নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে লেখার মত এমন স্পেশাল কিছু এখনও অর্জন করতে পারি নি। ভালো থাকুন সবাই,আর ভালো রাখুন চারপাশের সবাইকে।

আদিল ইবনে সোলায়মান

আদিল ইবনে সোলায়মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিস্ময়ের মহাকাশ ও নাস্তিক্যবাদীদের একটি প্রশ্নের জবাব!!!! ২য় পর্ব শেষ

২৪ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

পূর্ববর্তী পোস্ট দ্রষ্টব্য……

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন



❑ কিন্তু উপরের আকার-আকৃতি গুলো সূর্যের কাছে কিছুেই না!

সূর্যের সাথে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহগুলোর তুলনা

❑ চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন?

পৃথিবী। চাঁদ থেকে দৃশ্যমান।

❑ মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? দেখাই যাচ্ছে না যে! একটু জুম করে দেখুন…

মঙ্গল গ্রহ থেকে দৃশ্যমান পৃথিবী

❑ শনি’র রিং এর নিচ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন?

শনি’র রিং এর নিচ থেকে দৃশ্যমান পৃথিবী

❑ নেপচুন গ্রহ থেকে পৃথিবীকে দেখা যায়?

নেপচুন গ্রহের কিছুটা সামনে থেকে (চার বিলিয়ন মাইল দূরত্ব) দৃশ্যমান পৃথিবী

❑ চলুন আবার একটু পিছনে ফিরে যাই। সূর্যের সাথে পৃথিবীর আরেকটু তুলনা করা যাক। কি দেখছেন ছবিতে? আঁতকে উঠলেন নাকি!

সূর্যের আকারের সাথে পৃথিবীর আকারের তুলনা

❑ আমাদের সূর্য। মঙ্গল গ্রহ থেকে দেখুন কেমন দেখায়…

মঙ্গল গ্রহ থেকে দৃশ্যমান সূর্য

❑ কিন্তু এগুলো যেন কিছুই না! পৃথিবীর সমস্ত সমুদ্র সৈকতে যে পরিমাণ বালির দানা আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি (সূর্যের মত বা তার চেয়েও অনেক বড়) নক্ষত্র রয়েছে মহাশূণ্যে( سبحان الله) এমন যে, ‘অনেক বেশি’ না বলে অসংখ্য বললেও মনে হয় সংজ্ঞাটি পরিপূর্ণ হবে না!!!!!!…

নক্ষত্রের সংখ্যা ও বালির দানা

❑ এবার দেখুন আরেক দৃশ্য। এই নক্ষত্র নাকি সূর্যের চেয়েও ১,০০০,০০০,০০০ গুণ বড়!!! (সংখ্যাটি কত? )

VY Canis Majoris:
সূর্যের চেয়েও ১,০০০,০০০,০০০ গুণ বড় নক্ষত্র

❑ VY Canis Majoris এর তুলনায় সূর্যকে অনেকটা ক্ষুদ্র অর্থহীন বস্তু বলেই মনে হচ্ছে। তাই না? ছবিটি ভালো করে লক্ষ করুন আর বুঝুন।

VY Canis Majoris এর সাথে সূর্যের তুলনা

❑ কিন্তু… গ্যালাক্সি’র (ছায়াপথ) আকারের সাথে উপরের আকারগুলোর তুলনা করাই কষ্ট। এমনকি সূর্যকে যদি একটি রক্ত কণিকার মত ক্ষুদ্র ধরা হয় এবং মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি’কেও যদি একই স্কেলে ছোট করে দেখেন, তাহলে মিল্কিওয়ে’র আকার হবে United States এর সমান!!!! (আরেকটু বুঝে পড়ুন)

তুলনা: সূর্য বনাম মিল্কিওয়ে

❑ এক কথায় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বৃহদাকার… Huge… যার অভ্যন্তরেই আমার/আপনার বসবাস।

মিল্কিওয়ে, এর অভ্যন্তরেই আমাদের বসবাস

❑ আচ্ছা, রাতে বেলা আকাশে কতগুলো তারা (নক্ষত্র) আপনি দেখতে পান? গুণে দেখা সম্ভব? আপনি রাতের আকাশে যে পরিমাণ তারা দেখেন, তা নিচের ছবিতে দেখানো ছোট্ট হলুদ বৃত্তের এতটুকু…

মিল্কিওয়ের যতটুকু আমরা দেখি


❑ কিন্তু একি! আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি’র চেয়ে IC 1011 গ্যালাক্সি কত বড়!!!!!

