নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তার বাবা তার বাবা তার বাবা

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

খুব কাছ থেকে দেখেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে আমার মতো অনেকে ছিলো যারা বাসা থেকে টিফিন আনতাম না! রোজ টিফিনের টাকা দিতে পারে এমন সামর্থ্য তখন সত্তর থেকে আশি পার্সেন্ট বাবার ছিলো না! তবে আমাদের স্যান্ডেল, জুতো, শার্ট, প্যান্ট ভালো ছিলো!
.
বাবা গল্প করতেন তাদের সময় দুই তিন জনের স্যান্ডেল, শার্ট, প্যান্ট ছিলো! আমার এমন একটি প্রজন্ম যাদের এক জনের দুই তিন জোড়া স্যান্ডেল, শার্ট, প্যান্ট আছে বলে বাবার চির চেনা গোল্ডলিপ ব্রান্ডের সিগারেট আরো একটান দিয়ে বলতো, তোরা অনেক সুখে আছিস কিন্তু তবুও কেমনে অংক ইংরেজিতে ফেইল করিস আমার বুঝে আসে না!
.
বাবার বাবারা গল্প করতেন তাদের সময় এক বই পুরো এলাকার সবাই পালা বদল করে পড়তেন! পুরো সন্দ্বীপে একজনের এক জোড়া জুতো ছিলো! সে জুতা বগল দাবা করে সে খালি পায়ে হাটতো ঠিক শ্বশুরবাড়িতে ঢুকার আগে পুকুরে ভালো করে পা ধুয়ে সেই পা গামছা দিয়ে মুচে তারপর জুতোগুলো পড়তো!
.
তখন হয়তো মমতাজের মতো কোন শিল্পী সেই দৃশ্য দেখে গান ধরতো, বন্ধু যখন জুতা পইড়া আমার বাড়ি সামনে দিইয়া পা টিইপ্পা টিইপ্পা বউ লইয়া রঙ্গ কইরা হাইট্টা যায় ফাইট্টা যায়! বুকটা ফাইট্টা যায়!
.
একজন জুতো পড়ে হেঁটে যেতো অন্যজনের তা দেখে মন খারাপ হতো এখন যেমন আইফোনের লেটেস্ট মডেল দেখলে যা হয় আরকি কি! তা দেখে কবিরা কবিতা লিখতো! কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারও লিখেছিলেন, একদা ছিল না 'জুতো' চরণ-যুগলে দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে... তারপর আরেকজনের পা নেই দেখে কবির মনের জ্বালা শান্ত হলো!
.
বাবার বাবা থেকে দাদার দাদারা গল্প করতেন, ব্রিটিশদের পায়ে জুতো ছিলো! সেই জুতো পড়ে বাবুরা টক টক টক টক করে হেঁটে যেতো! বাবুদের পায়ে ময়লা লাগা দায়! ওম্মা দেখছোনি কান্ড!
.
সামর্থ্যের গল্পগুলো এমন! আজ আমরা যা ভোগ করছি তা এক সময় জমিদাররাও ভোগ করতে পারতো না! গরমে সিদ্ধ হয়ে যতো রাণীরা! জলকেলি করতো! পালা বদল করে রাজার শরীরে তাল পাখার বাতাস করতো! তাই হয়তো বিটিভিতে রোজ বাচ্চাদের শিখানো হয় সে বিখ্যাত গানটি, 'আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্ত্বে!'
.
সমস্যা হলো গানটি ছেলে মেয়ে মিলে সবাই সমস্বরে গাইতে থাকে! কিন্তু মেয়েরা কেমনে রাজা হবে তা আমার মাথায় আসে না! মুখস্ত বিদ্যা চর্চার কুফল এটি! এখানে বলা হয় প্রশংসা পত্র ছাড়া কাজ হবে না! অথচ সবাই জানে এটি তোতা পাখির বুলি মাত্র!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৯

সাপলুডু বলেছেন: সহমত। আমাদের এলাকায় জুতা কিনে সাব হয়েছিলেন একজন। একজন পায়জামা কিনে সাহেব হয়েছিলেন। ন্যাংটি পড়েও নাকি স্কুলে যেতো!!! রুপকথা!

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে শেষ!

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

সাপলুডু বলেছেন: শুনতে যতই হাস্যকর হোক, এগুলো ছিলো একটা সময়ের চরম বাস্তবতা। আমরা আজকের দিনে এসেছি এই বাস্তবতার উপর ভর করেই.

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৯

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.