সাহসে কুলায়না :((

এনিওয়ে, গল্প ভালো হয়েছে আপু ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫২

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
কথাটা শুনে ভালো লাগলো। পরোক্ষভাবে বুঝে গেলাম আমার লেখার কৌশল আপনার ভালো লাগে। =p~

আপু আপনি তো গল্প লিখেছেন। আপনার সেই লেখা আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনি তবুও গল্প লিখতে সাহস পাচ্ছেন না কেন?

কবিতার চেয়ে গল্প লেখা অনেক সহজ, আমি মনে করি। আপনি ব্যক্তিগত জীবনে মানুষের সাথে যেভাবে সুন্দর ভাষা ও সম্ভাষণ দিয়ে কথা বলেন সেভাবে কোন ঘটনা সাজিয়ে লিখুন, দেখবেন খুব চমৎকার গল্প দাঁড়িয়ে যাবে। আমি আসলে বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে পারি না। :P এই গল্পটা লিখে বেশ ভয়ে আছি, না জানি কে আবার কল্পনাশক্তির ভুল ধরে ফেলে।
আমি গল্প লিখতে ব্যক্তিগত জীবনে যা দেখি, যা শুনি, সেগুলোকেই গল্পের প্লট বানিয়ে ফেলি। এতে কল্পনাশক্তির অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়! ;) আপনিও নিজের চারপাশে যা শুনবেন, বা ঘটতে দেখবেন সেগুলো হতে গল্পের উৎস খুঁজে নিন। আমি নিশ্চিত এই কাজে আপনি আমার চেয়েও বেশি সফল হবেন।

সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য কথা আপুকে হৃদয়ের অন্তস্থল হতে শুভেচ্ছা জানাই!

১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওয়াও, দারুন লেখা। শেষের লাইনটা দিয়েই তো অনেক কিছু বলে দিলেন!
কাল্পনিক ভ্রমন কাহিনীর চেয়ে এটাই বেশী ভালো হয়েছে, অন্ততঃ আমার তাই ধারনা। ডায়েরী যেহেতু, আরো কয়েক পর্ব লিখে ফেলুন।
এটা তো গেল বারের ঘটনা। এল এ তে গেলেন যেহেতু, আরো কতো ঘটনাইতো ঘটবে, তাই না! :)

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: 'ডায়েরি' নাম দিয়ে বিপদে পড়ব দেখছি। :(

না না, আমি এটা লিখতে গলদঘর্ম হয়ে গেছি। আপাতত মাফ করেন ভাইয়া!

আমি তো আপনাকে আগেই বলেছি, এল এ সিটি এখন আর আমাকে আগের মত টানে না। সামুপাগলা আপুর কানাডার ডায়েরী পড়ে পড়ে আমি দিনিদিন কানাডা ভক্ত হয়ে যাচ্ছি। যদি কখনো বাংলাদেশ ছাড়ি, তাহলে আমার কানাডাতে ওঠার চেষ্টা করা উচিৎ। ;)

আর কোন ভুয়া কাহিনী লিখছি না। এখানেই এই ডায়েরীর সমাপ্তি ঘোষণা করছি।

আমার লেখাকে পাস দেয়ায় আপনাকে প্রানঢালা অভিনন্দন! :)

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এ প্লাস পেলে আবার না "প্রশ্নফাঁস জেনারেশন" হয়ে যাই। B-)
কি ভুল :|| ?
নেন ডোরাকেক খান

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: হায় হায়, প্রশ্ন ফাঁস করেও এ প্লাস পাইলা না! তুমি এইটা কি করলা বাবু? :(

হিহিহি...
ডরিমন আমার অন্যতম প্রিয় কার্টুন ছিল। নবিতার এই ছবিটা দেখে বেশ মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: =p~
আমি হিসেব করে দেখলাম শুধু মাত্র সারাজীবন কার্টুন দেখার মধ্য দিয়েই শৈশবকে ধরে রাখা যায়। কার্টুন দেখবেন, বাংলা গল্পের বই পড়বেন। বড় হলে প্রচুর সমস্যা!
আর লিখবেন, যেমন খুশি হোক। আমি আবার ফিরে আসলে একদিন আড্ডা দিবো নে। কিন্তু কি ভুল :|| ? করলাম, নয়তো আবার পুরোটা পড়তে হবে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: কার্টুন এখন আর দেখি না। তবে আমি হলিউডের এনিমেশন মুভির সেরকম ফ্যান। আমার একটা বদঅভ্যাস আছে, এনিমেশন মুভি দেখেও আমি কেঁদে চোখ মুখ ভিজাই। কয়েক মাস আগের ছবি কোকো এবং ফার্ডিনান্ড দেখেও বেশ আবেগাপ্লুত হয়েছিলাম। অথচ ফার্ডিনান্ড ছবিটির মূল নায়ক হল এক স্প্যানিশ গরু! আমার মনে হয় পৃথিবীতে আমিই একমাত্র মানুষ যে সেই মুভি দেখে গরুর জন্য চোখ ভিজিয়েছিল। :P
বাংলা গল্প আমি পড়ি না বললেই চলে। আমার কাছে বাংলা গল্প উপন্যাসের চেয়ে ইংরেজি গল্প উপন্যাস বেশি ভালো লাগে।

কি ভুল করেছেন তা জানতে তো আপনাকে সেটা আবার পড়া উচিৎ। একবার পড়ে ক্ষান্ত দিলে তো আপনি প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের অপবাদ থেকে মুক্তি পাবেন না।
=p~

১৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি সেদিন আপনার কবিতায় সালমানের ছবি দেয়াতে আমি ভালোই একটা সমস্যায় পড়েছি। আপনার মন্তব্য দেখলেই খালি সালমানের নির্মল হাসিভরা মুখের ছবিটা মনে পড়ে। সাথে আপনার ছবিও ছিল, তাই আপনার চেহারাটা অল্প করে হলেও মনে পড়ে!
=p~

সালমানের সাথে আপনার সুন্দর একটি ঈদ কাটুক।

২০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২২

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমার খুব ভাল লেগেছে, লাল পানি খেতে ইচ্ছে করছে একটু একটু

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: হায় হায়, এটা কি বলেন ভাইয়া? আজ দেখলাম আমাদের বাসার পাশের ড্রেইনের সব পানি একদম লাল হয়ে গেছে। লাল পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক!
=p~

২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখা উত্তম হইয়াছে।

তবে ভ্রমণ কাহিনী জিনিসটাই অভিজ্ঞতার ফসল। অর্থাৎ নিজের ভ্রমণ না করে কল্পনায় ভ্রমণ কাহিনী লিখলে সেটা সঠিক হবে না।
কেননা, ভ্রমণ কাহিনীর বলতে গেলে পুরোটাই সত্য থাকতে হয়।

তারপরও আমার আপুমণির লেখা সব সময়ই সেরা।

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমার আপুমণির লেখা সব সময়ই সেরা। কি বলব! ধন্যবাদ দিয়ে ভাইয়াকে ছোট করতে চাই না। :)

ভ্রমণ কাহিনীর বলতে গেলে পুরোটাই সত্য থাকতে হয়। ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমি প্রথমে চেষ্টা করেছিলাম। তবে বুঝতে পারলাম, ভ্রমণ কাহিনী আসলে কোন সায়েন্স ফিকশন নয় যে নিজের মন থেকে লিখে ফেলা যাবে। তাই শেষমেশ কাল্পনিক ভ্রমণ কাহিনী লেখা থেকে বিরত হলাম।

আমার পোস্টে সুন্দর একটি মন্তব্য রেখে যাওয়ায় সাজ্জাদ ভাইয়াকে শুভেচ্ছা জানাই!

২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

'নিহত নক্ষত্র' শেষ করে এই গল্প খানি পড়লাম।

খুব ভাল লেগেছে।++

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

অচেনা হৃদি বলেছেন: নিহত নক্ষত্র কি জিনিস বুঝিনি! কোন বই নাকি ভাইয়া?
আমার লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। আপনার গ্রামের বাড়ি নাকি চট্টগ্রাম? শুনে খুব ভালো লেগেছিল। :)

২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: হু, চট্টগ্রাম। তো আপনার কোন রিলেটিভ আছে নাকি চট্টগ্রামে

হা নিহত নক্ষত্র এটা বই লেখক আহমদ ছফা।

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার কোন রিলেটিভ আছে নাকি চট্টগ্রাম?
:)
হ্যাঁ, আমার অ-নে-ক রিলেটিভ আছে চট্টগ্রামে।

২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: উপরের ইনি আমার এক লেখায় মন্তব্য করেছেন:-

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: =p~
আমার কল্পনার দৌড় বেশি ভালো না।
আমি আসলে কল্পনাশক্তি দিয়ে লিখতে পারি না।

