নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহমেদ শিহাব

যাযাবর শিহাব

আজও আকাশ ছোঁয়ার নেশা আমার অস্থিমজ্জায়,আজও আমার পূর্ণতা সেই শূন্যতায় ।।

যাযাবর শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাবনী

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

ঘটনার শুরু প্রায় বছর খানেক আগে।

বিল্ডিংয়ের উপরে একটা মসজিদ আছে।আছরের নামাজ পড়ে লিফটের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম।লিফট আসলো আর আমি দেখলাম লিফটের ভেতর ভরাট চেহারার সুন্দর মতোন একটা মেয়ে।গায়ে বাওয়া স্কুলের ড্রেস।লিফটে ঢুকবো কিনা ইতস্তত করছিলাম।

মেয়েটার পাশেই তার বাবা দাড়িয়ে ছিল ।এই লোককে আমি চিনি।রাস্তা ঘাটে প্রায়ই দেখা হয়।আমি সালাম দিই ।কুশল বিনিময় করি।সেই হিসেবে আমাকে ভালো ছেলে হিসেবেই চিনেন তিনি।লিফটের ভেতর থেকেই আংকেল বললেন," আসো বাবা,আসো।"

লিফটে এমনভাবে দাড়ালাম যে আংকেল মাঝখানে,উনার ডানপাশে আমি আর বামপাশে উনার মেয়ে।নামতে নামতে লিফটের আয়নাতে মেয়েটার সাথে আমার চোখাচোখি হয়।আংকেল এটা খেয়াল করলেন।আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম।

এর দু-তিনদিন পর আংকেলের সাথে আবার মসজিদে দেখা।নামাজ পড়ার পর নামার সময় আবার উনি আর আমি লিফটে ।ব্যাপারটা অনেকটা কাকতালীয় ছিল।

নামতে নামতে উনি আমার প্রায় একটা ছোট খাটো রিমান্ড নিয়ে নিলেন।আমার নাম কি,কি পড়ি,কোন কলেজ,কোন স্কুল,কয় ভাই-বোন,ভাই কি করে,বোন কি করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি কিছুটা বিস্মিত হলাম যখন জানতে পারলাম যখন জানতে পারলাম উনি আমার আব্বু-আম্মু দুজনকেই চিনেন ।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো উনি পুরো রিমান্ড সেশনেই হাসি-খুশি ছিলেন।উনার আদরের মেয়ের সাথে আমার চোখাচোখি হয়েছে এমন গর্হিত অপরাধে উনার রাগ করারই কথা।অথচ উনি কোমল কন্ঠে আর বেশ হাসি খুশি মুখ করেই আমার সাথে কথা বললেন পুরোটা সময়।

এরো প্রায় দু-তিন সপ্তাহ পর আবার বাপ-বেটিতে আমার দেখা।এবারের লোকেশন বাসার নিচে।আমি আগেই বলছি মেয়ে তার বাবার খুব আদরের।পৃথিবীর সব মেয়েই তাদের বাবার খুব আদরের হয়ে থাকে এই কারণে আমি কথাটি বলি নিই ।

কারণটা হলো এই বাপ কখনোই তার মেয়েকে একলা ছাড়েন না।বাওয়া স্কুল মেয়েদের স্কুল।এই স্কুলে বেশিরভাগ ছাত্রীকে তাদের মা নিয়ে যায়।হাতেগোনা কয়েকজনকেই তাদের বাবা নিয়ে যায়।তাও যাদের বাসা বেশি দূরে তাদের বাবারাই মেয়েকে নিয়ে আসে।

অথচ হাটার দূরত্বে পাচ মিনিট এরকম জায়গাতে স্কুল হওয়া স্বত্ত্বেও আংকেলই উনার মেয়েকে নিয়ে যান।মেয়ের অভিমানী কন্ঠে বলে," বাবা আমি বড় হয়েছি আমি একাই তো স্কুলে যেতে পারি।"

আংকেল উদাস গলায় বলে," বেশি বুঝিস না,সোজা হাট। আরে সামনে যে কাদা এটাও কি খেয়াল নাই ? এই সামান্য জিনিস যে খেয়াল করে চলতে পারে না সে নাকি আবার একলা একলা স্কুলে যাবে !!"

