নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে..

কাঁচের দেয়াল

আমি...খুব সাধারণ একটা ছেলে,নিরামিষ টাইপ। জন্মেছিলাম কোনো একদিন,এখন মৃত্যুর জন্যে নিজেকে তৈরী করছি। বুকের মধ্যে কোথায় যেন হাহাকার-মৃত্যু চিন্তার হাহাকার। এই হাহাকার আরো বেড়ে যায় জোছনা রাতে। মমতাময়ী জোছনা আর নিভু নিভু কিছু নক্ষত্রের রাতে নিজেকে খুব একা মনে হয়। গভীর একাকিত্ব গ্রাস করে আমাকে। আসলেই তো,আমার তো আসলেই কেউ নেই। আমার মতন অনেক নিরামিষ-মানুষ নিঃসঙ্গ,অনেকটা আকাশ ভরা তারার মতন। অযুত-কোটি তারার মাঝেও প্রতিটা তারার চোখ ভরা গভীর বিষাদ-একাকিত্বের বিষাদ। একদিন সেইখানে ওদের মাঝে চলে যাবো,তাই পৃথিবীতে আর এখন বিষাদ খুঁজি না। নিষ্পাপ শিশুর আদ্রতামাখা হাসিমুখ খুঁজে বেড়াই...এইতো আমি। আরো অনেক বিচিত্র \'আমি\' কে আমি চিনি। সেসব নাহয় অন্য কোনো দিন লিখতে বসব !

কাঁচের দেয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বিরক্তিকর মানুষ..

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

আমি কারো সাথে পারতপক্ষে খারাপ ব্যবহার করি না। যতটা সম্ভব চেষ্টা করি সবার সাথে মানিয়ে চলার। মানিয়ে চলি বলে সবার আমি বিশ্বস্ত মোসাহেব- কথাটা মোটেই তেমন না। মানে হচ্ছে, আমার প্রতি কারো কোনো অনুচিত ব্যবহারেও আমি মেজাজ ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করি। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাই না। মুখ বুজে সহ্য করা যাকে বলে আর কি! কারণ আমি অশান্তি পছন্দ করিনা। তবে কারো জন্যে সরিষার তেল কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি জাতীয় তৈলাক্ত বস্তু নিয়ে আমি বসে নেই। তেল প্রয়োগ আমার পছন্দ না। তাই বলে আমি কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করি না তা নয়। অন্যায়টা আমার সাথে হলে আমি নিরব থাকি,আর অন্যকোথাও হলে আমি তেল বিহীন খসখসে উপায় প্রয়োগ করি।



তবে আমি মানুষ হিসেবে যথেষ্ট বিরক্তিকর সেটা আমি বুঝতে পারি। আমার সমস্যাটা সেখানেই। আমার চেনা মানুষ নাহয় আমার প্রতি বিরক্ত হতেই পারে,তবে যারা চেনে না তারাও কি করে বিরক্ত হয় সেটাই আমার মাথায় ঢুকছে না। প্রথম দেখাতেই প্রেমের কথা শুনেছি অনেক,তবে বাস্তবে যা দেখছি তার নাম হচ্ছে ‘প্রথম দেখায় ভুরু কুঁচকানো’ অথবা ‘প্রথম দেখায় মহাবিরক্ত’ । একটা ঘটনা..



`` সকালবেলা আমি বারান্দায় আয়েশ করে ঘুম ঘুম চোখে দাঁত মাজছি। রাস্তাঘাট জমে ওঠেনি,ফাঁকা ফাঁকা। একসময় আমার চোখ পড়লো আমাদের বাসার সামনের রাস্তায় থামানো একটা রিকশার দিকে। রিকশায় চালক কিংবা আরোহী কেউই নেই। যাইহোক,ঠিক তখনই আমাদের বাসার দোতলার প্রবীণ এক আংকেলকে গেট দিয়ে বের হতে দেখলাম। অফিসে যাচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে অনেক তাড়া। রাস্তায় এদিক ওদিক দেখছেন,বুঝলাম রিকশা খুঁজছেন। যথাসময়ে নিজ কর্তব্য পালনে বিলম্ব করলাম না। পার্থিব জ্ঞান বলছে, রিকশাওয়ালা রিকশার কাছাকাছি না থাকলে জোরে ‘এ্যাই খালিইইইইইইই....’ বলে চিৎকার করলে রিকশাওয়ালারা তার নিজ রিকশার কাছে তুমুল বেগে ফেরত আসে। ব্যবহারিক জ্ঞান প্রয়োগ করলাম। তার আগে দাঁত মাজার ফলে মুখে যে দ্রব্য বিপুল পরিমানে জমা হয়েছিল তা তিন তলার ওপর থেকে রাস্তার আড়ালময় ঝোঁপজঙ্গল পূর্ণ একপ্রান্ত লক্ষ্য করে তীব্র বেগে বিসর্জন দিলাম। এরপর দরদভরা কণ্ঠে সেই ডাক, ