নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোষামোদে গলে না বীর!

০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

পাঁচ মিনিটের বক্তব্যে চেয়ারম্যানের তোষামোদ করতে এক মিনিট, ম্যানেজিং ডিরেক্টরের তোষামোদে এক মিনিট, সিইও কে এক মিনিট তেল এবং তার নিচে যারা আছে তাদের সম্বন্ধে একটি করে লাইন বলতে বলতে পাঁচ মিনিট শেষ!
.
রাজনৈতিক বক্তব্যেও এখন এই ট্রেন্ড চলছে, পরিবেশ কিংবা মে দিবসের বক্তব্যের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে জনৈক নেতা ভাবছে কোন সিনিয়র নেতার নাম বাদ পড়ে গেলো কি না যারা স্তুতি করা হয়নি,
.
দেশে এখন চারদিকে তোষামদের বাম্পার ফলন হচ্ছে,
.
অফিসের বস স্ট্যাটাস দিলে কর্মীদের ভাব এই মাত্র বিমানের হ্যান্ডেল ধরে ছিলাম আপনার স্ট্যাটাস দেখা মাত্র হ্যান্ডেল কিংবা বিমান চালানো ছেড়ে দিয়ে কমেন্ট করতে বসলাম!
.
বসের নাম থেকে শুরু করে হাসি সব কিছু নিয়ে এখন গবেষণা হয়! যেমন ধরেন বসের নাম কামরুল হুদা! অধস্তন বললো, বস আপনার নামটা সেইই রকম! বস কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করলো কিভাবে? উত্তর আসলো, 'হুদার বিপরীত বেহুদা তাই'
.
এক অফিসের বস তার কর্মীকে বলছে 'ইদানিং পেটটা আরো বেড়ে গেছে একটু ডায়েট কন্ট্রোল করা দরকার' তা শুনে কর্মী বললো, 'বস, পেট আছে বলেই আপনাকে বস্ বস্ লাগে'
.
ইদানিং ছেলেদের মেয়েদের রূপের প্রশংসা করা দেখলে মনে হয় প্রতিভা কাহারে কয় এবং কত প্রকারও কি কি!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাই তার প্রেমিকাকে বলছে, 'তুমি কি জানো টাইটানিক এই যুগে নির্মিত হলে নায়িকা বাংলাদেশী হতো'
.
মেয়ে উত্তর দিলো, কেনো?
.
ছেলে বললো, বলবো না!
.
মেয়ে বললো, প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ! বলো বাবু!
.
ছেলে বললো, 'তার আগে একটা আপ্পা দাও! কারণ নাম শুনার পর তুমি আমাকে আর পাত্তা দিবেনা!'
.
অতিরিক্ত প্রশংসার হাততালিটা কেমন জানেন?
.
মশার বাচ্চা নতুন উড়তে শিখেছে তার বাবা তাকে জিজ্ঞেস করলো, তোমার অনুভূতি কি? বাচ্চা বললো, 'অনুভূতি মারাত্মক! আমাকে উড়তে দেখে মানুষরা সব খুশিতে হাততালি দেওয়া শুরু করেছিলো'
.
একাত্তরের পর বঙ্গবন্ধু আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'আমার চারদিকে শুধু চাটার দল'
.
শেখ সাদী (র) বলেছেন, ‘সাবধান! চাটুকারের গুণকীর্তন কর না সে তোমার নিকট স্বার্থের প্রত্যাশী, স্বার্থ শিকারে ব্যর্থ হলেই উল্টো তোমার দোষ রটাবে!'
.
সমস্যা হলো, বাদাম শেষ, তোষামোদকারীরা নিরুদ্দেশ!
.
নজরুল 'সাহেব এবং মোসাহেব' কবিতায় লিখেছিলেন, সাহেব কহেন, ‘চমৎকার! সে চমৎকার!' মোসাহেব(তোষামোদকারী) বলে, 'চমৎকার সে হতেই হবে যে! হুজুরের মতে অমত কার?'
.
আখতারুজ্জামান আজাদ ইতিহাস কবিতায় লিখেছিলেন, 'আমি কখনোই কারো প্রিয় হতে পারিনি! তোষামুদে-জন প্রিয় হয় সবার, এই হলো পরিহাস; তোষামোদ করিনি কখনোই আমি, এই হলো ইতিহাস!'
.
আরেকটি কথা, বউয়ের রূপের প্রশংসাকে তোষামোদ বলে না কারণ সময় কিংবা স্বার্থ পেরিয়ে গেলে তোষামোদকারীরাও চলে যায় কিন্তু বউ আজীবন থেকে যায়!
.
দিনশেষে, ঘরে ফিরে যেতে হবে তো! :P

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

প্রামানিক বলেছেন: কথা মন্দ বলেন নাই, যে যাই করেন বউরে ক্ষ্যাপানো যাবে না, কারণ সব শেষে বউয়ের কাছেই শেষ আশ্রয়।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হাস্যরসাত্মক সুন্দর লেখা..

৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.