মেয়ে নিচু গলায় বলে, " বাবা প্লিজ এটাকে তুমি এক্সকিয়ুজ বানায়ো না। আর যদি নিয়ে যেতেই হয় তাহলে মা নিয়ে যাক না।"

আংকেল মেয়ের কথায় কান দেন না।

আবার পরের দিন মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যান ।স্কুল থেকে ফিরে কোচিংয়ে নিয়ে যান । কোচিং থেকে ফেরার পথে রাস্তার পাশ থেকে ডালপুরী কিনেন।মেয়ে সেখানে লজ্জায় লাল হয়ে যায় ।

এসব জায়গা থেকে কিছু কিনতে দেখলে তার বান্ধবীরা হাসাহাসি করে । আর এসব জায়গায় অনেক বাজে ছেলেও বসে থাকে । তাদের সামনে দাড়িয়ে খেতে তার একদম ভাল্লাগে না। সে বাসায় এসে গাল ফুলিয়ে বসে থাকে । আর এদিকে তার বাবার এসবে কান দিতে বয়েই গেছে !!!


আমি আসল ঘটনা থেকে অনেক দূর সরে এসেছি । আবার মূল ঘটনায় ফেরা যাক।


দু-তিন সপ্তাহ পর যখন বাপ-বেটিতে আবার দেখা তখন আংকেলের মুখে প্রশস্ত হাসি।মেয়ে কিছুটা আতংকিত।সে আতংকিত কারন তার আনকালচারড বাবা জানি আবার কি বলে বসে ।

আংকেল আমার নাম ধরেই ডাক দিলেন।আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে নিজেই মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।আমি সম্পূর্ন বোকা হয়ে গেলাম যখন মেয়ে আমাকে স্পষ্ট শুদ্ধ ও বড় করে সালাম দিল ।

আমার বোকা বনে যাওয়াটা একটু বলি । আমি আমার পরিবারের ছোট ছেলে,কনিষ্ঠ সদস্য । ছোট বেলা থেকে সবাইকে সালাম দিতে দিতে এমন অবস্থা হয়েছে যে এক সময় আমার মনে হতে লাগলো আমি বোধহয় পুরো সমাজেই সবচেয়ে ছোট ।

এমনকি স্কুলজীবনে আমার চেয়ে এক বছরের বড়দেরকেও আমি উঠতে বসতে সালাম দিতাম ।

এই অভ্যাসটা আমার এখনো থেকে গেছে। যে কারনে অনেকদিন পর দেখা হওয়া বন্ধুদেরকেও আমি সালাম দিয়ে বসি । তারা কিছুটা হতচকিত হয়ে যায় ।

যাই হোক,যে ছেলে আজীবন অন্যদেরকে সালাম দিয়ে এসেছে সেই ছেলেকে কোন মেয়ে সালাম দিয়ে বসলে তার বেকুব হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ।

আংকেল বলতে লাগলেন, " শিহাব, এ আমার বড় মেয়ে।লাবনী । বাওয়াতে ক্লাস নাইনে পড়ে।''
" ও আচ্ছা।"
" মা,এ তোদের বড়।শিহাব।খুব ভালো ছেলে।আমাদের বিল্ডিংয়েই থাকে। চিটাং কলেজে পড়ে।গোল্ডেন পাওয়া ছেলে।"

এভাবে কেও কখনো আমার প্রশংসা করে নায়। আমার মনে হলো যেন আমি লজ্জায় মাটিতে মিশে যাচ্ছি।

" মা,তোর পড়ালেখা নিয়ে কোনো সমস্যা হলে তুই এর সাথে কথা বলিস।শিহাব খুব ভালো ছেলে।যেকোনো বিষয়ে তুই বললেই ও তোকে সাহায্য করবে।"

কথাগুলো শুনে আমার ভেতর আংকেলের প্রতি অদ্ভূত এক কৃতঙতা কাজ করা শুরু করলো। উনি আমাকে দাড়াতে বলে মেয়েকে বাসায় পৌছে দিয়ে এলেন।

