নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীতবস্ত্র বিতরণ ও কিছু কথা

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

শীত আসলেই বোঝা যায় যে শীতের প্রকপ কতোটা, আর শীতের নির্মমতা বোঝার জন্য একবার ঢাকার রাস্তায় রাতে চোখ বুলালেই বুঝবেন। এখন বিষয় হচ্ছে শীত আসলেতো সবাই শীতবস্ত্র দেয়, তাহলে এই অবস্থা কেন?

১। মুলত যাদের এই শীতবস্ত্র দেয়া হয় তাদের ৭০% এরই মাথা গোজার জায়গাটি নিম্ন মানের, অনেকেই রাস্তায় ঘুমিয়ে পড়ে। সেই রাস্তাগুলোতে যেখানে আমাদের মতো হাজারও মানুষ দিনে থুতু ফেলে আবার কিছু উচ্চমানের মানুষ মুত্র নামের পানি রেখে আসে। সেই পরিবেশে একটি কম্বল/কাপড়কে শীত টেকাতেই কষ্ট হয়। এই পরিবেশে আপনি যদি তা বছরের পর বছর টিকিয়ে রাখতে বলেন তবে সেটা হয় না।

২। শীতবস্ত্রের নামে আমরা মুলত যে কাপড়টি দেই তা আসলে মাঝারি মানেরও নয়। তা দিয়ে শীতের সাথে টেক্কা দেয়ার কথা কোন কবিও ভাববে না। এই পরিস্থিতিতে কেউ যদি নিজের জমানো তিনতি/দুইটি বিক্রি করে একটি ভালো নেয় তবে দোষের কি?
এখন কথা হলো, এতো বাজনা বাজিয়ে কাজ করার দরকার কি?
আসলেই বাজনাটা নিজেকে প্রকাশের জন্য নয়, আপনার ভিতরের দানশীল ও দয়ালু মনটিকে জাগানোর জন্য। আমাদের মাঝে অনেক বন্ধু, বড়ভাই-বোন আছে যারা চাইলে এমঅন কাজে সাহায্য করতে চায়। তারা শুধু আপনার মতো বিশ্বাসী একজনের আশায় আছে যে তাদের কষ্টের টাকা নষ্ট করবে না।
আপনার টাকা যে কাউকে দিয়েই কাজ করাতে হবে তা ঠিক নয়। হালকা কিছু টাকা বা নিজের মনের টাকাটা নিয়ে রাত ৮-১০ টার মাঝে বেরিয়ে পড়ুন। অনেক বাচ্চাকেই পাবেন ছেড়া গেঞ্জি গায়ে, যারা উষ্ণতার চাদরে মুড়ে থাকা আমাদের মতো হাজার মানুষের ভীড়ে রাতের খাবার খুজে ফিরছে। তাদের মাঝে একজনকে নিয়ে ভ্যান থেকে একটা ভালো কিছু কিনে দিন। আমি জানি তাতে রাস্তার শীত কাটে না, কিন্তু জীবনের যুগ্ধটা কিছুটা হলেও লাঘু হয়।
আমার এই ভাবনা থেকে যারা কোন শপিং মল থেকে দামী কিছু কেনার কথা ভাবছেন তাদের বলি, তাদের পরিবেশে যে কোন পোশাকই বেশিডিন টেকানো দায়। আর শীতের পর সেই কাপড় রাখার জায়গা অনেকেরই নেই, আর সেটা এই শীতে ধুইলে আসলে কি হবে তা আপনিও জানেন। তার চেয়ে সেই টাকায় ২জনের জন্য কিছু কিনুন, আরেক জনের শীতও লাঘু হবে।
সবার শেষে যারা এই কাজকে ‘নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানো’ ভাবেন তাদের জন্য নিজের জীবনের একটি গল্প বলছি।
গত রমযানে ম্যাচের পাশের শিশুদের ঈদের জন্য কিছু জামা কিনে দেব বলে ভেবেছিলাম। সেই লক্ষে টাকা তুলব, নিজেরদের চেনা এক ভাইকে জানালাম। তিনি তার রুমে যেতে বললেন, গেলাম। আমরাই কথা বলছিলাম, পাশে একজন ডক্টরেট ডিগ্রি ধারী মানুষ ছিলেন। আমার কথা শুনে গালি দিলেন, তাও ১৫ মিনিটের বেশী। তার যুক্তিগুলোর মাঝে কিছু বলছি-

*নিজের খেয়ে এমন কাজের মানে কি?
*এভাবে ভিক্ষা করে কতোদিন যাবে?
*এই কাজের জন্য শেখ হাসিনা/খালেদা জিয়া এর কেউ আমায় বলেছেন কিনা?
*আর কিছু বাচ্চাকে দিব, বাকিগুলো কি দোষ করেছে! তাদের কষ্ট দেবার আমি কে?

বিশ্বাস করুন, আমি চুপ ছিলাম কিছুটা বাধ্য হয়ে। বের হয়ে এসে ভেবেছিলাম আর এই কাজ করব না। কিন্তু পরে আরও কিছু মানুষের আগ্রহে আবারও করি। সেবার ৬০+ মানুষ ও ২৩টি বাচ্চাকে জামা দিয়েছিলাম। তিনজন মেয়ের জামার জন্য ৭৫০ টাকা দিয়েছিলাম, জানি মেয়ের জামার কিছুই হয় না। তবে বাস্তবতা বলে ৩৫০ টাকায় অনেক মেয়ের বাচ্চার মনের চেয়ে ভালো জামা পাওয়া যায়, ২৫০ টাকাও ভালো মানেরই জামা আছে।
যাই হোক সেই স্যার আমার মন ভাঙ্গলেও নিয়ত নড়াতে পারেনি। পরে অনেকে আমায় সাহস যুগিয়েছেন। সান্তনা নিয়ে আছি, বেচারা হয়তো বেশি পড়তে গিয়ে কিছুটা বিগড়ে গিয়েছেন। কারণ আমাদের মতো মফিজ, আবাল আজও আছে দেখে দেশ চলছে, এখনো কোথাও ভ্রাতৃত্ববোধ টিকে আছে।
আসুন শীতের এই উষ্ণতায় তাদেরও সাথে নেই, তারাও মানুষ। একজন মানুষ হিসাবে তারা আরেক মানুষের কাছে সহানুভূতির দাবিদার, করুনার নয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯

শুভ্র গাঙচিল বলেছেন: অনুপ্রেরণা পেলাম ভাই। ধন্যবাদ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: শুধু পেলেই হবে না, কাজেও লাগাতে হবে। দেখবেন আপনার মাঝেও অনেক কিছু আছে, যা হয়তো আমার নেই।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আমাদের যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

আব্দুল্যাহ বলেছেন: তাহলে শুরু করে দিন

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: সময় এবং সুযোগ পেলে চেষ্টা করবো।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.