নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ কথা বলে কিছু নেই

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

চিরকাল আমার সাইকোলজি (Psychology) এবং টলেমি (ptolemy) টাইপ বানানগুলো নিয়ে সংশয় কিংবা ভুল হয়েছে,
.
টলেমি ছিলো একজন খ্যাতনামা গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি বলেছিলেন 'পৃথিবী স্থির থাকে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে'
.
অনেকে বলেন বিজ্ঞানীরা যা বলে তা ঠিক, বেপারটা তেমন না আসলে যুগে যুগে বিজ্ঞানীদের অনেক অনুমান ধারণা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে!
.
তারপর প্রায় দুইশত বছর পর নিকোলাস কোপারনিকাস এসে প্রমাণ করেছেন যে না না, 'সূর্য স্থির থাকে, পৃথিবী বরং সূর্যের চারপাশে ঘুরে!'
.
ঘুরাঘুরি নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলতেছিলো, তারপর বিজ্ঞান আবিষ্কার করলো, সূর্য পৃথিবী কেউ স্থির থাকে না তারা উভয়ে তাদের আপন কক্ষ পথে ঘুরতে থাকে!
.
একসময় মনে করা হতো পৃথিবী থালার মতো সেটা ভেবে মানুষগুলো বেশীদূর ঘুরতে যেতো না যদি কিনারা থেকে পড়ে যায় তাহলে খবর আছে!
.
তারপর মানুষ সত্যির নিকটে আসলো যে আসলে পৃথিবী গোল আরো সত্যের কাছে আসলে বলা হলো, পৃথিবী পুরো গোল না, উট পাখির ডিমের মতো!
.
মানুষ দিন দিন সত্যের যত কাছে আসে তত অবাক হয়! সত্যও দিন দিন পাল্টে যায়!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ার সময় এক নাস্তিক আমাকে বলেছিলো, ভাই এটা কেমনে সম্ভব আপনাদের আল্লাহ হীরে মুক্তো জহরতের আধিক্য দিয়ে পুরো পৃথিবীর মতো এতো বড় বড় জান্নাত সৃষ্টি করবে!
.
তখন সেই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে ছিলো না! আজ বিজ্ঞান উত্তর দিয়ে দিচ্ছে! পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত নেপচুন গ্রহ!
.
বর্তমান পৃথিবীতে যেসব স্পেসযান আছে সেগুলো দিয়ে নেপচুনে পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৫ বছর সময় লাগবে যা এক প্রকার অসম্ভব!
.
নেপচুন এমন একটা বিস্ময় যেখানে সূর্যের আলো পর্যন্ত সবার থেকে কম পৌঁছায়!
.
এতো বেশী প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যদিয়ে যেতে হবে যে পৃথিবীর সমস্ত ঘূর্ণিঝড় কেবলি তার কাছে শিশু!
.
বায়ুমন্ডলের এতো বেশী চাপ তাপ সহ্য করে কেউ যদি ওখানে যেতে পারে তাহলে সেখানে আবিষ্কার করবে স্তরে স্তরে হীরে সুসজ্জিত!
.
আমরা তো জানি, কার্বন প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে হীরা গঠিত সুতরাং নেপচুন গ্রহটি এমনভাবে সৃষ্টি বলা যায় হীরে তৈরীর কারখানা!
.
সত্যের যত নিকটে যাবে মানুষ তত বিজ্ঞান থেকে ধর্ম আলাদা করতে পারবে না!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

ফারহানা শারমিন বলেছেন: মানুষ দিন দিন সত্যের যত কাছে আসে তত অবাক হয়! সত্যও দিন দিন পাল্টে যায়!

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: দিনের শেষে কিন্তু সত্যই টিকে থাকবে।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯

বঙ্কু বাবু বলেছেন: পুরানো সত্য দিন দিন পাল্টে গিয়ে নতুন সত্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এ ক্ষেত্রে আগের গুলোকেও সরাসরি মিথ্যা বলা যায় না। তারাও তাদের সময়ের সাপেক্ষে যথাসাধ্য সত্যই বলেছিলেন। হয়ত একেবারে নতুন কোন অবাক করা সত্য অপেক্ষা করতেছে আমাদের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.