এসেই বলা শুরু করলেন, " বাবা,লাবনী আমার বড় মেয়ে। ওর বড় কেও নেই।ওকে যে ভালো মন্দ দুটা কথা বলবে,দুটা উপদেশ দিবে এরকম কেও নেই।তোমার আন্টি সারাদিন সংসার ঠেলার পর আর কোনো উপদেশ দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় থাকে না। আর আমাকে আমার মেয়ে পছন্দ করে না। খুব একটা কথাও বলে না।তুমি প্লিস ওকে একটু গাইড দিও।"

আমি প্রায় ঘোর লাগা অবস্থায় কথাগুলো শুনলাম।

অবাক হয়ে ভাবলাম একজন বাবা কতোটা অসহায় হলে আর একটা প্রায় অপরিচিত ছেলেকে কতোটা বিশ্বাস করতে পারলে এভাবে কথা বলতে পারেন। কেন জানি মনটা খারাপ হয়ে গেল ।বুকের ভেতরটা খালি খালি মনে হতে লাগলো।বিষন্ন বোধ করা শুরু করলাম।বারবার মনে হতে লাগলো এই মেয়েকে অন্য দশটা মেয়ের মতো ভাবলে চলবে না।তার বাবা যেই বিশ্বাসে আমাকে কথাগুলো বলছেন সেই বিশ্বাসটা অন্তত রাখার চেষ্টা করতে হবে ।


লাবনীর তখন বাড়ন্ত শরীর । আমার বয়সো তখন কম। ঐ বয়সে প্রায় সমবয়সী একটা অপরূপ সুন্দরী মেয়ের সামনে শুধুমাত্র বড় ভাইসুলভ আচরন করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তখন বেশ কঠিনই ছিল ।


এরপর থেকে প্রায়ই লাবনীর সাথে কথা হতো।পড়ালেখা থেকে শুরু করে অনেক ব্যাক্তিগত কথাও শেয়ার করতো লাবনী।প্রতিবারই পড়ালেখা বিষয়ক কোনো কথা দিয়ে শুরু হতো এবং প্রতিবারই তা একটা আড্ডায় পরিণত হতো।


এবং একদিন আমার খেয়াল হলো প্রায় প্রতিদিনই লাবনী কোন না কোন উসিলায় আমাকে ছাদে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে।এটা একসময় আমার অভ্যাসে পরিণত হয়।যার ফলে বিকেলের দিকে আমি এমনেতেই ছাদে যেতে চাইতাম ।অবচেতন মনেই লাবনীর জন্য অপেক্ষা করতাম।


এই ভাবনাটা আমার মাঝে প্রবল অপরাধবোধ সৃষ্টি করে।আমি আসতে আসতে ছাদে যাওয়া বন্ধ করে দিই।



মানুষ হিসেবে আমি নিভৃতচারী।খুব বেশি কাজ না থাকলে বাসা থেকে বের হই না।খুব বেশি হলে বন্ধু সাকিবকে নিয়ে বাসার নিচের দোকানে বসে আড্ডা দিই।


এরকমই এক বিকেলে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। খেয়াল করলাম লাবনী তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করতে করতে বাসার দিকে হেঁটে হেঁটে আসছে। আশেপাশে তার বাবা নেই।আমি রীতিমতো বিস্মিত।


আমাকে দেখে সে দাড়ালো। বান্ধবীদের থেকে আলাদা হয়ে কিছুক্ষন বেশ আহ্লাদি কন্ঠে কথা বললো আমার সাথে।


আমি একসময় খেয়াল করলাম তার বান্ধবীদের দৃষ্টি আসলে আমাদের দিকে।বুঝতে পারলাম লাবনী তাদেরকে দেখানোর জন্যই এভাবে কথা বলছে।

আমার চোয়াল শক্ত হয়ে যায় । আমি কিছু কথা বলে চমৎকারভাবে লাবনীকে অপমান করি।কথাগুলো বলার পরেই আমার মনে হলো আমি মস্তবড় ভুল করে ফেলেছি।

লাবনীর চোখের পাতা বারকয়েক কেঁপে উঠলো।সে আমার দিকে বা তার বান্ধবীদের দিকে না তাকিয়ে যন্ত্রের মতো সোজা হেঁটে গেইট দিয়ে বাসায় ঢুকে যায়।



