নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ধর্ম যার যার, উৎসব সবার", আসলেই কি তাই?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪


"ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" এই প্রবাদটি পুজা এলেই সামাজিক মাধ্যমে চলে আসে। অনেক মুসলিম ভাইকে দেখি ছবিটি শেয়ার করতে। ছবিটি নিয়ে বিতর্কে যাবার আগে কিছু কথা বলে নেই।

আপনারা সবাই বাংলাদেশের ইতিহাস জানেন, আমরা আদি ভারতীয় উপমহাদেশের অংশ ছিলাম। মানতে কোন দ্বিধা নেই, আমাদের আদি পূর্বপুরুষের সবাই হিন্দু ছিল, পূজা করত। ধারণা করা হয় হযরত শাহজালালসহ কিছু মানুষের হাত ধরে এই মহাদেশে ইসলামের প্রবেশ ঘটেছে। যাই হোক আমরা মুসলিম, আল-কুরআন এ আমাদের কি করা উচিৎ আর কি উচিৎ হয় তা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। যদিও দেশের সকল মুসলিমের ১০% মুসলিমও বুঝে আল-কুরআন পড়ে কিনা সন্দেহ আছে। আর যারা পড়ে, তাদের মাঝেও কতো বিতর্ক আছে তা বলে শেষ করা যাবে না।

ছোট থেকে দেখে আসছি, পূজায় মুসলিমের আনাগোনা। আমিও ছোটকালে অনেকবার পুজোয় গিয়েছি, খেলনা কিনেছি। শেষবার গিয়েছিলাম ক্লাস নাইনে। এরপর বিবেক তাড়নায় যাইনি, তবে কেউ গেলে তাকে আজও গালি দেইনি। মানুষ হিসাবে আপনার নিজস্ব ভাবনা থাকতেই পারে, আপনি যেতেই পারেন কিন্তু মুসলিম হিসাবে নয়। একজন মুসলিম হিসাবে কখনোই পূজায় যাবার কথা বা সেই উৎসবে যোগ দেবার কথা আপনি বলতে পারেন না। (আল-কুরআন এ কোথাও যাবার কথা থাকলে দেখাতে পারেন, সুরার নাম ও আয়াতসহ)।
এটা ঠিক সমাজ বদলেছে, মানুষের দৃষ্টিকোন বদলেছে কিন্তু আল-কোরআন কোন অংশেই বদলায়নি আর কখনো বদলাবেও না।

অনেক কিছুর উদাহারণ দেখাতে পারেন, কিন্তু আসলে মূল কথা আমরা ইসলামের কতোটুকু মানি? মানবেন না ভালো কথা কিন্তু নিজেকে মুসলমানের উদাহারণ হিসাবে কখনো উপস্থাপন করবেন না। আমাদের দেশ একটি, সেই হিসাবে অন্যান্ন ধর্মাবলীর সাথে কথা বলা বা একই সমাজে বাস করি, ইসলামে এই নিয়ে কোন বাধা নেই। আমরা একই সাথে পড়ব, কাজ করব কোন বাঁধা নেই কিন্তু একই সাথে দুই ধর্ম পালন বা মানা এটা ঠিক নয়। মনে রাখবেন শাহরুক খান আপনার ভেবারিট শিল্পি হতে পারে কিন্তু আইডল নয়।

এরপরও যারা "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" মনে করেন তাদের প্রতি অনুরোধ রইল, আপনার হিন্দু বন্ধুটিকে নিচের কাজগুলো করে দেখাতে বলেন।
►আমাদের কুরবানি/গরুর মাংস খেতে বলুন।
►ঈদের নামাযে আসতে বলুন।
►সবে বরাত, সবে কদর রাতে মসজিদে আসতে বলুন।(এই রাত দুটি এখন উৎসবের পর্যায়ে চলে গেছে, যদিও সেটা ইসলামে মানা রয়েছে)

এখন বলবেন এসব তাদের জন্য হারাম, তারা করবে কেন?
আরে গাধাঁ, ইসলামে কোথাও কি প্রতিমা পূজাঁ, আল্লাহ ব্যাতীত কাউকে উৎসর্গ করা খাবার হালাল বলা আছে? তো আপনি কি কারণে সেখানে?
ইসলাম মানবেন না ভালো কথা, দেশের ১৬কোটি মানুষ ইসলাম ত্যাগ করলেও সমস্যা নেই। কিন্তু ইসলামের নামে নিজের ভাবনা চালিয়ে দেয়া ঠিক না। আসুন, নিজের ধর্ম পালন করি, অন্যের ধর্মে নাক গলানো বাদ দেই।

***
আর যারা, 'ইসলাম ফেল, ইসলাম গেল' গুপ্ত হত্যা করছেন তাদের বলি আগে নিজে ইসলামের রীতি মানুন, পরে না হয় কে কি করছে সেটা দেখা যাবে। ইসলাম কোন কালেই এমন হত্যা সমর্থন করে নি আর করবেও না, যদিও আপনার বড় হুজুর বলে থাকে। কারণ আল-কুরআন তার লেখা কিতাব নয় বা তিনি মুহাম্মদও নন যে নতুন করে কোন বাণী নাযিল করে ফেলেছেন।
তাই অনুরোধ থাকল, নিজে যা করবেন তা ইসলামে আছে বলে চালিয়ে দিবেন না।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

সুমন কর বলেছেন: নিজের ধর্ম পালন করি, অন্যের ধর্মে নাক গলানো বাদ দেই। -- সহমত।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

নীলাবেশ বলেছেন: নিজের ধর্ম পালন করি, অন্যের ধর্মে নাক গলানো বাদ দেই।
নিজের ধর্মে কি বলছে তা আগে বুজি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সেটাই

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: এরপরও যারা "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" মনে করেন তাদের প্রতি অনুরোধ রইল, আপনার হিন্দু বন্ধুটিকে নিচের কাজগুলো করে দেখাতে বলেন।
►আমাদের কুরবানি/গরুর মাংস খেতে বলুন।
►ঈদের নামাযে আসতে বলুন।
►সবে বরাত, সবে কদর রাতে মসজিদে আসতে বলুন।(এই রাত দুটি এখন উৎসবের পর্যায়ে চলে গেছে, যদিও সেটা ইসলামে মানা রয়েছে)

হিন্দুরা কি মুসলমানদের কখনো বলেছে?
* আসুন আমাদের সাথে প্রসাদ ভক্ষণ কিংবা মদ্যপান করুন।
* আমাদের পূজায় অংশ গ্রহণ করুন।
একটু ভেবে দেখুন ধর্মের নামে যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, তা কতটা গ্রহণযোগ্য।
আপনি হিন্দুদের পূজায় যাবেন না সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আপনি যর্থাই বলেছেন একজন মুসলিম মাত্রই কখনো পূজায় যাওয়ার চিন্তাও করতে পারেন না।
মুসলিম কে কোন বির্ধমীদের সাহায্য নিতে স্পষ্ট করে মানা করে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে।
কিন্তু আফসোস! আপনি যেটা দ্বারা টাইপ করছেন সেটা কোন বির্ধমীর তৈরী। আপনি যে ভোগ বিলাস করছেন এটার মূলেও সেই বির্ধমী। বির্ধমীদের সাহায্য ছাড়া একটা দিন চলে দেখান তো ভাই।
আর হ্যা মানুষ হতে শিখুন। তাহলে আর কোন উৎসবে গেলে বিবেকের তাড়না উপলদ্ধি করতে পারবেন না।
একজন মুসলিম হওয়ার চেয়ে মানুষ হওয়াটা জরুরী।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আমি কোথাও বলেনি হিন্দু ভাইয়েরা আমাদের বলেছে। আমি বলেছি তারা যদি তাদের ধর্মের হারামগুলো মেনে চলতে পারে তবে আপনি বা আমরা কেন নই। আর লেখাটি কখনোই হিন্দু ভাইদের উদ্দেশ্য করে লেখা নয়, এটা তাদের জন্য যারা মুসলমান হয়ে নিজে পূজায় যায় এবং অন্যকে যেতে বলে।
মুসলিমরা কী মানুষ নয়? আমি ইসলাম মেনে চলতে বলেছি, মৌলবাদী রীতিকে নয়। ইসলাম ও মৌলবাদ দুটি ভিন্ন বিষয়।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

বাউন্টি হান্টার বলেছেন:
আপনি কী কখনো হিন্দুদের বিয়ের দাওয়াতে যান না?
পুজা উপলক্ষে হিন্দুদের অনুষ্ঠানে গেলে সমস্যা কী? আপনাকে কেও তাদের দেবীকে পুজা দিতে বলবেনা বা তাদের ভোগ খাওয়ার কথাও বলবে না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ভাই, আমি গেলেই কী সেটা মেনে নিতে হবে বা সঠিক।
লেখাটি মূলত "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" কথাটিকে কেন্দ্র করে। আপনি যদি হিন্দুর বিয়ে খাওয়া বা পূজা উপলক্ষে মেলায় গিয়ে খাবার কথা বলেন তবে বলব আপনি হয়তো জানেন না, বিধর্মীদের হাতে বানানো খাবার গ্রহনে ইসলামে মানা আছে। কিন্তু সেটা অনেকে মানে না, আমি নিজেও মানি না, তাই বলে সেটা ইসলামে সঠিক হয়ে যায়নি।

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: "মানুষ হতে শিখুন। তাহলে আর কোন উৎসবে গেলে বিবেকের তাড়না উপলদ্ধি করতে পারবেন না।
একজন মুসলিম হওয়ার চেয়ে মানুষ হওয়াটা জরুরী।"

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ভাই মুসলিমেরা কী মানুষ নয়?
আর বিষয়টিকে মৌলবাদীতে নিয়ে যাবার এতো চেষ্টা চলছে কেন?
আপনি ইসলামকে কি ভাবে মানবেন তা আপনার বিষয়, কিন্তু ইসলাম তার জায়ায় অনড়। ইসলামের চেয়ে বড় মানবতা কোথাও নেই। মনে রাখবেন নবী স: এর জুগেও পুজা হয়েছে এবং অনেক ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখন কেন হয়না, কারণ কিছু মাওলানা মৌলবাদ ছড়াচ্ছে। আর সেটা সম্ভব হচ্ছে যখন আমরা পূজায় যাওয়া যাবে এমন কথা প্রচার করি। আপনি যাবেন যান, পুজাও করেন আমি বাধা দেব না। কিন্তু 'মুসলমান হয়ে পুজায় যেতে বাধা নেই এমন কথা ছড়াবেন না'।

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

নীলাবেশ বলেছেন: "মুসলিম কে কোন বির্ধমীদের সাহায্য নিতে স্পষ্ট করে মানা করে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে"
@হাতুড়ে লেখক আপনি কি লিঙ্ক বা আয়াত নাম্বার টা দিবেন। কোথায় এটা লিখা আছে?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "মুসলিম কে কোন বির্ধমীদের সাহায্য নিতে স্পষ্ট করে মানা করে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে" লাইনটি কই থেকে পেলেন তা দেখাবেন।

৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বাউন্টি হান্টার বলেছেন:
আপনি হয়তো জানেন না, বিধর্মীদের হাতে বানানো খাবার গ্রহনে ইসলামে মানা আছে।

এগুলা মেজাজ খারাপ করার মত মিথ্যা কথা।
মুসলিমরা যদি বির্ধমীদের সাহায্য না নেয়, বাস্তবতা হলো মুসলিমরা হয়তো না খেয়ে মারা যাবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: হ্যাঁ, এমন অনেক গাঁ জ্বালানো কথা আছে। আপনার এলাকার ঈমামের কাছ থেকে জেনে নেবেন। আমি যখন বিষয়টি জেনেছিলাম তখন নিজেও প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু সেই লোকটি প্রমাণ দেখিয়েছিল। লক্ষ করলে দেখবেন, অনেক ইমামই হিন্দু হোটেলে খেতে বসে না।
গাঁ জ্বালানোর জন্য লেখাটি লিখেনি, লিখেছিলাম যা করছি তা 'ইসলামী কর্ম' বলে প্রচার না করি।
"মুসলিমরা যদি বির্ধমীদের সাহায্য না নেয়, বাস্তবতা হলো মুসলিমরা হয়তো না খেয়ে মারা যাবে।"
মুসলিম পিতা যখন পৃথিবীতে একমাত্র মুসলিম ছিলেন, তখন তিনি যখন মারা যায়নি এখন বাকী মুসলিম মারা যাবে এরা বিস্বাস করি না।
অন্যদের সাথে মিলে চলতে, কাজ করতে আমার কোন দ্বিধা নেই।

৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: পূজা-মন্ডপে গিয়ে যারা ছবি আপলোড দেয় তাদের প্রায় সবাই প্রাপ্তবয়স্ক, তাদের নিজেদের যদি ভালোমন্দ সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে তা তাদের বলে বোঝানো যাবে না । স্বরস্বতী পূজার সময় হিন্ধু ছাত্ররা ভদকা, রয়াল স্ট্যাগ আরও হাবিজাবি বোতল যখন খুলে বসে তখন কিছু মুসলমান বন্ধুদের তাদের আশেপাশে ভাগ পাওয়ার জন্য ঘুরঘুর করতে দেখি । মন্ডপে যারা ঘোরে তাদের একটা বড় অংশের নিয়তে কিন্তু আছে ।

আর বিধর্মীদের হাতে তৈরি মিষ্টি তো খাই । অনেক কঠিন তাবলীগি আবার আগ বাড়িয়ে আমল কম মুসলমানের হাতে বানানো খাবারও খেতে চান না শুনেছি, কোথা থেকে যে তারা এসব আবিস্কার করেন জানিনা 8-|

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আসলে সব কিছু মিলিয়ে তো আর পোস্ট লিখতে বসি না, তবে আমি একজন মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম। আমি নিজে পড়েছি, বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু কথা পড়েছিলাম, বিষয়টি তখনই শুনেছিলাম। আশা করি একদিন উত্তর দিয়ে যাব, তবে সময় লাগবে।

৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: মুসলিম হিন্দুর দুরত্ব বিশ্লেষণে না গিয়ে লেখক উৎসবের মৌলিকত্ব তুলে ধরেছেন। এখানে সুক্ষ একটা কিছু রয়ে গেছে। যেমন তিনি হিন্দুদের গরু খেতে বলছেন।

আবদুল্লাহ ভাই এটা না করলেও পারতেন। কারন গরু খাওয়া তাদের জন্য নিষিদ্ধ (আদতে ধর্মগ্রন্থে নয়)।

তার মানে আমি মনে করছি না উৎসব সবার নয় আর ধর্ম যার যার। হিন্দুদের মধ্যে ধর্মীয় গোঁড়ামিপনা আমি বেশিই দেখেছি যেটা মুসলমান সমাজে তূলনামুলকভাবে কম। এখানটায় উভয় অনুসারীই হালকাভাবে চিন্তা করলেই তো হয়। বিষয়টা এক্সট্রিমলি চিন্তা না করে সহজভাবে দেখুন না। মুসলমান হিন্দুদের পুঁজায় গেলে যদি হৈ হুল্লুড় আড্ডা দেয় এবং ধর্মীয় নিষিদ্ধ বস্তুগুলো না খায়/পালন করে তবেই তো আর সমস্যা হলো না। আর হিন্দুরা ঈদের সময় এসে গরু/মাংস ব্যতীত খাবার ভক্ষণ/আনন্দ করলে কোনই সমস্যা হবার কথা না। খামাকা ঝামেলা পাকিয়ে কি লাভ রে ভাই?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমিও সেই কারণেই চুপ ছিলাম। লিটন-সৌম্য এর ইফতারে আসা নিয়েও চুপ ছিলাম। আমি যে ছবিটি নিয়ে পোস্ট টি লিখেছি সেটি আসলেই বিতর্কের জন্ম দেয়, ঐ বয়সের ছেলেরা কতোটুকু বোঝে?
আপনি পূজায় যাবেন, যান কিন্তু সেটাকে প্রচার করার কি আসে। আমিতো খুব খারাপ কিছু বলেছি বলে মনে হয় না, পূজায় গিয়ে বন্ধুরা কি খায় তা আমিও জানি, হয়তো আপনিও জানেন। তারা যদি নিজের ধর্মের প্রতি সচেতন থাকতে পারে তবে আমরা কেন নয়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আমি ক্ষমা চাইছি, কিন্তু আমি কোন হিন্দুকে গরুর মাংস খেতে বলিনি। আমি বলেছি, আপনি আপনার হিন্দু বন্ধুটিকে গরুরু মাংস খেতে বুলুন। তারা খাবে না, কারণ সেটা তাদের ধর্মে হারাম। তারা যদি তাদের হালাল-হারাম মানতে পারে তবে আপনি কেন নয়?

১০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

নীলাবেশ বলেছেন: "তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।"
সুরা আল মায়েদা: ৫
The Prophet (peace be upon him) ate with a Jew who invited him to join him in eating a meal. Likewise, he and his Companions ate from the food of a Jewish woman in Khaybar. It is obvious that their food was prepared and served on their own dishes. This is clear proof that eating from their dishes is permissible without it even being disliked.

5. One of the strongest pieces of evidence supporting this view is the hadîth related by Jâbir who said: “We used to go on military expeditions with Allah’s Messenger (peace be upon him) and acquire the dishes and drinking vessels of the pagans. We would use these things and did not consider doing so to be objectionable.” [Musnad Ahmad (3/379, 327, 343, 389), Sunan Abî Dâwûd (2/391), Musnad al-Bazzâr (1/32), and Sunan al-Bayhaqî (1/218)] In Irwâ’ al-Ghalîl, al-Albani determines the chain of transmission for this hadîth to be authentic.
http://en.islamtoday.net/artshow-381-3281.htm
আসুন চেষ্টা করি , খাটি মুসলিম হবার জন্য। আপনি কি করবেন বা কিভাবে করবেন পুরটাই আপনার ব্যাপার, দয়া করে ভুল মতবাদ দিয়ে অন্য কে প্রতারিত করবেন না। আগে নিজে জানুন , বুজুন তার পর অন্যকে বলুন। প্রজুক্তি অনেক আগায় গেছে। কিছু বলার আগে বা লিখার আগে গুগল একটা গুতা দিয়া দাখেন আপনি যা বলতে চান তা ঠিক কিনা।
আপনি মুসলিম হয়ে সব কিছু করতে পারেন , আমার কাছে কোন বাধা নাই , খালি বইলেন না , ইসলাম এইটা করতে বলসে।
সবাই কে ভালো মানুষ হবার মতো বুদ্ধি দিক।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আমার কখনো মনে হয়নি যে, 'কেউ তীব্র ক্ষুধায় কষ্ট সহ্য না করতে পেরে পূজায় যায়'।

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আজাদ মোল্লা বলেছেন: মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুর'আনের মোট চার জায়গায় উল্লেখ করেছেন- * সূরা বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে, * সূরা মায়িদাহ’র ৩ নং আয়াতে, * সূরা আন’আমের ১৪৫ নং আয়াতে, এছাড়াও * সূরা নাহলের ১১৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে” অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন। আর এই কারনেই পূজার প্রস্বাদ খাওয়া হারাম। এখন আসি পূজার অনুষ্ঠানে মুসলিমদের যাওয়ার বিষয়ে- আমাদের দেশে যখন হিন্দুদের পূজার উৎসব চলতে থাকে তখন অনেক মুসলিম-ই তাদের ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ঐ অনুষ্ঠানে উপভোগ করে।অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা। তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে-গেসি তো কি হয়েছে? গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব? আমার ঈমান ঠিক আছে।এখন একটু ভেবে দেখুন,মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা।আর শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ। মহান আল্লাহ বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্র সাথে শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়।(সুরা লুকমানঃ ১৩) আর শির্কের অপরাধ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। মহান আল্লাহ বলেন : "নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না,কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন,এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে। (সূরা নিসাঃ ৪৮)। . এখন দেখুন,সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে।আর রাসুল (সাঃ) বললেন-তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে)তা সংশোধন করে দেয়,যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর। [সহিহ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮] . অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মনথেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণা করলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত কিন্তু ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে তাদের অনুষ্ঠান মনে মনে উপভোগ করার পরেও কি আপনি দাবী করবেন যে- আপনার ঈমান ঠিক আছে। এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ, যুক্তিগুলো সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।

১২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

নীলাবেশ বলেছেন: সুরা আল মায়েদা: ৫ না হবে সুরা আল মায়েদা: ৩ , ভুলের জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ, মোল্লা আজাদ ভাইয়ের মতামতটি পড়েছেন।
সূরা নাহলের ১১৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে” অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন।

রাসুল (সাঃ) বললেন-তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে)তা সংশোধন করে দেয়,যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর। [সহিহ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮]

আসলে ভাই, আমিতো আর অতো ইসলাম জানি না, তবে যেটুকু জানি তাই বলি।

১৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

নীলাবেশ বলেছেন: লেখক ভাই, এদের পেটের খুধা না , মনের খুদা মিটাইতে পুজায় যায়। নিজেদের অনেক আপডেটেট ভাবে, এরাই সুজগ পাইলে অন্নের জিনিস নিজের মনে করে, নিজের বউরে পরদার আরালে রাখে,পরের বউ এর দিকে নজর দেয়। নিজে বন্ধু দের সাথে মধ্য রাত পর্যন্ত আড্ডা দেয়, মেয়েদের সাথে খাতির করে, আর নিজের বউ, জি এফ অন্য ছেলের সাথে কথা বললে সন্ধেহর দিকে দেখে, রাতে বেড়ান তো দুরের কথা।
এরাই আফিসে কাজে ফাঁকি দেয়, ঘুষ খায়, মিথ্যা বলে, নিজের বেলায় সব ঠিক অন্নের বেলায় সব রুলস , আবার এরাই জোর গলায় বলে আমরা সুশীল সমাজ। আফসোস.।.।। এদের জন্য দেশ তা মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারছে না। কারন এদের নিজেদের এ মেরু দণ্ড নাই।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আপডেটেট হবেন ভালো কথা, কিন্তু ইসলামকে আপডেট করার চিন্তা কেন?

১৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এরপরও যারা "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" মনে করেন তাদের প্রতি অনুরোধ রইল, আপনার হিন্দু বন্ধুটিকে নিচের কাজগুলো করে দেখাতে বলেন।
►আমাদের কুরবানি/গরুর মাংস খেতে বলুন।
►ঈদের নামাযে আসতে বলুন।
►সবে বরাত, সবে কদর রাতে মসজিদে আসতে বলুন।(এই রাত দুটি এখন উৎসবের পর্যায়ে চলে গেছে, যদিও সেটা ইসলামে মানা রয়েছে)


২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮ ০
লেখক বলেছেন: আমি ক্ষমা চাইছি, কিন্তু আমি কোন হিন্দুকে গরুর মাংস খেতে বলিনি। আমি বলেছি, আপনি আপনার হিন্দু বন্ধুটিকে গরুরু মাংস খেতে বুলুন। তারা খাবে না, কারণ সেটা তাদের ধর্মে হারাম। তারা যদি তাদের হালাল-হারাম মানতে পারে তবে আপনি কেন নয়?



আপনি খেতে বলেননি সেটা কি করে হলো? পোস্টে তাহলে খুব সম্ভবত আপনার ভাবনাটা পরিষ্কার করে বলেননি। হিন্দু বন্ধু তো হিন্দুই নাকি? এগুলো অবতারণা না করলেই পারতেন। তারপরও বলি হিন্দু ও মুসলিমের মৌলিক দুরত্ব অনেক বেশি। উৎসবে গিয়ে এটা পোষানো সম্ভব না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির হাজার বছরের ইতিহাস কই গেল? কারণ কি?

রাজনীতিই আমাদের খাইছে। আর বেশি কিছু বলব না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

আব্দুল্যাহ বলেছেন:
আমি নিজেই বলেছি, তারা এমন কাজ করবেনা, কারণ হিন্দু রীতিতে এটা হারাম। তবে মুসলমানদের হারাম কাজগুলো মেনে নিতে সমস্যা কোথায়?
রাজনীতি কই পেলেন বুঝলাম না।

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রাজনীতির প্রসংগ আনার কারণ হলো বর্তমানে দেশের প্রক্ষাপট। হিন্দু মুর্তি ভাঙা/চুরি প্রভৃতির মুলে যে রাজনীতি সেটা কথা প্রসংগে মনে হল। যাই হোক, আপনি বলেছেন- "তারাম হারাম কাজ বাদ দিতে পারলে আপনি কেন নয়? "

হ্যাঁ তারা তাদের হারাম কাজ বাদ দিয়ে আমাদের ঈদে শামিল হচ্ছে। এতে আমি দেখছি সম্প্রীতি বাড়ছে। অতএব উৎসবে অন্য ধর্মের বন্ধুরা আসলে গ্রহণ করাই উচিত। তাঁদের জন্য নিষিদ্ধ নয় এমন খাবার দিয়ে আপ্যায়ণ করা যেতেই পারে।

হিন্দুরা কি আমাদেরকে নিষিদ্ধ (মদ/শুকরের মাংস) খেতে বলছে? যদি বলে তবে আপনিও তাদের মত না বললে/ না খেলেই তো ল্যাটা চুকে যায়। নাকি?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আমি লেখার নিচের অংশে উল্লেখ করেছি, ইসলাম গুপ্ত হত্যা সমর্থন করে না। তাই যারা ইসলাম গেল বলে অন্য মতাদর্শীদের মেরে ফেলে সেটাও হারাম।
হিন্দু বন্ধুদের কেউ আমায় শুকরের মাংস খেতে বলেনি আর বলবেও না, আমিও তাদের গরুর মাংস খেতে বলি না। কিন্তু পূজায় যাওয়া হালাল এমন কোন কথার প্রমাণ আমায় দেখাতে পারবেন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আপনি বলেছেন, প্রতিমা ভাঙ্গার কথা। আমি কখনোই এমন ঘৃণ্য কাজের সমর্থন করি না। আর অনেক বলেছেন মানুষ হবার কথা, আমি নিজে দুইবার হিন্দুকে রক্ত দিয়েছি, কারণ তারা মানুষ। আমার এলাকায় শুকর আছে, সাওতালরা পালন করে আজও সেই পশুকে আঘাত করিনি।
কিন্তু পূজায় যেতে না করেছি বলেই কী 'মানুষ' নয় বলে গণ্য হবো?

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাজীব বলেছেন: এসব হচ্ছে ক্যাচাল পোস্ট। ধর্ম সম্পর্কে আমাদের সবার ধারনা সীমিত তাই এ অবস্থা। আমরা মুসলমানরা কয়জন নিজেদের ধর্মগ্রন্থের অনুবাদ পড়েছি?? আর হিন্দুরাতো তাদের ধর্মগ্রন্থের ১%ও জানে না। (কিছু ব্যাতিক্রম সব জায়গায়ই আছে। অনেকে অনেক কিছু জানে) আমার মনে হয় মুসলমানদের বেশীরভাগ লোক সবগুলো হাদীস গ্রন্থের না্রম জানে না। আবার ৯৮% হিন্দু তাদের সবগুলো ধর্মগ্রন্থের নাম জানে না।

"ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" এটি আসলে একটি ব্যবসায়ীক প্রচারনা। আমার যতটুকু মনে পড়ে ৫-৬ বছর আগে কোন একটি ইন্ডিয়ান স্যাটেলাইট চ্যানেলের একটি বিজ্ঞাপনে এটি প্রচারিত হ য়। মূলত যেকোন উৎসবে যাতে সব ধর্মের লোকেরাই বেশী বেশী কেনাকাটা করে এই চিন্তা থেকেই মনে হয় এটির উৎপত্তি।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে আমাদের সবার ধারনা সীমিত তাই এ অবস্থা। আমরা মুসলমানরা কয়জন নিজেদের ধর্মগ্রন্থের অনুবাদ পড়েছি??
একমত।
হুম, পোস্ট টি দিয়ে নিজেও কিছুটা ভ্যাজালে আছি। আমি বলেছি পোস্টে দেয়া ছবিটি নিয়ে, যা সবাই ফেসবুকে দিয়ে নিজেকে উত্তম মানুষ বলে দাবী করছে। কিন্তু মিথ্যে বলেছি কী?

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

রাজীব বলেছেন: উপরে একজন বলেছেন:
আর রাসুল (সাঃ) বললেন-তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে)তা সংশোধন করে দেয়,যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর। [সহিহ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮]

এটি একটি হাদিস, কিন্তু এটি কি ধর্ম নিয়ে বলা?? কখনো শুনেছেন আমাদের নবী (সাঃ) মুর্তিপুজা করার কারনে কাউকে মেরেছেন বা আঘাত করেছেন?

আমার মনে হয়
যার যার ধর্মপালন কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ নয়।
কারন কোরআনে আছে
"লাকুম দি নুকুম অল ইয়া দ্বীন" মানে সম্ভবত "যার যার ধর্ম তার তার কাছে।"

আমি আসলে বেশী কিছু জানি না তবে নিজে যতটুকু জানি তা থেকে লিখলাম।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: নবী স: কখনো পূজা করেছেন বলে কাউকে আঘাত করেন নি, তিনি আরবের শাসক থাকা কালে সেখানে পূজা হয়েছে। তাঁর চাচা নিজেই পূজা করতেন।
হুম, "যার যার ধর্ম তার তার কাছে।" ঠিক আছে কিন্তু একজন মুসলিম হয়ে কিভাবে পূজায় যাওয়া সমর্থন করব জানতে চাই?
আমিও কাউকে মারতে চাইনি, কাউকে পূজায় যেতে বাধা দেই না।

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিন্তু পূজায় যাওয়া হালাল এমন কোন কথার প্রমাণ আমায় দেখাতে পারবেন?


পূজোয় যাবেন কেন ভাই। আপনি তাঁদের উৎসবে শুভেচ্ছা জানাবেন, তাঁদের সাথে আনন্দে ভাগ বসাবেন। তাঁরা যেমন ঈদে গোমাংস খাবে না তেমনি আমাদের ধর্মীয় নিষিদ্ধ বস্তু আমরাও খাব না। ব্যাস ঝামেলা খতম।

ওদের দেবদেবীর সামনে না যেয়ে আপনার পবিত্রতা রক্ষা করে থাকলেই তো হলো। আর ইসলামকে সংকুচিত করে ফেলছেন কেন ফতোয়া দিয়ে? যেখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এতো ত্যানা পেচানোর কোন দরকার আছে?

আমাকে দেখান যে নিজে পবিত্র থেকেও বিধর্মীদের কোন উৎসবে শামিল হওয়া যাবে না, এইরকম কোন নিষেধাজ্ঞা ইসলামে আছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "নিজে পবিত্র থেকেও বিধর্মীদের কোন উৎসবে শামিল হওয়া যাবে না, এইরকম কোন নিষেধাজ্ঞা ইসলামে আছে।" এমন কোন কথায় আমি নিজে কখনো শুনেনি। আমি নিজে আমার বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি, তারা পুজায় যাবার আগে আমার সাথে আড্ডা দেয়।
আমি ত্যানা প্যাচাতে চাই না, কথা তুলেছিলাম পোস্টের ছবিটি দিয়ে। ছবিটি আসলেই আমায় খারাপ লেগেছে তাই।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিন্তু পূজায় যেতে না করেছি বলেই কী 'মানুষ' নয় বলে গণ্য হবো?


মুক্তভাবে যারা চিন্তা করার দাবী করছে তাঁদের মধ্যে অজান্তেই অহংবোধ ঢুকে যাওয়ার বড়ো প্রমাণ এটা। তাঁরা নিজেরাও এক্সট্রিম চিন্তা করছে, আদৌ এটা আর মুক্তমনার সীমানার মধ্যে থাকছে না।

আবদুল্লাহ ভাই, আমি আপনাকে মানুষ নয় বললাম কখন? (অন্য কেউ বলে থাকতে পারে তবে তা এক্সট্রিম চিন্তা) আশা করি ভূল বুঝবেন না। আমি আমার চিন্তাটা তূলে ধরলাম মাত্র। ভাল থাকবেন, অনেক অনেক। শুভ সন্ধ্যা!

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ।
পোস্ট টি করেই কেন জানি নিজের ব্লগিং জীবনকে প্রশ্নবিদ্ধ করলাম এমন মনে হয়েছে।

২০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

রাজীব বলেছেন:
"ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" এটি আসলে একটি ব্যবসায়ীক প্রচারনা। যেকোন উৎসবে যাতে সব ধর্মের লোকেরাই বেশী বেশী কেনাকাটা করে এই চিন্তা থেকেই মনে হয় এটির উৎপত্তি।

আর আপনার উপরে দেয়া ছবি নিয়ে বলি,
উপরে ছেলেটি যে পোষাকে আছে সেই পোষাকে কোন একটু পুজোমন্ডপে যেয়ে দেখুন ঢুকতে দেয় কি না? আর ঢুকতে দিলেও কেমন আচরন করে??

