নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপেক্ষার কোন পাখি নেইসময়ের কোন ভাষা নেই!!

ত্রি-মাত্রিক চিন্তা

আমি প্রচলিত ধর্মে বিশ্বাসী নই। ভাল লাগে কবিতা। ভাল লাগে নিজেকে।

ত্রি-মাত্রিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'মঙ্গলদীপ জ্বেলে\' একটি ফ্যান্টাসি গান- মানুষ এগিয়ে যায় কর্মে

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৩৭

মানুষ এগিয়ে যায় কর্মে। এইটা চিরন্তন সত্য কথা। 'মঙ্গলদীপ' কোন কাজে আসে না। 'মঙ্গলদীপ জ্বেলে' গান হিসেবে অনেক সুন্দর। ভাল লাগে। সুরও অনেক মধুর। ফ্যান্টাসি হিসেবে শুনতে এবং ভাবতে অনেক ভাল লাগে। কিন্তু দিন শেষে এর কিছুই কাজে লাগে না। আমি ভাল কাজ করলে ভাল ফল পাব। আমি যা কিছুই অর্জন করি (করবো) কারো দয়ায় নয়। আমার কর্মই আমাকে অন্ধকারে নেবে না আলোতে রাখবে নির্ধারণ করবে। মেধা কোন কাজে আসে না- যতক্ষণ না চর্চা করা হয়। পার্থনা কোন ফল নিয়ে আসে না। ফল পেতে হলে পরিশ্রম করতে হয়। 'মঙ্গলদীপ জ্বেলে' গান বিনোদনের জন্য; শান্তির জন্য শোনা যায়।
সঠিক পরিশ্রম কাঙ্খিত ফল নিয়ে আসবে।
মঙ্গলদীপ জ্বালান অথবা আর যাই জ্বালান এটা কোন ব্যপার নয়। ব্যপার হলো আপনার কাজ আপনি কতটুকু করলেন।

মোমবাতি- মঙ্গলদীপ অন্ধকার আলোকিত করে, কিন্তু মুখে ভাত তোলে দেয় না। ভাত খেতে হলে দুই হাত সমানে চালান।

ভাল থাকুন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মঙ্গল, ব্যাপক অর্থে ভাত যোগান থেকে সবকিছুই।। সেখানে দ্বীপ জালিয়ে যদি আসলটাই বাদ দেই B-)) ।। তাহলে আর মর্ম কই রইলো??

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৯

ত্রি-মাত্রিক চিন্তা বলেছেন: হুম....!

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪১

এম এ কাশেম বলেছেন: দীপ যদি মঙ্গল আনে তাহলে স্রষ্টার কাজ আর কি রইলো?

বোগাস সব - অপসাংস্কৃতি।

ধন্যবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

ত্রি-মাত্রিক চিন্তা বলেছেন: এখানে অপ আর খাটির কিছু বলিনি। আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

কূকরা বলেছেন:
রবীন্দ্রনাথের পতিতালয়ের ঠিকানা

রবীন্দ্রনাথকে ততটুকু মহৎ করে দেখা উচিত, যতটুকু একজন পতিতালয়ের মালিকের সন্তানকে দেখা যায়, যাদের খাওয়া-পড়া সব আসে পতিতালয়ের উপার্জিত অর্থ থেকে। সোজা ভাষায়- রবীন্দ্রনাথ ছিলো পতিতালয়দের টাকায় লালিত-পালিত। বিষয়টি নিয়ে যদি আপনি দ্বিমত করেন তবে আপনি সত্যঅস্বীকারকারী ছাড়া কিছু নয়। ইতিহাস শুধু রবীন্দ্রনাথ পরিবারের পতিতালয় সংখ্যা বলে না, তার ঠিকানা এবং এমনকি ভাড়া পর্যন্ত বলে দেয়। যেমন-

The 1806 Census Report of Calcutta noted that a brothel in holding number 235 and 236 Bowbazar Street was operated by a member of Prince Dwarakanath
Tagore’s family. It had 43 rooms for prostitutes and its rental value was Rs. 140/-
(Calcutta: Myths and History, S N Mukherjee, page-101; Under the Raj: Prostitution in Colonial Bengal, Sumanta Banerjee Page 72)

অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ পরিবারের পতিতালয়ের ঠিকানা ২৩৫-২৩৬ বউবাজার স্ট্রিট, কলকাতা। সেখানে ছিলো ৪৩টি ঘর, যার ভাড়া ১৪০ রুপি।
এছাড়া কলকাতার সোনাগাছি পতিতাপল্লীতে তাদের দুইটি ঘর ছিলো বলে উল্লেখ পাওয়া যায় । (http://bit.ly/2qYD1qT, http://bit.ly/2q2rKsG)

