নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে লেখার মত এমন স্পেশাল কিছু এখনও অর্জন করতে পারি নি। ভালো থাকুন সবাই,আর ভালো রাখুন চারপাশের সবাইকে।

আদিল ইবনে সোলায়মান

আদিল ইবনে সোলায়মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবারের রমজান মাসে আপনার জন্য সেরা ১২ টি ফল!

১২ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬



ক্ষেত্রবিশেষ পানিশূন্যতা, দুর্বল ভাব, মাথা
ব্যাথা, মাথা ঝিম ঝিম করা
এগুলো রমজান মাসের সাধারণ
চিত্র। সারাদিন রোজা রেখে
শুধু পানি বা পানীয় খেয়ে
শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ
করা সম্ভব নয়। রোজা রেখেও
শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখতে
ফলমূলের জুড়ি নেই। মুখরোচক
খাবার একটু এড়িয়ে চলে রমজান
মাসের খাদ্য তালিকায়
ফলমূলকে প্রাধান্য দিয়ে দেখুন!
অবশ্যই উপকার পাবেন।

১: খেজুর


প্রথমেই আসছে খেজুর!
হুযূর পাক সাল্লা­ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
প্রিয় ফল ছিল খেজুর। তিনি
প্রতিদিন সকালে ৭টি খেজুর
খেযে নাস্তা করতেন। তিনি
রমযানের রোযায় সকল মুমিন
মুসলমানদেরকে খেজুর ও পানি
দিয়ে ইফতার করতে বলেতেন।এটি
রোজার সুন্নতগুলোর মধ্য অন্যতম।
একবার তিনি বলেছিলেন কারো
বাড়েিত যদি অল্প কিছু খেজুর
থাকে তবে তাকে গরীব বলা
যাবে না।
খেজুরের পুষ্টিগুন :
খেজুর শুধু একটি খাবারই নয়, এর
পুষ্টিমান ও অন্যান্য গুণাগুণ
রোজাদার ও অন্যদের শরীরের
অনেক চাহিদা যেমন পূরণ করে,
পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ-
ব্যাধি উপশমেও বেশ কার্যকর।
খেজুরের মধ্যে আছে
ক্যালসিয়াাম, সালফার, আয়রন,
পটাশিয়াাম, ফসফরাস,
ম্যাঙ্গানিজ, কপার,
ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬,
ফলিক এসিড, আমিষ, শকর্রাসহ
একাধিক খাদ্যমান। খেজুরের
বিভিন্ন ধরনের গুণাবলি নিয়ে
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
ক্যানসার প্রতিরোধ :
খেজুর পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ এবং
প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ন। এক গবেষনায়
দেখা যায় খেজুর পেটের
ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর
যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের
বেলায় ক্যানসারে ঝুকিটাও কম
থাকে।
দুর্বল হৃৎপিন্ড :
খেজুর হৃৎপিন্ডের কার্যমতা
বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিন্ড
খেজুর হতে পারে তাদের জন্য
সবচেয়েনিরাপদ ঔষধ।
মুটিয়ে যাওয়া রোধে :
কয়েকটা মাত্র খেজুর ক্ষুধার
তীর্বতা কমিয়ে দেয়। এবং
পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহনে
উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটা খেজুরই
কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শকর্রার
ঘাটতি পূরন করে দেয় ঠিকই।
মায়ের বুকের দুধ :
খেজুর বুকের দুধ খাওয়ানো
মায়েদের জন্য সমৃদ্ধ এক খাবার। এই
খেজুর মায়ের দুধের পুষ্টিগুন আরো
বাড়িয়ে দেয়। এবং শিশুর রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হাড় গঠনে :
ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমান
ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত
করে।
অন্ত্রের গোলযোগ :
অন্ত্রের কৃমি ও তিকারক পরজীবী
প্রতিরোধে খেজুর সহায়ক। এবং
খেজুর অন্ত্রে উপকারী
ব্যাকটেরিয়া তৈরী করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে :
খেজুর দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। সেই
সাথে রাত কানা রোগ
প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত
কার্যকর।
কোষ্ঠ কাঠিন্য :
খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টি গুন। যা
খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে।
এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য রোধ করে।
সংক্রমন :
যকৃতের সংক্রমনে খেজুর উপকারী।
এছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের
জ্বর, সর্দি, এবং ঠান্ডায় খেজুর
উপকরী।
বিষক্রিয়া :
খেজুর অ্যালকোহল জনিত
বিষক্রিয়ায বেশ উপকারী।
ভেজানো খেজুর খেলে
বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।
শিশুদের রোগ বালাই :
শিশুদের জন্যও খেজুর ভারী
উপকারী। খেজুর শিশুদের মাড়ী
শক্ত করতে সাহায্য করে।এবং কোন
কোন ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও
প্রতিরোধ করে।
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমানে
ভিটামিন, মিনারেল এবং
ফাইবার। এই সুস্বাদু খাবারে
আরো পাওয়া যায় জৈব তেল,
ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন,
পটাশিয়াম, ফসফরাস,
ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং
ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরকে সুস্থ
ও সতেজ রাখে।
ইফতারের শুরুতে খেজুর খান।



