নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ধর্মীর পোশাক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি নিষেধ!" ও আমার ভাবনা

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬


ছবিতে যাদের প্রতিবাদ করতে দেখছেন, তারা সবাই IUBAT এর ছাত্র। সম্প্রতি পান্জাবি ও লং বোরখা পড়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে, এসব পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে তারা মানব বন্ধন করছে। এই মানব বন্ধন কতোটুকু যৌক্তিক তাতে যাবার আগে ইসলামে পোশাক নিয়ে কিছু কথা বলে নেই।

ইসলামে পুরুষের পোশাক
একজন পুরুষের সতর তথা নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরয আর ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা সুন্নাত*।
*আমি বিষয়টি কোথাও খুজিনি বা পড়তে গিয়ে পাইনি। তবে সকল মাওলানাই এতে একমত, তাই বিষয়টি সত্য বলেই ধরে নেওয়া যায়।

ইসলামে নারীর পোশাক
পুরুষের ব্যাপারে তেমন কিছু না থাকলেও ইসলামে নারীর মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি ছাড়া সকল অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ। শুধু ঢেকে রাখাই নয় সাথে এমন পোশাক পরিধানে আদেশ দেয়া আছে যেন দেহের ভাজ বোঝা না যায়।

এখন আসি অন্য প্রসঙ্গে। নারীর পোশাকের নিয়ম দেখে অনেকেই হয়তো আমার মাঝেও আল্লামা শফির ছায়া লক্ষ করতে পারেন। নারীরা কি পড়ছে, তাতে সমাজের কতোটা অবক্ষয় হচ্ছে তার চেয়ে বেশী দরকার নিজের কতোটা অবক্ষয় সাধন করেছি সেটা জানা। আমরা সবাই জানি নিজের পাপ-পুন্যের হিসাব নিজেকে দিতে হবে, এতে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়।
যারা পান্জাবি পড়ে ঢুকতে না দেওয়ায় মানব বন্ধন করছেন, দাবী এনেছেন "ধর্মীয় পোশাক পরিধানে বাধা দেবার" তাদের জন্য বলব, পান্জাবি না পড়লে কোন ক্ষতি সাধন হবে না। পান্জাবি না পড়ে ঢোলা শার্ট বা টি-শার্ট পড়তে পারেন, এতে ইসলামী কোন বাধা নেই, যদি না তাতে কোন জীবের ছবি থাকে। আর পায়জামার বিষয়ে বলব, দেশে জিন্স আসার খুব বেশী দিন হয়নি। বর্তমানে সবাই জাকির নায়েক কে ইসলামী মানুষ হিসাবে জানে, প্রয়োজনে তার পোশাক বিষয়ক লেকচার গুলো পড়ে দেখতে পারেন। মানুষ এখনও অফিসে বাননো পেন্ট পড়ে, আপনারও পড়ুন। টাকনু না ঢেকে ঢোলা পেন্ট বানানো কোন বিষয়ই না। তবে প্যান্ট-শার্ট পড়ে ক্যাম্পাসে আসতে সমস্যা কোথায়!

এবার আসছি, লং বোরখার জায়গায় শর্ট বোরখা নিয়ে। ইসলামী আইন বা রাষ্টীয় আইন কখনোই ফেরেশতাদের জন্য বানানো হয়নি। খুব বেশী দরকার হবে না, নিজের মনকে প্রশ্ন করলেই জানা যাবে কতোজন সঠিক পর্দা করছি, এমনকি নিজের বাসায় কে কে পর্দা করছে।
তাই দাবী হতে পারে, নারীদের লং বোরখা কোন ভাবেই বাদ দেয়া যাবে না। আমি যতোদুর মনে করতে পারি, গত বছরে ব্রাক/আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদয়লয়ে এই নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছিল, যা নিয়ে ফেসবুকে অনেক তোলপাড়ও হয়েছিল। কিন্তু মূল ঘটনায় ছিল, মেয়েটি মুখও ফহেকে রেখেছিল, তাতে তার পরিচয় বোঝাই সম্ভব ছিল না। তাই কতৃপক্ষ বলেছিল অন্তত টুকু না ঢাকার জন্য, যাতে পরিচয় বোঝা যায়।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি ধর্মীয় বিষয়কে সর্বদা টেনে না আনাই ভালো। আমি নিজে এই আন্দোলনকারীদের চেয়ে ইসলাম কে কম জানি, তবে কাল যদি হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তাদের ধর্মীয় পোশাকে আসতে চায় তবে তাদের কতৃপক্ষ কিভাবে বাধা দিবে।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

প্রামানিক বলেছেন: আমি নিজে এই আন্দোলনকারীদের চেয়ে ইসলাম কে কম জানি, তবে কাল যদি হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তাদের ধর্মীয় পোশাকে আসতে চায় তবে তাদের কতৃপক্ষ কিভাবে বাধা দিবে।

চমৎকার কথা বলেছেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: পোশাক মানুষের রুচির প্রকাশ ঘটায়। পাজামা পাঞ্জাবী টুপি এগুলো কি কুরুচীপূর্ণ পোশাক? তাহলে কেন এগুলো পরলে বাধার সম্মুখিন হতে হবে? আসলে পোশাকের সাথে ধর্মের যতটা না সম্পর্ক তার থেকে বেশি সম্পর্ক রুচরি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে কোথাও কি বলা হয়েছে পান্জাবি ব্যাতীত কিছু পড়া যাবে না?
একটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মত থাকেই পারে, সেটাকেও ধর্মীয় ইস্যুতে নিয়ে আসা কতোটা যুক্তিযোগ্য?
কাল যখন চাকরি ক্ষেত্রে পান্জাবি পড়তে দিবে না বা এমন কারণে ভালো কোথাও চাকরি পাবেন না তখন দেশ ইসলাম পরিপন্থী এমনটা বলবেন, এটা মানতে পারলাম না। কতৃপক্ষ যা বলছে তা ইসলামে জায়েজ কিনা সেটাই বড় বিষয়।
তবে মেয়েদের লং বোরখা পড়া যাবে না এমন সিদ্ধান্তের ঘোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: "রুচির"

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

সুমন কর বলেছেন: আমরা সবাই জানি নিজের পাপ-পুন্যের হিসাব নিজেকে দিতে হবে, এতে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়।

ভালো বলেছেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১০

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আপনার ভালো লাগতেই পারে কিন্তু সবার নয়। তাইতো মেয়েরা একন বলে 'আমার অন্তর্বাসের ফিতা বের হয়ে থাকলে মানুষের কী'

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০২

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আমি নিজে এই আন্দোলনকারীদের চেয়ে ইসলাম কে কম জানি, তবে কাল যদি হিন্দু ধর্মাম্বলীরা তাদের ধর্মীয় পোশাকে আসতে চায় তবে তাদের কতৃপক্ষ কিভাবে বাধা দিবে। ---- কিছু বলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু এই যুক্তি দেখে থেমে যেতেই হচ্ছে । ( তাদের ধর্মীয় পোষাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগমনের দৃশ্য কল্পনা করতেই কীবোর্ডে আঙ্গুল আপনা আপনি থেমে গেলো )

তবে ভাই আব্দুল্ল্যাহ কথা হচ্ছে বিধিনিষেধ গুলো কেন শুধুমাত্র ঢেকে রাখার ক্ষেত্রেই আসছে !!?? কে কতটুকু নিজের স্বাধীনতার অপব্যবহারে খুলতে পারবে তার ও ত একটা নির্দিষ্ট বাউন্ডারি থাকা উচিৎ । আমেরিকার মত জায়গার অনেক প্রতিষ্ঠানেই ড্রেস কোড দেয়া থাকে , যার লিস্টে থাকে কতটুকুন মাত্রায় ওপেন করা যাবে । ঢেকে রাখায় কিন্তু নিষেধাজ্ঞা নেই কোন !!

আমাদের দেশে ফ্যাশন এর নামে যে সকল পোশাক বিক্রি হচ্ছে তা আমি নিজেই কিনতে পারিনি । জিন্স টিশার্ট এ আমার আপত্তি নেই ,যতক্ষন পর্যন্ত তা ঢাকার উদ্দ্যেশেই গায়ে জড়ানো হচ্ছে । নতুবা বোরখাতেও আপত্তি আছে ............, কামিজ/শাড়ির কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "তাদের ধর্মীয় পোষাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগমনের দৃশ্য কল্পনা করতেই কীবোর্ডে আঙ্গুল আপনা আপনি থেমে গেলো" জানি না কেন।
তবে মেয়েদের হিজাব দেখে মনে হয়, তা পর্দার চেয়ে ফ্যাশনের জন্যই বেশী ব্যবহৃত হয়। কামিজ/শাড়িও কিন্তু শরীর ঢেকেই পড়া যায়, কিন্তু ফুল হাতার চেয়ে ডানা কাটা পোশাকেই নারীরা বেশি আগ্রহী।

ধন্যবাদ, সুন্দর মতামতে জন্য।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: একটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মত থাকেই পারে- তাহলে তা সব ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করতে হবে। ভর্তির সময় বলে দিতে হবে এটা প্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোড।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ভর্তির সময় ৬০০ টাকা দিয়ে বই দেয়ার নামে যে ডাকাতি হয় সেখানে মোজা কি রঙ এর হবে সেটাও লেখা আছে। আর বাহিরের দেয়ালেতো ড্রেস কোড নামক বড় করে র‌্যানার ঝুলানোই থাকে।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: "তাদের ধর্মীয় পোষাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগমনের দৃশ্য কল্পনা করতেই কীবোর্ডে আঙ্গুল আপনা আপনি থেমে গেলো" জানি না কেন। সত্যি কি জানেন না !!?? কেন কোন পূজা পাঠের দৃশ্য দেখেন নি ? পুরহিত দের পোশাক চেনেন না ?? এখন যে রিমোট হাতেই সব দেখা ,জানা যায় . মন্দির মসজিদে গিয়ে পার্থক্য বুঝতে হয়না । গুগল মামা ত আছেই ............।।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: হুম, এবার বুঝেছি

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: লেখক বলেছেন-ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে কোথাও কি বলা হয়েছে পান্জাবি ব্যাতীত কিছু পড়া যাবে না?- এটা তো ব্যক্তির পছন্দ। আপনি তো আমার পছন্দে পোশাক পরবেন না। আপনি পাঞ্জাবি পরতে পারেন শার্ট পরতে পারেন এতে আমার তো কিছু বলার সুযোগ থাকা উচিত না। আমি বলতে পারি যখন কেউ এমন পোশাক পরবে যা দৃষ্টিকটু। যেমনটা লেখক 'সায়েদা সোহেলী' তার মন্তব্যের শেষ প্যারাতে বলেছেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: মেয়েদের বোরখান নিয়ে আমি এবারও কিছুই বলব না, কিন্তু ছেলেদের ড্রেস কোড জেনে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের ভর্তির পর এমন মানব বন্ধনের মানে কি জানতে পারি?
আমার দেখা মতে প্রতি হাজারে একজনেরও কম ছেলে এখানে পান্জাবি পড়ে আসে। তাহলেতো ভর্তির সময় জেনে নেয়া উচিত ছিল, পান্জাবি পড়ে আস্যে পারবে কিনা?

আসলে বিষয়টি হাজারে একজনের পান্জাবি পড়া না পড়াকে নিয়ে না। শুক্রবারে ও নানা সময়ে অনেকে পান্জাবি ও সেন্ডেল পায়ে ঢুকে পড়ে, নিয়মটি এই প্রথাকে ঠেকানোর জন্য।

*আমি কখনোই কাউকে পান্জাবি/বোরখা পড়তে দিব না এই পক্ষে না। বরং কেন পান্জাবির জন্য ইসলামকে য়েনে আনা যখন সবাই জানে পান্জাবি কোন কালেই এই প্রতিষ্ঠানে পড়ার অনুমতি ছিল না।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

হীরক কণা বলেছেন: মূর্খতার একটা সীমা আছে।
ইসলামে পূরুষ ও মহিলা উভয়েরই ইসলামী পোষাক রয়েছে।
যে কোন পোষাক পরলেই হবে না।