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ।

২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

আজাদ মোল্লা বলেছেন: আমি আপনাদের মন্তব্য গুলো পড়লাম মনদিয়ে ,
এবং একটা কথা আসে এখানে ,
পুজোর শুভেচ্ছা দেবার না দেবার কথা আসছে ।
এবং হিন্দুের সাথে আনন্দে সামিল হয়া ।
এবং ধর্ম যার যার আনন্দ সবার , তাই নায় কি ?
কিন্তুু আমি বলি না না ।
হিন্দু ধর্মে পুজো করা মানা করা হয়েছে ।
তবে দেখুন তবে ,
হিন্দু ধর্ম বই কি বলে ।
হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে ।

বেদের ‘ব্রহ্ম সুত্র’ তে আছে “একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন” অর্থাৎ ইশ্বর এক তার মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে “সে একজন তারই উপাসনা কর” (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)।
“একম এবম অদ্বৈত্তম” অর্থাৎ সে একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ ১;২;৩) ।
“এক জনেই বিশ্বের প্রভু” (ঋকবেদ ১০;১২১;৩) ।

হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥
ভগবত গীতা – অধ্যায় ৭ – স্তব ২০ - [ যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে। ]

ভগবত গীতা – অধ্যায় ১০ – স্তব ৩ -
[ তারা হচ্ছে বস্তুবাদি লোক ,তারা উপদেবতার উপাসনা করে ,তাই তারা সত্যিকার স্রস্টার উপাসনা করে না।]

যজুর্বেদ – অধ্যায় ৪০- অনুচ্ছেদ ৯ –
[ অন্ধতম প্রভিশান্তি ইয়ে অশম্ভুতি মুপাস্তে – যারা অশম্ভুতির পুজা করে তারা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। তারা অধিকতর অন্ধকারে পতিত হয় শাম মুর্তির পুজা করে । অশম্ভুতি হল – প্রাকৃতিক বস্তু যেমন- বাতাস,পানি,আগুন । শাম মুর্তি হল – মানুষের তৈরী বস্তু যেমন - চেয়ার ,টেবিল ,মূর্তি ইত্যাদি।
বার বলুন কিছু কথা ?
যেখানে পুজো নেই , শুভেচ্ছা কি করে আসে ?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আল-কুরআন ই বুঝি না বাকী গুলো বুঝার ইচ্ছে নাই, তাই পড়লাম না।

২২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

আমিজমিদার বলেছেন: ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এইটার মানে কি আম্রা যায়া পুজা করমু, প্রসাদ খামু, এবং হিন্দুরা আইসা আমাদের সাথে গরু জবেহ দিবে, নামায পড়বে? নাকি এইটা যে ঈদ-রোজা-রমজানের দিন সব হিন্দু দরজা আটকায়া বইসা থাকবে, মসজিদে ঢুকতে পারবে না এবং ভাইস-ভার্সা?

কোনটাই না। আম্রা চরমপন্থি উম্মত না। আম্রা মধ্যপথগামী। এইটা মাথায় রাখি। তারপর দেখি ইসলাম এবং কমন সেন্স কি বলে। এইভাবে আগাই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: পুরাই কানের উপর দিয়া গেল, কেমন কী কিছুই বুজলাম না।

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৪০

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: প্রথম কথা হলো ইসলামে সেকুলারের কোন জায়গা নেই,

যারা সেকুলার মানেন আবার ধর্ম যার যার উৎসব সবার এটা কেন মানেনা বুঝতে পারছিনা,সেটাকি একটা বিশেষ দলের রাজনৈতিক তকমার কারণে ? সরকার তো বলেনি যে যান পুঁজা করেন কিংবা গরু জবাই দেন, সেকুলার হতে হলে অন্য ধর্মের উৎসবকে নিজেদের উৎসব মেনে তাদের সহযোগিতা করা।অন্য ধর্মের উৎসবকে যদি আপনি মেনে না নেন উৎসব হিসেবে তাহলে আপনি সেকুলার কিভাবে হবেন?
সেকুলার নিয়ে সরকার দেশ জাতীর মত একটা বৃহত স্বার্থে রাজনীতি করছে, কিন্তু এখানে এমন অনেক পোস্ট দেখেছি যারা ক্ষুদ্র স্বার্থে শুধু মাত্র নিজেকে সুশীল দেখাতে এই নিয়ে আরেক রাজনীতি করে বসে আছেন।সেকুলার মানেন আবার অন্য ধর্মকে নিচু করে মত প্রকাশ করেছেন। এমনো সুশীলের পোস্ট এখানে দেখেছি যিনি একাধারে সেকুলার আবার ধর্মান্ধ।এসব পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ।

যাইহোক ধর্ম যেহেতু বিশ্বাস এবং অভ্যাস আর সহবাস পরিবর্তনের বিষয় সেহেতু সেকুলারের জায়গায় দেয়া উচিৎ না, আর যদি নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকে তো সেকুলার হওয়া শুধু নয় দিনে তিন বেলা আহার করলেও সমস্যা নেই।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আপনার বিষয়টিও ধরতে পারলাম না।
তারপরও আমি কারো ধর্মকে নিচু বলিনি, শুধু নিজ ধর্মকে মানার কথা বলেছি। পূজা ছাড়াও আমারা অনেক উৎসব করি, তা নিয়ে কখনো কিছু বলিনি। কিন্তু যেখানে আল্লাহর সাথে শিরক করা হচ্ছে সেখানে গিয়েও আপনি মুসলমানই থাকছেন/থাকবেন এটা কী সম্ভব?

২৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: অনলাইনে ব্লগাররা কত কথাই না বলছে। কিন্তু লাভ কতটুকু হচ্ছে। একজন মুসলমান কেন পূজা মন্ডপে যাবে? একটু সাধারন বুদ্ধি খাটালেই তো এটা বুঝা যায় যে এটা ঠিক না বেঠিক। বিদআতে ভরে যাচ্ছে এখনকার যুগ। যুগের দোষ দেয়া যাবে না। কারন সময় আল্লাহ তালারই সৃষ্টি। আমাদের ব্যাপারগুলো বুঝতে হবে। এরপর এখনকার আরেকটা ব্যাপার সম্বন্ধে না বললেই নয়, তা হল হিজাব এর নাম করে আটসাট পোশাক পড়ে একে হিজাব বলে চালিয়ে দেয়া। এটাও বেঠিক। আমাদের কমন্সেন্স কি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে!!!

আর সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

আহলান বলেছেন: ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার ....এইটাই হইলো মূল কথা। কারণ ধর্ম হইলো বিশ্বাস। যে যে ধর্ম বিশ্বাস করে, তাকে সেই ধর্মর আচার অনুষ্ঠান নিয়ম কানুন পালন করতে হয়, নচেৎ ধর্ম বজায়ে থাকে না। আর যারা ধর্ম মানেন না তাদের বেলায় তো কোন কথাই খাটে না। কেউ যদি মুসলিম হইয়াও শুকর খায়, হিন্দু হইয়াও গোমাংস খায়, বৌদ্ধ হইয়াও অগ্নি পুজা করে, তাইলে এখানে কারোর কিছু বলার নাই, করারও নাই। ধর্ম যারযার উৎসব সবার এইসব কথা বলে আধুনিক ইসলাম কায়েমের পায়তারা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। যুধা বাঈ এর প্রেমে মত্ত সম্রাট আকবরও দ্বীন ই ইলাহী প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং একজন মুসলমানকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে , সে কিভাবে চলবে .... বলে কয়ে কাওকে মুসলমান করা যায় না ... এটা অন্তরের বিশ্বাস

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সেটাই

২৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

চলেপথিক বলেছেন: ' ধর্ম যার যার, উৎসব সবার '
ধন্যবাদ লেখককে সময় উপযোগী বিষয় নির্বাচন করার জন্য ।
আপনার লেখা পড়ে এবং মন্তব্য গুলো দেখে আমার মনে হল আপনারা প্রায় সকলেই কথাটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখার চেষ্টা করেছেন । আসলে এটি একটি শ্লোগান যেহেতু বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ধর্মীয় জনগষ্ঠির বসবাস রয়েছে সেহেতু সংখ্যাধিকয়ের কারণে মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে অন্য ধর্মের মানুষরা যাতে নির্ভয়ে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে সে কারনেই এইটি । এই কথাটির মাধ্যমে তাদের এই নিশ্চয়তা দেওয়া যে , তোমাদের ধর্ম উৎসব পালনে আমরা সহযোগিতা দেব । এটা কোন ভাবেই প্রতিমা পুজায় অংশগ্রহণে মুসলমানদের প্রতি কোন প্রকার অহবান নয় ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের দায়িত্ব তাদের উৎসব যেন সঠিকভাবে পালন হয় সেটার জন্য কাজ করা। কিন্তু একজন মাদ্রাসার ছাত্রকে এভাবে উপস্থাপন করা ঠিক হয়নি। তাছাড়া 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' এই কথা বলে তো মূজায় যাওয়া যায় না।

২৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: মানুষ হিসেবে পূজায় যাওয়া জায়েজ আছে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

আব্দুল্যাহ বলেছেন: মানুষ হিসাবে জায়েজ কিন্তু মুসলমান হিসাবে কি জায়েজ কিনা জানার অপেক্ষায় রইলাম

২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

মাসূদ রানা বলেছেন: প্রথমেই বলি, একজন মুসলমানের দায়িত্ব ভিন্ন ধর্মের লোককে (উদা: মূর্তি পুজারী, অগ্নি পূজারী) তাদের "ভূল" ফেসটিভাল থেকে সরিয়ে আনা। তাদের উৎসাহিত করা নয়।

যদিও অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহানুভুতিশীল মহানুভব কিংবা ভালো আচরনে ইসলামে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই, বরংচ উৎসাহিত করা হয়েছে : পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ পাক বলেছেন :

“Allaah does not forbid you to deal justly and kindly with those who fought not against you on account of religion nor drove you out of your homes. Verily, Allaah loves those who deal with equity”

[al-Mumtahanah 60:8]

তবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব হারাম ::

“You (O Muhammad) will not find any people who believe in Allaah and the Last Day, making friendship with those who oppose Allaah and His Messenger (Muhammad), even though they were their fathers or their sons or their brothers or their kindred (people). For such He has written Faith in their hearts, and strengthened them with Rooh (proofs, light and true guidance) from Himself. And He will admit them to Gardens (Paradise) under which rivers flow, to dwell therein (forever). Allaah is pleased with them, and they with Him. They are the party of Allaah. Verily, it is the party of Allaah that will be the successful”

[al-Mujaadilah 58:22]

আশা করি পবিত্র কোরানের আয়াতদুটো থেকে বিভ্রান্তরা বিভ্রান্তি কেটে যাবে, হাসানুল হক ইনুদের মত পাগল ছাগলদের প্রচার প্রপাগান্ডায় মুসলমানদের একটা শ্রেনী আজকে বড়ই বিভ্রান্ত । সেদিন দেখলাম, ইনু মিয়া হিন্দুদের ফেসটিভালে গিয়া হাজির হইছে ভোর ৫ টায় । নামাজ রোজা বাদ দিয়া এইসব ছাগলামি কইরা মুসলমানদেরও ছাগল বানাইয়া ফালাইতাছে শয়তানটা । নিজের ধর্মের খবর নাই আরেকজনের ধর্ম নিয়া ফালাফালি ।

লেখককে ধন্যবাদ ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.