রবীন্দ্রনাথের দাদা খুব পতিতাপ্রিয় ছিলো। এ সম্পর্কে আখতার উদ্দিন মানিকের লেখা , শাহজাদপুরের জমিদার : দ্বারকানাথ ঠাকুর’ বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় লেখা আছে-

“দ্বারকানাথ নিজের বসবাসের জন্য বৈঠকখানা তৈরী করেছিলো। সেখানেই সে রাত্রী যাপন করতো। বড় বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো। ইংরেজ কর্মকর্তারা সেখানে আমন্ত্রিত হতো। সেখানে চলতো রাতভর আমোদ-প্রমোদ, সুন্দরী নতর্কীদের নাচগান, মাংসের ভুরিভোজ আর মদে মদে চুর হওয়া।”
শাহজাদপুরের জমিদার : দ্বারকানাথ ঠাকুর’ বইয়ের ৭৬ পৃষ্ঠায় লেখা আছে
“১৮৪৫-৪৬ এর শীতকালে দ্বিতীয় ও শেষবারের মত দ্বারকানাথ প্যারিসে নগরীতে সময় অতিবাহিত করে। তখন ফ্রান্স সরকারের বৈদেশিক প্রটোকল বিভাগীয় সহকারি পরিচালক মি. কোঁৎ ফ্যুইয়ে দ্য কঁশ তার সাথে সবিশেষ ঘনিষ্ঠতা হয়েছিলো। শেষ জীবনে কোঁৎ তার আত্মজীবনীতে দ্বারকানাথ ঠাকুর সম্পর্কে বলেছিলো- দ্বারকানাথ বিলাসী ও ইন্দ্রিয়পরায়ন ছিলো বলে সব সময় রুপসী, সুন্দরী অথবা অদ্ভূত সব বিদেশী নটীদের দ্বারা পরিবৃত থাকতে ভালোবাসতো।

আজকে যারা রবীন্দ্রনাথ ও তার পরিবারকে মহান কিছু বলে প্রচার করে, তাদের অনুরোধ করবো দয়া করে তাদের পারিবারিক ব্যবসা মানে পতিতালয়ের ব্যবসার কথাও উল্লেখ কইরেন। কারণ কারো পারিবারিক ব্যবসা দেখলে খুব সহজেই তাদের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

ত্রি-মাত্রিক চিন্তা বলেছেন: কী থেকে কী মন্তব্য করলেন! প্রাসঙ্গিক কিছু বলেন। মন্তব্য তো মনে হল কপি পেস্ট মন্তব্য । যাই হোক এটা বিষয় না। আপনার একজনের চরিত্র হননের ইনভেস্টিগেশন এখানে মানান সই না। আপনি আপনার এজেন্ডা অন্য পাতায় বাস্তবায়ন করুন।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১১

কূকরা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষ ছিল কুলি সর্দার! অতঃপর পতিতালয় ব্যবসা এবং ব্রিটিশদের চাকর

তার ঠাকুর পদবী ব্রাহ্মণ অর্থে নয়, বরং কুলি সর্দার অর্থেই রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন খুবই সাধারন অখ্যাত মানুষ। তাদের নামগুলিও ছিল অত্যন্ত মামুলি এবং আড়ম্বরবিহীন। যেমন কামদেব, জয়দেব, রতিদেব ও শুকদেব। কামদেব ও জয়দেব হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে গিয়ে তাঁদের নাম হয়েছিল যথাক্রমে কামালুদ্দিন ও জামালুদ্দিন। রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষেরা এত দরিদ্র ছিলেন যে ,দারিদ্রের কারনে ভাগ্যন্বষণে একসময় বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল অন্যত্র।

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তার 'রবীন্দ্রজীবনী' ১ম খন্ডের ৩য় পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন,"....... জ্ঞাতি কলহে বিরক্ত হইয়া মহেশ্বর ও শুকদেব নিজগ্রাম বারোপাড়া হইতে কলিকাতা গ্রামের দক্ষিণে গোবিন্দপুরে আসিয়া বাস করেন। সে সময়ে কলিকাতা ও সুতানুটিতে শেঠ বসাকরা বিখ্যাত বণিক। এই সময়ে ইংরেজদের বাণিজ্যতরণী গোবিন্দপুরের গংগায় আসিয়া দাঁড়াইত। পঞ্চানন কুশারী ( রবীর পূর্বপুরুষ) ইংরেজ কাপ্তেনদের এইসব জাহাজে মালপত্র উঠানো নামানো ও খাদ্য পানীয় সংগ্রহাদি কর্মে প্রবৃত্ত হন। এই সকল শ্রমসাধ্য কর্মে স্থানীয় হিন্দু সমাজের তথাকথিত নিম্নশ্রেণির লোকেরা তাঁহার সহায় ছিল।............... তাহারা পঞ্চাননকে 'ঠাকুর মশায়' বলিয়া সম্বোধন করিত। কালে জাহাজের কাপ্তেনদের কাছে ইনি 'পঞ্চানন ঠাকুর' নামেই চলিত হইলেন; তাহাদের কাগজপত্রে তাহারা Tagore, Tagoure লিখিতে আরম্ভ করল। এইভাবে 'কুশারী ' পদবীর পরিবর্তে 'ঠাকুর ' পদবী প্রচলিত হইল। [ সূত্রঃ চিত্রা দেব রচিত 'ঠাকুর বাড়ির অন্দর মহল' প্রকাশনায়- আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলিকাতা] অর্থাৎ কুলি শ্রমিকেরা তাদের প্রধান বা সর্দারকে ঠাকুর মশাই বলেই সম্বোধন করত। যেমনটি হেলপার বা শ্রমিকেরা একালেও ড্রাইভার বা তাদের প্রধানকে 'ওস্তাদ' সম্বোধন করে।