উপরের উনি আসলে ভাইয়া, এটা উনিই আমাকে বলেছিলেন। :)

২৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: উনার প্রোপিক দেখে সেটা সহজেই বুঝা যায় B-))

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: একসময় প্রো পিক দেখে বুঝার উপায় ছিল না। তখন আমার পোস্টের প্রতিমন্তব্যে জানতে চেয়েছিলাম তিনি ভাইয়া না আপু, তিনি বলেছিলেন- ভাইয়া।
:)
এখনো অনেকে উনাকে আপু মনে করে, সেটা দেখে মাঝে মাঝে কনফিউজড হয়ে যাই।
আবার মাঝে মাঝে খুব হাসি পায়।
=p~
হায়রে রঙ্গ ভরা বঙ্গ ব্লগ!
:)

২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ও আপনার এখানে এমন একটা নিউক্লিয় হিন্ট দিয়েছে, আমি নিশ্চিত ও পুরুষ।
আরে! আমার সাথেও একটা বিচিত্র ঘটনা ঘটলো! আমিও তো ভেবে আছি মহিলা।
আমি প্রথমে ভাবলাম, উনি পুরুষ, আমি লিখলাম-আসেন ভাই কোলাকুলি করি (যেহেতু আমরা দুজনেই ফার্স্ট ইয়ারে!)
ওমা! পরে দেখি কথা বার্তা নাই। পরে দেখি অনেকে ওনাকে নারী ভাবতেছে! মাথায় শটসার্কিট! আমি তো আরো ভাবলাম, ব্লগে এতদিন পরে এসে কি করলাম! যাক বাবা এখন ওনার সাথে একটু মজা করবো।
যতই হোক আমাদের বিশিষ্ট "আপুমনি" কিনা!

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৫

অচেনা হৃদি বলেছেন: আসলে মাঝে মাঝে আমি এমন বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছি, যা দেখে আমার নিজের কাছেই মনে হয় আমি প্রথম সারির ব্লগার! সবাই সেই শুরু থেকে উনাকে আপু দিদি ইত্যাদি বলছে। আমার এখানে তিনি প্রথম যেদিন মন্তব্য করলেন সেদিনই আমি জানতে চেয়েছি তিনি কি আমাদের আপু হন নাকি ভাইয়া হন। সংক্ষেপে জবাব দিয়েছিলেন- ভাইয়া।
আমি সেই সংক্ষেপ জবাবের উপর স্থির রয়েছি। শুধু মাঝে মাঝে আপু ডাকে উনার রেসপন্স দেখে কনফিউজড হতাম। তবুও মনে রেখেছিলাম তিনি 'ভাইয়া' ব্লগার। নিজকে যিনি ভাইয়া বলে দিতে পারেন তিনি কি আসলে মেয়ে হবেন? আমার মনে হয় না।
সামুপাগলা আপু ছেলে টাইপ নিক নিয়ে ব্লগিং করছেন। উনি আমার সবচেয়ে ভালো লাগা ব্লগার। কাজেই এর উল্টো যদি হয়, কোন ছেলে যদি মেয়ে নিক নিয়ে চলে, এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। অন্তত, আমার এতে কোন সমস্যা নেই।

এনিওয়ে, হ্যাপি ব্লগিং ভাইয়ু! :)

২৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমার সমস্যাটা হলো আমি আমার অবচেতন মনের ফাঁদে পড়ে, এরমধ্যেই অনেক কান্ড করে ফেলেছি, এটাও একটা।
আমি ভিয়েতনাম যুদ্ধের ভুলটা করেছি, দুটি কারনে।
১. পদাতিক দা'র ১ম কমেন্ট।
২. ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ। যুক্তরাষ্ট্রের বর্বরতার মধ্য দিয়েও সেই বিজয়! যাহোক...

-একটা বৃত্তের কেন্দ্র দেয়া নাই, কিভাবে বের করবে?
-আর আমার সর্বশেষ পোষ্টে একটা প্রশ্ন করেছি, এখনো কেউ উত্তর দিতে পারেনি,
সমাধান করতে পারলে আমার ব্লগের নোটিশ বোর্ড পোষ্টে উত্তর দুটি দিও।

আর সব জায়গায় দক্ষ হতে হবে। পরীক্ষার হলে, ব্লগে- সবখানে। লোকে যাতে জেলাস হয় ;)
হ্যাপি ব্লগিং আপুনি! লিখতে হবে, পড়তে হবে।
সব সময় যাতে সফল হতে পারো, এই দোয়া করি। আমার জন্যও কোরো। B-)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: প্রতিমন্তব্য লিখে কি লাভ হবে? আপনি তো মনে হয় আবার ডুব দিয়েছেন। :)

এনিওয়ে, আপনি তো আবার ডুবে ডুবে জল খান, আই মিন- অফলাইনে বসে সামু পড়েন। তাই প্রতিমন্তব্য করছি।

ভুলটা বুঝতে পেরেছেন এজন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

একটা বৃত্তের কেন্দ্র দেয়া নাই, কিভাবে বের করবে? কথাটা বেশ রহস্যপুর্ন। অর্থটা বুঝিনি।

আমাকে তুমি করে বলায় অনেক ভালো লেগেছে। এখানে কেউ আমাকে আপনি আপনি করে বললে অড লাগে। মুখে যদিও কিছু বলি না। আপনার মুখে তুমি শব্দটা শুনে খুব আপন মনে হল।
আমি নিয়মিত হয়তো সামুতে আসতে পারবো না। ইতিমধ্যে আমার মন হতে ব্লগিং এর ঘোর কেটে গেছে। ব্লগিং এর প্রতি আগের মত আবেগ অনুভব করতে পারছি না। ব্লগে পোস্ট করার জন্য আগের মত আবেগ আর ঐকান্তিকতা নিয়ে লিখতেও পারছি না। অনেক গল্পের প্লট মাথায় আছে, কিন্তু লিখতে মন চাইছে না।
তবুও- হ্যাপি ব্লগিং! :)

২৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বাহ!! দারুণ তো৷লসএঞ্জেল্সে না গিয়েও চমৎকার একটি বর্ণনা; বিষয়টি কাল্পনিক হলেও আমার বেশ ভাল লেগেছে৷থাই মেয়েটির সাথে আলাপ এবং বাঙালি মেয়েদের প্রেম ও রক্ষণশীল মনোভাব আলোচনা থেকে ফুঁটে উঠেছে৷আর থাই মেয়েরা যে খুব স্বামী ভক্ত হয় তা তো জানতাম না৷

আপনি মনযোগ দিয়ে ব্লগিং করুন৷এ পথটি মসৃণ নয়; কিছুদিন আগে আমিও এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম, যা আপনি জানেনও৷আশা করি বিচলিত না হয়ে ব্লগিং করুন৷সমালোচনায় মনোকষ্ট পাবেন না৷চালিয়ে যান; নতুন কেউ যখন ভাল করে, লাইক কমেন্ট বেশি পায় তখন কেউ কেউ বিষয়টিকে সহজভাবে নিতে পারে না এজন্য আক্রমণ করে বসে৷

আপুনি, ইউ হেভ এনাফ টেলেন্ট টু রাইট, টু শাইন৷রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন৷আই এ্যাম ওলয়েজ উইথ ইউ, সাপোর্ট ইউ, গাইড ইউ, কেয়ার ইউ৷টেক ইট ইজি আপুনি৷

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: শুরু থেকেই তো পাশে ছিলেন, তবুও নতুন করে পাশে থাকার ঘোষণা দেয়ায় খুশি হলাম, ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি মনোযোগ দিয়েই ব্লগিং করছিলাম। আমার মনোযোগে কোন দ্বিতীয় লোক ব্যাঘাত ঘটায়নি। কেন যেন হঠাত করে এমনিতেই ব্লগিং এর মজাটা পাচ্ছি না। হয়তো এটা সাময়িক।
আমি যদি মনোযোগ দিয়ে ব্লগিং করি তাহলে কেউ আমাকে তাড়াতে পারবে না। চাঁদগাজী কি এমন ধৈর্য দেখিয়ে ব্লগিং করছেন, দেখবেন আমি তার চেয়ে ডাবল ধৈর্য দেখিয়ে ব্লগিং করতে পারবো। একমাত্র সামু কর্তৃপক্ষ পারবে আমাকে ব্লগিং থেকে বিরত রাখতে। তারা আমাকে ব্লক করে দিলেই শেষ, আর আসব না। নয়তো আমি সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে সবার গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিয়ে সফলতার সাথে ব্লগিং করতে থাকবো।

এই গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে অবাক হলাম। কারণ আমি ভাবছিলাম আপনি হয়তো কোন ভুল ধরে দিতে পারবেন। আমি তো সব কল্পনায় লিখেছি, আপনি তো সশরীরে পশ্চিমা দেশ ঘুরে এসেছেন। আপনার কাছে যেটা ভালো লেগেছে সেটা মনে হয় খারাপ হতে পারে না। আবারো ধন্যবাদ জানাই!

২৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"এই গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে অবাক হলাম। কারণ আমি ভাবছিলাম আপনি হয়তো কোন ভুল ধরে দিতে পারবেন। আমি তো সব কল্পনায় লিখেছি, আপনি তো সশরীরে পশ্চিমা দেশ ঘুরে এসেছেন। আপনার কাছে যেটা ভালো লেগেছে সেটা মনে হয় খারাপ হতে পারে না। আবারো ধন্যবাদ জানাই!"

শুরুতে ভূল ধরতে নেই; সব 'প্রথমেই' কিছু না কিছু গলদ থাকবেই, এটাই স্বাভাবিক৷কিছুদিন গেলেই এই ভূলের পরিমাণটি কমে আসবে অটোমেটিক৷মানুষ লেখতে লেখতে বড় লেখক হয়, তাই নাা? এখন অতি সমালোচনা কিংবা নেতিবাচক কমেন্ট মোটেও কাম্য নয়৷বিশেষ করে বয়স যখন 'টিন' পার হয়নি৷আমি জানি আপনার দৌড়ের গতি, এজন্য খুব আশাবাদী৷প্রতিভাকে লালন করতে হয় যত্ন করে৷

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: :)

ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার কাছে সবসময় অনেস্ট অপিনিয়ন আশা করি। টিন মিন চিন্তা না করে খোলামনে সমালোচনা করুন, এতে আমার প্রাঞ্জলতা বাড়বে।

৩০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: এই তো বেশ হৃদিপূর্ণ লেখা। ভ্রমণ কাহিনী না হোক এক থাই নারীর জীবনের গল্প। ভিয়েতনাম যুদ্ধে যাওয়া আমেরিকান সৈনিকদের এভাবে শেষ জীবনে সেবা পাওয়ার আশায় থাই নারীদের বিয়ে করার বিষয়টি জানতাম না। গল্প কাল্পনিক হলেও এই বিষয়টা তুমি স্টাডি করেই লিখেছো ভাবছি। একটা মন্তব্যে এসেছে পাশ্চাত্যের এই ভালবাসাহীন জীবন যাপনটা আমাদের জন্য হৃদয় বিদারক। ব্যাপারটা এমন যেন আমাদের দেশের সব বিয়ে ভালোবাসার উপর টিকে আছে ! এদেশে কয়টা বিয়ে ভালোবেসে হয়? এদেশের ছেলেরাও বিয়ে করে স্ত্রীর সেবা পাওয়ার জন্যই। মেয়েরাও করে জীবনের নিশ্চয়তার জন্য। ভালোবাসা পরবর্তীকালে কারো কারো মধ্যে তৈরি হয় আর কারো কারো ক্ষেত্রে সারাজীবন দাসীবৃত্তি রয়ে যায়। ভালোবেসে বিয়ে করলেও এমনটাই ঘটে। আর তাছাড়া বিয়ে প্রথাটাই এসেছে পরস্পরের উপর নির্ভরশীলতার প্রয়োজনে।

গল্পটা পড়ার জন্য আমাকে আহ্বান করেছো বলে অনেক ধন্যবাদ, হৃদি। আমার শেষ পোস্টের গল্পটা পড়ার জন্য তোমার প্রতি আহ্বান রইলো। তোমার এমন প্রাঞ্জল লেখাই পড়তে চাই। শুভকামনা :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা খুব অদ্ভুত বিষয় আপু। আমি এটা নিয়ে এখনো একদিনের জন্যেও মাথা ঘামাইনি। যেদিন কারো প্রেমে পড়ে সারাদিন তাকে ভাবতে থাকবো সেদিনই প্রেম জিনিসটা নিয়ে স্টাডি করব। বিয়ে হওয়া বা বিয়ে ভেঙে যাবার বিষয়েও আমার এখনো ক্লিয়ার কনসেপ্ট নেই।
:)

আপনার ব্লগে যাচ্ছি আপু। নেক্সট কথা সেখানে বলবো। :)

৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১০

তারেক সিফাত বলেছেন: কাল্পনিক হলেও ভাল লেগেছে পড়ে। লেখার প্রাঞ্জলতার কারণে পড়ার সময় সত্যি বলে মনে হয়েছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: ধুর ভাইয়া! আপনার আগের প্রো পিক বদলে এটা কি দিলেন?
:(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.