নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইন্ডিয়ান সিরিয়াল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যটি ভালো লেগেছে!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১১

"টিভি সিরিয়ালে আজকাল আমরা সমাজের খারাপ দিকটা দেখিয়ে দেই। অথচ আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকাল ভালো জিনিস লোকে খুব কম গ্রহণ করে। খারাপ জিনিসটা অনেক তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে। তাই চেষ্টা করতে হবে খারাপ জিনিসটা না দেখানোর"। - বলেছেন মমতা বন্দোপধ্যায়।

যেমন দেখানো হচ্ছে, একজন আরেকজনকে বিষ খাইয়ে দিচ্ছে। শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যে রোজকার ঝামেলা। যত খারাপ খারাপ জিনিস যারা জানে না তাদেরও শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়ালের মধ্যমে। এর ফলে সমাজে অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে।

একজন মুখ‍্যমন্ত্রী তার নিজের দেশের টিভি সিরিয়ালের ভয়াবহতা বুঝতে পারলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা বুঝেন না। সবকিছুতেই ইন্ডিয়ান প্রীতি উনাদের অভ্যাস। ভীনদেশী চ্যানেলের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে বাংলাদেশে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় এবং অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে, শিশু, কিশোরদের মধ্যে। ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়াল শিশুদের মনে ভয়ভীতি, অনৈতিকতা, কুসংস্কার, অন্ধকারাচ্ছন্নতা, মিথ্যাবাদীতা, অসম্মানবোধ ও পৌত্তলিকতার জন্ম দিচ্ছে। অথচ শিশুরা হচ্ছে একটি বীজের মত। বীজ যেমন নির্ধারণ করে গাছ কি হবে এবং তার ফুল ও ফল কি হতে পারে। তেমনি সংস্কৃতি ও সভ্যতা থেকে নির্ধারণ করা যাবে, শিশু কেমন হবে এবং তার থেকে কি আশা করা যাবে।

সাহিত্য, সংস্কৃতি, নাটক, কাহিনীর সাথে একটি জাতির ভবিষ্যৎ সম্ভাব্যতা অনুমান করা যায়। একটি জাতির সভ্যতা সংস্কৃতি, কৃষ্টি-কালচার ও বৈশিষ্ট্য তাদের সাহিত্য ও নাটকের মাধ্যমে ফুটে ওঠে এবং সহজেই মানুষকে প্রভাবিত করে। আমরা চাই বাঙালী জাতিকে সকল প্রকার অপসংস্কৃতি, ভোগবাদীতা, কুসংস্কার, চরিত্রহীনতা, লাম্পট্যতা ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্ত করতে। চাই চরিত্রবান, নিষ্ঠাবান, দেশ প্রেমিক, সাহসী জাতিতে পরিণত করতে।

তাই অবিলম্বে সরকারীভাবে ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়ালসহ অশ্লীল ও অনৈতিক চিত্র প্রদর্শনকারী সকল টিভি অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৯

রাত জাগা তারা ও আমি বলেছেন: সাবধান........।উনি আদালত,,থানা সব জায়গায় যান,,আপনি যান না.........!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: কে বলেছে যাই না? আদালত থানা তো মানুষের জন্য!

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৭

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: একদম সত্য কথাই বলেছেন। এসব আবর্জনা আর নোংরা অনুষ্ঠান চিরতরে বন্ধ করে দেয়াই এ অবলা আমাদের জন্য ভালো হবে। মমতা বন্দোপাধ্যায় বুঝেন কারণ, তিনি সাদা কাপড় পরিধান করেন, মানে সাদামাটা জীবন যাপন করেন। তাঁর কাছে ভাঁড়ামিটা হয়তো ভালো লাগে না।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মমতা বন্দোপধ্যায় সমাজ, দেশ নিয়ে ভাবেন হয়তো। আমাদের রাজনীতিবিদরা শুধু ভোটের রাজনীতি করেন। সমাজ, সংস্কৃতি, সভ্যতা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। আছে ইন্ডিয়া প্রীতি, দালালী, গোলামী আর নতজানু চেতনা!

ধন্যবাদ!

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: মমতা বস।

"লেখকবলেছেন: মমতা বন্দোপধ্যায় সমাজ, দেশ নিয়ে ভাবেন হয়তো। আমাদের রাজনীতিবিদরা শুধু ভোটের রাজনীতি করেন। সমাজ, সংস্কৃতি, সভ্যতা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। আছে ইন্ডিয়া প্রীতি, দালালী, গোলামী আর নতজানু চেতনা!"

