নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বসে আছি অন্ধকারে, \nআমাকে বুঝতে দাও \nমানুষ কেন আলোর \nপ্রত্যাশা করে!

আসোয়াদ লোদি

জীবন ও যন্ত্রণার মরুচরে আমি প্রপাতের ধারা ।

আসোয়াদ লোদি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইরাস গজব ও কিছু প্রশ্ন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩২


করোনা ভাইরাস


পৃথিবী হচ্ছে সৃষ্টিশীল গ্রহ। বিশেষ করে প্রাণ সৃষ্টির উপযোগী গ্রহ। প্রাণ সৃষ্টির জন্য যে কয়টি মৌলিক উপাদান দরকার তার সবকটি পৃথিবীতে বিদ্যমান। মানুষ, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ যেমন প্রাণী তেমনি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসও প্রাণ, যদিও এদের অণুজীব বলা যাবে কিনা বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক। এসব ক্ষতিকর জীবাণু মানব দেহে প্রবেশ করে রোগ-ব্যাধির সৃষ্টি করে। এমন কি অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু মানুষের জন্য ক্ষতিকারক তা নয়, পশুপাখির জন্যও এরা ক্ষতিকারক। তবে উপকারি ব্যাকটেরিয়াও আছে। যেমন দধিতে থাকে এমন ব্যাকটেরিয়া।

অনেক সময় এসব জীবাণু মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন মানবসমাজে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি একসময় প্লেগ নামক রোগটি পৃথিবীতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। প্লেগ হল ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রামক ব্যাধি। প্রায় ৩০০০ হাজার বছর পূর্বে এই রোগটির অস্তিত্ব প্রথম জানা যায়। প্লেগ ইঁদুর থেকে মানব দেহে ছড়িয়ে পড়েছিল।

ইবোলা ভাইরাস আক্রান্ত শিশু

প্লেগকে ভারতীয়রা বলত মহামারী। ভগবত গীতায় (১৫০০-৮০০ খৃষ্টপূর্ব) এর উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঐ ঘর তারা দ্রুত পরিত্যাগ করত যেখানে ইঁদুর মরে পড়ে থাকত। খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে ইউরোপে প্লেগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। মধ্য এশিয়া, ভারত ও চীনে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। ১৬৬৪-৬৫ সাল পর্যন্ত প্লেগ লন্ডনে মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। সতেরো শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপে মাঝেমধ্যে এই রোগের আবির্ভাব হত।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে প্লেগ গুজরাট, কাথিওয়ার ও কুচ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে হায়দারাবাদ, আহমেদাবাদ ও ধলেরা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটে। ১৮৩৬ খৃষ্টাব্দে রাজপুতনার পালি শহরে এবং পরে আজমীর-মারওয়াতে এই রোগের বিস্তৃতি ঘটে। এরপর বেশ কিছু বছর প্লেগের সংক্রমণ না ঘটলেও ১৮৪৯-৫০ এবং ১৮৫২ খৃষ্টাব্দে আবার প্লেগ ভয়াবহ ভাবে দক্ষিণ ভারতে বিস্তার লাভ করে। ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে কলকাতায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। ১৮৯৬-১৯১৭ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে প্লেগের কারণে মৃতের সংখ্যা ছিল ৯৩ লাখ ১৫ হাজার ৮ শত ৯২ জন। ঐতিহাসিকদের মতে, প্লেগ মহামারীতে সারা পৃথিবীতে ২০০ বছরে প্রায় ১০ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

কলেরা আর একটি ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধির নাম। ইউরোপীয়রা বলত এশিয় কলেরা। এটিও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। আক্রান্ত ব্যাক্তির মল থেকে এই রোগের দ্রুত বিস্তার ঘটে। একসময় ভারতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। তৎকালীন বঙ্গে এই রোগকে বলা হত ওলাওঠা। এই রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য হিন্দুরা ওলাইচণ্ডী দেবীর পূজা করত। মুসলমানদের কাছে এই দেবী ওলাবিবি নামে পরিচিত ছিল। ওলাইচণ্ডী হলেন হিন্দুদের লৌকিক দেবী। মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যে এই দেবী বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন। ১৮০০ খৃষ্টাব্দের দিকে কলেরা পৃথিবীতে মহামারীর রূপ নেয়। এইসময়ে রাশিয়া ভারত ও চীনে প্রায় ৪ কোটি মানুষ মারা যায়। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এই রোগের ভয়াবহতা ছিল মারাত্মক।

