নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম রক্ষার নামে "ব্লগার" হত্যা কতোটা যুক্তিসম্মত.......।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

গতকাল আরেক ব্লগার খুন হয়েছে, এবার ঘটনা ঘটেছে বাসায়। "থাবা বাবা" দিয়ে শুরু করা এই যাত্রায় কেবল নতুন নাম যোগ হচ্ছে, কারণটা যে কী তা আসলেই বোঝা যাচ্ছে না। আজকের বিভিন্ন পত্রিকায় বলা হয়েছে খুন হচ্ছে নামের তালিকা ধরে, এই তালিকা নাকি হেফাজতের সময় দেয়া হয়েছিল মানে দুই বছর আগে। জানিনা প্রশাসন কী করছে, তারা আসলেই এমন ঘটনা রুখতে চায় কিনা?
ব্লগার কেউ খুন হলেই তাকে নাস্তিক বলে ঘোষনা করা হয়, আর দায় যায় মৌলবাদের উপর। আর এভাবে একের পর এক ব্লগার হত্যা আসলেই একটি বড় সমস্যা।

* ধর্ম আসলেই একটি মনের বিষয়, যা জোর করে মানিয়ে নেয়া যায় না। আপনি কোন ধর্মের তা মূল বিষয় নয়, আপনি মানুষ, কাউকে আঘাত দিয়ে কথা বলা আপনার সাজে না। ইসলামকে খন্ডনের জন্য আপনাকে স্বাগতম, কিন্তু খন্ডনের নামে আল্লাহকে বিলুপ্ত ঘোষনা করবেন বা মহানবী (স: ) কে নেশাগ্রস্ত বলবেন তা হবে না। (আমি বরাবরই এমন ব্লগ পড়ে নীরবে বেরিয়ে এসেছি)

* জনাব মাওলানা বা ইসলামের জিহাদী ভাই, আপনি বা আপনারা ইসলামের কোন নতুন ভার্সনের আল-কুরআন উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে ব্লগার হত্যার আদেশ পেয়েছেন বা ফরজ বলা হয়েছে। ইসলাম এতো সোজা নয়। নামায নেই, রোজা নেই এমন মুসলিম কি সাজায়ে রাখবেন, না মুসলমান কমে গেছে যে তাদের পূজা করবেন?
যদি ইসলাম রক্ষার কথা বলেন তবে বলব নবী (স: ) এর যুগেই ইসলাম মনে হয় সবচেয়ে বিপদে ছিল, মুসলমান খুবই কম ছিল। তিনি সে সময় তার ব্যবহার দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন, মানুষ ভালোবেসে ইসলামের ছায়াতলে এসেছেন। সেই আমলে তো যুগ্ধ হতো আর জয়টা মুসলমানদেরই হতো তবুওতো কাউকে তলোয়ারের নিচে এনে মুসলমান বানানো হয়নি। তবে আজ কেন ইসলামের নামে এতো মারামারি, বোমাবাজি?
আপনারা কার মতাদর্শী, মসজিদে পর্যন্ত বোমা হামলা করছেন? সেখানে ইসলাম কিভাবে রক্ষা করছেন, কী কারণে বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে চলেছেন? কেউ কী বলতে পারবেন নবী (স: ) কারো পূজার মুর্তি ভেঙ্গেছেন? জোর করে ইসলাম চাপায়ে দেয়া যায় না, যাক না যারা যেদিকে যেতে চায়, এভাবে মানুষ মেরে ইসলামকে অপমান করার দরকার নেই। আর কোথাও থেকে যদি গায়েবী আওয়াজ পেয়ে থাকেন বা আল-কুরআনের কোথাও এমন হত্যার আদেশ থাকে তবে আপাদেরও জানান। আমরাও জেনে অস্ত্র হাতে নেই।

আর না থাকলে দয়া করে ইসলামের ছায়াতলে আসেন। ইসলাম আল-কুরআন ও আল-হাদীস বলে চলে ১০/১৫ টাকার কোন জিহাদী বই দিয়ে না। আল্লাহর দোহাই এমন ইসলাম বহি:ভুর্ত কাজ করে শান্তি ধর্মের প্রতি কাউকে আঙ্গুল তোলার সাহস বা সুযোগ করে দেবেন না।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: খুব সুন্দর ও সহজ করে তুলে ধরেছেন।
তারপর ও কি যেন বলতে চেয়ে চেয়েও বলতে পারেননি।
আমার ধারনাটা ঠিক হলে,যেই কথাটি বলতে পারেননি,সেই কথা এখন আমায় বলে দিন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আর যাই হোক নিজেকে নাস্তিক বা ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করাকে সমর্থন করিনি। আর আমার লেখার হাত এমনই, সব ফুটিয়র তুলতে পারিনা বা গুছিয়ে লিখতে পারি না।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২১

আর জে নিশা বলেছেন: পৃথিবীতে কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে সবচেয়ে বেশী রক্তপাত হয়েছে ? শান্তির ধর্ম কি রক্তপাত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা ? একেই কি বলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ?


একটি শক্তিশালী দেশ তার ক্ষমতা দিয়ে আমাদের চোখের সামনে ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া সহ আফ্রিকার কতো কতো দেশ শান্তিতে ভরপুর করে দিয়েছে !!!

আর একটি ধর্ম তাদের মতবাদ আর তাদের সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছে !!! শান্তিতে মানুষ শান্তিময় !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.