নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধু না খেয়ে উড়ে যাওয়া ভ্রমর

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

ছোট কালে প্রেমের সমাধি ফিল্মের গানের শুরুতে 'প্রেমের সমাধি ভেঙে, মনের শিকল ছেড়ে পাখি যায় উড়ে যায়, তোমায় পাবনা জানি, শুধু চোখের পানি দিয়ে গেলে আমায় বলে' বাপ্পারাজ যখন পাথরে উষ্টা খেয়ে পাহাড় থেকে গড়াগড়ি করে পরে যেতো তখন বুকটা সত্যি চ্যাত করে উঠতো,
.
ভাগ্যিস চট্টগ্রাম বিশ্বাবিদ্যালয়ে সে ছ্যাঁকা খায়নি নাহলে পাহাড়ে গড়াতে গড়াতে সে প্রেমিকার নাম শুদ্ধ ভুলে যেতো এখানে এতোগুলো টিলা!
.
বাপ্পারাজ ফুল দিয়ে প্রপোজ করে ছ্যাঁকা খেয়েছিলেন, বাসর রাতে বউকে স্পর্শ করতে গিয়েও, গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে শুরু করে জোর করে ভালবাসা আদায় করতে গিয়েও তার কপালে জুটেছিলো কেবলি ছ্যাঁকা আর ছ্যাঁকা!
.
মামা! কেবলি ছ্যাঁকা!
.
কেনো আমার সাথে শুধু এমন হয়! কি অপরাধ ছিলো আমার! এ হতে পারে না! তুমি শুধু আমার! কেবলি আমার! আরো কারো নও! ডায়লগগুলো যেনো তার জীবনের সাথে একাকার হয়েছিলো!
.
তার এমনি পোড়া কপাল একবার তার গার্লফ্রেন্ডের বয়ফ্রেন্ডকে বাপ্পারাজ পাহাড় থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার পর বয়ফ্রেন্ডের স্মৃতি ফিরে আসলো যে বাপ্পারাজের গার্লফ্রেন্ড সিনেমার নায়কের এক্স গার্লফ্রেন্ড! গুরু আবারো ছ্যাঁকা খেলো!
.
ভুলোনা আমায় ফিল্মে 'আমিতো একদিন চলে যাবো, বেঁধে রাখা যাবে না, অনেক দূরে হারিয়ে যাবো, কোথাও খুঁজে পাবে না, কেন মিছে মায়া বন্ধনে আমায় বন্ধু তুমি জড়ালে' গানটি দেখার পর এতো এমপ্রেস হয়েছিলাম যে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম 'একদিন আমিও বাপ্পারাজ হবো'
.
বাপ্পারাজ ছিলো ক্রোয়েশিয়ার মতো যে সব নায়ককে ছাড়িয়ে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিতো আর বিশ্বকাপটা ফ্রান্সের হাতে উঠে যেতো,
.
দেখার বিষয়ের মধ্যে দিলদার, টেলিসামাদ থেকে শুরু করে সাইড নায়িকা আকাশ বাতাস বৃক্ষ লতা পাতা ফুল সবাই অদ্ভুতভাবে হায় বাপ্পারাজ! হায় বাপ্পারাজ! রব তুলে তাকে দেখে মন খারাপ করে থাকতো!
.
হালের সেই চিরাচরিত প্রজাপতিও ফুলের কাছে এসে মধু না খেয়ে চলে যেতো!
.
তবুও তার শেষ প্রত্যাশা থাকতো, 'তুমি ভুলোনা ভুলোনা আমায়, লিখো নামটি স্মৃতিরও পাতায়'
.
তাই যতবার উদ্ভূত পরিস্থিতির শিকার হয়েছি ততবার বুক ফুলিয়ে বলেছি আমাদের দলে বাপ্পারাজ আছে,
.
দিনশেষে, 'তুমি বন্ধু আমার চির সুখে থাক আমি একা সুখে দুঃখে হেসে যাব' এমন মোটিবেশনগুলো বাপ্পারাজ না দিয়ে গেলে কত শত নারীর মুখ এসিডে ঝলসে যেতো তার খবর কে বা রাখে!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: সুন্দর ++

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ৩০/৩৫ বছর পরের কথা । এখনকার বাচ্চারা পুরা স্মার্ট । মাথা সবসময় উঁচু । ভুলভ্রান্তি, অন্যায় বা অপরাধ করে বাসায় ফিরেও ভাবলেশহীন । যেকোনো বিষয়ে মিথ্যা বলছে ডাঁটের সাথে । আমরা নতজানু ছিলাম অভিভাবকদের সামনে । আর তারা নতজানু মোবাইলে । মাথা নিচু করে একটানা চ্যাটিং চলছে তো চলছেই । ...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.