ওয়াল্ডিমার হাভকিন

রাশান বংশোদ্ভুত ইহুদী বিজ্ঞানী ওয়াল্ডিমার হাভকিন প্লেগ ও কলেরার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে মানবজাতিকে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন। তৎকালীন ভারত সরকার তাঁর নামে ডাক টিকেট ছাপিয়েছিল।

ম্যালেরিয়া, যক্ষা, গুটিবসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইবোলা, সার্স, এইডস, ইয়েলো ফিভার প্রভৃতি মরণঘাতী ব্যাধিতে সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সারা বিশ্বে এই ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পর্যন্ত প্রায় তিন শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে চীনে। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বৈশ্বিক জরুরী অবস্থাও ঘোষণা করেছে।

আগুনে ঝলসানো মৃত ক্যাঙ্গারু

আমি লেখাটা এখানেই শেষ করতে পারতাম। কিন্তু কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর ও ব্যাখ্যা খোঁজে পাচ্ছিলাম না। নেপাল ও জাপানের ফুকুশিমাতে যখন ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রচুর প্রাণহানী হয়েছিল, এক শ্রেণীর মানুষ আহ্লাদী হয়ে বলত এটি আল্লাহর গজব। অস্ট্রেলিয়ায় যখন দাবানলে বন থেকে বনান্তর পুড়ে ছাই হলো, ৫০-৬০ কোটি বন্য পশুপাখি আগুনে ঝলসে মারা গেল, তখনও তারা বলল, সেটি আল্লাহর গজব। এখন সেই গজব এসেছে নাকি চীনের উপর। করোনা ভাইরাসও আল্লাহর গজব।

১। প্রশ্ন- কোরআনে সুরা কাফিরুনের শানেনজুল হল (সংক্ষেপে) ''তোমার প্রভু তোমার, আমার প্রভু আমার। তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার''। কোরআনের এই বিধান মতে নেপালি ও জাপানীরা তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রাখে। তাহলে তাদের উপর গজব দেয়ার কারণ কি ?

২। প্রশ্ন- ইসলামে পশুপাখি ও বৃক্ষরাজির ঈমান আনার কথা বলা হয়নি। তাই এদের উপর কোন আরোপিত ধর্ম নেই। তাহলে অস্ট্রেলিয়ার পশুপাখি ও বৃক্ষরাজি কি পাপ করেছিল যে তাদের উপর অগ্নি গজব নাজিল করতে হয়েছে ?

৩। প্রশ্ন- দেখা যায় আল্লাহর গজবের রোষানলে পড়ে মায়ের কোলের শিশুরও মৃত্যু হয়। এই মাসুম শিশুরা কি পাপ করেছিল যে, তাদের উপর গজব দিতে হয়েছে ?

৪। প্রশ্ন- বলা হয়ে থাকে গজব, এসব রোগব্যাধি আল্লাহ্‌ পরীক্ষার নিমিত্তে দিয়ে থাকেন। তাহলে শিশু, পশুপাখি, বৃক্ষ-এদের পরীক্ষার মান কি ?

কেউ এটিকে নেচিবাচক হিসেবে দেখবেন না। প্রশ্নের উত্তর খোঁজা নিশ্চয় অন্যায় কিছু নয়।









মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই উত্তর কেউ জানে না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৯

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: বাংলাদেশ জ্ঞানীর আঁতুড়।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

নতুন বলেছেন: যারা এইভাবে গজবের কথা বলে তারা নিবোধ ছাড়া কিছুই না। তাদের এড়িয়ে চলুন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২০

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ভাল পরামর্শ।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
সহজ সরল চিন্তা ভাবনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২১

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: সরল মনের ভাবনা আর কি

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো থাকুন। আর লিখুন।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: চেষ্টা করব।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন, সেগুলো এক দল গণ্ডমূর্খের কাছে করে লাভ কী?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৪