IC 1011 গ্যালাক্সি, যা পৃথিবী থেকে ৩৫০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত

❑ চলুন আরও একটু বড় করে চিন্তা করা যাক। নিচের ছবিটি হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে তোলা। যেখানে রয়েছে হাজার হাজার গ্যালাক্সি, প্রেত্যেকটি গ্যালাক্সিতে রয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন নক্ষত্র ও তাদের নিজস্ব গ্রহসমূহ…★★আবার পড়ুন★★

অসংখ্য গ্যালাক্সি

❑ এটি আরেকটি গ্যালাক্সি। UDF 423। ১০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত!!!!!!…

UDF 423 গ্যালাক্সি, ১০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে

❑ মনে রাখবেন, ছবিতে যা দেখছেন তা এই বিশাল মহাবিশ্বের অতি সামান্য একটা অংশই মাত্র…

রাতের আকাশের ক্ষুদ্রতম অংশ

❑ এছাড়াও রয়েছে ব্ল্যাক হোল (কালো গহ্বর) সমূহ। নিচে একটি ব্ল্যাক হোলের ছবি দেখতে পাচ্ছেন যেখানে ব্ল্যাক হোলটিকে পৃথিবী ও নেপচুনের কক্ষপথের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ব্ল্যাক হোলের তুলনায় পৃথিবীর সম্পূর্ণ কক্ষপথ যেন একটি বিন্দু!!!! ব্ল্যাকহোল মানে কি জানেন তো? বড় বড় নক্ষত্রগুলো জ্বলতে জ্বলতে একসময় নষ্ট হয়ে যায়।আর নষ্ট হওয়া এইসব নক্ষত্রগুলোর শেষ ঠিকানা হয় ব্ল্যাকহোল মানে ব্ল্যাকহোলে পতিত হয়।

ব্ল্যাক হোল

❑ আরেকটি ব্ল্যাকহোলের ছবি



আমাদের এই সৌরজগতে প্রায় বিলিয়ন
খানেক তারকা আছে যাদের আয়তন
সূর্যের চাইতে লক্ষ গুন বেশি। এই সব
তারকার যখন জ্বালানী শেষ হয়ে যায়,
অর্থাৎ যখন তাদের আর জ্বালানী দেয়ার
ক্ষমতা না থাকে না, ফলে সে তার
চারপাশ থেকে জ্বালানী টানতে শুরু
করে। তখন তাদের ঠিকানা হয় এই সমস্থ ব্ল্যাকহোল সমূহে।

❑ আমাদের পৃথিবী…

পৃথিবী

❑ যদি একটু Zoom Out করে দেখা হয়…


❑ আরও একটু Zoom out করে দেখলে যা ঘটবে…


❑ আরও একটু…


❑ আরও একটু….


❑ আরও একটু…


❑ তারপর…


❑ …এবং পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বের সবটুকু এখানেই… এখানেই আমাদের বসবাস… যেন দৈত্যাকার বয়ামে ক্ষুদ্র পিপীলিকা.....


শেষ করবো এ যাবৎকালের আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় একটি গ্রহের পরিচিতি ও বিস্তৃতি নিয়ে।

❑ 2 MUS J2126-8140



একটি বিশাল গ্রহ নিয়ে তৈরি অতি
বিস্তৃত একটি সৌরজগতের সন্ধান
পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
জানা সৌরজগতগুলোর মধ্যে এটিকেই
সবচেয়ে বড় বলে মনে করছেন তারা।
সৌরজগতটি এত বড় যে এর কেন্দ্রে
থাকা তারকাকে প্রদক্ষিণ করতে
বিশাল ওই গ্রহটির ১০ লাখ বছরের
কাছাকাছি সময় লাগে!!!!! জানিয়েছে
বিবিসি।
গ্যাসীয় এই গ্রহটি এক ট্রিলিয়ন
কিলোমিটার দূর থেকে ওই
তারকাটিকে প্রদক্ষিণ করছে। এতে
গ্রহটির কক্ষপথ আকারে আমাদের
সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান প্লুটোর
কক্ষপথের চেয়ে ১৪০ গুণ প্রশস্ত হয়ে
দাঁড়িয়েছে।(জায়গা আর পরিধিটা সুপার কম্পিউটার দিয়ে হিসাব করুন!!!!)
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের
ব্যাপক বিস্তৃত অল্প কয়েকটি সৌরজগত
খুঁজে পাওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্যের "Royal
Astronomical Society'র
মাসিক নোটিশে নতুন এ আবিষ্কার
সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো
হয়েছে।
2 MUS J2126-8140 নামের ওই গ্রহটি
আমাদের সৌরজগতের সবেচেয়ে বড়
গ্রহ বৃহস্পতির চেয়ে ১২ থেকে ১৪ গুণ বড়।(!!!!!)
অস্ট্রেলীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
(ANU) জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. সিমন
মার্ফি বলেন, “কেন্দ্রীয় তারকা
থেকে এত দূরে এ ধরনের লঘু-ঘনত্বের
একটি বস্তু খুঁজে পেয়ে আমরা দারুণ
বিস্মিত হয়েছিলাম।”
“ধুলা ও গ্যাসের বিশাল একটি চাকতি
থেকে আমাদের সৌরজগত যে উপায়ে
তৈরি হয়েছে সেভাবে এই
সৌরজগতটি তৈরি হওয়ার কোনো
সুযোগ নেই,” বলেন মার্ফি।
এর আগে আমাদের জানা সবচেয়ে বড়
তারকা-গ্রহ পরিবারের আকার থেকে
এটি আকারে প্রায় তিনগুণ বড়। পৃথিবীর
প্রতিবেশী নবীন তারা ও বাদামি-
বামন তারাদের বিষয়ে একটি
জরিপকালে এই তারকা-গ্রহ
পরিবারটির খোঁজ পাওয়া যায়।
নবআবিষ্কৃত এই তারকা-গ্রহ
পরিবারটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০
আলোকবর্ষ দূরে আছে।

