নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সখি সুখী কাকে বলে?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

আমাদের সবার কিছু অদ্ভুত অন্ধকার দিক্ আছে,
.
যেমন ছোট বেলা থেকে আমি দেখে আসছি আমার মা একটু অস্বাভাবিক! রোজ মা'কে ধমকানো আমার একটা অভ্যেস হয়ে গেছে! এখানে আমি নিরুপায়!
.
অসম্ভব প্রাণ উচ্ছল একটি মানুষ যে পৃথিবীতে আমাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসতো আস্তে আস্তে সে দুনিয়াতে থেকে কেমনে না থাকার মতো হয়ে গেছে তা আমার চোখের দেখা!
.
স্বাভাবিক হওয়ার আশায় ঘুমের ঔষুধ আর মাথা ঠান্ডার ঔষুধ খেতে খেতে আমি দেখেছি কিভাবে আমার প্রিয় ব্যক্তিটি দুর্বল মরা কাঠে পরিণত হয়েছে!
.
অদ্ভুত ধর্মপ্রাণ মানুষ ছিলো! সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি জিগির আর নামায পড়ে দিন কাটাতো!
.
মানুষকে মেহমানধারী করানো যার আগ্রহ দেখে ছোটকালে আমি ভাবতাম আম্মুটা কত্ত ভালো সেই মানুষটি এক যুগ ধরে বাসায় মেহমান সহ্য করতে পারে না!
.
সারাদিন একা একা থাকতে থাকতে কোন ভাবে এখন ঘর থেকে বের করে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া যায় না!
.
এক সময় আমি কাউকে জানতে দিতাম না আমারও কিছু অন্ধকার দিক আছে!
.
এক সময় আমি বুঝলাম আমার মতো প্রায় সবারি কিছু অন্ধকার দিক আছে! থাকে!
.
আমার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধুর মায়ের ক্যান্সার ছিলো ছয় বছর তা আমি এতো ভালো বন্ধু হওয়া সত্ত্বেও জানতে পারিনি! সে হাইড করে গেছে বেপারটা!
.
আমার এক প্রিয় শিক্ষক হঠাৎ একদিন আমাকে ইনবক্স করে বলে, শরীফ রক্ত লাগবে একটু হেল্প করতে পারবে? এরপরে জানলাম প্রায় এক যুগ মুমূর্ষ প্রায় মায়ের সাথে তার এক অনবদ্য সংকল্পের গল্প,
.
হাসিখুশি এক কলিগকে দেখে বুঝতাম না তার প্রিয় ভাই বছর খানেক ধরে কোমায় আছে! তাদের ঘরটি হয়ে গিয়েছিলো একটি ছোট্ট ক্লিনিক!
.
আশে পাশে এমন কত গল্প!
.
এক প্রিয় কলিগের ভাইয়ের বিয়েতে গিয়েছিলাম সে এমন একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে যার থেকে কিছু নেয়নি! একপ্রকার নিজে সব টাকা খরচ করে মেয়েটিকে ঘরে তুলে এনেছে কারণ দীর্ঘদিন এক জটিল রোগের সাথে মোকাবেলা করে মেয়েটির মা মেয়ের বিয়ের কয়েক দিন আগে মারা গেছে!
.
আমার দেখা নিজ পরিবারকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসা লোকটির একমাত্র ছেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী!
.
সাবারি অন্ধকার দিকগুলো লুকানোর অদ্ভুত কিছু টেকনিক আছে!
.
অন্যজন বেপারগুলো জেনে গেলে আমার বেপারে কি ভাববে! বেপারগুলো এমন!
.
আমি দেখেছি সন্দ্বীপে বর পক্ষ খোঁজ নিতে এসে যখন দেখেছে মেয়েটির বাবা অসুস্থ তখন বিয়ে ভেঙ্গে গেছে!
.
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট মেয়েটি কিউট ছেলের প্রেমে পড়ার পর যখন খোঁজ নিয়ে দেখে ছেলের বাবা অন্যের জমিতে কামলা খাটে তখন তাদের প্রেম ভেঙ্গে গেছে!
.
একদিন আমিও এমন ভাবতাম! কৃষকের মেয়েকে ক্ষেত মনে হতো! দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টেছে! এখন রংচটা ফরমালিনের ভীড়ে তাদের রিয়েল মাল মনে হয়!
.
বেদের মেয়ে জোসনাদের এখন অনেক বেশী শূভ্র লাগে!
.
এখন রীতিমত গর্ব করে বলা গল্পগুলো শুনি, কিভাবে সকল প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে জীবনে অনেক দূর হাঁটতে হয়! হাঁটা যায়!
.
জীবন থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, আপনি যখন বিপদে থাকবেন তখন অনেক কাছের মানুষ বিভিন্ন কলা কৌশলে আপনাকে এভোয়েড করতে থাকবে! অনেক আত্মীয়স্বজনদের পাবেন যারা থেকেও না থাকার মতো আচরণ করবে!
.
তাদের সামনে আপনার জীবনের আরো অন্ধকার বিষয়গুলো তুলে ধরবেন কারণ তাদের সান্নিধ্য আপনার জীবনের জন্য ক্ষতিকর!
.
জীবনে সুখি হতে হলে বেশী মানুষের দরকার নেই! সে মানুষগুলোকে দরকার যার সবকিছু দেখে জেনে শুনে ভেবে আপনাকে মিস্ করবে! আপনাকে ভালবাসবে!
.
আপনার অন্ধকার দিকটি আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি যা ধৈর্য ধরে মোকাবেলা করতে পারলে আপনি সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ মানুষ হওয়ার সূত্র পেয়ে যাবেন!
.
আজকে যে মানুষটি রাস্তায় শুয়ে আছে সে ব্যথা উপলব্ধি করতে পারলে আপনি ভাঙ্গা খাটে শুয়েও নিজেকে সুখী ভবতে পারবেন!
.
সুখ আপনি কোন দৃষ্টি থেকে নিজেকে তুলনামূলক ভাবছেন তার উপর নির্ভর করে!
.
রিয়েল এইম ইন লাইফ 'সুখী মানুষ হতে চাই'

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.