নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা ঘটনা বলি।খুব কমন ঘটনা।শুনেন,
শিহাব আর নামিরার পরিচয় হয় ফেসবুকে।পরিচয়ের ছয় মাসের মাথায় নামিরা শিহাবের প্রেমে পুরা হাবুডুবু।শিহাব যেরকম ধান্ধাবাজ ছেলে তাতে এরকমটাই হওয়ার কথা ছিল ।যেই নামিরার পেছনে বহু ছেলের লাইন আছে সেই নামিরাই এখন বলতে গেলে শিহাবের কথায় উঠে আর বসে।
তো তাদের রিলেশনের এক বছরের মাথায় শিহাবের আর মন টিকে না। সে বাজে একটা এক্সকিয়ুজ দেখায় রিলেশন ভেঙ্গে নতুন আরেকটা মেয়ের সাথে রিলেশন শুরু করে।
নামিরা মাসখানেক প্রচুর কান্নাকাটি করলো । নাওয়া খাওয়া পড়ালেখা সবকিছু ওলট পালট হয়ে গেল ।বাবা মা অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে মেয়েকে আবার স্বাভাবিক করলো ।কিন্তু নামিরা শিহাবকে কখনোই ভুলতে পারে নায়।
আর শিহাব ততোদিনে আরো দু-চার ঘাটের জল খেয়ে ফেলছে।নামিরাও তার কয়েকজন বান্ধবীর মাধ্যমে শিহাবের সব কর্ম সম্পর্কে অবগত হয়ে গেছে।
নামিরা-শিহাবের রিলেশন ভাঙ্গার ছয় মাস পর ফেসবুকেই শাহেদ নামের একজনের সাথে পরিচয় হয় নামিরার ।কিছু দিন যেতে না যেতেই একদিন শাহেদ হঠাৎ করেই নামিরাকে প্রপোজ করে বসে।
এরকম অনেকেই নামিরাকে প্রপোজ করেছে কিন্তু শাহেদ ছেলেটা একটু অন্যরকমই। না দেখেই নামিরার পেছনে আঠার মতো লেগে থাকলো । কিছু দিন পর নামিরা এক্সেপ্ট করে ফেললো শাহেদকে।
এমন না যে নামিরারও শাহেদকে ভালো লাগতে শুরু করে । সে এই কাজটা করে শুধুমাত্র শিহাবকে ভুলে থাকার জন্য,তার উপর দিয়ে যেই ঝড়টা গেছে তা কাটিয়ে উঠার জন্য অথবা শিহাবকে দেখানোর জন্য যে তাকে ছাড়াও নামিরা খুব সুখে আছে।
আর এদিকে শাহেদ কোনো কারণ ছাড়াই নামিরাকে পছন্দ করতো। কোনো কারণ ছাড়াই।
খুবই শান্ত আর ভদ্র স্বভাবের শাহেদ নামিরাকে বলতে গেলে তার অতীতের,বর্তমানের সব কথাই বলতো। নামিরাও বলতো,তবে ফেসবুকে রিলেশন করে আগে একবার মন ভাঙ্গায় সে সবকথা শাহেদকে বলতো না।
অসাধারণ পার্সোনালিটির শাহেদ নিজেকে বোকা বোকা করে রাখতো যাতে শাহেদের বোকামিতে নামিরা একটু হলেও হাসে। নামিরার সাথে কথা বলতে শাহেদের সবসময়ই ভাল্লাগত। নামিরার ম্যাসেজের রিপ্লায়ের জন্য ওয়েট করতো।
অথচ শাহেদ এটা বুঝতো না যে কারোর সাথে কনটিনিউয়াস কিছুক্ষন ম্যাসেজিং হলে তার প্রতি এমনেতেই ভালো লাগা কাজ করবে । তার রিপ্লায়ের জন্য ওয়েট করাটা তখন তাকে মিস করার মতো মনে হবে তখন। আফসোস শাহেদ এটা তখন বুঝতে পারে না।যখন পারে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।
