নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা সবাই রাজা

বাবু>বাবুয়া>বাবুই

বাবু>বাবুয়া>বাবুই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধীকার বা ন্যায় বিচারের অধিকার প্রতিটি মানুষের জন্মগত।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

গুয়ান্তেনামো বর্তমান রেখে আমেরিকার কোন প্রতিষ্ঠান এমনকি মার্কীন সরকারেরও মানবাধীকার নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার নেই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই সংস্থাটি সব সময়ই মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করে এসেছে। ইরাক, অফগান, লিবিয়া, সম্প্রতি মিশর নিয়েও তাদেও কোন প্রতিবাদ নেই। স্বার্ধান্বেষী এই সংস্থা গুলোকে সুয়োগ করে দিয়েছি আমরাই। আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করার কোন দরকার ছিল কি? মানবতারিরোধী অপরাধের বিচার করার ক্ষেত্রে মার্কির্নদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা না করে বরং ডঃ ইউনুসকে খুঁচিয়ে খঁচিয়ে প্রতিপক্ষ তৈরী করা করা হলো এ গুলো সবই আওয়ামী সরকারের অদুরদর্শীতার ফসল অথবা বিচার কার্য় প্রলব্শিত করার কৌশলও হতে পারে।



তুরিন অফরোজদ গলা ফাটালেই কি শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যাবে ? সুরঞ্জিত সেন আর ওবাইদুল কাদের যেভাবে মন্ত্রিদের ধোলাই দেওয়ার পুরুষ্কার হিসাবে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। একইভাবে তুরিন আফরোজ বিভিন্ন টকশোতে প্রসিকিউটরদের ধোলাই দিয়ে চাকরিটা পেয়েছেন। এখন আর প্রসিকিউসন নিয়ে কোন কথা হয় না, প্রসিকিউসনে যেন শুধু তুরিন আফরোজেরই কমতি ছিল ।



এখন তুরিনের গুরু দক্ষিনা দেওয়ার সময় হয়েছে,তাই চিৎকার করছেন। তবে একথা হলফ করে বলতে পারি যতই চিৎকার করুক আর্ন্তজাতিক আদালতে যাবে না, ওখানে থলের বিড়ালের দৌড়া-দৌড়ি শুরু হয়ে যাবে। আর তাছাড়া আর্ন্তজাতিক আদালত কিনেও নিতে পারে।



আদিলুর রহমানকে গ্রেফতারের মাধ্যমে সরকার তার কার্যকলাপের সাথে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কে জড়িয়ে ফেললো। তারা যে প্রশ্ন গুলি তুলেছেন তা তো মিথ্যা না। দেশের মধ্যেই এই বিষয়গুলো বহুবার আলোচিত হয়েছে, সরকার কি পারবে এ বিষয় গুলোকে পরিষ্কার করতে।



এইচআরডব্লিউর দৃষ্টিতে বিচার প্রক্রিয়ায় পাঁচটি ত্রুটির মধ্যে রয়েছে,



বিচারকরা সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে তদন্ত করেছে,


তদন্ত কমিটি সব সময় বলেছে মানবতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সাক্ষি প্রমান জোগাড় করা হচ্ছে, অপরাধের আলামত পাওয়া গেছে ইত্যাদি। তদন্ত কমিটি ধরেই নিয়েছেন এরা অপরাধী, এদের বিরুদ্ধে প্রমান জোগাড় করতেই হবে। এরকম একটা মানসীকতা নিয়ে তদন্ত হয়েছে। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। তদন্ত কমিটি বিচারের আগেই একটা রায় মাথায় রেখে তদন্ত করেছে, প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের মানসীকতা থেকে নয়।



রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও বিচারকদের মধ্যে গোপন সহযোগিতা ও পক্ষপাতিত্ব

এটা স্কাইপি সংলাপ থেকে প্রমানীত - “আপনি উঠে দাড়াঁবেন আমি ধমক দিলে বসে পড়বেন যাতে মানুষ বুঝতে না পারে আমাদের মধ্যে আঁতাত আছে” । এর পরও কি বলতে হবে আইনজীবী ও বিচারকদেও মধ্যে যোগসাজেস নাই।

আসামিপক্ষের সাক্ষীদের নিরাপত্তায় ব্যর্থতা

একজন স্বাক্ষীকে অপহরন করা হয়েছে (গোপাল না কি যেন নাম) এটা দেশের সব পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছিল। শুনেছি তাকে ভারতের কোন কারাগারে দেখাগেছে।

বিচারক প্যানেলে পরিবর্তন

বলাই বাহুল্য, এ কথা কে না জানে।



সন্দেহাতীতভাবে দোষ প্রমাণ করতে তথ্যপ্রমাণাদির অভাব


প্রথম আলোর আইন সংক্রান্ত রিপোর্টার (নাম মনে পড়ছে না) এর বক্তব্য অনুযায়ী কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুরের হত্যা কান্ডের ঘটনায় একজন স্বাক্ষী বলেছেন “ঘটনার আগের দিন ঘটনা স্থলে কাদের মোল্লাকে অস্ত্রহাতে দেখা গেখেছেন” আদালত এই স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন, কাজেই বোঝাই যায় কতটুকু সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।



দেশের সকল সাধারন মানুষ ৭১ এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই, কিন্তু সুষ্ঠ ও স্বচ্ছতার সাথে, বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হলে তা ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে, পরবর্তী কোন এক প্রজন্মের কাছে এই প্রশ্নগুলো তাদেরকে নায়ক বানিয়ে ফেলবে না এই গ্যারান্টি কে দিবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশের সকল সাধারন মানুষ ৭১ এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই, কিন্তু সুষ্ঠ ও স্বচ্ছতার সাথে, বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হলে তা ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে, পরবর্তী কোন এক প্রজন্মের কাছে এই প্রশ্নগুলো তাদেরকে নায়ক বানিয়ে ফেলবে না এই গ্যারান্টি কে দিবে।

আর আওয়ামীলীগ যে কেবলই নির্বাচনের ইস্যু হিসেবে জিউয়ে রাখতেই এটাকে চুইংগামের মতো টেনে লম্বা করে নির্বাচনের আগে আগে রায় দিচ্ছে- যাতে রায় কার্যকরের ধূয়া তুলে ভিক্ষা চাওয়া যায়- এটাও জনতা বোঝে!
বোঝৈনা শূধূ অতি চালাকেরা।

আর যার ফলে তারা নিজেরাই ভবিষ্যতের কাঠগড়ায় দাড়ানোর পথ খোলা রেখে গেল!!!!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: চুইংগাম কেন এলাষ্টিক বানাইলেও এই নির্বচনে আর কাজ হবে না।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রথম আলোর আইন সংক্রান্ত রিপোর্টার (নাম মনে পড়ছে না) এর বক্তব্য অনুযায়ী কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুরের হত্যা কান্ডের ঘটনায় একজন স্বাক্ষী বলেছেন “ঘটনার আগের দিন ঘটনা স্থলে কাদের মোল্লাকে অস্ত্রহাতে দেখা গেখেছেন” আদালত এই স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন, কাজেই বোঝাই যায় কতটুকু সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।






তাহলে আপনার ভাষায় কাদের মোল্লা নির্দোষ?

হ্যা বা না তে কি উত্তর দিতে পারবেন?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: কাদের মোল্লা কেন মানবতাবিরোধী অপরাধে যাদের বিচার চলছে তাদের কাউকেই আমি নিরাপরাধ মনে করি না। যদিও এটা আমার পারসেপশন, আমি ইতহাসের স্বাক্ষী নয়।

বিচার যখন হচ্ছে তখন সেটা বিচারের মতই হতে হবে। এটা একটা জাতির উত্থানের ইতহাসের সাথে জড়িত। বিচার করতে নিয়ে ক্রস ফায়ার যেন না হয়। উপযুক্ত তথ্য প্রমান জোগাড়ে ব্যার্থতা সরকারের, এটা ইচ্ছাকৃতও হতে পারে। তদন্ত কমিটি শক্তিশালী করার যে পরামর্শ ছিল সরকার তা গ্রহণ করেনি।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

নন্দনপুরী বলেছেন: jotoi fala fale koren .. rajakarer fase hobai .....Insaalla

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আওয়ামীলীগ বেঁচে থাকতে তা কখনই হতে পারে না। হু হা হা হা

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আসলে অদ্ভুদ উটের পিষ্টে চলছে দেশ
আর ক্ষেমতারে পুজি করে
সেবক সেজে লুটতরাজে ব্যস্ত কতিপয়
নিচ্ছে জনতার স্বাধীনতা হরন করে ঃঃঃঃঃঃ

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ক্ষেমতারে পুজি করে
সেবক সেজে লুটতরাজে ব্যস্ত কতিপয়।
------- সহমত।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কাদের মোল্লা কেন মানবতাবিরোধী অপরাধে যাদের বিচার চলছে তাদের কাউকেই আমি নিরাপরাধ মনে করি না। যদিও এটা আমার পারসেপশন, আমি ইতহাসের স্বাক্ষী নয়।

বিচার যখন হচ্ছে তখন সেটা বিচারের মতই হতে হবে। এটা একটা জাতির উত্থানের ইতহাসের সাথে জড়িত। বিচার করতে নিয়ে ক্রস ফায়ার যেন না হয়। উপযুক্ত তথ্য প্রমান জোগাড়ে ব্যার্থতা সরকারের, এটা ইচ্ছাকৃতও হতে পারে। তদন্ত কমিটি শক্তিশালী করার যে পরামর্শ ছিল সরকার তা গ্রহণ করেনি।




অবশ্যই মূল্যবান কথা বলেছেন। আপনার কথা ফেলে দেবার মতো নয়। কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন জাগলো। আপনি হয়তো জানেন বরিশাইল্লা মানুষের মতো আমার একটা বদ স্বভাব আছে। খালি কুশ্চেন করি।

১) আপনি কি মনে করেন আমাদের দেশের আদালতে যত বিচার সালিশ হয় সবই কি ত্রুটিমুক্ত? আমাদের বিচার বিভাগ কি কখনো প্রভাব মুক্ত ছিলো?

২) আপনি কি মনে করেন শুধুমাত্র বিচার বিভাগের দুর্নীতি দূর করলেই সারা দেশের দূর্নীতি তিরোহিত হবে? যদি তাই হয় তাহলে সেটা কি কেউ করতে পেরেছে? কে এবং কিভাবে করেছে?

৩) যেই দেশে প্রধান দুটো দলই দুর্নীতির করাল গ্রাসে আক্রান্ত সেদেশে তাদের সরকারের অধীনে আপনি কিভাবে দুর্নীতিমুক্ত ১০০% শুদ্ধ বিচার পাবেন? স্বজনপ্রীতি কি শুধু আওয়ামী লীগের আমলেই ছিলো?

আপাতত এই তিনটা প্রশ্নের উত্তর দিলে আপনার সাথে একটা সুন্দর আলোচনা করা যেতে পারে।


১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ১) আমাদের আদালত ক্রুটি মুক্ত ছিল না, এখনও নাই। বর্তমানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নামে যা হচ্ছে তা ক্রুটির সীমা লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু এই সরকারের সময় বিচার বিভাগকে স্বাধীন করা হলো তাই এটা ইপ্লিমেন্টেশনের দায়িত্বও ছিল বর্তমান সরকারের তা না হয়ে উল্টো সরকার এই আদালতকে ব্যবহার করেছে নগ্নভাবে, আদালতের মাধ্যমে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জনগনের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন।

২) এখানে দেশের সার্বিক দূর্নীতির কথা বলিনি।প্রশ্ন করেছেন তাই বলছি, কেবল বিচার বিভাগের দূর্নীতি বন্ধ হলেই দেশের সব দূর্নীতি বন্দ হয়ে যাবে তা মনে করি না তবে কম পক্ষে ২৫% বন্ধ হতে পারে।
সমাজে দূর্নীতর যে ঘটনা গুলো ঘটে তা আদালতে গিয়েই শেষ হয়। এখানে আদালত সঠিক ভুমিকা রাখে না বলেই মানুষ অভিযোগ করা ছেড়ে দিয়েছে। ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলে দূর্নীতিবাজরা সাহস হারাবে।

কেউ করতে পারেনি। বর্তমানে সরকারী মদদে প্রচন্ড রকম বেড়েছে । যখন যে ক্ষমতায় থাকবে এর জন্য তাকেই জবাবদিহি করতে হবে।


৩) অন্যান্য বিচারের সাথে এই বিচারের বিষয়টি ভিন্ন। এটা ব্যাক্তিগত বা দরীয় বিষয় নই এটা জাতীয় একটি বিষয়। এই বিচার এদেশের জন্মের ইতিহাসের সাথে জড়িত। এই বিচারট্রও যখন ইতহাস হবে, আজ থেকে ৫০-১০০ বছর পর আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম যখন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রিপোর্ট গুলো পড়বে তখন তারা কি দ্বিধা বিভক্ত হবে না ? এভাবেই কর্ণেল তাহের কারো কাছে হিরো কারো কাছে জিরো হয়েছেন। স্বজনপ্রিতি সব আমেলই ছিল, শুধু এই দুই দর না আমাদের ব্যাক্তি জীবনেও আমরা স্বজনপ্রীতি করি। এ থেকে মুক্ত থাকাটা একটা মহৎ গুন বৈকী। তবে মুক্ত না থাকতে পারলেও সবাই যেন যোগ্য স্বজন তৈরী করতে পারে এই কামনা করি।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর এবনফ বিশ্লেষন পূর্ন উত্তর দিয়েছেন। আমি আসলেই আলোচনার জন্যই প্রশ্ন গুলো করছি। ব্লগে ইদানিং কারো সাথে আলোচনার পরিবেশ নেই। অনেকে না জেনে করেন, অনেকে জেনে নিজের স্বার্থের জন্য করেন। কিন্তু আপনি সেরকম নন।

যাই হোক আমার বাকী প্রশ্ন গুলো:

১) যেই কারনে সরকার বিচার বিভাগক স্বাধীন করতে বাধ্য হয় (বাধ্য হয়ই বলবো কারন সরকার এটা স্বতঃসফূর্তভাবে কখনোই করেনি) সেই কারনটা হলো মাজদার হোসেন। চারদলীয় শাসনামলে বিচারপতিদের বয়স এবং অবসর সংক্রান্ত ব্যাপারে মওদুদ সাহেবের সাথে বিচারপতি সরাসরি কলহে লিপ্ত হয় এবং তখন একটা ধারাকে চ্যালেন্জ্ঞ করে মাজদার হোসেন একটা খুব সম্ভবত একটা রিট পিটিশন করেন আদালতে। সে কেসটা চলতে থাকে এবং তৎকালীন এটর্নী জেনারেল মওদুদ হোসনের পক্ষ নিয়ে সেটাকে দীর্ঘায়িত করেন। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেটা অনেকটা গতি হারালেও সরকারের প্রনোদনার সেটা প্রান ফিরে পায় এবং এই মামলার সাথে আওয়ামী ঘরানার এক উকিল সরাসরি সংযুক্ত ছিলেন। অবশেষে এই সরকার ক্ষমটার নেয়ার কিছুদিন পর এই মামলার রায় হয় এবং সরকার বেশ তড়িঘড়ি করেএকটা বিল পাশ করে যেটাতে কেউই সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

প্রশ্ন হলো তখন এই বিলটা যখন পাশ করা হয় তখন কারা এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী সরব ছিলো এবং বিরোধীদলীয় চীফ হুইপের নীরবতার কারন কি ছিলো?

