নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাড়িয়ে দাও তোমার হাত

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩১

মাঝ পথে জুতো ছিঁড়ে গেলেও আমরা সবার আগে মুচি খুঁজে তার দিকে হাত বাড়িয়ে দিই,
.
সিইপিজেডে কিছুক্ষণ আগে ছাতি উল্টে গেলে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিলো কালো লিকলিকে চ্যাপ্টা মেরে বসে থাকা এক লোকের বাড়িয়ে দেওয়া হাত,
.
সন্দ্বীপে যাওয়ার সময় উত্তাল বর্ষায় যখন স্লিপ কেটে স্পীড বোট থেকে পড়ে যাচ্ছিলাম তখন মাঝির বাড়িয়ে দেওয়া একটি হাত কতটা আরাধ্য ছিলো বুঝাতে পারবো না!
.
নিম্নচাপে যখন দশ নাম্বার বিপদ সংকেত চলছিলো তখন কেউ একজন হাত বাড়িয়ে পথ দেখিয়ে বলেছিলো আগে সেরে নেন!
.
ছোট বেলায় যখন উফত হয়ে পড়ে যেতাম তখন বাবার বাড়িয়ে দেওয়া হাত থেকে বুঝেছিলাম জীবনে একটি বাড়িয়ে দেওয়া হাত খুব প্রয়োজন, সত্যি প্রয়োজন!
.
যতবার পড়ে গিয়েছি কেউ না কেউ হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো,
.
সেদিন দেখলাম দুই নং গেইটের ম্যানহোলে যখন মেয়েটি পড়ে যাচ্ছিলো তখন একটি ছেলে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো!
.
জন্মের পরও যখন মা পাশে ছিলো না তখনও ধাত্রী মা হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো মায়ের কোলে দেওয়ার জন্য,
.
জীবনে কত শত বিপদে আপদে বন্ধু বান্ধন চেনা অচেনা মানুষের বাড়িয়ে দেওয়া হাত দেখে বুকে বল এসেছিলো!
.
শুনেছি প্রিয় শিল্পী অনুপম রয় চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে বসে প্রিয় গানটি লিখেছিলেন, 'বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, আমি আবার তোমার আঙ্গুল ধরতে চাই'
.
সেদিন হঠাৎ পচন্ড বৃষ্টি! অনুপম আখতারুজ্জামানের সামনের ওদিকে বসা! রাস্তা ঘাট ডুবে যাচ্ছিলো ক্রমান্বয়ে!
.
মেয়েটি দ্রুত বলে যাচ্ছিলো আর কখনো দেখা না ও হতে পারে! আমার চেয়ে ভালো কাউকে বিয়ে করে সুখী হও!
.
মেঘলা দিনের একলা আবহাওয়া! ছেলেটি নির্বাক! মেয়েটি রিক্সায় উঠতে উঠতে বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ডুবে যেতো লাগো!
.
রিক্সা এগিয়ে যাচ্ছে! ছেলেটির হেড ফোনে গান চলছে, 'ভেবে দেখেছো কি তারা রাও যতো আলোকবর্ষ দূরে তারো দূরে তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে!'
.
হঠাৎ রিক্সার সামনে ম্যানহোল! ধাক্কা খেয়ে উফত হয়ে মেয়েটি পড়ে গেলো! মেয়েটি সাতার জানতো না! ছেলেটি দৌড়ে গেলো! মেয়েটি হাত বাড়িয়ে দিলো!
.
অনুপম পাঞ্চ লাইন পেয়ে গেলো, 'আমি আবার তোমার আঙ্গুল ধরতে চাই'
.
তারপর টিএসসির দৃশ্যপট! সেদিন ডিএসলার ছিলো না বলে দৃশ্যটি ছবি না হয়ে গান হয়েছিলো!
.
তবে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য একটি বাড়িয়ে দেওয়া হাত যা আর কখনো ছাড়া হয়না!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ঐ মশা তুই দূরে যা-
দূরে গিয়ে মুড়ি খা।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৩৮

সাগর শরীফ বলেছেন: ভাল লিখেছেন মিতা
আসলেই, বেচেঁ থাকার জন্য এবং বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত কারো না কারো হাত ধরতে হয় বা হাত বাড়িয়ে দিতে হয়। আর বিদায় বেলাতেও অনেক হাত এগিয়ে আসবে।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৫৬

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: কিছু কিছু বাড়িয়ে দেওয়া হাতের সাথে আমরা প্রতারণা করি।

তখন আর ভাবা হয় না আমাদের এই হাত গুলো দিয়েই আজ পৃথিবীতে আমার অস্তিত্ব দেখতে পাচ্ছি।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.