নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দলীল বা প্রমান দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হল আকলী বা বিবেক বা যুক্তিবোধ জাতীয় অপরটি হল নকলী বা কারো কথার উদ্ধৃতি প্রদান।
ইসলামী শরীয়তে আকলী দলীল থেকে নকলী দলীলের গুরত্ব বেশী। আকলী দলীল তখনই কেবল গ্রহনযোগ্য হবে যখন তা কোন নকলী দলীলকে খন্ডন করে না বা তার সাথে সাংর্ঘষিক হয় না।
বিশ্বাসীদের জন্য তো কোন দলীল প্রয়োজন নেই। কিন্তু অবিশ্বাসীদের জন্য দলীলের প্রয়োজন যেমন আল্লাহ তা' আলা কুরআনে বলছেন যদি আসমান এবং জমীনে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ থাকত তবে সবই ধংস হয়ে যেত। " এ কথা মানে হল যে এক রাজত্বে দু বাদশাহ'র অস্তিত্ব হতে পারে না। যদি হয় তবে তো যুক্তি অনুযায়ী সংঘর্ষ অনিবার্য।
আজ আমি দুটি বিষয় আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমানে পেশ করব। তবে প্রমান তাদেরই কল্যান করবে যারা কল্যান প্রত্যাশী সত্য অনুসন্ধানী।
বিশ্বাস এমন একটি বস্তুর নাম যেখানে কেউ প্রমানে উদ্যেগী হলেও সেই প্রমানের চাক্ষুস বা ইন্দ্রিয়গত কোন কিছু মেলে না। যেখানে ইন্দ্রিয়গত কোন কিছু মিলে যায় সেখানে বিশ্বাসের প্রয়োজন হয় না। অজনা জিনিসের প্রতিই বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। যেমন ধরুন আমি যদি একটি বস্তু আপনার চোখের সামনে রেখে বলি তুমি কি এটা বিশ্বাস কর ? তবে প্রশ্নটা নিতান্তই বোকামীপূর্ন। কিন্তু যদি কোন বস্তু আপনি না দেখেন সে অবস্থায় কেউ আপনাকে খবর দিল অমুক স্থানে এ জাতীয় একটি বস্তু আছে তুমি কি বিশ্বাস কর ? তবে আপনি নির্ভর করবেন যিনি সংবাদ দিচ্ছেন তিনি কতটা সত্যবাদী সেটা উপর এবং এর সাম্ভ্যবতার উপর।
এখন দেখুন আল্লাহর অস্তিত্বের এবং তার একত্ববাদের সংবাদ কারা দিচ্ছেন ? নাবী রাসূলগন। যাদেরকে নবুয়তের পূর্বেই তার জাতি সত্যাবাদী পরিচয় দিয়েছেন। এবং এই নবুয়ত দ্বারা তারা জাগতিক উপকার অর্জন করেননি।
আবার দেখুন আল্লাহ থাকা এবং তার একত্ববাদ কোন অস্বাভাকি বিষয়ই নয়। কারন কোন কিছু সৃষ্টির জন্য একটি আদি কারন প্রয়োজন হয় যেখানে কারনটিই হবে সত্বা। এবং সেই আদি কারন সত্বাটিই আল্লাহ।
©somewhere in net ltd.