নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন কাজে কাম থাকে!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

সিইপিজেড মোড়ে মেট্রো প্রভাতীর কাউন্টার ম্যান বলছে, 'আপনি ক্যান আমার বউ আসলেও টিকেট দিমু তারেও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট নিতে হবে!'
.
চুপিচুপি বললাম, আর যদি শালী আসে?
.
বেচারা মিটমিট করে হাসছে!
.
এই মানুষগুলোকে অদ্ভুত ভালো লাগে! নিজের ছোট্ট কাজটাকেও ওরা বুকে আগলিয়ে রাখতে শিখেছে
.
একবার এক হোটেলে পানি খেতে ঢুকছিলাম! বয় ছেলেটার নাম করিম! বললাম গ্লাসটা ভালো করে ধুয়ে এক ক্লাশ পানি ধুয়ে এনে দে তারপর সে এমন ধৌয়া ধুয়েছে যে পানিগুলো চকচক করছিলো! পানি খেয়ে নাম জিজ্ঞেস করে খুশি মনে দশ টাকা বকশিশ দিয়েছিলাম!
.
তার থেকে আমি মোটিবেশন পেয়েছি কাজ ছোট্ট হলেও তাকে ভালবাসা যায়!
.
অক্সিজেন মোরের সেই সিএনজি চালকের গল্পটা মনে পড়লো টয়লেটে বেগ পেয়েছিলো পচন্ড বললাম ভাই রে একটু তাড়া আছে দ্রুত চালা... সে এমনভাবে চালিয়েছিলো ত্রিশ মিনিটের রাস্তা বিশ মিনিটে কেল্লাপথে!
.
নামার সাথে সাথে তার হাসিমুখ জানান দিয়েছে সে তার গ্রাহককে ভালবাসতে জানে
.
চাপের কারণে তার নামটা জিজ্ঞেস করা হয়নি
.
শোভাকলোণীর সেই লম্বুনীকে একবার বলেছিলাম বুয়া শার্টের কলার ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সে এমন পরিষ্কার করেছে যে শার্টের দুটা স্টেপ উঠে গেছিলো!
.
একবার একটা ফ্যাক্টরির সিকিউরিটি বুক টান টান করে এমন স্যালুট দিয়েছিলো বুক পকেটে হা করে থাকা দশ টাকাটা তার হাতে গুঁজে দেওয়ার পর তার টানটান বুক স্বাভাবিক হয়েছিলো!
.
এরা সবাই বকশিক ডিজার্ব করে, মন থেকে না দিলে অন্যায় হবে!
.
হঠাৎ বাবার প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় তাকে নিয়ে গেছিলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে সেখানে এক আয়া হুইল চেয়ার টেনে নিয়ে এসে বলেছিলো, আপনি টেনশন ছাড়া বসেন যা করার আমি করতেছি! তার ব্যস্ততা জানান দিলো, এখনো মানুষের মধ্যে মায়া আছে! পচন্ড মায়া!
.
এই মানুষগুলো মুহূর্তে হৃদয় জয় করে নিতে জানে সার্ভিস দিয়ে,
.
কখনো মনে হয়না এরা বাকশিশের আশায় কাজ করে ওদের চোখেমুখে কাজকে ভালবাসার প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট!
.
আমার দেখা দেবদাস বন্ধুকে এক মেয়ে এমনভাবে ভালবেসেছিলো যে প্রাক্তন মুচে উবে গিয়ে গিয়েছিলো
.
যে ছেলেটা আজ হোটেলে প্লেট মুচতে মুচতে স্টিকার মুচে ফেলেছে একদিন সে যদি হোটেলের ম্যানেজার হয়ে যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না,
.
যে পাঠাও চালক যার হুন্ডার পিছনে বসে আপনার মনে হয়েছিলো কুচ কুচ হোতা হ্যায় তাকে পজেটিভ রিভিও দেওয়ার জন্য কাঁচা হাতে হয়তো আপনিও অপশন খুঁজে বেড়ান
.
কারো হাতের কাজ দিনশেষে আর্ট হয়ে গেলে তাকে দুষ্ট ইমরান হাশমি বলে যদি বউ একটি হাসি দেয় তা মনে হতে পারে তিরস্কার! এটা আসলে পুরস্কার!
.
ভালো কাজ করলে মাঝে মাঝে এভাবে তিরস্কৃত হতে হয় কারণ কেউ কেউ জেলাস!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভাল্লাগলো কথাগুলো।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: সুন্দর। ভাল লেগেছে। কিছু বানান সমস্যা ছিল। কোথায় থাকেন?

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

হাবিব মোহাম্মদ ইমরান বলেছেন: অসাধারণ।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

ফেনা বলেছেন: হুম। ভাল লাগল। এমনটা বাস্তবে প্রায় দেখা যায়।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

নজসু বলেছেন: আমার কাছে কথাগুলো দামী মনে হলো।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

আরোগ্য বলেছেন: শেষ কথাটি নিতান্তই সত্য। ভালো কাজের বিনিময় প্রশংসা না বরং ঈর্ষা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.