নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হার না মানা হা‌রেই অা‌মি পরা‌জিত

ANIKAT KAMAL

ANIKAT KAMAL › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা থাক‌লে প্র‌য়োজ‌নে কা‌জে লা‌গে

২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জন্ডিস ঃ ~জ‌ন্ডিস ইং‌রে‌জি শব্দ jundice যা Icterus না‌মে প‌রি‌চিত। বাস্ত‌বিক প‌ক্ষে অ‌নে‌কে জ‌ন্ডিস‌কে রোগ বল‌তে রা‌জি না রো‌গের লক্ষণ মাত্র।
জ‌ন্ডিস হ‌লে র‌ক্তে বিলুরুবি‌নের মাত্রা বে‌ড়ে যায় ফ‌লে ত্বক , চো‌খের সাদা অংশ ও অন্যান্য মিউকাস ঝি‌ল্লি হলুদ হ‌য়ে যায়, প্রস্রাব হলুদ বা হলুদাভাব হয়।ক্ষুধামন্দা, অরু‌চি, জ্বর জ্বর ভাব বা কাপু‌নি দি‌য়ে জ্বর, ব‌মি ব‌মি ভাব বা ব‌মি হয়, মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা, দুর্বলতা , অস্ব‌স্তি ইত্যা‌দি ।



রোগ ও চিকিৎসা


জন্ডিস
লিভারের নিচেই পিত্তথলি অবস্থান করে। পিত্তথলি হতে পিত্তনালি দিয়ে পিত্তরস ডিওডেনামে অবস্থিত খাদ্যস্তুর সাথে মিশ্রিত হয়। যদি কোন কারণে পিত্তথলিতে বাধা সৃষ্টি হয় তাহলে পিত্তরস পিত্তথলিতে জমে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এক সময় শরীরে প্রবাহমান রক্তের সাথে মিশ্রিত হয়।

রোগের কারনঃ
রোগের লক্ষণঃ
মুখ,চোখ,নখ,থুথু এবং ত্বক হলুদ হয়।
মূত্র সরিষার তেলের মত আবার কখনও হলুদ রঙের হয়।
বমি বমি ভাব এবং বমি হয়।
পেট ফাঁপা,পাতলা পায়খানা এবং অরুচি থাকে।
মলে পিত্ত থাকে না ফলে মল ফ্যাকাশে হয়।
দীর্ঘদিন ভুগলে রোগী নিলাভ হয়ে যায় এবং বমি বেশি হয়।
ওজন কমবে
রক্তস্বল্পতা দেখা দিবে।
পরামর্শ ও চিকিৎসাঃ
পূর্ণ বিশ্রামে থাকবেন।
প্রচুর পরিমাণে পানি,তাজা ফলের রস,বাতাবীলেবু,আনার,ডাবের পানি,গ্লুকোজ,আখের রস,ছোট মাছ ও মুগীর ঝোল,করলার তরকারি খাবেন
তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাদ্য দ্রব্যাদি পরিহার করতে হবে।
লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
কোমল পানীয় পরিতাজ্য।








কারণ ঃ~

‌লিভার প্রদাহ ঃ লিভার প্রদা‌হে বিলরু‌বি‌নের উৎপাদন বা‌ড়ে।

‌পিত্তনা‌লীর প্রদাহ ঃ ‌পিত্তনালীর প্রদা‌হে বি‌লিরু‌বিন শোষণ ব্যহত হয়।

‌পিত্তনালীর ব্লক ঃ ‌পিত্তনালী ব্লক হ‌লে লিভার বিলরু‌বিন সারা‌তে ব্যর্থ হয়।

‌গিলবার্টস সি‌ন্ড্রোম ঃ এই অবস্থায় এনজাই‌মের কার্যক্ষমতা ক‌মে যায়।

ডু‌বিন জনসন নি‌ন্ড্রোমঃ বংশগত কার‌ণে লিভার হ‌তে বিললিরু‌বিন শোষণ বাধা দেয়।

প্র‌তিকারঃ যে‌হেতু জ‌ন্ডি‌সের উত্তম ও ফলপ্রসু কোন চি‌কিৎসা নেই সে‌হেতু

‌বিশুদ্ধ পা‌নি পান, ডিস‌পো‌সেবল সি‌রিন্জ ব্যবহার, নেশা ও মদ্যপান থে‌কে বিরত,কলকারখানার রাসায়‌নিক পদার্থ থে‌কে সাবধান, নিরাপদ যৌন সঙ্গম করা ইত্যা‌দি।


হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বি দু’টি সংক্রামক রোগ। হেপাটাইটিস এ বা সাধারণ জন্ডিস সাধারনত: খাবার পানি বাইরের খোলা ও জীবানুযুক্ত খাবার আহার করলে এবং আক্রান- ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে অথবা আক্রান- ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যবহার করলে হেপাটাইটিস এ বা সাধারণ জন্ডিস সংক্রমিত হতে পারে। সাধারনত: বিশ্রাম ও কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে হেপাটাইটিস এ ভালো হয়। হেপাটাইটিস এ জন্ডিসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন। দু’টি ভ্যাকসিন দিয়ে হেপাটাইটিস এ রোধ করা যায়। আর এক ধরনের জন্ডিস হচ্ছে হেপাটাইটিস বি। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে এই রোগ সংক্রমিত হয়। জীবানুযুক্ত ইনজেকশনের সূই ব্যবহার জীবানুযুক্ত রক্ত সঞ্চালন, আক্রান- ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এই রোগ সংক্রমনের প্রধান কারণ।

Dr. Ahm Kamal Hossain
D A M S Dhaka

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: উপকারী পোস্ট।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৩৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট,
মানুষকে সতর্ক করে সুস্থ থাকবার জন্য আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টা ভালো লাগলো ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.