নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যারিস হামলা, ফেসবুকে পি:পি: বদল ও কিছু কথা

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ফেসবুকে অনেকেই প্রোফাইল পিকচার বদলে ফেলেছে, আমি নিজেও করেছি। তারপর থেকেই কিছুটা বিব্রত বোধ করছি, কারণ বন্ধু তালিকার বেশ কিছু মানুষ বিষয়টিকে খারাপ করে দেখছে। দোষ কিছুটা আমার আছে, কারণ দুইটি পোস্ট দেখে আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। যা অনেকরই খারাপ লেগেছে, কিন্তু আপনি যখন একটি বিষয়কে আগে থেকেই খারাপ বলে ধরে নিবেন তখন সেই বিষয়ের পজেটিভ বা ঠিক বিচার আপনার নজরে আসবে না এটাই সত্য।

আমার ফেসবুক পোস্ট টি
"কিছু মানুষ আসলেই আবাল হয়। প্যারিসের ঘটনায় ফেসবুকে প্রোফাইল বদলে ফেলা নিয়েও মানুষের চুলকানি হয়। আপনার ভালো লাগেনি, ইচ্ছে হয়নি, আপনি করেন নি কিন্তু যারা করেছে তাদের খোঁচানোর কি দরকার।
আর হ্যাঁ, সবাই আবাল কিংবা গাধা নয় যে প্রোফাইল রঙিন করতে এম্ন করেছে।"


অনেকের মতেই ইসলামি রাষ্ট্রগুলোতে যখন নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, ফিলিস্তিনে যখন হাজার হাজার শিশু হত্যা করা হয়েছিল তখন ফেসবুক এবং আমরা(যারা প্রোফাইল বদলে গেলেছি) চুপ ছিলাম কেন? তবে কি মুসলমানরা মানুষ নয়?
হ্যা, মুসলমানরা মানুষ কিন্তু ইহুদিরঅ মানুষ। গাজা/ফিলিস্তিনের ঘটনায় ছবি এডিট করে কভার পিক বদলেছিলাম, হ্যাসট্যাগ ব্যাবহার প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি করেছিলাম, অন্যরা কে করেছিল আর কে করেনি সেটা মুখ্য নয়।

আবাল শব্দটি ব্যবহার কারণ
আমার দৃষ্টিকোনে আমি যে কাজটি করেছি তা যে সবার পছন্দ হবে এমনটা স্বপ্নেও ভাবি না, কিন্তু আমার পোস্টে আপনি বিরূপ মনোভাব দেখাবেন বা আপনার পোস্টে যারা এই কাজ করেছে তাদের সেলুলার বা হুজুগে বাঙ্গালি বলবেন এটা কেমন আচরণ। আমার মনে হয়েছে আমি করেছি, আপনার মনে হয়নি করেন নি। কিছু মানুষ যে সর্বদাই নতুন কিছু দেখলে আগে না জেনেই করে তা ঠিক, কিন্তু তাই বলে আমার মতো যারা কাজটি জেনে করেছে তাদের গালি দেবার অধিকার আপনি কই পেলেন?


এবার আসি ইহুদি বা মুসলিম হত্যার বিষয়ে, নরহত্যা শুধু ইসলামেই নয় সকল ধর্মে নিষেধ রয়েছে আর ইসলামে হারাম। তাছাড়া আরও একটি বিষয় সামনে এসে দাড়ায়। সেই বিষয়ে যাবার আগে একটি ঘটনা বলে নেই।
মায়ানমারের রোহিঙা ইস্যুর সময় আমরা বাংলাদেশ তাদের প্রবেসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলাম, কারণ দেখিয়েছিলাম নিরাপত্তার বিষয়। ঠিক কিছুদিন আগে যখন বাংলাদেশের মানুষসহ হাজারও মানুষ সমুদ্রে ভেসেঁ ছিল তখন কেউ তাদের প্রবেসের অনুমুতি দেয়নি, কারণ নিরাপত্তা। মানুষগুলো খাবার-পানির অভাবে, বৈরী আবহাওয়ায় কতোজন মারা গেছে তখন সবাই তাদের কথায় অনড় ছিল। পরে জাতিসংহের অনেক অনুরোধে শেষে কিছু দেশ রাজি হয়েছে। কিন্তু আমরা কষ্টে থাকলেও জোর গলায় কিছু বলতে পারিনি।

আজ পর্যন্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে যতো হত্যা কান্ড বা সন্ত্রাসী উচ্ছেদের নামে মত্যাযঞ্জ হয়েছে তার পিছনে পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছে। পাকিস্থান বিশ্বের জঙ্গি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে, তবে তাদের উপর কেউ হামলা চলালে বা কি বলব? আইএস কে উচ্ছেদের নামে যদি কেউ হামলা করে তবে বলার কি আছে?
আজ পর্যন্ত মসজিদে যতো হামলা হয়েছে তার কয়টি ইহুদি করেছে বলতে পারবেন? সম্প্রতি আমাদের দেশে যে শিয়াদের উপর হামলা হয়েছে তার জন্য কে দায়ী? আজ যদি পুলিশ জঙ্গী হত্যার কথা বলে কাউকে তুলে নিয়ে যায় তবে তিনি যে নির্দোষ তা প্রমাণেই হয়তো বেশ কয়েক মাস বা বছর লেগে যাবে। আর এই যে আইএস নানা দেশে ইসলাম রক্ষার নামে পুরানো স্থাপনা ও ইহুদিকে হত্যা করে চলেছে তাদের কে ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছে।
আমাদের মনে রাখা উচিৎ, মহানবী স: এর যুগে অনেক বেশী ইহুদি ছিল। তাদের মাঝে থেকেই তিনি ইসলামকে প্রচার করেছেন, প্রচার করতে গিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। মিশরের পিরামিডগুলো তো সেই আমলেও ছিল, তবে আজ কোন ইসলাম রক্ষায় সেই স্থাপনার উপর হামলা হচ্ছে?

কিছু কিছু মুসলিম ভাই-বোন আছে, যারা মনে করে মুসলিম ছাড়া কারো সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা উচিৎ নয়। জানি না তারা এমন আদেশ বা সুন্নতের দলিল পেয়েছে। ভাইরে ইসলামের ইতিহাস পড়ে দেখেন, মহানবী স: তাঁর দুদ্ধমাতা আমিনার জন্য গায়ের চাদর বিছিয়ে দিয়েছিলেন। ইসলামের তৎকালীন বড় শত্রু আবু জেহেল নবী স: এর আত্বীয় ছিলেন, তিনি কিন্তু ইসলামের প্রকাশ্য শত্রু ছিলেন, কই তাকে তো ব্লগারদের মতো হত্যা করা হয়নি।

ইসলাম ইহুদিদের কাজে কলঙ্কিত হয় না, হয় আমাদের মতো মুসলিমের বিতর্কে। আজ যখন কোন ইসলাম বিমুখ ব্লগার হত্যা হয় আমরা মনে মনে খুশি হয়, কিন্তু সেই লোকটি বা তার দল একা যে কাজটি করে যাচ্ছে তা আমরা দেশের এতো মুসলিম কেন মানব। ব্লগ কোন আসমানী কিতাব নয়, আপনারা আল-কুরআন পড়ুন। আল্লাহ নিজেই বলেছেন, 'আল-কুরআন একটি পুর্নাঙ্গ কিতাব। যার মাঝহে সকল সমস্যার সমাধান আছে।' তবে কেন এক হুজুরের কথায় কাউকে কুপিয়ে চলে যাবেন? সেই হুজুর কি কখনো কোন হাদিস বা আসমানী বার্তা দেখিয়েছে?
বর্তমানে মুসলমানদের মাঝে ইসলামী আলাপ করার সময় কই, ইহলোকের কতো কাজ, কতো ব্যাস্ততা।সবাই আল-কুরআনকে তুলে রেখে ১০-২০টাকার জিহাদি বই পড়ে হত্যার সমর্থন করছে।

আল্লাহ তার পৃথিবীতে যাকে বিচরন করার ক্ষমতা দিয়েছেন তাকে হত্যা করার কথা কই পেলেন।
আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কোন হত্যার পক্ষেই নয়, সেটা ইহুদি হোক বা মুসলমান। তারপরও যারা ইসলাম রক্ষার নামে হত্যা করে জান্নাত পাবার আশায় আছেন, তাদের হত্যার পরই আত্বসমর্পন করা উচিৎ। কারণ হয়তো সেই হত্যায় আপনার সওয়াব হয়েছে কিন্তু হত্যা মামলায় আপনারই যে মুসলিম ভাইটিকে জেলে নিয়ে টর্চার করা হচ্ছে, তাট কষ্ট ও তার পরিবারের কষ্টে যে পাপ করে চলেছেছ তার দায় নিবে কে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

লিও কোড়াইয়া বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ লিখেছেন। আমারও অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে, বলি না, কারণ সত্যি কথা শুনতে অনেক মানুষের ভালো লাগে না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২

আব্দুল্যাহ বলেছেন: সত্য মাঝে মাঝে কড়া লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.