পরিশেষে বলবো, তারপরও যদি কারো মন সান্তনা খোঁজে না পায়, না বুঝে, তাহলে আমার আর কিছুই করার নেই। ভালো থাকবেন সবাই, ভালো রাখবেন চারপাশের সবাইকে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:১৫

ঘটক কাজী সাহেব বলেছেন: আরও একটু বুঝিয়ে বলা জায় কি।

২| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:২১

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: বেশ ভাল বিশ্বজগতের বিশালতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। তো আপনি নাস্তিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দিলেন? আপনি কি জানেন যে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যেই নাস্তিক সবচেয়ে বেশি?

৩| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩০

আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: @বাদিয়া কে বলছি, বাতির নিচেই অন্ধকারটা বেশি হয়

৪| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩১

আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: @বাদিয়া কে বলছি, বাতির নিচেই অন্ধকারটা বেশি হয়

৫| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৩১

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: বেশ বিশ্বজগতের বিশালতা সম্পর্কে জানলাম। কিন্তু নাস্তিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দিলেন বুঝলাম না। আপনি কি জানেন জ্যেতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যেই নাস্তিক সবচেয়ে বেশি?

৬| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১০

নতুন বলেছেন: @ আদিল ইবনে সোলায়মান ভাই... এতো কিছু জানার আগে একটু মন্তব্যের জবাব কিভাবে দিতে হয় শিখে নেন।

আমার জিঙ্গাসা গুলির উত্তরে কিছুই বললেন না যে...

উপরের যত কিছু জানালেন তার মনে হয় ৯৯.৯৯%ই কাফের/মুসরিক বিজ্ঞানীদের আবিস্কার এবং তাদের মাঝে বিরাট সংখ্যাই কিন্তু সৃস্টিকতায় বিশ্বাসী না । এর কারন কি হতে পারে??

সৃস্টিকতার বানী যাদের কাছে আছে তারা কেন এই সব কিছু আবিস্কার করতে পারছেন না?

আর একটা কথা.... এই বিলিওন বিলিওন তারার মাঝে কতগুলি গ্রহ থাকা সম্ভব যাতে প্রানের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব তারও কথা কিন্তু এই সব বিজ্ঞানীরা বলেছেন....

সৃস্টিকতার বইতে কিন্তু সেই সম্পকে বলা আছে??

শুধু ১৪৫++ বিলিওন মানুষের জন্য এতো বড় মহাবিশ্বের তৌরি দরকার ছিলো কি?

আমরা এই পৃথিবি পুরো মহাবিশ্বের তুলনায় একটা ধুলাকনার সমাননো না..... তবে আমাদের জন্যই এই মহাবিশ্বের সৃস্টি করেছেন সৃস্টিকতা`?

৭| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:০৮

সেতু আমিন বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞানকে আলাদা থাকতে দেন। আজ আপনি বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম প্রমাণ করবেন আর কালই আরেকজন বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বানোয়াট প্রমাণ করবে।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:২০

বিদ্রোহী চাষী বলেছেন: চমৎকা পোস্ট,অনেক কিছু জানলাম।নতুন@কে উত্তরটা দিবেন,কোরআনে একথা সুস্পস্ট বলা আছে,আমাদের এই পৃথিবীর মতো আরো পৃথিবী এই মহাবিশ্বে আছে।

৯| ২৪ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:২৭

বিবেক ও সত্য বলেছেন: মানুষের জ্ঞানের বিকাশর ফলে মানব রচিত ধর্মগুলোর অসারতা দিনে দিনে ধরা পড়ছে। আর ধর্ম যেহেতু পৈত্রিক সুত্রে পাওয়ার কারনে প্রানপ্রিয়, এ প্রানপ্রিয় জিনিসের পক্ষে জোড়াতালি দিয়ে যিনি বিজ্ঞানভিত্তি প্রমানের প্রচেষ্টা চালায় তার কথা শুনতেই ধর্মপ্রেমিকদের বেশি ভাল লাগে।

১০| ২৫ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:০৩

আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: কেউ ভূল বুঝবেন না। আমি বিজ্ঞান দিয়ে specific "ধর্ম"প্রমানের চেষ্টা করিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.