নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাতের লেখা

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্ট ডাক্তারদের নোটিশ দিয়েছিলো বড় বড় করে এবং ক্যাপিটেল লেটারে স্পষ্ট সহজবোধ্যভাবে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে !
.
আমি এতোদিন মনে করতাম জিলাপী প্যাঁচ স্টাইলের লেখাগুলো ডাক্তারদের একটা আর্ট ! এভাবে না লিখলে আর যা কিছু হওয়া যায় না কেন তবে ডাক্তার হওয়া যায় না !
.
এটা ডাক্তার আর ফার্মেসিওয়ালাদের মধ্যকার একটি সাংকেতিক বার্তাও হতে পারে এমনও মনে হতো ঔষুধ কিনতে গেলে কারণ দেখা মাত্রই তারা ঔষুধ দিয়ে দিতো !
.
যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন (আইওএম) এর চালানো এক গবেষণা থেকে প্রতিবেদনে বলা হয় প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত ৭০০০ রোগীর মারা যায় কেবল প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা বুঝতে না পারায়।
.
ভাগ্যিস ডাক্তার হয়নি ! আমার হাতের লেখা আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের বন্ধু রফিক হাওলাদের লেখা এতো খারাপ ছিলো যে আমরা দুইজন ডাক্তার হলে সাত হাজার রোগী আমরা দুইজনের লেখার কারণেই মারা যেতো !
.
নুরুল কবির স্যার আমার বাসার পাশেই শোভাকলোণীতে থাকতো তখন ক্লাস এইটে ছিলাম স্যার আমাকে ডেকে বললো আমার বাংলা পরীক্ষার খাতার বান্ডিলে ভুল ক্রমে ক্লাশ থ্রি'র এক ছাত্রের পরীক্ষার খাতা দেখে তো আমি অবাক ! পরে আবিষ্কার করলাম এটা তোর হাতের লেখা !
.
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৌলত উল্লাহ স্যারকে একবার বলেছিলাম দুই নম্বর বাড়িয়ে দিয়েন স্যার আগেই হাতের লেখা দেখে আমার খাতা শিত্তর হয়ে দুই নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছিলেন !
.
মাঝে মাঝে নিজের হাতের লেখা দেখলে গর্ব হয় সৃষ্টিকর্তা আমাকে ডাক্তার বানানোর কোয়ালিটি দিয়েছিলেন আমি চেষ্টার অভাবে ডাক্তার হতে পারি নি !
.
আমি কমার্সের ছাত্র কিন্তু হাতের লেখা দেখে কেউ কেউ বলে ফেলে তুমি সায়েন্স পড়লে জীবনে সাইন করতে পারবে !
.
কিন্তু,
.
আমার কাছে জীবনে সাইন করা হলো হাতের লেখা এবং হাতের রেখা পরিবর্তন করার মতো ঘটনা যা কখনো সম্ভব না !
.
বিশেষ করে বাংলা পাঁচ লেখার স্টাইলটা আমার হাতের পাঁচ আঙ্গুলের মতো এব্রোথেব্রো তবে পাঁচ লেখার স্টাইল দেখে বলে দেওয়া যায় একটা মানুষের হাতের লেখা কেমন !
.
হাতের লেখা খারাপ নিয়ে কিছু কৌতুক প্রচলিত আছে,
.
শিক্ষক জৈনক ছাত্রকে বলছে তোমাকে না বলেছি, তোমার হাতের লেখা খারাপ। তাই তোমার "বাড়ির কাজ" -এর লেখাটা ১০ বার লিখবে। তুমি চারবার লিখেছ কেন?
মন্টিঃ স্যার, আমি অঙ্কেও খারাপ!
.
গোপাল ভাঁড়ের কাছে এসে একদিন এক প্রতিবেশী, “আমাকে একটা চিঠি লিখে দাওনা ভাই”।
গোপালঃ আমি চিঠি লিখতে পারবো না, আমার পায়ে ব্যথা।
প্রতিবেশী আশ্চর্য হয়ে বললো, “চিঠি তো লিখবে হাত দিয়ে, পায়ে ব্যথা তাতে কী হয়েছে?”
গোপালঃ কারণ আমি অতোদূর হেঁটে যেতে পারবো না।
প্রতিবেশীঃ অতোদূর হাঁটতে পারবে না মানে?
গোপালঃ মানে আমার লেখা চিঠি আমি ছাড়া আর কেউ পড়তে পারবে না। আমার হাতের লেখা খুব খারাপ তো। যাকে চিঠি পাঠাবে, তাকে তো আমাকেই পড়ে দিয়ে আসতে হবে, তাই না? পায়ে ব্যথা নিয়ে যাবো কিভাবে?
.
তো এক লোক বউয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভালো ডাক্তারের কাছে গেলো কিন্তু বাসায় আসার পর বউ বললো টাকা ফেরত দাও বলছি ! প্রসক্রিপশনের এতো সুন্দর হাতের লেখা কোন ডাক্তারের হতেই পারে না ! নিশ্চিত কোন রমনীর লিখা !
.
কোন এক রমনী খুঁজছি হাতের লেখাটা একটু গুড গুড করার জন্য তাতে যদি প্রেম পত্র লিখতে হয় তা ও আমি প্যাকটিস করতে রাজী !

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ভালো লিখেছেন।

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে গেলুম !

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৯

মোশাররফ২৩ বলেছেন: কপাল ভাল এই লেখা গুল কম্পিউটার এ লিখছেন তা না হলে আমরা কিভাবে বুঝতাম.......

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম মনের কথায়

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: ভেবেছিলাম স্পষ্ট করে লেখার নির্দেশটা উচিত হয়নি, হাতের লেখা যার যার ব্যাপার কিন্তু কয়েকদিন আগে আম্মার ঔষধ আনতে গিয়ে বুঝলাম ব্যাপারটা খুব একটা খারাপ হয়নি।

নিউরো মেডিসিন এর ডাক্তার এর প্রেসক্রিপশন। দোকানে দিলে প্রথমে দোকানদার একটা বুঝে , পরে দোকানের-ই অন্য একজন কর্মচারী দেখে অন্য ঔষধ দেয়। দেখে আামর একটু সন্দেহ হয় আর ভয়ও লাগে। প্রেসক্রিপশনে তাকিয়ে দেখি মেলাতে পারছিনা, পরে দোকানদার বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে দেয়।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

blackant বলেছেন: ভাল লিখেছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.