নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৮৩১আবীর১৯৮৩

৮৩১আবীর১৯৮৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তবতা ও করনীয়

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

একটা ধারা আমাদের ইসলামপন্থীদের রাজনীতিতে গড়ে উঠেছে । নতুন একটি ধারা সৃষ্টি করা প্রয়োজন । আমার যদি মেহনত করি তবে ইনশাআল্লাহ আমরা সেই কাজটি করতে পারব।
আমাদের লড়াইটা কেবলমাত্র আওয়ামিলীগ বা বি এন পির মত দলের বিরুদ্ধে নয় বা যে কোন প্রকারে সরকারে যাওয়ার দ্বারাও আমাদের কাংখিত পরিবর্তনটা আসবে না। পরিবর্তনের জন্য আরো বেশী কিছু চাই।
চিন্তা করে দেখুন আমাদের হাতে কি কি উপাদান আছে ? ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা বা খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ? আমাদের আছে দাওয়াতে তাবলীগ, মাদ্রাসা এবং রাজনৈতিক দল, এবং জানবাজ কিছু সৈনিক।

এ চারটির প্রতিটিই ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের জন্য গুরত্বপূর্ন। এবং চারটিই আমাদের আছে।

তাহলে সমস্যাটা কি ?

খুব সহজ সরল ভাষায় বলব আমরা হকপন্থী এবং বাতিল পন্থীকে সুস্পষ্ট করতে পারিনি। আপনি হয়ত বলবেন আপনার কাছে স্পষ্ট আরেক ভাই বলবেন তার কাছেও স্পষ্ট। অথচ দু'জনের মধ্যে চরম পার্থক্য। অথচ দু'জনই হককে কায়েম দেখতে চান।

কেউ হয়ত ভাবছে ইসলামের চরম দুশমন আওয়ামিলীগ আবার কেউ ভাবছেন বি এন পি কেউ হয়ত অপছন্দনীয় কোন ইসলামী দলকেও চিন্তা করছেন।

তাহলে এটা স্পষ্ট হল যে আমাদের দেশে ইসলামের শত্রু স্পষ্ট হয়নি। কারন শত্রু শুধু মাত্র নামে মুসলমান তাই নয় বরং অনেক ক্ষেত্রে প্র্যাকটিসিং মুসলমান এবং তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সমস্ত দলে। কেউ বুঝে শত্রুতা করছে, কেউ না বুঝে। কেউ কেবলমাত্র ক্ষমতার লোভে আর কেউ তার ভাবনাগত তাগিদে।

রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় যে দলই যেভাবে যাক না কেন তারা প্রতিনিয়ত ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। ধরুন প্রথমে সহশিক্ষা হারাম নিয়ে কথা হত এখন আর তা হয় না, এটা স্থায়ী হয়ে গেল। এরপর সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষাকে মুছে দেয়ার ব্যবস্থা সেটাও প্রায় সম্পন্ন হয়ে পরের ধাপে এখন চলছে ইসলামী শিক্ষার বিপরীত শিক্ষা দেয়া। তো এই যে বিশাল জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত ক্রমে ইসলামী শিক্ষা এবং মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে বস্তুতান্ত্রিক এবং ইসলাম বিরোধী শিক্ষায় অভ্যস্ত হচ্ছে তারা যখন চাকরী করবে তখন কি ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিবে না বিপক্ষে।

এখন তো আরো একধাপ এগিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানে দ্বীন শিক্ষা দেয়া হয় সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দুনিয়াবী শিক্ষা দেয়ার নামে ধীরে ধীরে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।


আমি এখানে শুধু শিক্ষা বিষয়ে বললাম কেননা তা গোড়া ঘর। এবার আপনি রাষ্ট্রীয় সমস্ত ব্যবস্থাপনা দেখেন সেখান থেকে আধুনিকতার দোহাই দিয়ে ইসলামী মূল্যবোধকে বিসর্জন দেয়া হচ্ছে।
সামরিক বেসামরিক সবর্ত্র একই ধরনের স্লো পয়জনিং চলছে।
আর আমরা সাময়িক প্রতিকারে ব্যস্ত। সেটা যারা করছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি । কারন সেটা না করলে জানা নেই আজকে কি অবস্থা হত।

তো যেটা বলছিলাম এখন আমরা শত্রু মিত্র যেভাবে বিবেচনা করছি সেভাবে করাটাই প্রথমে বাদ দিতে হবে। শত্রু মিত্র বিবেচনা হবে আমরা ইসলামের প্রতিটি বিষয়ে দাওয়াত তথা আমার বিল মারুফ এবং নাহী আনিল মুনকার শুরু করতে হবে। এটা স্রেফ তাবলীগের ছয় উসুল নয়। বরং ইসলামের প্রতটি এমন আহকাম যার বিরোধীতাকারীকে কাফির ঘোষনা দেয়া যায় এবং সেই মন্দে লিপ্তকারীকে ফাসিক ঘোষনা দেয়া যায়। দেখবেন হয়তো আপনি যাদের ইসলামের দুশমন ভাবতেন তাদের অনেকেই আপনার পক্ষে আর যাদের বন্ধু ভাবতেন তারা আপনার বিপক্ষে। এবং অমুসলিমদের ইসলামের দাওয়াত প্রকাশ্য দিন। যারা বিরোধিতা করবে তারা ইসলামের বিপক্ষে। কোন দলের দাওয়াত দিবেন না। কেউ প্রশ্ন করলে বলুন আমি মুসলমান। এটা আমার কাজ।

এভাবে পক্ষ বিপক্ষ একটা শ্রেনী তৈরি হবে যা সমাজের সকলের সামনে স্পষ্ট হবে। কুফরী শক্তিগুলো বর্তমানে সরাসরি ইসলামের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষনা করে না। কারন তাদের ক্রসেডের অভিজ্ঞতা আছে। তারা পিছন থেকে ছোরা মারতে চায়। তারা কোন ইসলামী রাষ্ট্র আক্রমন করলেও বলবে না যে তারা ইসলামের বিপক্ষে এ বাস্তবতা তো আমাদের সবার জানা। অনুরূপ আমাদের শাসক বা রাষ্ট্রশক্তিও কখনো একথা বলবে না যে তারা ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে যে যুদ্ধ করতে চায় সে যেন যুদ্ধ করে।

আসুন প্রথমে পক্ষ বিপক্ষ স্পষ্ট করি তিনিটি দুটি পন্থায় ১. আমার বিল মারুফ যার মধ্যে প্রথম কাজ হল অমুসলিমদের ইসলামের দাওয়াত প্রকাশ্যে সরাসরি দেয়া। যেন সকল মানুষ জানে কারা অমুসলিমদের ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছে। এবং সেটা ব্যক্তি কেন্দ্রীক না হয়ে সমষ্টি কেন্দ্রীক হওয়া এবং এরা জন্য নতুন কোন নামে সংগঠন না করা বরং মুসলিম হিসাবেই এ কাজ করা। এর সাথে সাথে সালাত, যাকাত ইত্যাদী বিষয়ে সোচ্চার হওয়া। ২. নাহী আনিল মুনকার করা যেমন সুদ, ঘুষ, দূর্নীতি, পর্দাহীনতা বেহাল্লাপনার বিরুদ্ধে বলা । এমন সকল বিষয় যা হারাম হওয়ার বিষয়ে আলিমদের ঐক্যমত রয়েছে।
শাখাগত মাসায়েল আলিমদের উপর ছেড়ে দেওয়া সেখানে প্রত্যেকে তার পছন্দের আলিম থেকে মাসআলা জনে আমাল করবে।
আর এসব ক্ষেত্রে যারা দ্বিধাবিভক্ত করার চেষ্টা করবে তাদের ইগনোর করা।

আল্লাহ তা'আলাই অধিক অবগত।
কেউ যদি আমার মতের সাথে একমত হন তবে যোগাযোগ করবেন। আমি কাজ করতে ইচ্ছুক।
হে আল্লাহ আমাদের কবুল কর। আমীন।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.