এরপর লাবনীর সাথে আমার আরো অনেকবার দেখা হয়েছে।তবে আর কোনদিন কথা হয় নিই।



তারপর কোন এক বুধবারে লাবনীর সাথে আমার আবার দেখা।আমাকে প্রায় অবাক করে দিয়ে হাসি খুশি মুখ করে বেশ কিছুক্ষন কথা বললো ।নিজেই হড়বড় করে বেশিরভাগ সময় কথা বলে গেল।অনেক কথা বুঝতেও পারি নিই আমি।আর আমি যা অল্প কিছু কথা বললাম তাও সে শুনলো বলে মনে হলো না।


নিজের মতো করে জমানো অনেক কথা বলে এক সময় 'ভালো থাকবেন ' বলে চলে যায় । আমি তাকে কখনো তুমি করে বলার সুযোগ দিই নিই। সে চলে যাওআর পর কেন জানি মনে হলো আমার খুব পছন্দের একটা জিনিস হারিয়ে যাচ্ছে । পছন্দের জিনিস হারাতে নেই,যত্ন করে রেখে দিতে হয়।



তার কয়েক ঘন্টা পর লাবনী সুইসাইড করে ।কারনটা অজানা।

আমি সুইসাইডের ঘটনা জানতে পারি শুক্রবার বিকেলে।আমাকে বলা হয় ১৭-১৮বছরের একটা মেয়ে সুইসাইড করে।আমার কাছে সত্য গোপন করা হয়। আমি সত্য জানতে পারি রবিবার রাতে ।

আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। আমার পছন্দের জিনিস আসলেই হারিয়ে গেছে।আমি যত্ন করে রাখতে পারি নিই ।


লাবনী সুইসাইড করার কয়েক ঘন্টা আগেও তার সাথে আমার কথা হয় । তার মনে যে সুইসাইডের চিন্তা ঘুরছে আমি তা বুঝতে পারি নিই।

আসলে আমরা একজন আরেকজনকে ঠিক কতোটুকু বুঝতে পারি ? জগতের কেউ কি কাউকে ঠিকভাবে বুঝতে পারে? কখনো কি পেরেছে বা কখনো কি পারবে ?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

সজীব বলেছেন: :P :P :P

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

যাযাবর শিহাব বলেছেন: জিভ তো ভাই ছিড়ে খুইলা পড়বে । ভিত্রে ঢুকান

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন:
ভাই এটা কি গল্প নাকি আপনার বাস্তব জীবন কাহিনী?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

যাযাবর শিহাব বলেছেন: বিল্ডিংয়ের একটা মেয়ে সুইসাইড করে। এটা সত্য। বাকিটা আমার কল্পনা । আত্মজীবনীর মতো করে লেখা একটা গল্প ।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: মনটা কে ছুয়ে গেলো । আমরা অবহেলায় কত কিছু হারাই । কিছু বুঝে কিছু না বুঝে । নিজের জিবনটাকেও এভাবে বিলিয়ে দেই অকারন কারনে ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

যাযাবর শিহাব বলেছেন: জীবনটা হারাই না আসলে । জীবনটা আপনা থেকেই হারায় যায় । এক্ষেত্রে আমরা শুধু নীরব দর্শক ।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

এমএম মিন্টু বলেছেন: :|| B:-)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

যাযাবর শিহাব বলেছেন: :-)

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++

পরিনতিটা মন খারাপ করে দিল ।

ভালো থাকবেন :)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

যাযাবর শিহাব বলেছেন: সেটাই মূল প্রতিপাদ্য ছিল । কিশোর আবেগ,প্রেম,সুইসাইড এগুলো মূল প্রতিপাদ্য ছিল না ।
:)

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: :|| :|| :| :( :(

পরিনতি বিস্ময়কর দুঃখজনক ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

যাযাবর শিহাব বলেছেন: লেখকের কিছুই করার নেই । সে শুধু লিখতে পারে । সে যে জিনিসটা লক্ষ্য রেখে লিখতে বসেছে সেই জিনিসটা ফুটিয়ে তোলার জন্য সে যে কোন চরিত্রকে যে কোন খেলা খেলতে পারে । মানব অনুভূতি এখানে ব্রাত্য,সাইডের জিনিস ।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

আলম দীপ্র বলেছেন: সুলিখিত গল্প ।
বেশ ভালো লাগল ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

যাযাবর শিহাব বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.