নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসার এই ব্লগে ইহা আমার ২য় নিক।

আব্দুল্যাহ

ব্লগে ফিরে আসা হবে চিন্তাতেই ছিল না। নতুন ব্লগের জন্য প্রচুর পড়তে হবে।

আব্দুল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ্যে চুমু প্রসঙ্গ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

দেশে এমন অনেক কিছুই ঘটে বা ঘটে আসছে যা ভালো নয়, তেমনই একটি বিষয় এবার ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ্যে চুমুর ডাক। বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক এখনও সরব। আর সেই সরবে যোগ হয়েছে তসলিমার "সময় এখন প্রকাশ্যে সেক্স করার" শিরোনামের একটি লেখা।
কথা হচ্ছে আমরা বাঙালি জাতি আসলেই অনুকরণপ্রিয় এক জাতি, নিজস্ব সত্ত্বা বলতে কী বাকি আছে আমি তা নিয়ে চিন্তিত। শাড়ি প্রিয় ও শাড়িতে খোলা চুলে রমণী এখন স্খুব কমই আছে, 'ত্রিপিচ' দখল করেছিল এই ধারনা, এখন আবার সেই ধারনাকে 'টু-পিচ' ও মডার্ন জামা দখল করে নিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন, এসব নিয়ে কথা বললেই নাম ছাড়াই 'খ্যাত' নামে পরিচিত হতে পারেন।

সময়ের সাথে সমাজ বদলাবে সেটা ঠিক, কিন্তু অতিহ্য নয়। আজ খুব কমই যৌথ পরিবার আছে, কিছুটা বাঘের মতো। মা প্রিয় এই জাতি আজ মা দিবস ঘটা করে পালন করে, আমার তাতে ভয় নেই কিন্তু যে হারে বৃদ্ধালয় গড়ে উঠছে তাতে আগামী ২০ বছর পরে কতো জন শিশু দাদা-দাদির কোলে শুয়ে গল্প শুনবে আর কতো জনের মাথায় হাত বুলিয়ে কেউ থাকবে তাই ভাবনার বিষয়। ভালোবাসার মতো বিষয়গুলো দেশ সৃষ্টির আগেও ছিল আর এখনও আছে। শুধু বদলে গেছে কিছু নিয়ম, সব যুবকের মতো আমিও চিন্তিত আসলেই ক্তোজন যুবক সতী স্ত্রী পাবে আর কতোজন নারী তারা স্বামী কে নিয়ে বড়াই করতে পারবে। তার চেয়েও বেশী চিন্তিত আগামীতে যখন সন্তানের বাবা হব তখন তাকে আসলেই কি মানুষ বানাতে পারব না তারাও ডিজিটাল মানুষ হবে। আজ কিছু মানুষ দেশে প্রকাশ্যে চুমুর কথা বলছে, আমাদের সুশীল সমাজ চুপ আছে, আবার তাদেরও কেউ কেউ হ্যাঁ মিলিয়েছেন। তসলিমার মতো লোকেরা 'সময় এখন প্রকাশ্যে সেক্স করার' কথা বলছে। তবে বর্তমান আসলেই কিছুটা তাই, শহীদ মিনার, পার্ক থেকে শুরু করে দেশের আনাচে কানাচে অনেক জায়গায়ই প্রকাশে ছেলে-মেয়েরা নোংরামি করছে। বিশেষ দিবসে তো কোন কথাই নেই, সতীত্ব হারাবে বহু ছেলে-মেয়ে, হোক না সেটা ভালোবাসা দিবস, মাতৃভাষা দিবস, বিজয় দিবস বা ঈদ/পূজা।

খুব অবাক লেগেছে, যখন এই ইভেন্টের মালিক সাম্মি ও আজাদের মতোই আরও অনেকে ভাবেন আসলেই দেশে এমন কাজ হওয়া উচিত। কারণ হিসাবে তারা এই দিবসে পুলিশি হয়রানিকেও টেনেছে, আমি মানি আমাদের পুলিশ এমন হয়রানি করেই। শুধু হয়রানি না, পুলিশের নামে নানা অভিযোগ আছে। কিন্তু এই পুলিশ কারা, হয়তো আপনার আমারই পরিবারের কেউ। এখানে যাদের পরিবারের সদস্য পুলিশে আছে তারা কি কেউ কখনো তাদের অনিয়ম করতে না করেছি?

তারপরও আশা রাখি, একদিন দেশ বদলাবে, আর সেটা এই সমাজের কিছু পাগলেরই হাত ধরে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: আবার চুমু :( চুমু নিয়ে মাতামাতি আর না আর না....

আপনার মতামতকে সম্মান জানাচ্ছি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: বর্তমানে আমি ব্লগে অনিয়মিত, তাই হয়তো আমার পোষ্টটি আপনার মাতামানি ময়ে হয়েছে। তবে সহমত রাখায় ধন্যবাদ।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

কবি এবং হিমু বলেছেন: ভাই মানুষ কি বানর থেকে রুপান্তর হইছে না কুকুর থেকে।তসলিমা যদি এরকম বলে থাকে তা হলে তো নতুন করে চিন্তার বিষয়,কারন কুকুর প্রকাশ্যে সেক্স করে মজা পায় :P