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: যদি পাই কোন আশার আলো

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। ভাবনা মন্দ নয়। প্রশ্নও মন্দ নয়।
ভাবলেই পথ মেলে। প্রশ্নে উত্তর মেলে। খুঁজেত হয়। মহাকালের মহাজ্ঞানের কত অল্প অংশই না আমরা জানি বলে দাবী করি!
ভাবলেই মনে হয় ইমাম গাজ্জালীর সেই মহান উক্তি! যার জ্ঞানের দ্যুতিতে জগত উজ্জ্বল- তিনি জ্ঞানের হাকীকত অনুভব করে বলেন-
"আমিতো জ্ঞান সমুদ্রে নামতেই পারলাম না, তীরে জ্ঞানের কিছু বালিকনা নিয়ে নাড়াচাড়ি করলাম মাত্র।"

আমি আক্ষরিক আপনাকে জানি বলছি না। আপনার মতোই অনুসন্ধানী মনে আপনার প্রশ্নগুলোর দেখার পর যা এলো ভাবনায় বলার চেষ্টা করছি।

১। প্রশ্ন- কোরআনে সুরা কাফিরুনের শানে নজুল হল (সংক্ষেপে) ''তোমার প্রভু তোমার, আমার প্রভু আমার। তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার''। কোরআনের এই বিধান মতে নেপালি ও জাপানীরা তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রাখে। তাহলে তাদের উপর গজব দেয়ার কারণ কি ?
<< প্রথম কথা হলো এর শানে নুজুল এটা নয়। শানে নজুল হলো আয়াত অবতীর্নের কারণ বা প্রেক্ষাপট। আর আয়াতের সবশেষ কনক্লুশান হলো দুই লাইন যা উল্লেখ করেছেন। যদিও বিচ্ছিন্ন আয়াত দিয়ে কোন অর্থ করা উচিত নয়, তবু আলাপের প্রয়োজনেই এটাকেই ধরে চলুন অনুভব করি- হুম প্রত্যেকের প্রভুকে যদি ভিন্নও ধরে নেই - প্রভুত্বের বিধান কিন্তু বদলায় না। তাদের প্রভুরাও তাদের কর্মফলের উপরই শাস্তি বা শান্তি দিয়ে থাকে। তাই তাদের উপরও গজব নেমে আসে তাদের কর্মের ফল হিসেবেই ;)

২। প্রশ্ন- ইসলামে পশুপাখি ও বৃক্ষরাজির ঈমান আনার কথা বলা হয়নি। তাই এদের উপর কোন আরোপিত ধর্ম নেই। তাহলে অস্ট্রেলিয়ার পশুপাখি ও বৃক্ষরাজি কি পাপ করেছিল যে তাদের উপর অগ্নি গজব নাজিল করতে হয়েছে ?

<< এটা আপনার অজ্ঞতা বা না জানা বলতে পারেন পক্ষিকুল সহ অন্যান্য সৃষ্টি সমূহ নিয়ে বলা হয়েছে এভাবে
‘তুমি কি দেখো না যে আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে যারা আছে, তারা এবং উড্ডীয়মান পক্ষিকুল তাদের পাখা বিস্তার করে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই জানে তার প্রার্থনার এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পদ্ধতি। তারা যা করে আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবগত।’ (সূরা আন-নূূর, আয়াত: ৪১)
তাহলে বোঝা গেল তাদেরও ধর্ম আছে এবং তারাই সে বিষয়ে সম্যক অবগত। আর গজবের বিষয়টা ৩ এর সাথে মিলিয়ে বলছি!

৩। প্রশ্ন- দেখা যায় আল্লাহর গজবের রোষানলে পড়ে মায়ের কোলের শিশুরও মৃত্যু হয়। এই মাসুম শিশুরা কি পাপ করেছিল যে, তাদের উপর গজব দিতে হয়েছে ?

