নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারন লেখক জাতীয় সংঙ্গীত আমার সোনার বাংলা , আমি তোমাই ভালবাসি । চিরদিন তোমার আকাশ, চিরদিন তোমার আকাশ, চিরদিন তোমার বাতাস, আমার প্রাণে ও মা, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি, আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি ।। ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে,,,,, ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে, ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে কি দেখেছি আমি কি দেখেছি মধুর হাসি । আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি ।। কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো,,,,,,,,,,,, কী আচল বিছায়েছে বটের মূলে, নদীর কূলূ কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সূধার মতো, মরি হায়, হায় রে,,,,,,,,,,, মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সূধার মতো, মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, আমি নয়ন ও মা,আমি নয়নজলে ভাসি।। আমার সোনার বাংলা , আমি তোমায় ভালবাসি ।।
[জীবন বন্দনা
কাজী নজরুল ইসলাম ।][জীবন বন্দনা
কাজী নজরুল ইসলাম ।/sb]
গাহি তাহাদের গান
ধরণীর হাতে দিল যারা আনি ফসলের ফরমান
শ্রম কিনাঙ্ক কঠিন যাদের নির্দয় মুঠি তলে
ত্রস্তা ধরনী নজরানা দেয় ডালি ভরে ফুলে ফলে ।
বন্য শ্বাপদ সঙ্কুল জরা মৃত্যু ভীষণা ধরা
যাদের শাসনে হল সুন্দর কুসুমিতা মনোহরা ।
যারা র্ববর হেথা বাঁধে ঘর পরম অকুতোভয়ে
বনের ব্যাঘ্র ময়ূর সিংহ বিবরের ফনী লয়ে ।
এলো দুর্জয় গতি বেগ সম যারা যাযাবর শিশু
তারাই গাহিল নব প্রেম গান ধরনী মেরীর যীশু
যাহাদের চলা লেগে
উল্কার মত ঘুরিছে ধরণী শূন্যে অমিত বেগে।
খেয়াল খুশিতে কাটি অরণ্য রচিয়া অমরাবতী
যাহারা করিল ধ্বংস সাধন পুন চঞ্চলমতি
জীবন আবেগ রুধিতে না পারি যারা উদ্ধত শির
লঙ্ঘিতে গেল হিমালয় গেল শুষিতে সিন্দু নীর ।
নবীন জগৎ সন্ধানে যারা ছুটে মেরু অভিযানে
পক্ষ বাঁধিয়া উড়িয়া চলেছে যাহারা উদ্ধপানে।
তবুও থামে না যৌবন বেগ জীবনের উল্লাসে
চলেছে চন্দ্র মঙ্গল গ্রহে স্বর্গে অসীমাকাশে ।
যারা জীবনের পসরা বহিয়া মৃত্যুর দ্বারে দ্বারে
করিতেছে ফিরি ভীম রণভূমে প্রাণ বাজি রেখে হারে ।
আমি মরু কবি গাহি সেই বেদে বেদুঈনদের গান
যুগে যুগে যারা করে অকারণ বিপ্লব অভিযান।
জীবনে আতিশয্যে যাহারা দারুণ উগ্র সুখে
সাধ করে নিল গরল পিয়ালা বর্শা হানিল বুকে ।
আষাঢ়ের গিরি নিঃস্রাব সম কোন বাধা মানিল না
বর্বর বলি যাহাদের গালি পাড়িল ক্ষুদ্রমনা
কুপ মন্ডুক অসংযমীর আখ্যা দিয়াছে যারে
তারি তারে ভাই গান রচে যাই বন্দনা করি তারে ।
[siকবিতাঃ সোনার তরী
এটা কবিগুরুঃ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতা।][/siকবিতাঃ সোনার তরী
এটা কবিগুরুঃ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতা।]
গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা ।
কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা ।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাঁটা হল সারা
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।।
একখানি ছোট খেত আমি একেলা
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।।
পরপারে দেখি আঁকা
তরছোয়ামসী মাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা।
এপারেতে ছোট খেত আমি একেলা ।।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে ।
ভরা গালে চলে যায়
কোন দিকে নাহি চায়
ঢেউগুলি নিরূপায়
ভাঙে দু ধারে ।
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে ।
ওগো তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে
যেয়ো যেথা যেতে চাও
যারে খুশি তারে দাও
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে ।।
যত চাও তত লও তরণী পরে
আর আছে আর নাই দিয়েছি ভরে ।।
এতকাল নদীকূলে
যাহা লয়ে ছিনু ভুলে
সকলি দিলাম তুলে
থরে বিথরে
এখন আমারে লহো করূণা করে।।
ঠাই নাই ঠাই নাই ছোট সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।।
বোনাস আর একটি কবিতাঃ
কবিতাঃ বঙ্গভাষা
কবিঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন
তা সবে অবোধ আমি অবহেলা করি
পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন
পরদেশে ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি।
অনিদ্রায় অনাহারে সঁপি কায় মনঃ
মজিনু বিফল তপে অবরণ্যে বরি
কেলিনু শৈবালে ভুলি কমল কানন ।।
স্বপ্নে তব কুলক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে
ওরে বাছা মাতৃকোষে রতনের রাজি
এ ভিখারী দশা তবে কেন তোর আজি
যা ফিরি অজ্ঞান তুই যা রে ফিরি ঘরে ।
পালিলাম আজ্ঞা সুখে পাইলাম কালে
মাতৃভাষা রূপ খনি পূন্য মণিজালে ।।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
এমএম মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ও ভাল কালেকশন । প্রথম ভাল লাগা।