নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আছির মাহমুদ

আছির মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা সম্পর্কীত একটি সুন্দর রচনা- কাব্যপ্রেমীদের জন্য

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩


অফিসিয়াল কাজে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে হয়। সেখানকার এক উপপরিচালক মাহফুজুর রহমানকে আমার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার বান্ধবীরা’ পড়তে দিয়েছিলাম। তিনি নিজেও একসময় লেখালেখি করতেন- বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সিগারেটের খরচটা তুলতেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখির মাধম্যে। এখন লেখালেখির সময় না পেলেও প্রচুর বই পড়তে ভালবাসেন। তিনি ‘কবিতার বান্ধবীরা’ পড়ে যে নাতিদীর্ঘ রচনা পাঠিয়েছেন তাই এখানে তুলে ধরবো।

ব্যাপার এরকম নয় যে তিনি আমার বইয়ের প্রশংসা করেছেন আর আমি আপ্লুত হয়ে তা লিখছি। মূলত তিনি কবিতা সম্পর্কে যে সূক্ষ্ণ আর গভীর ধারণা পোষণ করেন তাই এখানে লক্ষণীয়। আমরা যারা কবিতা লিখি তারাও হয়তো এভাবে কবিতাকে জীবনের আঙ্গিকে ব্যবচ্ছেদ করতে পারবো না। যেহেতু ব্লগার বন্ধুদের কেউ কেউ কবিতার রোগে আক্রান্ত, আবার কেউ কেউ কবিতা না লিখলেও পছন্দ করেন ও পড়েন, তাই কবিতা সংস্পর্শের সেই সব মানুষদের জন্য আমি তার লেখাটা হুবহু তুলে ধরছিঃ


‘কবিতার বান্ধবীরা, লেখক- আছির মাহমুদ প্রসঙ্গ কথা’

জীবনান্দ দাশ তাঁর কবিতার কথা বইতে বলেছেন- সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি; কবি- কেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতরে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার স্বাতন্ত্র সারবত্তা রয়েছে। আমার এ বিষয়ে একটা বক্তব্য আছে- কবিতায় মানবজীবনের সমস্যা প্রকট আকারে প্রতিফলিত হতে পারে। তবে সেখানে সৌন্দর্য্যকে হতে হবে প্রধান। অর্থাৎ কবিতা পড়ে আমি যা বুঝতে চাই তা হতে হবে সূক্ষ্ণশীর্ষ আনন্দের স্বাদ।

কবি ও জাগতিকতা (পাতা-৬৮) নামক কবিতায় যেমন লেখা হয়েছে-
“কবিতা জীবনবোধের এক সূক্ষ্ণ তন্তু
সবার কাছে ধরা পড়ে না।
কবিতা কাউকে ভাত দেয় না কাপড় দেয় না
অসুখে ঔষধ দেয় না, এমন কি কবির
বাস ভাড়াটা পর্যন্ত দেয় না-” (কবি ও জাগতিকতা, পাতা-৬৮)

আজকাল মানুষ পড়ে কম। সাহিত্যের মধ্যে সবচেয়ে কম বিক্রি হয় সম্ভবত কবিতার বই। গল্প বা উপন্যাস এখনো কেউ কেউ পড়ে। কবিতা নির্বাসিত। কিন্তু তারপরও জীবনের সূক্ষ্ণতা এবং অভিজ্ঞতার স্বাতন্ত্র সারবত্তা প্রস্ফুটিত করার জন্য কেউ কেউ কবিতা লেখে। কেউ কেউ কবি হয়।

আমি কেন কবিতা পড়ি? কেন আমি কবিতার কাছে ছুটে যাই। কারণ কবিতা আমাদেরকে পরিবর্তিত করে। কিছুক্ষণ আগে আমি যে মানুষ ছিলাম কবিতা পড়ার পর সেই অবস্থা হতে বিচ্যুত হলাম। কবিতা আমাদেরকে বিচ্যুত করে, পরিবর্তিত করে।

একটা ভাল কবিতা লেখা হওয়া মানেই পাঠক বুঝতে পারবে; এই আশা করা হয়ত একজন কবির জন্য বেশি হয়ে যায়। কারণ হচ্ছে কবিতার উপলব্ধিকে আলোকিত করার জন্য পাঠকের অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন হয়। আর এ কারণেই দেখতে পাই জীবনকাল ব্যাপী জীবনানন্দের মতো কবি মূল্যায়ন পায় না। একটু সময় লাগে। পাঠক এবং পাঠকের মন তৈরীর জন্য সময় দিতে হয়। কবি-কে ধৈর্য্য ধরতে হয়।

আপনার কবিতার বই “কবিতার বান্ধবীরা” পড়ে আমার এই কথাগুলো মনে হয়েছে। ভাল থাকবেন। (মাহফুজ, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ঢাকা)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.