২) মাজ হার হোসেন মামলাটি যদি ব্যাক্তি তাগিদেই হয় সেখানে আপনি লীগ সরকারকে ফেভার করবেন নাকি বিএনপিকে? যেখানে বিএনপির সরাসরি অবস্হানই ছিলো এ ব্যাপারে?

৩) দুর্নীতি যেহেতু কমাতেই পারছেন না, সেহেতু আপনার এখন কি করা উচিত? দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত নাকি এই দুর্নীতিটা করা যাতে কঠিন থেকে কঠিনতর সেটা করা উচিত? আপনার কি মনে হয় দুর্নীতি এক দিনে বন্ধ করা যাবে? যদি করা যায় সেটা কিভাবে?

৪) মানবাধিকার যেসব সংস্হাগুলো আছে এগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তি কি? আপনি একবার বলেছেন কাদের মোল্লা কি আকাম করেছে সেগুলো আপনি দেখেননি, মানবাধিকার সংস্হারও একই কাহিনী, তাহলে আপনি কিভাবে বিশ্বাস করেন মানবাধিকার সংস্হাগুলো নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে? যেখানে এমনেস্টি খোদ সুইডেন জার্মানী আমেরিকাতেও অনেক সমালোচনার শিকার হয়, সেদেশের অনেক সংগঠনই এসব মানবাধিকার সংস্হাগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে যারা এসব বানিয়েছে, সেখানে আপনার কাছে কেন মনে হচ্ছে এখানে শয়তানের এজেন্ট নেই?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ১) বাধ্য না বলে যদি পজিটিভলি দেখি তাহলে শেষ পর্যন্ত জনমতের বা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন বলতে পারি। তাতে দল গুলো ইনস্পায়ারড হলেও হতে পারে। সমস্যা হলো শর্ষের ভেতর ভূত রয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ এটাকে ব্যবহার করছে। তাদের দলীয লোকজন দিয়ে বিচার বিভাগের বাধেঁ বন্দুক রেখে শিকার করছে আর সেটাকে হালাল করার জন্য বলছে বিচার বিভাগ স্বাধীন কাজেই আমাদের কিছু করার নেই।

২) ব্যাক্তি তাগিদে হলেও জনসমর্থন ছিল, সাধারন মানুষও চাইছিল বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। এই মামলাটির জন্য মাজদর হোসেনের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। এখানে আ.লীগ বিএনপি আনতে হবে কেন বুঝলাম না। এদের আদর্শিক দৈনতা আমাদের সবারই জানা। গনতন্ত্রের বিকাশের জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রয়োজন ছিল আমরা পেয়েছি, আমার কাছে এটুকুই যথেষ্ট। যেহেতু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা কালে এটা ঘটেছে, তাদের ফেভারেই যায়, অনেকটা পড়ে পাওয়া ১৪ আনার মত।

৩) দুর্নীতির বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবেই কথা বলতে হবে, দুর্নীতি কিভাবে হচ্ছে, কোথায় কোথায় হচ্ছে এগুলো সামনে আসলে দুর্নীতি বন্ধের প্রশ্নই উঠবে না। তাছাড়া যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়ার ষ্ট্রেটেজী তৈরী করতেও দুর্নীতি গুলোকে সামনে নিয়ে আসা প্রয়োজন। দুর্নীতি করা সব সময়ই কঠিন যদি দুর্নীতিবাজরা আইনকে ভয় পেত। আইনের প্রয়োগ নাই বলেই এটা সহজ। ক্ষমতাসীনরা যদি প্রশ্রয় না দেয় তবে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব। দুর্নীতি এক দিনে বন্ধ হওয়ার বিষয় নয় আর কখনও ১০০% এটাও আশা করি না।

৪) লেখাতেই মানবাধিকার সংস্থার বিশ্বাস যোগ্যতার কথা বলেছি। আমরা কন্টেইনার এর চাইতে কন্টেন্টকে গুরুত্ব দিলেই ভালো। যেটা পজেটিভ সেটাকে গ্রহণ করবো আর নেগেটিভ হলে অবশ্যই সমালোচনা করবো। খালেদা/হাসিনা কেও তো বিশ্বাসযোগ্য না, কিন্তু তারা কেউ যদি পজেটিভ কিছু করে সেটাকে নিশ্চই গ্রহণ করতে হবে, প্রশংসাও করতে হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে বক্তব্য দিয়েছে সেই বক্তব্যকে আপনি অস্বীকার করবেন কিভাবে।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ৫) আর যদি এতটাই বিশুদ্ধ রায়ের কথা বলেন তাহলে বাংলা ভাই বা শায়খ আব্দুর রহমানের জন্য যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২ মাসের মধ্যে সাজা হলো সেটা নিয়ে কেন কিছু বলছেন না? যেখানে শায়খ আব্দুর রহমান সরাসরি বলেছিলো তারা নিজ হাতে বোমা ফাটায় নাই, প্রনোদনা দিছে, লীড দিছে সেখানে তাকে ফাসি দেয়া হলো কেন? আর ঐ যে বিএনপির এমপি খালেদা জিয়ার আত্মিয় ভাগ্নে মনে হয় সে ব্যাক্তিটি কেন বিচারের আওতায় নেয়া হলো না সেটা নিয়েও বা কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না?

৬) অথবা আপনি যেহেতু স্বীকারই করেছেন দুর্নীতিতে আক্রান্ত এই বিচার বিভাগ, তাহলে কেন কাদের মোল্লা? কেন সেসব দুঃখী মানুষ নয় যাদের মামলা লড়বার টাকা পর্যন্ত নাই, রাষ্ট্রের অ স হায়তায় হেরে যাচ্ছে ন্যায়বিচারের অভাবে আপনারা তাদের জন্য কেন কথা বলেননি এতদিন? কাদের মোল্লা এমনকি হনু হলো যার ন্যায়বিচারের জনয় আপনাদের মর্সিয়া ক্রন্দন?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ৫) ঘটনার সময়ের যে ব্যবধানে শায়েখ/বাংলা ভাইদের বিচার হয়েছে তেমনি ৭১ এ সেই সময় এই বিচারটা যদি দুই মাসের ব্যবধানে হতো কেউ প্রশ্ন করতো বলে মনে করিনা। মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে, যেটা শায়েখ/বাংলা ভাইদের বিচারের সাথে তুলনা চলে না।

৬) লেখায় বিচার বিভাগের সার্বিক দুর্নীতির বিষয় নিয়ে কিছু বলা হয়নি, এটা বিষদ আলোচনার বিষয়। পোষ্টে মানবতা বিরোধী আপরাধের জন্য গঠিত বিশেষ ট্যাইবুনালের কথা বলা হয়েছে।

সাধারন যে কোন বিচারের সাথে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়টি ভিন্ন বিধায় বিশেষ ট্যাইবুনাল গঠন করা হয়েছে।
এই বিচারের আলাদা গুরুত্ব আছে বলেই এটা নিয়ে আপনার আমার সাথে কথা হচ্ছে। অন্য একটা সাধারন অবিচার নিয়ে পোষ্ট দিলে আপনি সেটা পড়তেন কিনা এবিষয়েও সন্দেহ আছে।


৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: উপরে বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন আম্লীঘ এটাকে নির্বাচনী ইস্য হিসেবে জিয়িয়ে রাখছে..একেবারে খাটি কথা।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.