নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁশময় এক্সপ্রেস

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

প্রিয় মুভি দীপু নম্বর টু তে একটি প্রিয় সিন্ আছে
.
স্কুলের ড্রিল শিক্ষক প্রতিদিন দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং পিছিয়ে থাকা দশজন প্রতিযোগিকে বেত্রাঘাত করে!
.
এরপরের দিন পিছিয়ে থাকা পাঁচ জনকে প্যাঁদানি দিবে বলে!
.
প্যাঁদানি থেকে মুক্তির জন্য ক্লাশের সব ছাত্ররা এক্যজোট হয়ে একটি আইডিয়া বের করে!
.
পরবর্তীতে শরীরচর্চা স্যার যখন দৌড়াতে বলে তখন তারা একসাথে দৌড় গিয়ে সবাই একসাথে ফিরে এসেছিলো!
.
স্যার তো রেগে মেগে ফায়ার! তারপর বলে বুদ্ধিটি কার তাড়াতাড়ি সামনে আসতে নাহলে সবাই প্যাঁদানি খাবে তখন একে একে করে সবাই সামনে এগিয়ে আসে!
.
স্যারের আর প্যাঁদানি দেওয়া হয় না!
.
আপনি যত এগিয়ে যাবেন তত একা হয়ে যাবেন! তত দূরত্ব সৃষ্টি হবে! এগুতো হলে সবাইকে নিয়ে এগুতে হবে!
.
কাঁধে কাঁধ রেখে কিংবা পায়ের সাথে পা রেখে!
.
আমাদের ড্রিল ক্লাশের একটি ভিন্ন গল্প বলি,
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শরীর চর্চা করাতেন সোলাইমান স্যার! তিনি আমাদের সবাইকে টিম ভাগ করে দিয়ে বলতেন যে টিম যত বেশী ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করতে পারবে তারা বিজয়ী!
.
আমরা সবাই কাগজের ঠোঙ্গা থেকে শুরু করে ফেলে দেওয়া টিস্যু সংগ্রহ করে নিজ দলের আবর্জনা ভারী করতাম!
.
পরিশেষে বিজয়ী দল ঘোষণা করা হতো! তারপর আবর্জনাগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সমাজ পরিষ্কার করার মানসিকতা সৃষ্টি করা হতো!
.
যা স্কুলের একজন কিংবা দুইজন ঝাড়ুদারের দ্বারা কখনো সম্ভব না
.
পৃথিবী বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ লিজেন্ড মাইকেল জর্ডান বলেছিলেন,“Talent wins games, but teamwork wins championships.”
.
ইসলাম তাই দিনে পাঁচবার একতাবদ্ধ হতে শিক্ষা দেয়! যে যেখানে/যেমন/ যে কাজে থাকুক না কেনো তারা যেনো একতাবদ্ধ থাকে সে শিক্ষা!
.
আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সুমন ফরিদ স্যার একটি কথা বলতেন, টু হেড্ ইজ বেটার দেন ওয়ান!
.
ছোট বেলার বৃদ্ধের গল্পটি তো সবার পরিচিত
.
কিভাবে একটি লাঠি সহজে ভাঙ্গা যায় কিন্তু দশটি লাঠি একসাথে হলে তা ভাঙ্গা অসম্ভব তবে ভাঙ্গতে হলে সব লাঠি আগে আলাদা করতে হবে!
.
United we stand, divided we fall
.
বলে রাখা ভালো,
.
পাকিস্তান ভারতের মধ্যে চিরকাল বৈরী সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও একটি সমঝোতা এক্সপ্রেস আছে যে ট্রেনটি পাকিস্তানের লাহোর থেকে দিল্লীতে যাতায়ত করে বলে নামটি সমঝোতা এক্সপ্রেস!
.
কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোন সমঝোতা নেই!
.
পুরো জাতি আজ যার যার চেতনা দন্ড নিয়ে বিভক্ত! উন্নয়ন কেমনে হবে!
.
একজনের পিছনে আরেকজন লেগে থেকে তো সময় চলে যায়! কাজ তো একটায় একজনের পাছায় আরেকজন কেমনে বাঁশ দিবে!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

রকি বিশ্বাস বলেছেন: মাশা আল্লাহ ! অত্যন্ত তাত্বপর্যপূর্ণ স্ট্যাটাস !

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা রেখে গেলুম

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: তবে বাঁশটা নেতারা দেওয়া নেওয়া করলে কোন অসুবিধা ছিলনা, কিন্তু আমাদের আমজনতাদের কেন সেই বাঁশের জ্বলুনি সহ্য করতে হবে?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: বাঁশটা ওরা দেওয়া নেওয়া করে শুধু কঞ্চিটা আমাদের দেয়

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

প্রামানিক বলেছেন: কথায় কথায় চমৎকার উদাহারণ টেনে বাস্তব কথায় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

মানিজার বলেছেন: মোটিবাঁশ বেশি দেখতে ভালু লাগে না ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আঁচিলা বাঁশ ও একই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.