শাহেদের আবেগটা সত্যিই ছিল কিন্তু নামিরার কাছে সেটা শুধু টাইম পাস বা শিহাবকে নতুন করে পাওয়ার মাধ্যম ছিল।
এরপর যা হয় আর কি ! শিহাব কিছু দিন এ ঘাট ও ঘাট করতে করতে নামিরার কাছে ফিরে আসলো । নামিরাও সবকিছু ভুলে গিয়ে পাঁচ মিনিটের একটা ফোনকলে শাহেদকে স্যরি বলে শিহাবের কাছে ফিরে যায়।
নামিরার এরকম আচরনে পুরো ব্ল্যাঙ্ক হয়ে যাওয়া শাহেদকে আরো পাঁচ-ছয় মাস পর একদিন রাতে নিজ রুমে সিগেরেটের ধোয়ার মাঝে বসে থাকতে দেখা যায়।শাহেদের রুম থেকে ধোয়া বের হতে দেখে তার মা দরজা খুলে দেখেন শাহেদ একহাতে স্লিপিং পিল আরেকহাতে পানি নিয়ে বসে আছে।ছেলেকে তখনই তিনি সুইসাইড করা থেকে আটকে ফেলেন।
আর ওদিকে নামিরা আর শিহাব বলে সুখেই আছে।
শাহেদ নিজের সব আবেগ,সব ভালোলাগা নিয়ে নামিরার কাছে উপস্থিত হয়েছিল ।আর নামিরা সেই ভালোলাগা,আবেগকে ব্যবহার করছে আরেকজনকে পাওয়ার জন্য। যখনই তার কাজ কমপ্লিট সে এককথায় শাহেদকে,শাহেদের আবেগকে ছুড়ে ফেলছে যেন শাহেদ নামের কারো অস্তিত্বই তার জীবনে ছিল না।
এরকম ঘটনা আমাদের আশেপাশেই ঘটছে।হয়তো আমরাই ঘটাচ্ছি অথবা আমরাই এর বলি হচ্ছি।
এখন দেখেন নামিরা কিন্তু শাহেদের পাশেই ছিল।অথচ নামিরা যে অভিনয় করছে শাহেদ তা বুঝতেই পারে নায়।কারন আমরা,শাহেদরা চোখ দিয়ে বা মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি।আসলে আমাদের বোঝা উচিত বিবেক দিয়ে,মগজ দিয়ে বা ঘিলু দিয়ে।
শুধু তিনটা শব্দ বললেই একজন আরেকজনের জন্য দিওয়ানা মাস্তানা হয়ে যাবে এরকম ভাবাটা বোকামি।
সো কার আবেগ রিয়েল আর কার আবেগ ফেইক সেটা বোঝা জরুরী আগে। নাহলে কতো শিহাব যে নামিরাদের কাছে বারবার ফিরে আসবে আর কতো নামিরা যে প্রেমিকের প্রতি আবেগের বান ছুটাবে আর কতো শাহেদ যে সেই বানের জলে ডুবে যাবে তার হিসেব শুধু ইতিহাস দিবে ।সো বি অ্যাওয়ার ফ্রেন্ডস..…
বাই দ্যা ওয়ে শাহেদের সাথে কৃত অভিনয় যে শিহাব এখন নামিরার সাথে করতেসে তা কি নামিরা বুঝতেসে ?
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০৭
যাযাবর শিহাব বলেছেন: যতো দিন মানব জাতির অস্তিত্ব থাকবে ততোদিন
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫৭
খেলাঘর বলেছেন:
মানব জাতিতে এসব সমস্যা নেই; বালছাল আগাছাদের সমস্যা এগুলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:০১
খেলাঘর বলেছেন:
'রিলেশন' প্রপোজ, একসেপ্ট, শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেলো; এসব বালচাল এর শেষ হবে কবে?