<< প্রথম কথা হলো প্রচলিত বিশ্বাস- পাপ করে পাপিষ্ট, জ্বইলা মরে ঘর গুষ্টি! ;) অর্থাৎ ভুল একের হলেও শাস্তির বহুর উপর বর্তানোও একটা প্রাকৃতিক ধারা! আর মানুষের বিচারে চৌদ্দ পিড়ি বা বংশধরের হিসাব মিলিয়ে করা হয় বলে প্রচলিত জ্ঞানকে ধরে নিলে এর উত্তর মেলাতে পারবেন। আর মানুষ, পশু, পাখি প্রানীর সবার ক্ষেত্রেই জন্মান্তরবাদে সমাধান খুঁজে পাবেন।
অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষীকুলের জন্ম ভ্রমণ পথ সংক্ষিপ্ত করে তাদের পরজন্মের পথ কে সহজ করে দেয়া হিসেবেও দেখতে পারেন পজিটিভলি দেখলে।
আবার অন্যার্থে যাকে আপনি গজব বলছেন- তাই হতে পারে মুক্তির পথ! দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা মাত্র। যেমন তার জন্মচক্রের পূর্ণতায় তার যাত্রা সংক্ষিপ্ত হলো, বা নিশ্চয়ই এমন কথা শুনেছেন- বাচ্চা মারা গেলে মুরুব্বিরা সান্তনা দেন- কান্দিস না- এই বাবুর উসিলায়, তোরা জান্নাত পাবি! বাচ্চারাতো মা বাব ছাড়া থাকে না। তাই তোদের সে খূঁজে নেবে প্রভুর কাছ থেকে।
তাদের জন্মচক্রের পূর্নতা, বা পিতা-মাতার প্রতি করুনা বাহত্য যা গজব বলে সাধারণে ভাবছে!

৪। প্রশ্ন- বলা হয়ে থাকে গজব, এসব রোগব্যাধি আল্লাহ্‌ পরীক্ষার নিমিত্তে দিয়ে থাকেন। তাহলে শিশু, পশুপাখি, বৃক্ষ-এদের পরীক্ষার মান কি ?

<< দুই এর উত্তর অনুপাতে তারা যেহেতু পশু,পাকিও প্রভুর উম্মত এবং তাদের জন্যও বিধান রয়েছে যা আমরা অবগত নই, সেই অনুপাতেই তাদের মান নির্ধারিত হয়। যেমন ছোটকালে শুনে থাকবেন পশুপাখির বিচারের কথা - কোন সবল গরু অন্যায় ভাবে দুর্বল গরুকে গুতো দিল, বিচারে দুর্বলকে সবল করে দেয়া হবে এবং সবলকে দুর্বল করে দেয়া হবে। সে তেমনি গুতো দেবে। বিচার সমাপ্ত ;)
আর যদি ভুবন চুরাশীর জ্ঞান রাখেন তবে এর জন্যে রয়েছে জন্ম জন্মান্তরের কর্মের হিসাব। সেই মানেই তাদের রুপান্তর ঘটতে থাকে পূর্ন মুক্তির পূর্ণতা আসা পর্যন্ত।

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৮

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ব্যাখ্যা ভালই দিয়েছেন। তবে সেখানেও আরও প্রশ্নের জন্ম হয়ে যায়। সেদিকে আর গেলাম না। ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৫

আইজ্যাক আসিমভ্‌ বলেছেন: বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা রূপকথাকেও হার মানার, আর স্রষ্টার কর্ম রহস্যের জালে আবৃত আর রূপকথাকেও হার মানায়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: জটিল !

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

রানার ব্লগ বলেছেন: এমন প্রশ্ন আমারও !!! এই ব্লগেই একজন জ্ঞ্যানি আছেন অপেক্ষা করুন উনি মে বি ঘুমাচ্ছেন !! আপনাকে হাদিস কোরান দিয়ে প্রমান করে দিবে চীনা উইঘর (নাম হয়তো ঠিক নাই) মুসলমানদের বদ দোয়ার ফল স্বরূপ এই পরিনতি।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: মুসলমানদের কথা আল্লাহ্‌ শুনলে পৃথিবীতে তাদের এই অবস্থা হতো না।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু কিছু ঘটনা মানুষের কল্পনারও অতীত। কেন হয়, কেন ঘটে, কে ঘটায়, কিসের ভিত্তিতে ঘটায়............

সবচেয়ে ভাল জানেন সৃষ্টিকর্তা।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: পিকে ফ্লীমেও একটা ডায়লগ আছে- ম্যায় কিয়া জানু, ভগবান জানে।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ পরম করুণাময়। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, যেসব জাতি তাদের প্রতি প্রেরিত নবী রসুলদের অবজ্ঞা করেছিল, নির্যাতন করেছিল, তাদের উপর গজব নেমে এসেছিল।

কোন জনপদের অধিবাসীদের পাপের জন্য যদি গজব নেমে আসে, তবে আমাদের দেশের উপর গজব নামা ওভারডিউ হয়ে গেছে...

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: পৃথিবীতে ধর্ম ও গজবের সংখ্যা বেড়েছে, সমাধান কিছু আসেনি।

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সরল মনের ভাবনা আর কি
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.