নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মেয়ের পতিতা হবার গল্প, এই পতিতাবৃত্তির জন্য আমরাই দায়ী।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

আজ একটি সত্য ঘটনা বর্ণনা করতে চলেছি, জানিনা কতোজনের ভালো লাগবে...

সকাল ১১.৩০, নিজের কাজে আমি রামপুরা-বনশ্রী এর এ ব্লগে (মাদার টেক)। ঠিক যে জায়গায়টায় লেগুনা দাড়ায় সেখানে দুইটি রিক্সা যাত্রীর জন্য অপেক্ষায়। আমি দোকান থেকে চা খেয়ে বের হচ্ছি, একজন মহিলা একটি মেয়েকে জোর করে রিক্সায় তোলার চেষ্টা করছে। মেয়েটি প্রাণপন চেষ্টা করছে না উঠার জন্য, আশেপাশের লোকেদের সাথে আমিও তাকিয়ে আছি। মহিলা তার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে, না পেরে মেয়েটির মুখে একটি জোরে ঘুষি মারল, বাড়তে থাকল মার। সবার মাঝ থেকে একজন দাড়িওয়ালা মুরিব্বি এগিয়ে গিয়ে আটকালো, কিছুটা চিৎকার দেয়ায় আশেপাশের লোকেরাও জমায়েত হয়ে গেছে। মহিলার কাছে মারার কারণ জানতে চাওয়া চাইল একজন।
মহিলার কথা অনুযায়ী, মেয়েটি একটি বাসায় কাজ করত। গত সাতদিন আগে সে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও একটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে এসেছে। তারা মেয়েটির নামে থানার জিডিও করেছে, আজ দেখতে পেয়ে ধরেছে। আর মেয়েটির কথা, সে চুরি করেনি। খারাপ ব্যবহারের কারণে বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে। প্রথম দিকে সবাই মহিলাকে মেয়েটি নিয়ে যেতে দিতে চাইলেও মেয়ের কান্না ও অনুরোধে তাদের রিক্সা থেকে নামিয়ে নেয়া হয়। পরে মেয়েটিকে রাখা হয় সেখানের ক্লাব ঘরে, খবর দেয়া হয় পুলিশে।

আমার কাজ ঠিক ঘটনার পাশেই ছিল, আমি আমার জায়গায় বসেই ঘটনা দেখছিলাম। আমি কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি, কিছুক্ষণ পরেই কিছুটা হত্টগল বাড়ায় আবার ঘটনায় ক্লাবের কাছে যাই। এবার মহিলার সাথে আরও দুইজন মহিলা যোগ হয়েছে, এসেছে সেই বাড়ির দম্পতিও। দম্পতির সাথে তাদের দুই বাচ্চাও এসেছে, পুরুষটি দাড়ি আছে, গায়ে সাদা পান্জাবি। তারাও একই ঘটনা ব্যাক্ত করল। টাকা, স্বর্ণ ও দামী মোবাইল নিয়ে ভেগে এসেছে মেয়েটি, থানায় জিডি করা হয়েছে। তিন মহিলার মাঝে একজন মহিলা একটু ভিন্ন ধরনের। ঠোট খুবই কালো, কথাবার্তা নেতা টাইপের ও কিছুটা মাতব্বরী করছে, চাওয়া মেয়েটিকে তাদের কাছে তুলে দেবার। কিন্তু ক্লাবের ছেলেরা পুলিশ ছাড়া তাদের হাতে দিতে রাজি নয়। কারণ, মেয়েটি বলেছে তার বাবা নেই, মা একা সংসার চালাতে পারে না। তাই সে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় কাজের খোজে আসে। কিন্তু বাসা মালিক তার দ্বারা কাজের পাশাপাশি অনৈতিক দেহ ব্যবসা করাতো। সে না চাইলেও তাকে জোর করেই এই কাজ করানো হত। এই কাজ না করায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে অনেকবার, পরে সে সুযোগ বুঝে চলে আসে।