২: কমলালেবু


কমলা একটি সুস্বাদু ফল।
চোখ ধাধানো রঙ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর
বলে এই ফলটি সবারই খুব পছন্দ।
ফল হিসেবে, জুস করে কিংবা অনেক
রান্নাতেও কমলা ব্যবহার করা হয়।
প্রতিদিন কমলা খেলে শরীরের
নানান সমস্যা ও রোগ বালাই থেকে
দূরে থাকা যায়।
হাইড্রেশনের মাত্রা ৮৭
শতাংশ। কমলালেবু সাধারণত
মিষ্টি জাতীয় এবং দিনের
প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর
১০০ ভাগেরও বেশি ভিটামিন
সি এতে বিদ্যমান।
জুস অথবা ফ্রুট সালাদ করে
খেতে পারেন।
প্রতি ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে
ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯
মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩
মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০
মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম।
প্রতিদিন কমলা খেতে অনেকে পছন্দ
করেন না। সেক্ষেত্রে কমলার জুস
বানিয়ে খেতে পারেন। এতে
স্বাদটাও বাড়বে আবার পুষ্টিগুণও
কমবে না।
কমলার জুসের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
সি আছে যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়
ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে।
কমলার জুসে উপস্থিত ভিটামিন সি
দ্রুত সর্দি-কাশি সারিয়ে তোলে।
কমলাতে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
আছে যা ত্বকের সজীবতা বজায়
রাখে।
কমলার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি
যা যে কোনো ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে
সাহায্য করে।
কমলাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন
সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা
করে।
কমলাতে উপস্থিত লিমিনয়েড স্তন
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
কমলাতে আছে ভিটামিন বি যা
হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য ভালো।
কমলা বাংলাদেশের একটি বহুল
জনপ্রিয় ফল। কমলা শুধু খাদ্য বা ফল
হিসেবে নয় এর রয়েছে অনেক
উপকারী দিক যাকে ঔষুধিগুন বললেও
কম হবে না।
১) কমলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ
ভিটামিস সি যা দ্রুত পাকস্থলীর
কোষসমূহকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে
এটি খাদ্যনালীর হজম সমস্যা সারিয়ে
তোলে।
২) বিভিন্ন ধরনের পাচক রস নিঃসরণে
কার্যকরী ভুমিকার কারণে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, গ্যাস্ট্রিক ও
আলসার রোগ নিরাময় হয়, স্বাস্থ্য হয়
সুন্দর।
৩) রক্তে কোলেস্ট্ররল হ্রাস করায় তাই
কমলায় হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক
কমে যায়।
৪) কমলার রস কিনডিতে ক্যালসিয়াম
অক্সালেট অর্থাৎ কিনডির পাথর হতে
দেয় না। তাই বেশী কমলা খেলে
কিনডি সুস্থ থাকে।
৫) কমলা ত্বক রাখে সতেজ ও টানটান।

৩: স্ট্রবেরি


লাল, হৃদয় আকৃতির এই ফলটি শুধু
খেতেই স্বাদ তা নয়, বরং এর মধ্যে
এমন কিছু উপাদান আছে যা
শরীরের জন্য অনেক
উপকারী।জুন-জুলাই হচ্ছে স্ট্রবেরির ভরা মৌসুম। সুতরাং দামেও সস্তা পাবেন। শক্তিশালী
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফলের
সারিতে ৪র্থ স্থানে আছে
স্ট্রবেরি যার ৯২ শতাংশ
পানি। ভিটামিন সি-তে ভরপুর
স্ট্রবেরি যেমন স্বাদে মজার,
তেমনি এটি আমাদের
আর্টেরিস পরিস্কার রাখে
এবং রক্তে সুগারের মাত্রাও
নিয়ন্ত্রণ করে। স্ট্রবেরির মধ্যে
কোলেস্টেরল, চর্বি ও
সোডিয়ামের পরিমাণ খুবই
কম। এছাড়া এর মধ্যে
ভিটামিন এ, কে, ই, বি১,
বি২, বি৩, ও বি৬ রয়েছে।
আমরা স্ট্রবেরি বিভিন্ন
সালাদ, মিল্ক শেকের
সঙ্গে মিশিয়েও খেতে
পারি।
সেহেরীতে খাবারের সাথে
অথবা টক দই-এর সাথে স্ট্রবেরি
খেতে পারেন।

নিচে স্ট্রবেরি খাওয়ার
নয়টি উপকারিতা দেয়া
হলো-
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ
স্ট্রবেরির মধ্যে এমন কিছু
নিউটরিসিয়ান যেমন-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ ও
ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা
দেহের খারাপ
কলেস্টেরলগুলোকে
আটকিয়ে হার্টের
ধমনীগুলোকে ভালো
রাখে। তাই স্ট্রবেরি
খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে
যায়।



স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ যদি
আপনি আপনার স্মৃতিশক্তি
বাড়াতে চান তাহলে
প্রতিদিন খাওয়ার পর
কমপক্ষে একটি করে
স্ট্রবেরি খান। এর মধ্যে
ফেসটিন নামক একটি
প্রাকৃতিক ফ্ল্যাভোনয়েড
রয়েছে যা স্মৃতিশক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়া একটি গবেষণার
মতে, যদি কেউ সপ্তাহে
কমপক্ষে দুইটি করেও
স্ট্রবেরি খায় তাহলে
তাহলে তার স্মৃতিশক্তি
অনেক ধীরে ধীরে লোপ
পাবে।

ইমিউন সিস্টেম বাড়ায়ঃ
স্ট্রবেরির মধ্যে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন-সি
রয়েছে যা আপনার ইমিউন
সিস্টেমকে বাড়িয়ে দেয়।
এক কাপ স্ট্রবেরি জুসের
মধ্যে যে পরিমাণে
ভিটামিন-সি থাকে
তাতে করে শরীরের পুরো
এক দিনের ভিটামিন-সি এর
অভাব পূরণ হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস প্রতিহত
করেঃ স্ট্রবেরির মধ্যে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার রয়েছে
যা রক্তে শর্করার
মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে ও
ডায়াবেটিস প্রতিহত করে।

সুন্দর ত্বকঃ স্ট্রবেরির মধ্যে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ ও
ভিটামিন-সি রয়েছে যা
আপনার ত্বককে সুন্দর করে
তুলে ও বয়সের ছাপকে
কমিয়ে দেয়। এছাড়াও
স্ট্রবেরি আপনার ত্বকের
কালো দাগ দূর করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
স্ট্রবেরির মধ্যে যেহেতু
প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ
আছে তাই তা ক্যান্সার
প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে
জিথানাসিন্স ও লুটেইন
রয়েছে যা ক্যান্সার
কোষের বৃদ্ধিকে দমন করে।

হাড়ের জন্য ভালোঃ
স্ট্রবেরি খাওয়ার
আরেকটি কারণ হলো এটি
আমাদের হাড়ের জন্য
ভালো। স্ট্রবেরির মধ্যে
উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম,
ম্যাঙ্গানিজ ও অন্যান্য
মিনারেল রয়েছে যা
আমাদের হাড়ের বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে।

ওজন কমায়ঃ যেহেতু
স্ট্রবেরির মধ্যে খুব কম
মাত্রায় ক্যালোরি রয়েছে
তাই তা আমাদের ওজন
কমাতেও সাহায্য করে। এক
কাপ স্ট্রবেরি জুসের মধ্যে
মাত্র ৫৩ ক্যালোরি
রয়েছে।
চুল পরা বন্ধ করেঃ
স্ট্রবেরির মধ্যে ফলিক
অ্যাসিড, ইল্লাগিক
অ্যাসিড, ভিটামিন-বি৫ ও
ভিটামিন-বি৬ আছে যা
চুলের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়া
আপনি বাসায় স্ট্রবেরি
মাস্ক তৈরি করতে পারেন
যা চুলের জন্য উপকারী।
স্ট্রবেরির মধ্যে প্রচুর
পরিমাণে প্রাকৃতিক
গুণাবলী রয়েছে, যা
শরীরের জন্য অনেক ভালো।
তাই প্রতিদিন কেউ কমপক্ষে
একটি করে স্ট্রবেরি খেলে
শরীরে কোনো রোগের
বাসা বাঁধতে পারবে না।

৪: তরমুজ



এবারের রোযায় গরম পড়তে পারে।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে তরমুজের
জুড়ি নেই। তরমুজের উপকারিতার শেষ
নাই। এই ফলে শতকরা প্রায় ৯২ ভাগ
পানি আছে। তাই তরমুজ খেলে সহজেই
পানির তৃষ্ণা মেটে। তরমুজের বিশেষ
কয়েক ধরনের অ্যামাইনো এসিড
নাইট্রিক অক্সাইড, বিটা ক্যারোটিন,
ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬,
ভিটামিন বি ১ রয়েছে। এসকল
উপাদান অত্যন্ত জরুরি।
তরমুজের হাইড্রেশন ধরে রাখার
ক্ষমতা ৯২ শতাংশ। এর মধ্যে প্রচুর
পরিমানে পানি এবং সুগার
থাকে। সেই সাথে থাকে
ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম,
সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম
জাতীয় রিহাইড্রেশন সল্ট যা
পানির থেকেও
উপযোগীভাবে শরীরের
ডিহাইড্রেশন দূর করে।
ইফতারে হালকা পানীয়
হিসেবে তরমুজের জুস করে
খেতে পারেন।
এছাড়াও
তরমুজে অনেক গুনের উপাদান রয়েছে,
যা শরিরের জন্য অনেক উপকারী।
* তরমুজের বিশেষ কয়েক ধরনের
অ্যামাইনো এসিড নাইট্রিক অক্সাইড
তৈরি করে রক্তের স্বাভাবিক
কার্যপ্রণালী বজায় রাখে।
* তরমুজ রয়েছে পটাশিয়াম যা, উচ্চ
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য
করে।
* বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ
চোখ ভালো রাখে, ত্বককে ইনফেকশন
থেকে রক্ষা করে।
* তরমুজে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন
বি ১ শরীরে এনার্জি তৈরিতে
সাহায্য করে।
* এতে বিদ্যমান ভিটামিন সি
কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে।
* পটাশিয়াম শরীরে ফ্লুইড ও
মিনারেলসের মধ্যে ভারসাম্য বজায়
রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনিতে
পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।
* অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তরমুজ
ফ্রির্যাডিকেলস প্রশমিত করে।
ফ্রির্যাডিকেল রক্তনালীতে
কোলেস্টেরলের স্তর তৈরি করে
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাঁড়ায়।
* খোসাসহ তরমুজ ক্যান্সার রোগীদের
জন্য অনেক উপকারী।
* অ্যাজমা, ডায়াবেটিসের মতো
রোগে ব্যথা উপশমে তরমুজ সাহায্য
করে।
* তরমুজের বিঁচি অন্ত্রের জন্য
উপকারী।
* তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খুব
কম পরিমাণে ক্যালরি আছে। তাই
তরমুজ খেলে পেট ভরে যায় কিন্তু সেই
অনুযায়ী ক্যালরী শরীরে প্রবেশ করে
না। ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম
থাকে।
* রোদে পোড়া ত্বক স্বাভাবিক করতে
রূপচর্চায় তরমুজ অনেক উপকারী।
* তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
* প্রশ্রাবের জ্বালা কমাতে তরমুজ
গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

৫: আঙ্গুর


আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে
রেজভিরেট্রল নামক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা
হৃদপিণ্ডের বন্ধু হিসেবে কাজ
করে। বেগুনি, লাল, কাল বা সবুজ
যে রঙের আঙ্গুর-ই হোক না কেন
প্রত্যেক কামড়ে আপনি পাবেন
প্রচুর পরিমান পানি।
স্বাদ ও পুষ্টি
জোগানোর সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা
কাজও করে থাকে আঙ্গুর। তা হলো
শরীরের মেদ কমিয়ে মানুষকে মোটা
হওয়ার প্রবণতা থেকে রক্ষা করা। এতে
পলিফেনলস নামে এমন একটি উপাদান
আছে, যা পরিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে
সম্পন্ন হতে সহায়তা করে। এর ফলে
বিপাকজনিত সমস্যা থেকেও মুক্ত
থাকতে পারে মানুষ। এছাড়া শিরা-
উপশিরাসহ পুরো দেহযন্ত্র সঠিকভাবে
কাজ করতে পারে। এই উপাদানটিই
মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক
উপাদানগুলোর পরিমাণ কমিয়ে
আনতে ভূমিকা পালন করে।
পরিপাক ক্রিয়াজনিত সমস্যার কারণে
আপনি আক্রান্ত হতে পারেন উচ্চ
রক্তচাপ, রক্তে সুগারের প্রকোপ,
অস্বাভাবিক হারে মেদবৃদ্ধি, হৃদরোগ
ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে। আঙুর
খেতে অভ্যস্ত লোকদের ক্ষেত্রে এসব
ঝুঁকি অনেকটাই কম। নিয়মিত আঙুর
খেলে আপনি পরিপাকজনিত সমস্যা
থেকে মুক্ত থাকবেন এবং দেহ দীর্ঘ
কর্মক্ষম থাকবে।
স্লাইস করে ফ্রুট সালাদে
রাখতে পারেন বা পুরোটা
একবারে খেতে পারেন।

৬: বাতাবী লেবু বা জাম্বুরা


হাইড্রেশনের মাত্রা ৯০
শতাংশ। সুস্বাদু কিন্তু ঝাঁঝালো
স্বাদের বাতাবী লেবুতে
থাকে ৩০ ক্যালরি এবং
পরিশোধনকারী লেমেনয়েড।
গবেষণায় পাওয়া গেছে যে
এরা ক্যান্সার টিউমার দমনে
সাহায্য করে।

৭: ডাবের পানি


উৎকৃষ্ট পানীয় ডাবের পানি।
ডাবের পানিতে ৯৫ শতাংশ
হাইড্রেশনের ক্ষমতা থাকে।
এটাতে তুলনামূলক কম সোডিয়াম
এবং কার্বোহাইড্রেট পাওয়া
যায় যা শরীর সতেজ করে
তোলে। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য
পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর
পরিমাণে। বমি হলে মানুষের রক্তে
পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়।
ডাবের পানি পূরণ করে এই ঘাটতি।
তাই অতিরিক্ত গরম, ডায়রিয়া, বমির
জন্য উৎকৃষ্ট পানীয় ডাবের পানি। এতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে। কারণ, পানি বেশি পান করলে কিডনির কাজ করতে সুবিধা হয়, দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে, ত্বকসহ প্রতিটি
অঙ্গে পৌঁছায় বিশুদ্ধ রক্ত। ফলে পুরো
দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী।
এতে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল
নেই। প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান
থাকার জন্য বাড়ন্ত শিশু থেকে শুরু করে
বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য ডাবের পানি
যথেষ্ট উপকারী। তারুণ্য ধরে রাখতে
ডাবের পানি যথেষ্ট উপযোগী। এতে
চিনির পরিমাণও অল্প। তবে
ডায়াবেটিসের রোগীরা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে
ডাবের পানি খাবেন। কিডনিতে
পাথর হয়েছে বা ডায়ালাইসিস
চলছে, এ ধরনের রোগীরা এই ফল
খাবেন না। কারণ, এতে রয়েছে
উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনি
রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু যারা
সুস্থ মানুষ, তাদের কিডনির জন্য
ডাবের পানি আশীর্বাদস্বরূপ। কিডনি
দেহের ছাঁকন যন্ত্র। এই অঙ্গ শরীরের
নোংরা ও ক্ষতিকর অংশগুলোকে
দেহের বাইরে বের করতে সাহায্য
করে। এই ফলে নেই কোনো ভিটামিন
এ। তার পরও শরীরের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চমাত্রার ক্যালসিয়াম রয়েছে
ডাবের পানিতে, যা হাড়কে করে
মজবুত। সেই সঙ্গে জোগায় ত্বক, চুল, নখ ও দাঁতের পুষ্টি। ডাবের পানি সম্বন্ধে যে সকল গুজব প্রচলিত আছে সেগুলোতে কোন ভ্রুক্ষেপ না
করে একে আল্লাহর দেওয়া বিশেষ নেয়ামত মনে করে পান করুন।

