নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৮৩১আবীর১৯৮৩

৮৩১আবীর১৯৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র, সরকার এবং ইনসাফ (পর্ব:২)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

পূর্ব প্রকাশের পর।

যে দুটিরূপে ফলাফল বিকাশ লাভ করতে পারে তার প্রথমটি হল , জনগন চরমভাবে নীপিড়ীত হবে এবং রাষ্ট্রের সমুদয় অর্থ ক্রমান্বয়ে ছোট ছোট থেকে ছোট জনগোষ্ঠীর হাতে চলে যাবে এবং জনগন নীরবভাবে তা মেনে নিবে। এবং তারা হবে আধুনিক দাস।

আর দ্বিতীয়টি হল জনগনই প্রচন্ড রকম দূর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠবে, রাষ্ট্রীয় ইনসাফের অবক্ষয়ের সাথে সাথে সামাজিক, পারিবারিক, ব্যক্তিগত জীবন সবর্ত্র বেইনসাফী পরিলক্ষিত হবে। এ অবস্থা প্রথম অবস্থা থেকে ভয়ংকর, কারন এ অবস্থায় রাষ্ট্রের অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হবে।

গনতন্ত্র ছাড়া সরকার টিকে থাকতে পারে এমনকি উন্নয়ন ছাড়াও। কিন্তু ইনসাফ ছাড়া সরকার টিকে থাকতে পারে না, এমনকি রাষ্ট্রব্যবস্থাও ধ্বংস হয়ে যায়।

একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন বিষয় হল ইনসাফ। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক গতি সচল এবং টেকসই করার জন্য ইনসাফ অত্যন্ত জরূরী।
ইনসাফের মূল বিষয়ই হল ন্যায়বিচারের করা এবং দূর্বল অসহায়ের সাহায্য করাকে রাষ্ট্রের প্রধান নীতিতে পরিনত করা। সম্পদের সুষম বন্টন ধনতান্ত্রিক কাঠামোতে হতে পারে না অনুরূপ সম্পদের গতিসাধন সামাজতান্ত্রিক কাঠামোতে সম্ভব নয়। একই সাথে ব্যক্তিবিকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে সমাজতান্ত্রিক কাঠামো জন্ম দেয় একটি স্থবির সমাজব্যবস্থা। তবে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা যে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে প্রবর্তন হয়েছিল সেটির মূল চেতনার সাথে দ্বিমত হওয়ার কোন কারন নেই। ধনতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক দুটির মধ্যে যে সমস্যা বিদ্যমান তা থেকে মুক্তি দিতে পারে অর্থনৈতিক সামাজিক সুবিচার ব্যবস্থা। আর এ ব্যবস্থার প্রধান নিয়ামকই হল ইনসাফ। (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.