সময় দুপুর ২ টা, পুলিশ এখনও আসেনি। ইতিমধ্যে মেয়েটিকে দুইবার কিছুটা ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করা হয়েছে। দম্পতিটি চলে গেছে, কিন্তু তিন মহিলা এখনও আছে। সেই নেতা মহিলা একবার মারামারি করেছে, পাশের এক মহিলার হাতে কামড় দিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছে। ছেলেগুলো তাদের দুরে সরিয়ে দিয়ে মিয়েটিকে ঘিরে আছে। পুলিশের কোন খোজঁ নেই, ফোন করা হয়েছে ডিবিকে।
আমার কাজ শেষ, আমি বেশ কিছুক্ষণ থেকে ছেলেগুলোর পাশেই দাড়িয়ে। মেয়েটিকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে, সবাই পুলিশের অপেক্ষা করছে আর মেয়েটিকে নিয়ে আলোচনা করছে।
স্বর বদলেছে নেতা টাইপের মহিলাটির। এখন আবাদার, মেয়েটি তাদের দেয়া নূপুর ও দামী মোবাইলটি দিলেই তারা চলে যাবে। বেশ কয়েকবার চেয়েও তারা চলে যেতে পারেনি, তারাও ফোন চালিয়ে যাচ্ছে। এক সময় পুলিশ আসল, ঘটনা শুনে তিন মহিলা ও মেয়েটিকে নিয়ে গাড়িতে তুলল। ভাগ্যক্রমে মেয়েটি ও নেতা মহিলা একই সাথে। মহিলাটি মেয়েটিকে শাসিয়ে চলছে, থানা থেকে বাসায় নিয়ে নির্যাতনের মাত্রা কী হবে। মেয়েটি কেদেঁই চলেছে, ভ্যানটি চলে গেল।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
জানিনা, আসলেই মেয়েটির কী হবে। সবার ধারণা মহিলারাই মেয়েটিকে নিয়ে যাবে, কারণ তাদের চক্রটা অনেক বড়। আমার মতে মেয়েটিকে আবারও ঠেলে দেয়া হবে ভয়ংকর বেশ্যাবৃত্তির দিকে। এই সমাজ তাদের কাজটি ঠিকই করেছিল, মেয়েটিকে আইনের হাতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও যদি তাকে এই পেশায় ফিরতে হয় তবে দায়টা এই সমাজেরই। কারণ আমাদের পুলিশ আমাদের সমাজেরই কেউ, তারা আমাদের মতোই মানুষ। আর এই মানুষগুলোকে আমরাই সব কাজ বিনা বাধায় করতে দিয়েছি, সেটা ঠিক হোক আর ঘোর অন্যায়ই হোক না কেন।
প্রথম দিকে বোল্ড করে 'দাড়ি ওয়ালা' শব্দটি হয়তো অনেক লক্ষ করেছেন। দিয়েছিলাম বিশেষ কারণে, প্রথম প্রতিবাদ করা লোকটি ছিল দাড়িওয়ালা। পান চিবালো এই লোকটির গায়ে ছিল ময়লা একটি পান্জাবি আর মেয়েটি যে বাসায় কাজ করত সেই লোকটিও দাড়িওয়ালা ও পান্জাবি পরিহিত, শরীর থেকে কড়া আতরের ঘ্রাণ সবাই পেয়েছে। তবে এখানে সাদার চেয়ে ময়লাই ভালো ছিল।
লেখাটি পড়ে যদি কোন পুলিশ ভাই বা কেউ কষ্ট পান তবে বলব, আপনি সাদা ও সুগন্ধি পুলিশের দলে। আমার পরিবারেও পুলিশ আছে, দেশের পুলিশে এখনও ময়লা পুলিশ আছে। তারা সারা জীবন বেচেঁ থাক এই কামনা রইল, সংখ্যাটা একদিন সাদার চেয়ে বেশী হবে এই আশায় রইলাম।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

অমিত অমি বলেছেন: :(

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

প্রামানিক বলেছেন: সামাজে ভাল হয়ে বেঁচে থাকতে চাইলেও বেঁচে থাকা যায় না বাধ্য করে খারাপ পথে যেতে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: হুম, সেটা পরে। আপনার খবর নেই কেন, ভাই?

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পুলিশের ওপর ভরসা করা যায় কতটুকু!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: তেমনতো ভরসার মনে হয়নি, বাকীটা টাকাই জানে।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

মামুন ইসলাম বলেছেন: সুন্দর শেয়ার ধন্যবাদ

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আমায় ধন্যবাদ না দিয়ে যেন এমন গল্প শেয়ার করতে না হয়, আসুন সেই লক্ষে কাজ করি।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আহলান বলেছেন: মানুষ রুপী কুকুর ....

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: চরিত্র যাই হোক, সবাইতো আমার মতোই মানুষ। তাদের খারাপ কাজ করতে দেবার জন্য আমরাই দায়ী।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আইনের শাসন না থাকলে এমনই হয়।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়ার সবচাইতে নিকৃৃস্ট পুলিশের কাছে মেয়েটি গেল মানে শিয়ালের কাছে মুর্গী বর্গা দেয়া হল!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

আব্দুল্যাহ বলেছেন: কিছুটা সত্য তবে সবটা নয়

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫০

সাদা মেঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমার বাসা এখানে। আমি ও বেশ কিছু দিন লেগুনা স্ট্যান্ড এ অনেক কিছু দেখেছি
লেগুনা চালক ও হেল্পার রাও কম যায় না।pervert বাড়ছে দেশে

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.