সহমত।।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আমরা কেবল স্বাধীন একটি ভু-খন্ড পেয়েছি। চলমান সাংস্কৃতিক আগ্রাসন; বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষাক্ত ক্রুসেড!

ধন্যবাদ!!

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: বছর চার হল- ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে ছিলাম- স্টার জলসা ও জি-বাংলা মুক্ত বাংলাদেশ চাই। আসলে এই চ্যানেলগুলি আমাদের সামাজিক জীবনের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন, হাইকোর্টে রিট হয়েছিল কিন্তু আমাদের বিচারপতিদ্বয় বলেছিল এই সব চ্যানেল এ দেশে চলতে বর্তমানে আইনে কোন বাঁধা নেই।
এখন কিছু করতে হলে নির্বাহী আদেশে করতে হবে। আমাদের পা চাটুয়া রাজনীতিকরা তা করবেন বলে মনে হয় না।

সবচেয়ে বড় অবাক লাগে, আমাদের একটি চ্যানেল সে দেশে চলে না!!! এটিন বাংলা তাদেরকে টাকা দিয়ে চালাতে চেয়েছিল তবুও তাঁরা রাজী হয়নি অথচ আমরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে এসব আর্বজনা দেখছি।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আহ! একদম দুঃখের কথাগুলো বলে দিয়েছেন। হাইকোর্ট, আইন, সংবিধান আইওয়াশ মাত্র। সংবিধান কয়েকটি শব্দগুচ্ছ ছাড়া কিছুই না। চাইলেই তা সংশোধন করা যায়। সরকার চাইলে এগুলো করতে পারতো। কিন্তু সমস্য হচ্ছে, ইন্ডিয়া বলে তো কথা!

ধন্যবাদ!

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: একটা মৃতপ্রায় বা প্রায় পরিত্যক্ত শহরকে কিভাবে বাঁচিয়ে তুলতে হয় সেটা সেটা দেখতে হলে মমতাদির কলকাতা ঘুরে আসুন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মমতাদি চৌকস ও সাহসী রাজনীতিবিদ। যার যতটুকু ভাল, ততটুকু স্বীকার করতে আপত্তি নেই।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: ভারতীয় সিরিয়াল গুলো কুটনামি আর নোংরামিতে ভরা। এগুলো এ কারণেই আমাদের গেলানো হয় যাতে আমরা ভাল কিছু না ভাবতে পারি, লেখাপড়া না করে প্রশ্ন ফাঁস করতে উদ্যোগী হই ইত্যাদি। যতই দাবি উত্থাপন করা হোক, এই সিরিয়ালগুলো বন্ধ করা হবে বলে আমার মনে হয়না।

পোস্টে +++++

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: বন্ধ হবে না বলে হাল ছেড়ে দিলে কখনোই বন্ধ করা সম্বব নয়। সমাজ, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভীনদেশী চ্যানেল অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

ধন্যবাদ!

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

ক্স বলেছেন: মমতা কোন সিরিয়ালে এক লোকের তিন চারটা বৌ দেখেছেন? চার বৌ বিয়ে করা তো মুসলিমদের রীতি। হিন্দুদের তো এক বৌ নিয়েই জীবন পার করে দেবার কথা।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনি হয়তো সিরিয়ালগুলো ভালভাবে দেখেননি। ইসলাম ধর্মে চারটি পর্যন্ত বিবাহ বৈধ- কথা সত্য।
ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলোতে ঘরে সুন্দরী বউ থাকা সত্ত্বেয় পরস্ত্রীর দিকে নজর দেয়া বা পরকীয়া, ডিভোর্স, দ্বিতীয় বিবাহ, কুটনামী স্বাভাবিকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ধন্যবাদ!

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মমতা বন্দ্যোপাধায় আমার মনের কথাটাই বলেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১২

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: কিন্তু আমাদের নেত্রী আমাদের মনের কথা বুঝতে চান না!!

ধন্যবাদ!

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

বিপরীত বাক বলেছেন: ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলো শুধু চালু রাখাই যথেষ্ট নয়, বরং এদের সংখ্যা দ্বিগুণ করে দেয়া দরকার।
কারণ এই সব নাটক-নাটিক গুলো বাংলার মানুষের আসল রুপটা তুলে ধরছে। নিজেদের বুকের ভিতর লালিত প্রকৃত রুপ টিভিস্ক্রিনে দেখে বাঙাল গুলো ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেছে। ভয় পেয়ে গেছে মন হয়। না জানি সবাই চিনে ফেলল।
এগুলো চালু থাকলে, নিয়মিত দেখলে বরং বাংলাদেশের মানুষদের মাঝে যেকটা একটু আলাভোলা আছে, ভাল আছে, তারা বুঝতে পারবে তাদের আশেপাশের মুখোশধারী ভদ্দর, সুন্দর গুলো আসলে মনের ভিতর কি পুষে রাখে। তারা সতর্ক হয়ে যাবে।

কলকাতার লোকজনই এসব অনুষ্ঠান দেখে না কারণ তাদের এইসব অভ্যেস, স্বভাব, চরিত্র নেই। এগুলোর ৯০% দর্শক, সমঝদার হচ্ছে এপার বাংলার বাঙালাগুলো কারণ এসব নাটকে এদের ভিতরের চরিত্ররুপ ফুটে ওঠে।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মশকরা করলেন কিনা বুঝতে পারিনি!
তবে ইন্ডিয়ান সিরিয়ালগুলো আমাদের সমাজে সামাজিক ও পারিবারিক অপরাধ করার পলিসি এবং মানসিকতা শিখিয়ে দিচ্ছে।
বাঙালীর পারিবারিক কলহ, নৈতিক অবক্ষয়ের পেছনে এসব সিরিয়াল অনেকাংশে দায়ী। কলকাতার সমাজব্যবস্থাও এর ব্যতিক্রম নয়!

ধন্যবাদ!

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এমনকি চাঁদাবাজি , বোমাবাজি, ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতিটাও বাঙালি ভারত হইতে শিখিয়াছে, এখন শিখিতেছে পরকীয়া,কুটনামি আর ধর্ষণ ! মমতাকে আমার পছন্দই হয়। রাজ্যের স্বার্থ রক্ষার জন্য কেন্দ্রকেও পিঠ দেখাইবার সাহস তাহার আছে।

মমতার বলা ,'আমরা সমাজের খারাপ দিকটা দেখিয়ে দেই, অথচ মানুষ খারাপ জিনিশটাই তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে !' ইহা শুনিয়া আমার হজরত ওমর রা. এর উপদেশ মনে হইল।তিনি বলিয়াছিলেন, তোমরা যদি কোনো কিছু মিটাইতে চাও (বন্ধ করিতে চাও ) তাহার আলোচনা বন্ধ করিয়া দাও। অথচ আমরা উল্টোটাই করিয়া থাকি। খারাপ জিনিসেরই ঢোল পিটাইতে থাকি। আদতে বুঝি না, আমরা আসলে প্রচার করিয়া মন্দের প্রসারই করিতেছি। অন্যায়ের প্রতিবাদের বিষয় হইলে ভিন্ন কথা !

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আমরা স্বাধীন ভুখন্ডে বসবাস করলেও আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। এমনকি আমাদের পাঠ্য সিলেবাসের উপরেও খবরদারি করা হয়েছিল। এখনো সে ষড়যন্ত্র অব্যহত রয়েছে। আর আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বারবার ভারতকে সেই সুযোগ দিয়েছে!
জাতি হিসাবে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক!!

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নাটকে বউ বলছে...এক বছরের জন্য বিয়ে। এই বছর পার হলেই মুক্তি। আবার এক পুরুষ কতবার যে বিবাহ করছেন তার ঠিক নেই। নায়িকারও । আবার যতধরণের কুটনামি আছে তার সব পাওয়া যাবে । এগুলো বন্ধ করা উচিৎ। সমাজ নষ্ট করে দিলো ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: অবশ্য সিরিয়ালে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে বলেই তা খ্যতি লাভ করেছে। নইলে পাঠক মহলে চলে না।
এটা আমাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। আমাদের সমাজব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের গভীর ষড়যন্ত্র!!

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিক্ত অভিজ্ঞতা । ভেবে দেখুনতো বউ তার শ্বশুড়ের সঙ্গে বেয়াদবি করা শিখছে শ্বাশুড়ির সঙ্গেও ।সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করছে এসব সিরিয়াল দেখে দেখে।খুব ন্যাক্কার জনক অবস্থা। এসব চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া উচিৎ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.