নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকার টিকে থাকার জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় তা হল ইনসাফ। ইনসাফকে শুধুমাত্র ন্যায়বিচার শব্দ দ্বারা পরিমাপ করলে ভুল হবে ন্যায় বিচার ইনসাফের একটি অংশ। ইনসাফ ন্যায় বিচার থেকেও বড় বিষয় । যা কল্যানকামী রাষ্ট্রব্যাস্থার ধারনার সাথে বহুলাংশে মিল বলা যেতে পারে।###একটি রাষ্ট্র গনতন্ত্র ছাড়া চলতে পারে এবং রাষ্ট্রের সরকারও টিকে থাকতে পারে। কিন্তু ইনসাফ না থাকলে সরকার টিকে থাকতে পারে না। ।আল্লাহ তা'আলা ফিরউনের রাজত্ব ধ্বংস করেছিলেন তার কুফরীর কারনে নয় বরং ইনসাফ পদলংঘিত হয়ে জুলুম প্রতিষ্ঠার কারনে। এমনিভাবে পৃথিবীর বড় বড় শক্তি ধ্বংস হয়েছে ইনসাফ না থাকার ফলে।######একটি রাষ্ট্রে যদি ইনসাফ থাকে তবে চরম দারিদ্রতা সত্বেও রাষ্ট্রের জনগন সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে না । সরকার যদি ইনসাফ কায়েম করতে পারে তবে তার জন্য কেবল কুচক্রী মহল থেকে নিজেকে সাবধান রাখা যথেষ্ট হবে। এর অর্থ হল সরকারের শত্রু তখন কেবল মুষ্টিমেয় কুচক্রী মহল , দেশী অথবা বিদেশী সেটা যাই হোক না কেন। কিন্তু সরকার যদি ইনসাফ কায়েম না করে তবে সরকারের শত্রু উচ্ছিষ্টভোগী ক্ছিু লোক ছাড়া সমগ্র দেশের জনগন। এতএব বিদ্রোহ যে কোন মুহুর্তে যে কোন স্থান থেকে হতে পারে।###রাষ্ট্রের চরম অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্বারাও এ বিদ্রোহ দমন করা যাবে না। কারন মানুষ কেবল মাত্র তার জৈবিক বিকাশই চায় না, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্বারা সাধিত হয়। বরং তার মানবিক বিকাশও চায় । মানুষ জীব হিসাবেই কেবল বাচতে চায় না বরং মানুষ মানবিক সত্বার বিকাশের মাধ্যমে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে চায়। আর সেই মানবিক মর্যাদা বিকাশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র তখনই বাধা হয়ে ওঠে যখন রাষ্ট্রের মধ্যে ইনসাফ থাকে না। ######এ কথাও সত্য যে চরম দারিদ্রতা মানুষের মনুষ্যত্বকে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু চরম দারিদ্র্তা প্রাকৃতিকভাবে সুদীর্ঘ সময় টিকে থাকে না। বরং রাষ্ট্রীয় ইনসাফ না থাকার ফলশ্রুতিতে সুদীর্ঘকাল অভাব টিকে থাকে। ######এ চরমসীমা থেকে যদি রাষ্ট্রের জনগন সরকার উচ্ছেদের মাধ্যমে উত্তরন হতে ব্যর্থ হয় তবে এর ফলাফল দুভাবে রাষ্ট্রের সামনে উপস্থিত হতে পারে। (চলবে)
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নজসু বলেছেন: