নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৮৩১আবীর১৯৮৩

৮৩১আবীর১৯৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালেদা উপড়ানো শুরু করলে তা খুব বেশী নির্দয়ও হতে পারে

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২০

মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন তাদের বিচার করছেন ........আদালত। শেখ মুজিব তাদের ক্ষমা করেছিলেন বলে যে জাতি তাদের ক্ষমা করেছে এরকম নয়। এতএব তাদের বিচারের আওতায় আনা যথাযথ। আবার বিপরীত মতও আছে্। শেখ মুজিবকে যদি ঐ সময়কার জাতির নেতা মেনে নেয়া হয় তাহলে ঐ সময়ে তার করা চুক্তির বিরোধীতা করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে প্রথমত তার চুক্তিকে অবৈধ, অন্যায্য সাব্যস্ত করা উচিত।
আমার মত হল শেখ মুজিবের এভাবে সবাইকে ক্ষমা না করে অন্তত কিছু লোককে (যাদের ভূমিকা মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ছিল) ফাসির কাষ্ঠে ঝুলানো দরকার ছিল।
যা হোক সেটি হয়নি বলে একটা ল্যান্জা রয়ে গিয়েছিল। আজ সেটা কাটতে হচ্ছে।

আর আজ যখন একটি বিচার হচ্ছে (সেটি নিয়ে যার মনে যতই প্রশ্ন থাকনা কেন) সেটির ল্যান্জাটা কমপক্ষে কেটে দিতে হবে । যাতে করে অচিরেই আরেকটি ল্যান্জা বের না হয়।
সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী বি এন পির একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। তাকে ফাসিতে ঝোলানো হেয়েছে। আর এর দ্বারা বি এন পির রাজনৈতিক অবস্থানে যেভাবে আওয়ামিলীগ থেকে পিছিয়ে গেছে তা পূরন করতে বি এন পিকে আওয়ামিলীগের হেভী ওয়েট কোন নেতাকে অবশ্যই ফাসিতে ঝোলাতে হবে।
আর রাজনৈতিকভাবে শেখ পরিবারকে পচানোর জন্য হাসিনার বেয়াই গুরত্ব পাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
তাই এ ল্যান্জা কাটতে হাসিনাকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

মহিউদ্দীন সাহেবকে ধন্যবাদ তিনি এ ল্যান্জা কাটতে আওয়ামিলীগকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে।

হাসিনা ভাল করবে যদি নিজের জমিনের আগাছাগুলো নিজেই উপড়ে ফেলেন।
খালেদা উপড়ানো শুরু করলে তা খুব বেশী নির্দয়ও হতে পারে।
কারন প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আমারা একে অন্যের চেয়ে এগিয়ে। কারন আমরা খুব বিশ্বাস করি "ক্ষমা যেন ক্ষীন হেথা দূর্বলতা"।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সাধারণ অপরাধীদের ক্ষমা করা হয়েছিলো, যারা খুন, ধর্ষণ কিংবা লুটপাট করেছিলো; তাদের ক্ষমা করা হয়নি । সাড়ে এগারো হাজারের মত যোদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ চলছিল, কয়েকজনের দন্ডও হয়ে গিয়েছিলো । '৭৫ পরবর্তীতে এদের ছেড়ে দেওয়া হয় ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: সেই লিস্ট অনুযায়ী কি আজকে বিচার শুরু হয়েছে ? উত্তর সম্ভবত না। আর যাদেরকে আজ আমারা যুদ্ধপরাধের মধ্যমনি সাব্যস্ত করছি তাদের বিচারতো সে সময় আরো দ্রুততম সময়ে করা যেত। কারন সাক্ষী প্রমান তখন আরো ভালোভাবে মজুত ছিল। বিষয়টা ভেবে দেখার আহবান রইল। জাতিকে সামনে অগ্রসর হতে হবে। তাই দ্রুততম সময়ে এ সব বিষয় চিরতরে শেষ করতে হবে।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

আমিই মিসির আলী বলেছেন: ঠিক বলেছেন সকল যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি হতে হবে।
সে যে দলেরই হোক না কেন!!!
তবে এক্ষেত্রে হাসিনা আপা এটা করবে না। কারণ যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হাসিনা আপার একটি রাজনৈতিক চাল। যেজন্য ইমরান সরকারকে পুষছেন।

মূলত বিএনপিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যই এসব করছেন। নাহলে তো নিজের দলের রাজাকার গুলোরে ই বিচার করতেন আগে।

হিসাব অনুযায়ী তো ২৬ জন আছে বড় মাপের রাজাকার আওয়ামীতে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: সহমত

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

মা গো ভাত দাও বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে। তবে শেখ মুজিবের ক্ষমার বিষয়টি আমার বুঝে আসছে না। যেমন সাধারণ অপরাধীদের ক্ষমা করা হয়েছিলো, যারা খুন, ধর্ষণ কিংবা লুটপাট করেছিলো; তাদের ক্ষমা করা হয়নি । এখনে যারা খুন, ধর্ষণ কিংবা লুটপাট করেছিলো; তাদের ক্ষমা করা হয়নি । কিন্তু ১৯৫ জন যারা পাক সেনা কর্মকর্তা। যারা এই অপরাধ গুলোর সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত তাদের কিভাবে ছেড়ে দিলেন শেখ সাহেব??? কেউ জানলে জানাবেন?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: বিদেশী এবং দেশী । আমার মতে দুটোকে এক করে দেখা উচিত না। কারন পাকিস্তানীদের সাথে সম্পর্কের সাথে আন্তজাতিক সম্পর্কের বিষয়টিও জড়িত ছিল। কিন্তু যারা এদেশের মাটিতে বড় হয়ে এদেশে খুন ধর্ষন করেছেন তাদের বিষয় ভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: @মা গো ভাত দাও -
তখন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মধ্যে একটা চুক্তি হয়। ভারতের চাপ ছিল। বঙ্গবন্ধু ঐ ১৯৫ জনকে ছেড়ে দেয় কারণ তখন পশ্চিম পাকিস্তানে অনেক বাঙালী আটকা ছিল। তাদের যেন ক্ষতি না হয়। আর পাকিস্তান রাজি হয়েছিল ঐ ১৯৫ জনের বিচার করবে তারা। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু খুন, ঘর্ষণ, লুটপাট ছাড়া বাকী সবাইকে(বিশেষত রাজাকার, দালাল) সাধারণ ক্ষমা করেছিলেন। এই অপরাধের লোকদের বিচার চলছিল দালাল আইনে। পরে জিয়াউর রহমান এস দালাল আইন বন্ধ করে। এভাবেই সাধারণ রাজাকার রা বেঁচে যায় বঙ্গবন্ধুর ক্ষমার কারণে, আর খুন, ধর্ষণ, লুটপাট মামলার কিছু আসামীর বিচার হয় আর বাকীরা মুক্ত হয় জিয়ার দালাল আইন বন্ধের কারণে। মজার ব্যপার হলো তখনকার দালাল আইনে বর্তমান বন্দী কিংবা ফাঁসি হওয়া কারো নামে কোন মামল‍া হয়নি, মামলা ছিল না!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: সহমত। তাই বিচার যদি করতে হয় তবে দালাল আইনের কারনে যাদের বিচার বন্ধ হযেছে তাদের বিচার করার কথা। অবশ্য এর বাইরেও যে যুক্ত হতে পারবে না সে কথা আমি বলছি না।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: অ্যাডভোকেট কামরুল
বেয়াই মোশারফ
মখা আলমগীর
এদেরকও ফাসির মঞ্চে দেখতে চাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: সব মানবতাবিরেধী অপরাধের সাজা হোক।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

মা গো ভাত দাও বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি আরো জানতে চাই। সিমলা চুক্তিতে কি ছিলো? অর্থাৎ সিমলা চুক্তির মূলকথা কি? বিস্তারিত জানাবেন

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আসলে ব্লগিং করার জন্য যে পর্যাপ্ত সময় দরকার তা পাই না। তাই খুব বড় এবং বিস্তারিত কোন বিষয়েই লেখা হয় না। তবে এটা তো একটা ঐতিহাসিক দলীল আশা করি একটু খুজলেই পেয়ে যাবেন।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐটাই সিমলা ‍চুক্তি যার মাধ্যমে ১৯৫ জনকে হস্তান্তর কর‍া হয়েছিল। মূল কথা হলো যুদ্ধে যা হয়েছে তা সবাই ভুলে যাবে এবং ক্ষমা করবে। গুগল গিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: যাই হোক এখন যখন বিচারিক প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে তবে সুস্ঠ নিরপেক্ষ ন্যায় বিচার হোক এবং এটি দলীয় কোন এজেন্ডায় পরিনত না হোক এ কামনাই করা উচিত।

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ধন্যবাদ

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.