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০

আব্দুল্যাহ বলেছেন: বানরও প্রকাশ্যেই সেক্স করে শুধু তাদের জায়গাটি আলাদা তাই সচরাচর দেখা যায়না। তবে যাই থেকেই আসি না কেন, এখনতো মানুষ নাকি, তাই স্বভাব টাও বদলাতে হবে।
আর আমি নিজেও প্রকাশ্যে চুমু বা ভালোবাসার প্রকাশ এসব মানি না, বাকিগুলো তো অনেক দুরের কথা। আপনার কমেন্ট পড়ে একটু দ্বিধা ছিলাম তাই আবারও বললাম।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৪

ফোকলা দাতের হাসি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ,,,,,,

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: চমৎকার লেখা।।
কালকে একটা পোষ্ট দিব।আশা করি পড়বেন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৯

আব্দুল্যাহ বলেছেন: ইদানিং ব্লগে একটু কম আসি, তবে আসলে যা পাই পড়ে যাই। তাই ইচ্ছে থাকলে আপনার পোস্টের লিংক আমায় এখানে দিয়েন, আমি কখনো পড়ে নিব

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

মুনতাসিন মাহমুদ বলেছেন: ভালোবাসা দিবসে একদল ছেলেমেয়ে প্রকাশ্যে চুম্বনের একটা ইভেন্ট ডেকেছে। এই ইভেন্টটা আমার কাছে বেশ লেগেছে। আমি সম্ভবত সেখানে যাবনা। কেন যাবনা? হাঙ্গামা মারামারি হতে পারে এরকম কোন ইভেন্টে সম্ভবত আমার স্ত্রী যাবেন না। আমার প্রিয়তমা স্ত্রী যদি রাজি হয়ে যান, আবার চলেও যেতে পারি। নাও যেতে পারি। থাক, তরুণরা করুক।

এমনিতে এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস ব্যাপারটা আমার কাছে খুব আবেদনময় কিছু মনে হয়না। সাহেবি ব্যাপার মনে হয়। সেরকম মন থেকে ইয়ে পাইনা।

এইরকম দিবসগুলি- হলমার্ক জাতীয় কার্ড ব্যাপারীরা এইগুলিকে প্রমোট করে ওদের ব্যবসার উদ্দেশ্য। তাতে অন্য লোকেরা ফু দেয় নানারকম মতলবে। এইসব কথা সত্যি। কিন্তু নেহায়েত বাছুর জাতীয় প্রেমিক প্রেমিকারা যখন একটা বা দুইটা গোলাপ ফুল আর একটা চকলেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে একটা ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে পাগলের মত মেন্যু দেখতে থাকে বাজেটের মধ্যে কি খাবার অর্ডার করা যায় সেটা দেখতে, ওদেরকে দেখতে একরকম ভালোও লাগে। একজোড়া তরুণ প্রাণের মধ্যে ভালোবাসার উপস্থিতি- এর একটা সৌন্দর্য কিন্তু আছে। ওদের চেহারার মধ্যে তখন আপনি একটা অপার্থিব উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন। সেটা ভালোবাসার দ্যুতি। আপনি ভালোবাসাকে নিন্দা করবেন কোন প্রাণে?

ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস উদযাপনের বিপক্ষে আরেকটা যুক্তি দেখান অনেকে। স্বৈরাচারবিরোধী দিবস আর ভ্যালেন্টাইনস ডে একই সময়ে হয়ে গেছে। স্বৈরাচারবিরোধী দিবসটা আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার সাথে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বিরোধ কোথায়? ভালবাসাবাসি আর লড়াই সংগ্রাম তো একসাথেই হতে পারে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ে বেশ কিছু কবিতা জনপ্রিয় ছিল- প্রায় শ্লোগানের মত হয়ে গিয়েছিল। এরকম কয়েকটা কবিতা ছিল যেখানে প্রেমিক প্রেমিকাকে বলছে মিছিলে দেখা হবে, মিছিলে আমরা একসাথে হাত ধরে হাঁটবো ইত্যাদি।

বিপ্লব আর ভালোবাসা একসাথে- এর চেয়ে রোম্যান্টিক কি হতে পারে? ভালোবাসার মানুষটার চেয়ে প্রিয় সহযোদ্ধা কে হতে পারে?

আর দলবেঁধে প্রকাশ্যে চুম্বন? ঠিক সময় মত প্রয়োগ করতে পারলে এইটা প্রচলিত গোঁড়ামি আর অন্ধত্বের বিরুদ্ধে একটা শক্ত প্রতিবাদের হাতিয়ার হতে পারে। এমনিতে প্রকাশ্য স্থানে চুম্বনের অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। এটা আমার কাছে এই বয়সে এসে সেরকম খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হয়না। আমার কাছে যেটা ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে একদল তরুণ ভালোবাসার একান্ত প্রকাশের ব্যাপারটা প্রকাশ্যে জনসমক্ষে করার অবাধ অধিকারের স্বীকৃতি চাইছে। আমি এর মধ্যে অন্যায় কিছু দেখি না।

কিন্তু আফসোস, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রেম ব্যাপারটাকেই পেশাব পায়খানার মত গোপনে করার মত কাজ মনে করে। ওদের এই বদ-ধারনাটার বিরুদ্ধে এইরকম একটা ইভেন্ট, আইডিয়াটা ভাল। একটু অরগানাইজড হয়ে পরিকল্পনা নিয়ে করলে খারাপ হতোনা। শুরু তো হলো, তাই বা কম কি?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: মনে হয় সরাসরি কপি-পেস্ট, ফেসবুকে লেখাটি নজরে এসেছিল। তাই হলে লেখকের নামা দেয়া উচিৎ, আর আপনি নিজে হলে তো একটু দুরে থাকুন।

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

মুনতাসিন মাহমুদ বলেছেন: কপি পেস্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.