নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহা অাতঙ্কের নাম ডেঙ্গু জ্বর।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মহা অাতঙ্কের পীড়াদায়ক রোগের নাম হচ্ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু মুলত ভাইরাস জনিত জ্বর । তবে ডেঙ্গু মহামারী বা প্রাণঘাতী রোগ নয়।
রোগর উৎপত্তি বা কারণঃ এডিস মশার কামড়ের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এই ভাইরাস বাহিত এসিড ইজিট্রাই নামক মশার কামড়ে হয়। ডেঙ্গু জ্বরে অাক্রান্ত যে কোন রোগীকে মশা কামড়ালে সেই মশা ডেঙ্গু বাহিত হয়।
এডিস মশা কোথায় জন্মায়ঃ
ফুলের টব, ভাঙ্গা হাড়ি~ পাতিল ,গাড়ির পরিত্যাক্ত ট্যায়ার, কৌটা, নারিকেল বা ডাবের খোসা ইত্যাদি যেখানে স্বচ্ছ পানি থাকে সেখানে এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করে। তাছাড়া রেফ্রিজারেটর এবং এসির জমা থাকা পানিতেও এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করে। মনে রখিতে হবে একমাত্র এডিস মশা হচ্ছে ভদ্র মশা যারা অাভিজাত্যের ছোড়াতে বেড়ে উঠে। ময়লা বা নোংরা পরিবেশে এদরকে দেখা যায় না।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
* ফুলের টব ভাঙ্গা হাড়ি পাতিল ,গাড়ির পরিত্যাক্ত টায়ার, কৌটা, নারিকেল বা ডাবের খোসা ইত্যাদি যেখানে স্বচ্ছ পানি থাকে সেখানে এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করে। তাছাড়া রেফ্রিজারেটর এবং এসির জমা থাকা পানিতেও এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করে। তাই কোন অবস্থায় এসব স্থানে পানি জমতে দেওয়া উচিত না।
* বাড়ির ভিতর অাশপাশ এবং অাঙ্গিনা পরিস্কার রাখতে হবে।
* দিনে বাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টাঙ্গানো উচিত।
* মশার কামড় থেকে বাচতে গা ঢাকা হালকা রঙের পোশাক পড়া উচিত।
* ডেঙ্গু অাক্রান্ত রোগীকে সবসময় মশারির ভিতর রাখতে হবে।
* বাড়ির ছাদ উঠানে কখনই বৃস্টির পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
* ওভার হেড পানির ট্যাঙ্ক ও অান্ডার গ্রাউন্ডে পানির রিজার্ভের মুখ সব সময় ঢেকে রাখতে হবে।
এডিস মশা কখন কামনায়ঃ অালো অাধাঁরীর সময় অর্থাৎ সকাল সন্ধ্যা কামড়ায় । দিনের অালোতেও কামড়ায়।
প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে ঃ সি বি সি অার প্লাটিলেট করলেই চলে।
কিভাবে ছড়ায়ঃ ডেঙ্গু জ্বরের এড়িস মশা কামড়ানোর মাধ্যমে।
ডেঙ্গু হওয়ার সময়কালঃ মে হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকাশঃ এডিস মশা মানুষের শরীরে কামড়ানের ৪/৬ দিন পর জ্বর হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর একজন মানুষের চার বার হতে পারে।
ডেঙ্গু রোগের প্রকারঃ সাধারণত দুই ধরনের ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। ১। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিবার বা জ্বর । ২। ডেঙ্গু হেমোরোজিক ফিবার বা জ্বর।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণঃ
* শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ ১০৪ ~ ১০৫ ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধিপায়।
* মাথা ব্যথা, মাংসপেশী , চোখের পিছনে , পেটে ব্যথা এবং হাড়ে বিশেষ করে মেরুদন্ডে ব্যাথা, অরুচি, বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে।
* চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ , চোখে রক্ত জমাট বাধা
* লালচে বা কালো রঙের পায়খানা । দাঁতের মাড়ি ,নাক মুখ ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
* রক্তচাপ বা প্রেসার হ্রাস পায়, নাড়ীর গড়ি দ্রুত বা ক্ষীণ হওয়া, ছটফট করা, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, শ্বাস কস্ট বা অজ্ঞান হয়ে পড়া।
* শরীরে হামের মতো দানা রা রেশ দেখা দেওয়া বা এলার্জির মতো চাকা চাকা হয়ে লাল হয়ে যাওয়া
* হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে শরীরের অন্তঃস্থিত বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হতে রক্তক্ষরণ এবং পেটে ফুসফুসে পানি জমতে পার।
* নারীদের ঋতুকালীন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু হলে করনীয়ঃ যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের কোন সু চিকিৎসা অাবস্কার করা সম্ভব হয়নি । সচেতনতা ও প্রতিরোধই ডেঙ্গুর জন্য যথেষ্ঠ। তবে নিচের বিষয় গুলো গুরুত্বের সহিত মনে রাখা উচিত।
* জ্বর দ্রত কমানোর জন্য মাথায় পানি দেওয়া ও ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দেওয়া।
* প্যারাসিটামল ব্যবহার করা যাবে কিন্তু এসপিরিন বা ব্যথার ঔষধ বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না।
* রোগীকে তরল পানীয় ও স্বভাবিক খাবার দিতে হবে এবং প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে।
* জ্বর ছাড়ার পরও রক্তক্ষরণ হতে পারে বলে সাবধানে থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলতে হবে।
মনে রাখবেন মানুষরুপী মুখোশধারী জানোযারের মতোই অাভিজাত্যের অাদলে বেড়ে উঠা এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু যেন কোন অবস্থায় মহামারী রুপ না নিতে পারে। এ ব্যাপারে সবার সহোযোগিতা ও সচেতনতার বিশেষ প্রয়োজন।
এডিস মশা
(জ্বর সম্পর্কে চিরন্তন সত্য একটা মন্তব্য দেই। যেটা সবাই জানেন না। বাস্তবিকপক্ষে জ্বর কোন রোগ না।
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, ইত্যাদি রোগ হলে জ্বর হয় অার ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, চিকনগুনিয়া রোগের চিকিৎসা দিলে জ্বর ভালো হয়। তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে যে জ্বর কোন রোগ নয় । জ্বর হলো বিভিন্ন রোগের উপসর্গ।)
ডাঃ এএইচএম কামাল হোসেন
ডি এ এম এস , ঢাকা।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো পোষ্ট; তবে, ব্লগের জন্য একটু দেরী হয়ে গেছে!
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: প্রাকিতিক গজব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য- প্রকিতিকে ভালোবাসতে হবে। যত্ন নিতে হবে।