নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যদি মরে যাই অতর্কিত নোটিশে
এই উচাটন আত্মার ঋণ অতৃপ্ত হৃদয়ের ঋণ
যতোটা পারো শোধ করে দিও...
এই বাংলার ফুল আর পাখির কাছে
আকাশের নীল আর উদার সবুজের কাছে
বিষন্ন মেঘ আর তন্ময়...
কবিতা জীবনবোধের এক সূক্ষ্ণ তন্তু
সবার কাছে ধরা পড়ে না।
কবিতা কাউকে ভাত দেয় না কাপড় দেয় না
অসুখে ঔষধ দেয় না, এমন কি কবির
বাস ভাড়াটা পর্যন্ত দেয় না-
তবু কেন যে কবি এত...
স্বদেশ তুমি সতীন হলে!
যাদের তুমি সব দিয়েছ, সব দিয়েছ...
তোমার রুগ্ন হাত ভাঙ্গা পাঁজর শীর্ণ বুক
সব মেলে দিয়ে যাদের তুমি
দিয়েছ সম্মান দিয়েছ বৈভব-
তারা ছিল কি তোমার...
শেষ হইয়াও হইল না শেষ! ভেবেছিলাম ঝোঁক কেটে গেছে! ২০০৬ সালে ২য় কবিতার বই ‘এপ্রান্ত আমার’ বের করার পর আর তেমন ঝোঁক ছিল না। তেমন সময় বা সুযোগও হয়ে...
স্বাধীনতা এসেছিল কৃষ্ণচূড়ার মতো
অনেক রক্ত বুকে নিয়ে,
স্বাধীনতা এসেছিল কালবৈশাখীর মতো
ভীষণ তাণ্ডব মুখে নিয়ে-
স্বাধীনতা এসেছিল শীতের সূর্যের মতো
অনেক স্বপ্ন চোখে নিয়ে!
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতা
পেয়েছি পতাকা...
...
We are not feared and we have to go ahead
Beyond the field of dream;
We have to cross ourselves very much fast
We should overtake all mountains and rain
And all...
বিপ্লবের লাল পতাকা গুটিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্ত সময়!
গুটিয়ে নিয়েছে অনেকেই...
গুটিয়ে নিচ্ছে বাকিরাও।
এখন জীবনের দাবি নিয়ে কেউ আসে না,
সাম্যবাদের ঝাণ্ডা উড়িয়ে কেউ আসে না মিছিলে...
দিকভ্রান্ত যারা রাজপথে মৃদু পায়ে...
মানুষ বিশ্বাস খোঁজে,
নরপশুরা বিশ্বাসের গলায় ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করে!
তাই আমার ঘরের ভিতর পড়ে থাকে অসহায় হতদরিদ্র
সাঁওতালের লাশ- পুড়ে যায় ওদের ঘরবাড়ি ...
আরও পোড়ে সংখ্যালঘুদের মন্দির আবাস!
দুচারটে খুন ধর্ষণ...
মেতে আছি আমিও আহা মেতে আছে সবে
মেতে আছে সবাই নিদারুণ দখলের উৎসবে!
দখলের খেলায় যেনো মেতে আছে প্রতিক্ষণ
এই প্রকৃতি আর সমাজ সংসার জীবন!
সূর্যের বিদীর্ণ আলো’কে দখল করে নেয় রাতের আঁধার
রাত...
ক্ষমতা বড় নষ্টপ্রবন
সবকিছুকেই দ্রুত নষ্ট করে ফেলে!
বহুবার আমরা রাষ্ট্রযন্ত্রে বসিয়েছি
আমাদের সেবকদের...
অথচ তারা আমাদের হত্যা করে ফেলে!
এখন যারা মিহি সুরে ডাকছে শুধু
গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে,
তারাও জানি হবে সব ভয়ঙ্কর...
কোথাও তাঁকে খুঁজে পাই না!
তবু সে আছে;
ঝড়ের বিষাক্ত নিঃশ্বাসে অসহায় চার দিগন্ত
নিজেকে পুষ্টিহীন করে অজানা কোন প্রাণের প্রতি
সন্তানসম্ভবা রমণীর মতো নিজেকে বোঝাতে চায় –
‘তবু সে আছে’!
শুধু একটু প্রতিক্ষা; তারপরই...
নদীর কি পাখা আছে?
তবে কেন এত উড়ছিল বড়?
আমরা যেন উড়ছিলাম নদীর বুকে-
কাঁপছিলাম থরথর!
নদী কি কথা কয়?
আকাশের সাথে কি নদীর খুব প্রণয়?
দিগন্তে কেমন একাকার হয়ে গিয়ে
দোঁহে জড়িয়ে রয়!
নদী কি রয়ে...
অন্ধকার খুব সয়ে গেছে চোখে!
আমাদের উপাসনা এখন অন্ধত্বের,
অন্ধরাই বার বার উঠে বসে মসনদে।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বিধৌত গাঙ্গেয় দ্বীপে
ওঠে রক্তের বুদবুদ; পঙ্গপালের ভিড়ে
গৃহস্থালি ফেলে ছুটছে বিভ্রান্ত মানুষ।
নিরন্ন বৃক্ষের ডালে ঝুলে থাকে ক্রসফায়ার
বিস্ফোরণ...
©somewhere in net ltd.