নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বায়নের এই চ্যালেন্জিং পৃথিবী হাজারো সমস্যায় জর্জরিত। জনসংখ্যা সমস্যা এর মধ্যে অন্যতম। প্রায় সাত'শ কোটি জনসংখ্যার ভারে পৃথিবী তার স্বাভাবিক নীতি অাদর্শ পরিবর্তনে বাধ্য হচ্ছে। বিশাল এ জনসংখ্যা অাগামী দিনগুলোতে অার্শিবাদ না অভিশাপ হবে তা সহজে অনুমেয়। সময়ের চাহিদার বিচারে বর্তমানে পৃথিবী ব্যাপি জনসংখ্যা সমস্যা প্রধান সমস্যা হয়ে বিশ্বকে নাড়িয়ে দিচ্ছে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। অাপাদত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল সারা বিশ্বে ব্যাপক অালোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর এক কোটি অাশি লাখ প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ অক্টোবর ২০১১ ইউ এন ডি পি ও দ্যা ডেইলী স্টার পত্রিকার যৌথ অায়োজনে জনসংখ্যা বিষয়ক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর/২০১১ প্রায় ৭০০ কোটির কোঠায় জনসংখ্যা পূর্ন হয়েছে।পঞ্বাশ বছরে প্রায় ৪০০ কোটি বেড়েছে।বাংলাদেশ ৫৫,৫৯৮ বর্গ কিলোমিটারের এদেশ প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যার বসবাস। সিলেট চট্রগ্রামে জন্মহার বেশি শিক্ষিতের হার কম। বরিশালে জন্মহার কমেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে পার মানবিক বিস্ফোরনের চেয়ে ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে অদুর ভবিষ্যতে এতে কোন সন্দেহ নেই। কাঙ্খিত জনসংখ্যা দেশের জন্য কল্যাণকর অার দক্ষ জনসংখ্যা উন্নয়নের হাতিয়ার। বাংলাদেশে ৪০ বছরে জনসংখ্যা নিয়ে জাতীয় সংসদে তেমন কোন অালোচনা হয়নি বললেই চলে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরও তেমন কোন জোরালো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। একক কোন কারনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়না, এর পিছনে বহুবিধ কারণ জড়িত।যেমন ক অনুকুল পরিবেশ খ নাতিশীতষ্ণ অাবহাওয়া গ অশিক্ষা,অজ্ঞতা, অসচেতন ঘ বাল্য বিবাহ ঙ জানা-বুঝার অভাব বা ভুল চ পুত্র সন্তান লাভের বাসনা ছ বংশীয় ক্ষমতা বৃদ্ধি জ সঠিক পরিকল্পনার অভাব ঝ উন্নত চিকিৎসার অভাব ঞ জন্মহার বেশি, মৃত্যুহার কম ট মৃত্যুর পূর্বে নাতি নাতনি পুত্রবধু দেখার সাধ ঠ দাম্পত্য জীবনে মধুর সম্পর্কের অভাব ড বৃদ্ধ বয়সে নির্ভরতার প্রত্যাশা ঢ ধর্মীয় গুড়ামি দৃষ্টিভঙ্গি ও কুসংস্কার ণ শিক্ষার অভাব ও নারী শিক্ষার হার কম ত দারিদ্রতা থ প্রচার ও মোটিভেটরের অভাব দ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অজ্ঞতা ও সরঞ্জারদির অভাব ধ ভার্জিক্যাল বিষয়ে ভীতি ন জন্ম নিয়ন্ত্রনের স্থায়ী অস্থায়ী পদ্ধতির প্রতি অনাস্থা প সহজলভ্য ও সুলভ মুল্যের ঔষুধের প্রতি উদাসিনতা ....ইত্যাদি ইত্যাদি
জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ জটিল সমস্যাকে জাতীয় ইস্যু হিসেবে গ্রহন করে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত । যেমন ক পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ব্যাপক প্রচার প্রচারনা খ জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়ন ও অাইন
প্রয়োগ গ শিক্ষার প্রসারতা ও নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি ঘ এক সন্তানের জন্য পুরস্কার ঘোষনা ঙ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ চ নারীর ক্ষমতায়ন ছ ডাক্তারের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর্মীর সহযোগিতা জ সরকারী উদ্যোগ ঝ মিডিয়া,পত্রিকা,বেতারে প্রচারাভিযান ঞ স্বামী স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক তৈরি ট অজ্ঞতা ও কুসংস্কর পরিহার ঠ বস্তিবাসীদের সচেতন করা ড দু'টি সন্তানের পর চিরস্থায়ী পদ্ধতি গ্রহন করা ঢ সকলের অান্তরিকতা ও সহযোগিতা... ইত্যদি ইত্যাদি পরিশেষে "বদলে যাওয়া, বদলে দেওয়া" সু সভ্য পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে অামাদের অনেক কিছুই করনীয় দায়িত্ব রয়েছে । অাত্ন সচেতনতার সূচনা দিয়েই অামাদের এ যাত্রা শুরু করতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জটিল ও কঠিন এই সমস্যা সমাধানের জন্য সবার সমন্বিত প্রয়াসই যথেষ্ঠ। অাসুন না, ঘর থেকেই অামরা শুরু করি দেখবেন অাপনিই হয়ত দৃষ্টান্ত হয়ে গেছেন। তাহলে অামরা সমস্যা সংকটের এই জটিল প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে প্রত্যাশা করতেই পারি অাগামী দশ বছরের মধ্যেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অভিশাপ নয়, অার্শিবাদে পরিণত হবেই হবে ইনশাল্লাহ
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯
ANIKAT KAMAL বলেছেন: অাপনাকে ধন্যবাদ যে মূল্যবান সময়ের অপচয় করে পড়েছেন
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।