নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৮৩১আবীর১৯৮৩

৮৩১আবীর১৯৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৭৬১ সাল পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

১৪ই জানুয়ারী ১৭৬১ সাল।
দিল্লী থেকে ৬০ মাইল উত্তরে অবস্থিত পানিপথে সংগঠিত হল পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ।

পনিপথের তৃতীয় যুদ্ধ


সম্রাট আঙরঙ্গজেবের পর ১৬৮০ থেকে ১৭০৭ ছিল মোঘল সমাজ্র্যের পতন এবং মারাঠা শক্তির উত্থান হয়।পেশোয়া বাজি রাওয়ের নেতৃত্বে গুজরাট, মালওয়া এবং রাজপুতনা মারাঠা নিয়ন্ত্রনে আসে। ১৭৩৭ সালে দিল্লী উপকন্ঠে মোঘলদের পরাজিত করে বাজি রাও দিল্লীর দক্ষিনাংশ মারাঠাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। ১৭৫৮ বাজি রাওয়ের ছেলে বালাজি রাও পান্জাব আক্রমন করে মারাঠা সম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি করে। এটা ছিল সরাসরি দুররানী সমাজ্র্যের বাদশাহ আহমদ শাহ আবদালীর সাথে সংঘর্ষ।

১৭৬০ সালের মারাঠা সম্রাজ্য

আহমেদ শাহ আবদালী পশতুন এবং মারাঠা উপজাতি থেকে সৈন্য সংগ্রহ করে পন্জাবে তার জোট তৈরি করলেন। তারপর তিনি ভারতীয়দের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে এক বিশাল সেনাবাহিনী প্রস্তুত করলেন মারাঠাদের উচিত শিক্ষা দিতে।

আহমেদ শাহ আবদালী

মাধব রাও

মারাঠারা সাধাশিব রাও এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হল। তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৫০০০- ৬০০০০ হাজার। তাদের সাথে প্রায় দু লক্ষ লোক ছিল যারা যোদ্ধা ছিল না। এদের মধ্যে বড় একটি সংখ্যা এমন ছিল যারা মূলত উত্তর ভারতের হিন্দু তীর্থস্থান গমনেচ্ছুক ছিল। ১৭৬০ সালের ১৪ই মার্চ মারাঠারা উত্তর অভিমুখে যুদ্ধযাত্রা শুরু করে।

সাধাশিব রাও



উভয়পক্ষ অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলাকে তাদের সাথে পেতে চেষ্টা করল। জুলাইয়ের শেষের দিকে সুজাউদ্দৌলা আফগান-রোহিলা জোটের সাথে মিলিত হয় মুসলিম সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে। এটি ছিল কৌশলগতভাবে মারাঠাদের বিরাট পরাজয়।
আফগান বাদশাহ আহমেদ শাহ আবদালীল নেতৃত্বে রোহিলা অধিপতি নজিবুদ্দৌলা এবং অযোধ্যার অধিপতি সুজাউদ্দৌলা ঐক্যবদ্ধ হলেন মারাঠাদের সাম্রাজ্য বিস্তার রুখতে।

১৭৬০ সালের পহেলা আগস্ট মারাঠারা দিল্লী পৌছাল। এবং দ্বিতীয় দিন শহর দখল করে নিল। যমুনা নদীর তীরে বিচ্ছিন্ন একটি যুদ্ধে মারাঠারা জয় লাভ করল । এসময় আবদালী এবং মূল সৈন্যদল ছিল যমুনার পূর্ব দিকে।

২৫ অক্টোবর আবদালী যমুনা নদী পার হয়ে দীর্ঘ দুই মাসব্যাপী মারাঠাদের পানিপথ শহরে অবরোধ করে রাখলেন। এই অবরোধের সময় উভয়পক্ষ চেষ্টা করে শত্রুপক্ষের রসদ সরাবারহ লাইন বিচ্ছিন্ন করার । এ বিষয়ে আফগানরা অবশেষে সফল হয়। তারা মারাঠাদের খাদ্য সরবারহ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

১৭৬১সালের ১৩ই জানুয়ারী মারাঠা সর্দার তার কমান্ডারদের একত্র করলেন, তিনি আনাহারে না মরে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃতু্ বরন করতে বললেন। পরের দিন ভোর হওয়ার আগেই তাদের শিবির থেকে বের হল এবং অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করল। সন্ধ্যা পর্যন্ত যুদ্ধ চলল।
যুদ্ধ কয়েকদিন ব্যাপী স্থায়ী হয়। এবং উভয় পক্ষের বহু সংখ্যক হতাহত হয়। যুদ্ধের পর বহু মারাঠা সৈন্য বন্দী হয়। এবং যুদ্ধবন্দী হিসাবে তাদের হত্যা করা হয়।

পরবর্তীতে মারাঠা সাম্রাজ্য টুকরো হয়ে কতগুলো রাজ্যে বিভক্ত হয় এবং ১৮১৮ সালের মধ্যে তারা ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে একে একে পরাজয় স্বীকার করে।






মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১

রাতুল_শাহ বলেছেন: সম্রাট আঙরঙ্গজেবের পর সেই রকম ভাবে ইতিহাস জানা হয় নাই। আজ একটু জানলাম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: আমারও আক্ষেপ ছিল কেন মোগলরা ইংরেজদের দুর্দন্ত প্রতাপ দেখেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ইতিহাস থেকে জানলাম মোঘলদের অবস্থা আসলে তখন আরো করুন ছিল। তারা ছিল নামমাত্র বাদশাহ

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: পোস্টটি প্রথম পাতায় আসেনি কেন ? কেউ জানা থাকলে জবাব দিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.