নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যালকুলাস

১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

আমি যখন ভালো হোটেলে খেতে বসি তখন ওয়েটার প্রায় কাছে এসে বলে একটা পানির বোতল খুলে দিবে কি না তখন আমি বলি ভাই রে কোক নতুবা বোরহানি নিয়ে আসো কারণ পানি বাসায় কিংবা অন্য কোথাও গিয়েও ফ্রিতে অনেক খেতে পারবো,
.
আমাদের অনেক ক্যালকুলেশন করে চলতে হয়,
.
ফ্রি পোর্ট থেকে যখন বাসে উঠলাম দশ টাকার ভাড়া ত্রিশ টাকা চাওয়াতে কন্টাকদারকে অনেক কিছু বলে এসেছি কারণ ঐ টাকা বাঁচিয়ে দুইটা ফকিরকে দশ টাকা করে দিলে মনে একটা প্রশান্তি আসবে!
.
সকাল থেকে আমাদের মাথায় ক্যালকুলেশন চলতে থাকে,
.
পাঞ্জাবীর পায়জামা দুই একদিনের বেশী পড়া যায় না বলে জিন্সের সাথে মাঞ্জা মেরে এবার ঈদ হবে কারণ জিন্সটা চৌদ্দ বছর পড়ে ছিঁড়ে গেলে তা আবার নতুন স্টাইলে রূপ নেয়,
.
এগুলো কঠিন ক্যালকুলাস যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যে ক্যালকুলাস শিখিয়েছিলো তার চেয়ে বেশী কার্যকর!
.
আমার এক বন্ধু ঈদে হিসেব মিলাতে পারতো না তাই এই বছর টিউশনির টাকা বাঁচিয়ে ছোট ভাইকে ঈদের পোশাক কিনে দিলে আগামী বছর মেজো ভাইকে কিনে দিতো!
.
এবার ঈদে আমি তেমন কিছু ক্রয় করিনি তবুও দশ হাজার টাকা শেষ বিলিভ ইট আর নট মাত্র দশ হাজার টাকা বাজেট দিয়ে একটি পাঁচ সদস্যের পরিবার মাঞ্জা মেরে শপিং করেছে! কঠিন ক্যালকুলাস!
.
মাত্র কয়েক বছর আগেও আমরা আট দশ হাজার টাকা দিয়ে পুরো পরিবার মার্কেটিং করতাম! আমি ছোট হিসেবে আড়ই থেকে তিন হাজার টাকা বাজেট থাকতো এর মধ্যে পাঞ্জাবী পায়জামা থেকে শুরু করে সেন্টু গেঞ্জি সব কিনতাম!
.
কিছু টাকা বাঁচিয়ে একটা ফেয়ার এন্ড লাভলীর সাথে বন্ধুদের জন্য দুইটা পার্টির টাকাও থাকতো!
.
তখন আমাদের কোন ব্রান্ড ছিলো না!
.
এই চট্টগ্রাম শহরে আপনি একই জিনিস ২০০ টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন আবার ২০০০ টাকা দিয়েও.... হালকা এদিক ওদিক থাকে! যদিও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা!
.
সবার একটা আলাদা ক্যালকুলেশন থাক,
.
প্রবাসীদের একটা ক্যালকুলেশন থাকে দেশে পরিবারের কেউ কি ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলো কি না!
.
জেল খানার হাজতবাসীদের একটা কল্পনার ক্যালকুলেশন থাকে ও মনে হয় এটা করছে! ওটা করছে! বাচ্চাটা মনে হয় নিশ্চিত লাল শার্ট কিনেছে! সবাই ঈদের নামাযের পর কোলাকুলি করছে!
.
ঈদের ছুটি না পাওয়া ট্রাফিক পুলিশ, সিকিউরিটি কিংবা গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত কেউ হয়তো এটা বালের চাকরি বলে পরক্ষণে অন্যের ঈদ আনন্দ দেখে মজা পাচ্ছে!
.
হঠাৎ অনেক ক্যালকুলেশন করে ভাবছে, আজ আমি এই রাস্তার মাথায় ডান্ডা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি বলে শুধু আমার পরিবার না তোমরাও আনন্দে ঈদ করতে পারছো! আহ্! কি আনন্দ!
.
এগুলো মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্তের সমাধান করা অংক যে গণিত পরীক্ষায় উচ্চবিত্তরা ফেইল করবে!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: বর্ষার প্রথম দিনের শুভেচ্ছা ।

২| ১৫ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

একাল-সেকাল বলেছেন: সমাজের উচ্চবিত্তদের অংক কে বলে বাণিজ্যিক গণিত B-)
আর
সমাজের বাকী অংশের অংক কে বলে সাংসারিক গণিত :-B

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫১

কিশোর মাইনু বলেছেন: নিম্মবিত্তদের গণিত হচ্ছে সাধারণ গণিত,তেমন কিছুই কিনবেনা,সদাসিধে ঈদ করবে।
উচ্চবিত্তদেরগুলো হচ্ছে আলজেবরা/বীজগণিত।অংকের শুরু থেকেই তাদের ফলাফল জানা থাকে।স্রেফ ডানপাশ=বামপাশটা মিলালেই হল।প্রমাণটা প্রচলিত নিয়মে হল কিনা দেখার দরকার নাই।বেশী অসুবিধা হলে গাইড বইয়ের মত নেটেই শপিং শেষ,নয়তো সিংগাপুর/দুবাই।
আর মধ্যবিত্তদের গণিত হচ্ছে ক্যালকুলাস।অংক শেষ হওয়ার আগের লাইনে ও আপনি ১০০% সঠিক উত্তরটি বলার আগে চিন্তা করবেন।অংক শেষ হয়ে গেলেও কনফিউশনে থাকবেন আসলেই কি অংক মিলল?!?!?

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০২

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনি ভালো লেখেন, আপনার সব লেখাই বেশ চমকপ্রদ ! একটা দুটো বাজে শব্দ ব্যবহার না করলেই কি নয় ? আমার মনে হয় না করলেও কেউ খারাপ বলবে না ! ভালো থাকুন।

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

নিশি মানব বলেছেন: মধ্যবিত্তরা শুধু স্বপ্ন দেখে। কল্পনা আকে। বাস্তবায়নের সময় শুধু ক্যালকুলেশন করে।
এরপরে থমকে দাড়িয়ে বিড় বিড় করে বলতে থাক, থাক না হয় আগামীতে বাস্তবায়ন করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.