নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হার না মানা হা‌রেই অা‌মি পরা‌জিত

ANIKAT KAMAL

ANIKAT KAMAL › বিস্তারিত পোস্টঃ

অাল্লাহরই ই‌চ্ছেই য‌থেষ্ঠ

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

মানু‌ষের প্রকৃত স্বভাব তার চেহারায় প্র‌তিফ‌লিত হয়।
~অ‌নি‌কেত কামাল

"অাপনার বিজ‌য়ের অানন্দ অ‌ন্যের হে‌রে যাবার কান্নার উপহার"
~অ‌নি‌কেত কামাল

"অ‌ন্যেরা কি কর‌লেন না কর‌লেন সেটা বড় কথা নয় অাপ‌নি কি কর‌লেন সেটাই অাসল কথা"
~অ‌নি‌কেত কামাল


একবার একজন শাইখ এর লেকচারে শুনেছিলাম যে, জীবনে আপনি কিছু কিছু ঘটনা পাবেন, যার মাধ্যমে আপনি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এমন কিছু জিনিস শিখতে পারবেন, যা হাজার বই পড়ে কিংবা লেকচার শুনেও শিখতে পারবেন না, উনি বলেন, যেমন ধরুন, আমি আপনাকে বললাম, আপনার যখন মৃত্যু আসার তখনই আসবে, এটা তাকদীরে নির্ধারিত। আপনি শুনলেন, হয়তো কিছুটা বুঝলেন, কিন্তু এখন যদি আমি আপনাদের একটা ঘটনা বলি, ঐ একটা ঘটনাই যথেষ্ট তার জন্য তাকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যে, মৃত্যু কিভাবে তাকদীরে নির্ধারিত হতে পারে।

দুই ভাই যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল, বোমা এসে পড়ল ঠিক দুইজনের মাঝখানে, এরপর এক ভাই মারা গেল আর অপর ভাই অক্ষত রইল, এটাই হচ্ছে তাকদীর !

আজকেও একটা ঘটনা থেকে বুঝলাম কিছুটা, তাওফিক কি জিনিস!

গ্রামের রাস্তায় হেঁটে হাইওয়ের দিকে উঠছিলাম, গ্রামের বাড়ির বাইরের দিকে একটি উঠোনের দিকে পার হচ্ছি, হঠাৎ দেখি একটা মা মুরগি তার পাখা ছড়িয়ে বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে, খুব স্বাভাবিক দৃশ্য করতেই পারে, হঠাৎ ভালো করে তাকিয়ে দেখি, একটা মাটির চুলার দিকে কি যেন হয়েছে, উঁকি দিয়ে তাকিয়ে দেখি, ভিতরে দুইটা ছোট ছোট মুরগির বাচ্চা পড়ে গেছে, চুলার মুখটা ঢালু, উঠতে পারছে না, আর চুলা অনেক আগে নিভিয়ে দেয়া হলেও ভিতরে আঁচ রয়ে গেছে, দুইটা বাচ্চার একটা পুড়ে গেছে আংশিক, আর আরেকটা ঐ বাচ্চার উপরে ভর করে উপরের দিকে উঠতে যাচ্ছে, কিন্তু ঢালু চুলার মুখ দিয়ে উঠতে পারছে না, পাখায় অতটা জোর নেই, আর মা মুরগির পক্ষেও উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

আশে পাশে কেউ ছিল না, আমি একটা কাঠি দিয়ে ভর দিতেই একটা ছানা উঠে আসল, সে তখনো আতংকিত, ভয়ে এদিক সেদিক দৌড়াচ্ছে, আর অপরজন সে নিজে আগুনে পুড়ে তার বুকের উপর পা রাখার স্থান করে দিয়ে অপর ছানাকে বাঁচিয়ে দিল, হাত দিয়ে ধরে ওটাকেও তুলে দিলাম, আগুনের ভাপে ওর বুক পা ঝলসে গেছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই মরে গেল।

হাঁটতে হাঁটতে সামনে এগিয়ে চললাম। পৃথিবী বড় রহস্যময়।

কেন আমিই সেখানে ছিলাম, এটাই কি তাওফিক!

যে আল্লাহ কোন একটা কিছুর সামর্থ্য প্রদান করেন, যাকে ইচ্ছা।
আসলে, মানুষ হিসেবে আমাদের নিজেদের দিকে কোন কিছুই আরোপিত করা উচিত নয়, সবকিছু আল্লাহর অনুগ্রহে হয়ে থাকে। এই অনুগ্রহটা অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ভালো কাজ করার সুযোগ চাওয়া এবং পাওয়াটাই হচ্ছে তাওফিক।

হে আল্লাহ! তুমি আমাদের তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার তাওফিক দান করো, আমিন।

সংগৃ‌হিত

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

ঢাকার লোক বলেছেন: "আল্লাহর কাছে ভালো কাজ করার সুযোগ চাওয়া এবং পাওয়াটাই হচ্ছে তাওফিক।"
হে আল্লাহ! তুমি আমাদের সে তাওফিক দান করো, আমিন।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটা | খুবই চমৎকার |

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সংগৃ‌হিত না লিখে প্রকৃত লেখকের নাম লিখলে খুশি হতুম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.