এ প্রসংগে তাত্ত্বিক লোক লোকেশ্বর বসু 'আমাদের পদবির ইতিহাস' এ লিখেছেন, "জমিদার বলতে মোঘল যুগে বোঝাতো ক্ষুদ্র অঞ্চলের শাসক, এবং তাঁরা অধিকাংশই ছিলেন মুসলমান।..... কিন্তু ইংরেজ যুগে হিন্দুরা আবার জমিদার হলেন। কার্যক্ষেত্রে এঁরা কিন্তু জামিনদার। এই জমিদারী প্রথার বয়স মাত্র দেড়শো বছর। পলাশীর যুদ্ধের সময়েও কোন বিশিষ্ট বাংগালী হিন্দুর দেখা মেলে না। পরে যে বাংগালীরা কলকাতায় ছুটে এলেন, তাঁদের মধ্যে যেমন ব্রাহ্মণ কায়স্থ ছিল, তেমনি ছিল অন্যান্য জাতি। সে সময় তন্তুবায় এবং বণিকরাই ছিল ধনী।......এই সময় ইংরেজদের সংগে সহযোগীতা করে ব্যবসা করে, নানাভাবে তাদের উপকার করে, দোভাষী হয়ে, জাহাজ ঘাটায় মাল নামানোর কুলি সংগ্রহ করে দিয়ে অনেকেই কপাল ফেরালেন। এদের মধ্যে ধনীরা জমিদারী কিনলেন ইংরেজদের কাছ থেকে। কিন্তু সে জমিদারী আসলে খাজনা আদায়ের ঠিকাদারী। তবু দু-তিন পুরুষেই তাঁরা বনেদী বনে গেলেন।" [সূত্রঃ মুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ রিসার্চ একাডেমী প্রকাশিত ' এ এক অন্য ইতিহাস' লেখক-গোলাম আহমাদ মোর্তজা]

লোকেশ্বর বসুর এ লেখনী পুরোপুরিই ঠাকুর বাড়ির সাথে মিলে যায়! Memoir of Dwarakanath Tagore থেকে ড. ভট্টাচার্য উদ্ধৃত করেছেন, "... গরীবের রক্ত শোষণ করা অর্থে প্রিন্সের (রবির ঠাকুর্দা দ্বারকানাথ ) এই প্রাচুর্যের পূর্বে তিনি ছিলেন মাত্র দেড়শো টাকা বেতনের সাহেব ট্রেভর প্লাউডেনের চাকর মাত্র।" এগুলো রবীন্দ্র ভক্তদের জন্য অপ্রিয় হলেও সত্য। এর পরের ইতিহাস আমরা সকলেই কম বেশি জানি।

রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক ব্যবসা ছিলো পতিতালয় ব্যবসা। রবীন্দ্রনাথের দাদার শুধু কলকাতায় ছিলো ৪৩টা পতিতালয় (তথ্যসূত্র: সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী সম্পাদিত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী,১৯৬২,পৃ.৩৫৮-৬০; কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা,২৮শে কার্তিক,১৪০৬, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)।

এ প্রসঙ্গে- আবুল আহসান চৌধুরী রচিত ‘অবিদ্যার অন্তঃপুরে, নিষিদ্ধ পল্লীর অন্তরঙ্গ কথকতা’ বইয়ে পাওয়া যায় - বেশ্যাবাজি ছিল বাবু (হিন্দু) সমাজের সাধারণ ঘটনা। নারী আন্দোলনের ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের, রক্ষিতা ছিল॥ এমনকি ঐ রক্ষিতার গর্ভে তাঁর একটি পুত্রও জন্মে ছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথের ভাই) পতিতা সুকুমারী দত্তের প্রেমে মজেছিল। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিয়মিত পতিতালয়ে যেত। রবীন্দ্রনাথঠাকুরও পতিতালয়ে যেত। নিষিদ্ধ পল্লীতে গমনের ফলে রবীন্দ্রনাথের সিফিলিস আক্রান্ত হওয়ার খবর তার জীবদ্দশাতেই ‘বসুমতী’ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.