নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'কেঁদো না বাবা আমি ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনো দেবো\'

১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

কেনো আজকে পুরো বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করে,
.
আজ শুধু মানুষ যে খেলোয়ারের কারণে ব্রাজিল সাপোর্ট করে তা নিয়ে বলবো তার আগে বলে রাখি পেলের অসংখ্য ক্লাব শিরোপা রয়েছে সর্বোপরি তৎকালীন সেরা গোল দাতা মালিক ছিলেন তিনি,
.
সময় যখন বিশ্বকাপের তাই বিশ্বকাপ নিয়ে থাকবো
.
ব্রাজিলের পেলে জাতীয় টিমের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলেছিলো চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে যে ম্যাচে তিনি আর্জেন্টিনাকে গোল দিয়ে ষোল বছর নয় মাস বয়সে সর্বকনিষ্ট গোল করা খেলোয়ার হয়ে সবার নজরে আসেন,
.
মাত্র সতের বছর বয়সে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছিলেন,
.
বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিরুদ্ধে সর্বকনিষ্ট খেলোয়ার পেলের একমাত্র গোলে ব্রাজিল সেমিফাইনালে উঠে!
.
তারপর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে হ্যাকট্রিক করে বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ট হ্যাট্রিক করা খেলোয়ার হিসেবে ইতিহাসে নিজের নাম লেখান,
.
তারপর ফাইনালে উঠে আরো দুই গোল করার পর সবচেয়ে কম বয়সে পুরো বিশ্বের মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন!
.
আটান্নরে বিশ্বকাপে সেরা তরুণ উদীয়মান খেলোয়ার হয়ে সিলভার কাপ এবং সিলভার বুট তিনি জয় করেছিলেন
.
এই ছোট্ট ছেলের হাত ধরে ব্রাজিলের ২৮ বছরের বিশ্বকাপ জিততে না পারার কষ্টের সমাপ্তি হয়েছিলো!
.
সর্বকনিষ্ট খেলোয়ার হয়ে বিশ্বকাপ জয় কিংবা জয় করানোর রেকর্ডও তার,
.
আটান্নার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে বাষট্টির বিশ্বকাপ এলে পুরো বিশ্বের চোখ গতবারের লিটল জিনিয়াস পেলের দিকে,
.
কিন্তু ৬২ সালে বিশ্বকাপে চেকোস্লোভিয়ার বিপক্ষে মারাত্মক ইনজুরির শিকার হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিঁটকে পড়েন!
.
৬২ বিশ্বকাপ শেষ হয়ে এলো ৬৬ সালের বিশ্বকাপ আবারো সবার দৃষ্টি তার দিকে থাকলেও সবাইকে চোখের জলে বাসিয়ে বুলগেরিয়ার একের পর এক ফাউলে তিনি ইনজুরিতে পড়লে তাকে আবারে দর্শক হয়ে বিশ্বকাপ কাটাতে হয়েছিলো!
.
সত্তরের বিশ্বকাপ খেলবেন না বলে সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু না তাকে খেলতে হলো,
.
ফাইনাল ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে একটি গোল এবং সেরা খেলোয়ার হিসেবে পুরো বিশ্বকাপে চারটি গোল সাতটি এসিস্ট করে আবারো বিশ্বকাপ জয় করে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন যার কারণে আজকে ম্যাক্সিমাম মানুষের গা'য়ে ব্রাজিলের জার্সি, চোখে জয়ের স্বপ্ন মনে ভালবাসা ছাদে পতপত করে পতাকা উড়ছে!
.
এই সে কালো মানিক যে ব্রাজিলের গোল্ড মেডেল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ সর্বোচ্চ নাইট উপাধি, বিবিসির আজীবন সম্মাননা, শতাব্দির সেরা ফুটবলার এবং শতাব্দির সেরা এ্যাটলেট হয়েছিলেন,
.
এই সে পেলে যে ১৯৫০ সালে উরুগুয়ের কাছে বিশ্বকাপে হেরে যাওয়ার পর পেলে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলো 'বাবা তুমি কাঁদছো কেনো' তারা বাবা উত্তর দিয়েছিলেন আমরা বিশ্বকাপে হেরে গেছি তা শুনে নয় বছর বয়সী পেলে বলেছিলেন, 'কেঁদো না বাবা আমি ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনো দেবো'

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

সনেট কবি বলেছেন: ম্যারাডোনার খেলার সাথে কারো খেলার যেন তুলনা হয়না।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৬

নিশি মানব বলেছেন: ম্যারাডোনা ম্যারাডোনার জায়গা আর পেলের জায়গায় পেলে। দুজনেই গ্রেড। নিজেদের অবস্হানে বেস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.