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় ড্রেসকোড মানতে হবে কোন দু:খে।
সবাই স্বাধীনতা চায়।
কিন্তু ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বললে তখন নিয়মের থলে বের করে দেয়।
আর ইসলাম হলে তো কোন কথাই নেই।
সবার স্বাধীনতা আছে। শুধু মুসলমানদের স্বাধীনতা নেই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: প্রাইভেট বিশ্ব-বিদ্যালয় আসলেই নানা বিধি থাকে, তবে ধর্মীয় পোশাকে বাধা দেওয়ার পক্ষে আমি কখনোই ছিলাম না আর যাবও না। কারণ আমি মানি ধর্ম যাই হোক কোন ধর্মেই মানব জাতির অকল্যান হোক এমন কিছু নেই।

ধন্যবাদ

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

নিজাম বলেছেন: ছেলেদের জিন্স প্যান্ট, শার্ট, টাই এবং এবং মেয়েদের শার্ট-প্যান্ট, স্কার্ট পরার স্বাধীনতা থাকলে কেন পাঞ্জাবী-পাজামা টুপি ও বোরখা পরার স্বাধীনতা থাকবে না? এ কেমন ব্যক্তি স্বাধীনতা?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: জানি না

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমরা সবাই জানি নিজের পাপ-পুন্যের হিসাব নিজেকে দিতে হবে, এতে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়।

সঠিক ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: লিটন ভাই ধন্যবাদ

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯

রংহীন-পানি বলেছেন: নিয়মনীতির পিছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে.....
এখানে ভাসিটির উদ্দেশ্য কি..?
ধর্মহীনতা.... না ধর্মভীরুতা...?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: আমার মনে হয় সরকার ভীরুতা

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

প্রলয়শিখা বলেছেন: সহমত পোষন করছি।

একজন পুরুষের সদর তথা নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরয আর ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা সুন্নাত*।

শব্দটা সদর হবে নাকি সতর? আমার মনে হয় সতরই হবে। সদর শব্দটা কেমন জানি লাগতেছে!!!!!!!!!!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ, সতর হবার কথা ছিল। ঠিক করে দিয়েছি।

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

জনাব মাহাবুব বলেছেন: ছোট পোষাকের ব্যাপারে তাদের কোন আপত্তি নাই। আপত্তি শুধু ইসলাম ধর্মীয় পোষাক নিয়ে।

বুঝলাম না ইসলামী পোষাক, বিধি বিধান নিয়ে তাদের এত চুলকানি কেন?

অন্য ধর্ম নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। যত চুলকানি সব ইসলাম নিয়ে। সব চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে। :(

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: চলে যাচ্ছে নয়, চলে গেছে।
পুরুষদের পান্জাবি নিয়ে কোন কথা বলব না কিন্তু মেয়েদের বোরখা পড়তে বাধা দেবার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @লেখক এবং প্রলয়শীখা .. শব্দটা ছতর।

বিষয়গুলো আসলে অন্ধ আবেগে ভেসেই চলে বলেই সমস্যা। ইসলামের পোষাক আর আরবীয় পোষাকের ব্যবধানটুকু বুঝলেই সমস্যা থাকে না। ইসলাম সার্বজনীন। সর্বকালীন। সর্বব্যাপী বিধান।
শীতপ্রধান দেশে মুসলমানরা যদি আরভীয় আলখেল্লা পড়ে থাকে তবেই বুঝেন! ;)

পোষাকের দেশীয় প্রেক্ষাপট দোষের কিছূ নয়। সম্মান বশত পাঞ্জাবী বা শখে পাঞ্জাবী (এটা কি পাঞ্জাব থেকে আগত কিছূ মিন করে? ) পড়া এক বিষয় এটা ইসলামের নামে দাবী করা ভিন্ন বিষয়!
নাভী থেকে হাটুর নীচ পর্যন্ত ঢেকে রাখলেই শরীয়ত পূর্ন হয়। সেই হিসাবে সালমান খান বা শাহরুখের ষ্টাইলে বডি শোয়িং ফিল্মি পোষাকেও কিন্তু আক্ষরিক অর্থে ইসলামের কোন ক্ষতি হয়না। শরিয়ত যথাযথ পালিত বরেই গণ্য করতে হয়।

বাকী থাকল পরিবেশ, পরিস্থিতি, সামাজিক অভ্যাস, রুচি, সময়ের চাহিদা! আবার নিজের ব্রান্ডিংয়ের জণ্য আপনি যে কোন জায়গায় একই ষ্টাইলে বা নিজের ষ্টাইলে যেতেই পারেন- তাও আপনার ব্যক্তিগত এবং অবশ্যই সে স্থানগুলো অনুষ্ঠান উপলক্ষ গুলো সেই জাতীয় হকে হবে। আপনি বিয়েতে যেমন খুশি তেমন যেতে পারলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমনটা আশা করতে পারেন না।
আবার ব্যক্তি স্বাধিনতার নামে উন্নত বিশ্বে এসব নিয়ে মাথা ঘামায়না বলেই জেনেছি। সায়দা যেমন বল্লেন কতটুকু খুলতে পারবে তা ম্যানশন কররেও ঢেকে রাখার বা অন্য বিষয়ে তেমন নেই!

লেখকের এই পয়েন্ট অব ভিউতে একমত- যে কোন কিছূকে ইসলামের নাম টেনে আনা বা ধর্শীয় সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করার মানসিকতা যথার্থ নয়।


২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১০

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "ছতর" আবার ঠিক করে দিলাম।
কিছু মনে করবেন না পান্জাবি পোশাকটি আসলেই মহানবী স: এর যুগে ছিল এমন প্রমাণ কোথাও পড়িনি, যদিও ইসলামী বিষয়ে পড়া শুধু কিছুটা। তবে ঢিলে ঢালা জামার ব্যাপারে হাদিসে পড়েছি, তাই পান্জাবির বিষয়ে কথাই বলব না। কিন্তু নারীর পর্দার বিষয়ে একটু বাদে কোন আপত্তি নেই।
অনেক নারী নেকাবসহ হিজাব পড়ে, ফলে পর্দার আড়ালে আসলেই শিক্ষার্থী সেটা বোঝা কঠিন। তাই নেকাব ছাড়া যে কোন প্রকার পর্দায় আমার আপত্তি নেই।

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কি হবে লেখালেখি কলমবাজির এই মহড়া
সমাজের আসল চিত্র যদি না যায় তুলে ধরা
যদি ঐ টাকার বলে, কলমটা উল্টো চলে
এভাবে যায়না রুখা অসভ্যতাকে।
আসলে আমারা ইসলামকে নিজ নিজ জ্ঞান দিয়ে বুঝতে আরম্ভ করেছে । ফলে অন্ধের হাতি দেখার মতো হয়ে যাচ্ছে ইসলামটা। রাসূল (স) বলেছেন “ তুমি যে জাতির অনুসরন করবে তোমার হাশর তার সাথেই হবে। ”

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "তুমি যে জাতির অনুসরন করবে তোমার হাশর তার সাথেই হবে" ভালো কথা। আমি কিন্তু কাউকে অনুসরণ করতে বলিনি

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৫

muftisiraji বলেছেন: এখানে প্যাঁচাল না করে একটু দেখুন

এখানে প্যাঁচাল না করে একটু দেখুন



আসলে পর্দা করা, ইসলামি পোষাক পরিধান করা এসব দায়েমী ফরজ দায়েমী সুন্নাত

X( কে বলেছে পাঞ্জাবী পরিধান করা সুন্নতে রাসুল নয়?

:#) তাহলে কোর্ট, টাই আর জিন্সের প্যান্ট কি ইসলামী বস্র (?)