৮: কলা



বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি
সুস্বাদু ফল হলো কলা। দেখতে
আকর্ষনীয় এবং স্বাদে অতুলনীয় এই
ফলটি ছোট বড় সবারই প্রিয় একটি ফল। শরীর সুস্থ্য ও চাঙ্গা রাখতে রোজ কলা খান। কলা স্বাদে মিষ্টি এবং
সুস্বাদু। সারা বছরই এর ফলন হয় বলে এটি
সহজলভ্য ও সস্তাও বটে। এটি ভিটামিন এবং
মিনারেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ
উৎস। একটি মাঝারি আকৃতির
কলাতে প্রায় ৪০০ মিলি গ্রাম
পটাশিয়াম থাকে যা উচ্চ
রক্তচাপ এবং
অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস
থেকে রক্ষা করে। এর মধ্যে
ফ্যাটের পরিমাণও কম থাকে।
কলার আছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি
উপাদান যা শরীর কে সুস্থ রাখে ও
সতেজ রাখে। প্রতিদিন দুটি করে কলা
খেলেই সারাদিনের পুষ্টির যোগান
পাওয়া যায়
প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় আছে
১১৬ ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম
৮৫মি.গ্রা., আয়রন ০.৬মি.গ্রা. , অল্প
ভিটামিন সি, ভিটামিন বি
কমপ্লেক্স ৮মি.গ্রা., ফসফরাস
৫০মি.গ্রা.,পানি ৭০.১%, প্রোটিন ১.২%,
ফ্যাট/চর্বি ০.৩%, খনিজ লবণ ০.৮%, আঁশ
০.৪%,শর্করা ৭.২%।
কলার স্বাস্থ্য উপকারীতাঃ
যারা রক্ত শূন্যতায় ভুগছেন তাদের
জন্য কলা খুবই উপকারী একটি ফল। কারণ
কলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে।
কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে
পটাশিয়াম। তাই নিয়মিত কলা খেলে
হাড় ভালো থাকে।
যারা নিয়মিত বুক জ্বালাপোড়ার
সমস্যায় ভুগেন তাঁরা প্রতিদিন একটি
করে কলা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন
সহজেই।
মিনারেলে ভরপুর কলার খোসা
দাঁতকে সাদা ঝকঝকে করে তুলে।
কলায় ট্রিপ্টফ্যান আছে যা
সেরোটনিনে রূপান্তরিত হয়ে মন
ভালো করে দিতে সাহায্য করে। তাই
নিয়মিত কলা খেলে বিষণ্ণতা দূর হয়।
স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্যেও কলা
উপকারী।


৯: আনারস


চরম সুস্বাদু এবং রসালো এই
ফলের মধ্যে থাকে
ব্রোমেলিন। ব্রোমেলিন একটি
মিশ্র উপাদান যার মধ্যে
জ্বালা-পোড়া কমানোর
ক্ষমতা থাকে। অন্য কথায়,
আনারস একটি দীর্ঘমেয়াদী
ব্যাথানাশক ঔষধ হিসেবেও
কাজ করে।

১০: আম


ফলের রাজা আমের মধ্যে
থাকে ১৩৫ ক্যালরি, ভিটামিন
এ, বি৬, ও সি এবং ফাইবার।
সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়ায় এই
ফলের ফলন হয়। তাই আমাদের
দেশে এর প্রাচুর্যতার শেষ নাই।
কাটবেন এবং খাবেন। চাইলে
জুস করেও খেতে পারেন।

১১: আপেল




১টি আপেল ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা!
প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে
নাকি ডাক্তারের কাছে যেতে হয়
না, এ কথাটি অনেকেই হয়তো
শুনেছেন। আপেল একটি সুস্বাদু ফল। আপেল খেলে পেটও ভরে বলে হালকা নাস্তা হিসেবে আপেলের জুড়ি নেই। চোখ ধাঁধানো রঙ এর কারণে ছোটরাও বেশ পছন্দ করেই খায় এই ফলটি। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রতিদিন আপেল খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য
উপকারীতা সম্পর্কে।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে
সহায়তা করে । আপেলের মধ্যে
পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান
থাকে যা শরীরকে কোলন ক্যান্সার
থেকে দূরে রাখে। ফুসফুসের ক্যান্সার
ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেও
আপেলের ভূমিকা আছে।

হার্ট ভালো রাখেঃ আপেলে
রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট
উপাদানসমূহ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের
জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকেঃ প্রতিদিন
গড়ে ৩টি আপেল খেলে ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ সহজ হয়।

দাঁত ভালো রাখেঃ আপেলের রস
দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
ধ্বংস করে। ফলে দাঁত ভালো থাকে।

হজম ক্ষমতা বাড়েঃ প্রতিদিন আপেল
খেলে হজমের জন্য উপকারী
ব্যাকটেরিয়া তৈরী হয় পেটে| ফলে
হজম শক্তি বাড়ে।

হাড় শক্ত করেঃ আপেলে আছে
পর্যাপ্ত পরিমাণে বোরন যা হাড়কে
শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধঃ
প্রতিদিন আপেল খেলে বয়সজনিত
জটিল অ্যালঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ
করা সম্ভব হয়।

পানিশুন্যতা দূর করেঃ আপেলে আছে
প্রচুর পরিমানে পানি যা তৃষ্ণা ও
পানিশুন্যতা দূর করে এবং শরীরকে
ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
করেঃ আপেলে পেকটিন নামের
একটি উপাদান থাকে। পেকটিন
ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে
সহায়তা করে।

১২: পেয়ারা


দেহকে সুস্থ রাখতে পেয়ারার
পেয়ারা একরকমের সবুজ রঙের বেরী
জাতীয় ফল । তবে অন্যান্য বর্ণের
পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। লাল
পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড
আপেলও বলা হয়। পেয়ারার
বৈজ্ঞানিক নাম Psidiun guajava ।
পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি
প্রজাতি আছে। এটি একটি পুষ্টিকর ফল।
এটি ভিটামিন এ, সি,
ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট,
পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম
প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। যা আপনার শরীরের
নানা রকম রোগ প্রতিরোধে কাজ
করে থাকে। জেনে নিন দেহকে সুস্থ
রাখতে পেয়ারার অনন্য
উপকারিতাগুলো।
উপকারিতাঃ
* উচ্চ রক্তচাপ রোধে
পেয়ারা উচ্চ রক্তচাপ রোধে অনেক
বেশি কার্যকরী। পেয়ারাতে
রয়েছে পটাশিয়াম যা দেহে উচ্চ রক্ত
চাপের জন্য দায়ী সোডিয়াম এর
প্রতিক্রিয়া দূর করতে সহায়তা করে।
ডাক্তারদের মতে উচ্চ রক্তচাপের
রোগীদের সপ্তাহে ৫টি পেয়ারা
খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এতে করে
কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক থাকে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারার ফাইবার রক্তের চিনি শুষে
নেয়ার ক্ষমতা রাখে, যা দেহকে
ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়ার হাত
থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও
পেয়ারার এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করতে সহায়তা করে।
* স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ
পেয়ারায় রয়েছে উচ্চ মাত্রার
ভিটামিন সি। একটি কমলালেবুর
চেয়ে বেশি পরিমাণ ভিটামিন সি
রয়েছে একটি পেয়ারাতে।
পেয়ারার ভিটামিন সি চামড়ার
ইনফেকশনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ
করে ও ত্বকে ক্যান্সার প্রতিরোধী
স্তর গঠন করে। ফলে ত্বক ক্যান্সারের
হাত থেকে রক্ষা পায়।
* বুদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুদের
বুদ্ধি বিকাশে পেয়ারার সব চাইতে
বেশি কার্যকরী। পেয়ারায় রয়েছে
ভিটামিন বি৩ ও নিয়াসিন যা
মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্য
বজায় রাখে ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা
বাড়ায়। পেয়ারার ভিটামিন বি৬ ও
পিরিয়ডক্সিন মস্তিষ্কের নার্ভের
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
* চোখের সুরক্ষায় পেয়ারা
পেয়ারায় আছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন এ যা চোখের সুরক্ষায় অতি
কার্যকরী। ভিটামিন এ রাতকানা
রোগ সহ চোখের ক্ষীণ ও দীর্ঘদৃষ্টি সহ
সকল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ডাক্তাররা ছোট শিশুদের ছোটকাল
থেকেই পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস
গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন
চোখের সুরক্ষার জন্য।
* ত্বকের যত্নে
মুখের ত্বকের বয়েসের ছাপ দূর করতে
পেয়ারার জুড়ি নেই।
ডারমাটোলজিস্টদের মতে দিনে
অন্তত ১ টি পেয়ারা খেলে আপনি
আপনার ত্বককে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া
থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
পেয়ারার ভিটামিন সি ও ই এবং
আস্ট্রিঞ্জেন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ত্বককে পুষ্টি যোগায় ও ভেতর থেকে
ত্বকের ক্ষতি দূর করে। এবং সূর্যের
ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি
থেকে ত্বককে রক্ষাকারী
‘লাইকোপেন’ ও রয়েছে পেয়ারাতে।
এছাড়া পেয়ারা কাঁচা অবস্থায়
খেলে বিশেষ কিছু পুষ্টিগুন পাওয়া
যায়। এগুলো হলোঃ
- কাঁচা পেয়ারা হৃদ রোগে উপকার
করে
- কাঁচা পেয়ারা লবন দিয়ে খান
কাশের ভাল উপকার হবে
- কাঁচা পেয়ারা রক্ত বর্ধক
- পেয়ারা বাত পিত্ত কফ নাশক
- শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কাঁচা
পেয়ারা অত্যন্ত উপকারী
- যাদের হাতে পায়ে জ্বালা কাঁচা
পেয়ারায় উপকার পাবেন
- পেয়ারা পাতা দাঁতের মাড়ি
ব্যথায় উপকার
- তুলশি, গিলা এবং পেয়ারা পাতা
সেদ্ধ জল জ্বরের জন্য অত্যন্ত উপকারী
- কাঁচা পেয়ারা আনন্দ দায়ক
- নেশা মুক্তির জন্য কাঁচা পেয়ারার
পাতা সেদ্ধ জল খাওয়ান।
ভিটামিন-সি আর ময়েশ্চারসমৃদ্ধ ফল
পেয়ারা। পেয়ারা বর্ষাকালীন ফল
হলেও বর্তমানে বাজারে ও
অলিগলিতে মেলে এই ফলের সন্ধান।
প্রায় এক হাজার ৩০ ইন্টারন্যাশনাল
ইউনিট ভিটামিন-এ এবং ৩৭৭
মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি রয়েছে এই
পেয়ারায়। উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ ও
‘সি’ ত্বক, চুল ও চোখের পুষ্টি জোগায়,
ঠান্ডাজনিত অসুখ দূর করে। ত্বকের
স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ময়েশ্চার জরুরি।
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ময়েশ্চার, যা তারুণ্য বজায় রাখে
দীর্ঘদিন, ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে ও
শীতে পা ফাটা রোধ করে।
পেয়ারার ভিটামিন-এ ছোটদের
রাতকানা রোগ ভালো করে। তবে
বাচ্চারা পেয়ারার বীজ হজম করতে
পারে না। তাই তাদের বীজ বাদ
দিয়ে পেয়ারা খাওয়ানো উচিত।
একটা পেয়ারায় রয়েছে চারটি
কমলালেবুর সমান পুষ্টি। তাই সপ্তাহে
অন্তত একটি হলেও পেয়ারা খাওয়া
উচিত। পেয়ারার খোসায় রয়েছে
আঁশজাতীয় উপাদান। পেয়ারার
ভেতরেও রয়েছে আঁশ, যা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও পাকস্থলীর
ক্যানসার দূরীকরণে রাখে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা। পেয়ারায় রয়েছে
ক্যারটিনয়েড, পলিফেনল,
লিউকোসায়ানিডিন ও
অ্যামরিটোসাইড নামক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাখে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা। ত্বককে ক্ষতিকর
আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা
করে। ত্বক, চুল ও দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
করে। পুষ্টির বিচারে পেয়ারা হোক
সবার নিত্যসঙ্গী।


পুরো রমজান মাস জুড়ে আপনার
ঘরে থাকুক এসব পুষ্টিকর ফলের
সমাহার। ইফতার এবং সেহেরীতে
নিয়মিত ফল খান। সহজে পাওয়া
যায় ও তৈরি করার ঝামেলা
নেই বলে ইফতার ও সেহেরীতে
ফলমূল আদর্শ খাবার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: ওগুলো শুধু ধনীদের জন্য।
আমাদের গ্রামের লোকদের জন্য আরো দুষ্প্রাপ্য।

পোস্টে ++++

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

আদিল ইবনে সোলায়মান বলেছেন: !!! 8-|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.