নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্য, মিঃ সেলসম্যান

১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০০

গার্মেন্টস এক্সেসোরিজের অন্যতম আইটেম হলো বোতাম ৷ যেটাকে বাটন্ বলে ৷ পার্ল, হর্ন, মেটালসহ হরেক রকম বাটন আছে ৷
.
এক্সেসোরিজ সাপ্লায়ার হিসেবে মেজবাহ্ ভাই এক গার্মেন্টেসে গেছে বাটনের অর্ডারের জন্য ৷ হাতে নিয়ে গেছে কিছু বোতামের সেম্পল ৷
.
ভাই অর্ডারের জন্য অনুনয় বিনয় করছে ৷ বেপারটা হলো সবিনয় নিবেদন এই যে দয়া করে আমাকে কিছু বাটনের অর্ডার দিলে আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবো ৷
.
মার্চেন্ডাইজার বাটনগুলো সব চেক্ করে দেখে বললো এসব বাটনের বুকিং সাগরিকার ইমাম বাটনে দেওয়া হয়ে গেছে ৷ আমাদের শুধু একটি ক্যাটাগরির বাটনের অর্ডার আছে ৷ যার স্যাম্পল আপনার সাথে করে নিয়ে আসা বাটনে নেই ৷
.
মেজবাহ্ ভাই বললেন, তবুও বিনীত নিবেদন এই যে, আর্ডার আমাকে দিলে বাধিত হবো ৷ বায়ার বললো, স্যাম্পল ছাড়া তো দেওয়া সম্ভব না ৷
.
মেজবাহ্ ভাই একটা নাদুস নুদুস মানুষ ৷ কথিত আছে কোন এক বায়িং হাউজের দরজা স্লিম হওয়ায় ভিতরে ঢুকতে গিয়ে উনি আটকে গেছিলেন ৷ অফিসের কলিগদের কারো কোন সমস্যা হলে উনাকে নিয়ে দাঁড় করি দিলে ই হয় ৷ নানাবিদ্ কারণে অফিসে ওনার আলাদা খাতির ৷
.
একবার প্রিন্ট নিতে গিয়ে ওনার পেটের সাথে ধাক্কা খেয়ে আমি স্প্রিংয়ের মতো হেলেদুলে পরপর অবস্থায় ছিলাম ৷ ওনার মনটা খুব ই ভালো ৷ নিজে খায় তো আরো দশজন নিয়ে কাচ্চি খাওয়া তার শখ ৷
.
উনি বায়ারের সামনে ঠাঁই বসেছিলেন ৷ অর্ডার না নিয়ে অফিসে ঢুকার পাত্রও উনি না ৷ এক প্রকার যখন দেখলেন কোনভাবে অর্ডারটি পাওয়া সম্ভব না তখন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সেই নিঃশ্বাস এমনভাবে টানলেন তাতে হাওয়া পেটে পুরো ভরে গেলে পেট বেলুনের মতো ফোলে টাইট ফিট্ শার্টের বোতাম ছিঁড়ে বায়ারের নাকে গিয়ে গুলতির মার্বেলের মতো আঘাত করেছে ৷
.
ভাই সিঁট থেকে উঠে হা হয়ে যাওয়া পেট্ সমেত সরি স্যার্ সরি বলে যাচ্ছেন ৷ এমন সময় বায়ার নাকে আঘাত করে টেবিলে পরে ঘুরতে থাকা বোতামটি নিয়ে এপাশ ওপাশ করে বললেন, 'এটাই তো সেই বোতাম ৷ আমরা এটাই খোঁজ করতেছিলাম ৷'
.
ইটজ্ ওকে মেজবাহ্ ৷ বোতামটি যত দ্রুত সম্ভব ডেভেলপড্ করে নিয়ে আসেন ৷ আর্ডারটি আপনাকেই দেওয়া হবে ৷ সেইম বোতামে পিংক কালারের একটা স্যাম্পল পাঠিয়ে দিয়েন আপাতত ৷ শুনে মেজবাহ ভাই তো থ্ ৷
.
হা করে শার্ট নিয়ে তিনি অফিসে চলে আসলেন ৷ টিম লিডার তাকে বললেন, এ কি অবস্থা তোমার? তখন ভাই বললেন, অর্ডারের জন্য আগে জীবন দিতাম আজ শার্টের বোতাম খুলে দিয়ে এসেছি ৷
.
পাশ থেকে দুষ্ট কলিগ বলা শুরু করলো, ভাগ্যিস ইলাস্টিকের অর্ডারের জন্য যাননি তাহলে লিঙ্গারি খুলে দিয়ে আসতে হতো ৷
.
অফিস শেষে একই অবস্থায় গেলেন সেই শার্টের দোকানে, যেখান থেকে কিনেছিলেন ৷ তার অবস্থা দেখে দোকানদার ভীত হয়ে বললেন, ভাই আপনাকে নতুন আরেকটা শার্ট দিচ্ছি ৷ আমরা খুব ই দুঃখিত ৷
.
ভাই বললো, শার্ট লাগবে না ৷ সেইম শার্টে পিংক কালারের বোতাম আছে এমন একটা শার্ট খুঁজে বের কর ৷ তন্ন তন্ন করে শেষপর্যন্ত দোকানদার একটি শার্টে পিংক কালারের একই বোতাম পেলো ৷ তবে একটু শ্যাড্ বেশকম ৷ মেজবাহ্ ভাই শাস্তি হিসেবে শার্ট না সেই বোতাম খুলে নিয়ে এসেছে ৷
.
পরের দিন নিয়ে গেলো বায়ারের কাছে ৷ হালকা এদিক ওদিক হলেও একদিনে সেম্পল বানিয়ে আনার পুরস্কার স্বরূপ তার দায়িত্ববোধ দেখে ইমাম বাটনে দেওয়া আর্ডারগুলো কেনসেল্ করে তা পুনরায় মেজবাহ্ ভাইকে দিলো ৷ কেডিএস এক্সেসোরিজ কোম্পানী আবারও থ্ ৷
.
বার্ষিক সভায়, লাভ লস বাদ দিয়ে মেজবাহ্ ভাইয়ের মতো আরো কয়কটা সেলস্ খোঁজা হচ্ছে ৷

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ! চমৎকার।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: রম্য গল্প হলেও শেখার আছে অনেক কিছু। Never give up এই পয়েন্টটা খুঁজে পেয়েছি এই গল্পে। মেজবা ভাইয়ের মতো নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ কাজে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৩

ইফতি সৌরভ বলেছেন: :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.