এব্যাপরে শীঘ্রয় ব্লগ উত্থাপন করবো সামোতে

আমাকে অনুসরণ করুন ব্লগে!!!!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ১। যে মহা মানবটির ছবি দিয়েছেন তিনি আসলেই কিছুই নন, নিজের স্বার্থে তিনি লিমনের পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন।
২। আমি বিলিনি 'পাঞ্জাবী পরিধান করা সুন্নতে রাসুল নয়'। আমি উল্লেখ করেছি বিষয়টি আমি কোথাও পড়িনি এবং ইসলাম নিয়ে আমার পড়া/জানা খুব বেশী নয়।
৩। 'কোর্ট, টাই আর জিন্সের প্যান্ট কি ইসলামী বস্র' এমন কথাও আমি বলিনি। যেহেতু পুরুষদের ছতর ঢাকা ফরজ ও ঢিলেঢালা জামা পড়া সুন্নাত তাই বানানো প্যান্ট, শার্ট ও টিশার্ট পড়তে পারেন। আর 'জিন্স' এর ব্যাপারে যেটা বলেছি, পোশাকটি বেশীদিন হয়নি আসার। মানুষ এখনও বানানো প্যান্ট পড়ে, আপনিও পড়ুন।
৪। 'এব্যাপরে শীঘ্রয় ব্লগ উত্থাপন করবো সামোতে' এটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার। আমার নজরে আসলে আমি পড়ব।

শেষ কথা, আমি বলিনি পান্জাবী পড়ে আসতে না দেয়ার যে ঘোষনা আমি তাতে একমত। কিন্তু যেখানে নিয়ম জেনেই ভর্তি হবেন, সেখানে হঠাৎ করে এমন আন্দোলন এর মানে নেই। মেয়েদের বোরখা নিষেধ মানে পর্দায় বাধা, এমন কাজ/ঘোষনার নিন্দা আগেও করেছি এখনও করছি। এমনকি এই জন্য আমি নিজে তাদের সাক্ষর লিপিতে সাক্ষর করে এসেছি।

১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

বাউন্টি হান্টার বলেছেন:
আপনার এই লেখাটা ঠিক আমার মনের কথা।
তবে আর একটা কথা বলতে চাই বাংলাদেশে মুখে নেকাব পরা একে বারে আইন করে বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। যে জিনিশটা ইসলামে বলা নাই তা পালন করতে গেলে অবশ্যই বিশৃঙ্খালা সৃষ্টি হবে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: দোষটা তো আমাদেরই। মাওলানারা কিন্তু এখন খোলা পোশাকেও চুপ থাকে। আমাদের নিজেদেরই উচিৎ সচেতনতা বাড়ানো, নিজেদের যারা বোরখা পড়ে তারা নেকেব পড়ুক কিন্তু যে কোন প্রতিষ্ঠানে প্রবেসের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিচয় দেখাতে হবে। আর সেটা নিশ্চিন্তের জন্যই নেকাবটা সরানো উচিৎ। কারণ একটি প্রতিষ্ঠান নিজেরদের জান-মাল হেফাযতের জন্য আপনাকে সার্চ করারও অধিকার রাখেন।
তাই আমি মনে করি, 'আসুন ইসলাম বুঝি, মানি কিন্তু তা নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করি'

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

আহসান খান বলেছেন: আমি আমার এক শিক্ষিকাকে ফুলহাতা ব্লাউজের সাথে হিজাব সহ শাড়ি পড়তে দেখেছিলাম। বোরখা অবশ্যই ভাল, কিন্তু বোরখা ছাড়াও পর্দা করা যায়। আর শেষের লাই........ অসাধারণ। ( ও আরেকটা কথা,আমি কিন্তু নাস্তিক নই!!! )

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: পর্দার বিষয়টি আসলে নিজের উপর, অনেকে বোরখা পরেও পর্দা করতে পারে না। আর হিজাবের যে কথা বলেছেন, হিজাব এখন কিছুটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।
আমি বলেছিলাম, কেউ লং বোরখা পড়লে তাতে বাধাঁ দেয়া ঠিক হবে না। লং বোরখা ছাড়া পর্দা হবে না এমনটা নয়।
নাস্তিকতার বিষয়টি একান্ত নিজের, কেউ নাস্তিক হলে তাাতে আমার কিছু যায় আসে না। শুধু অন্যের ধর্মানুভূতিতে আঘাত না করলেই হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.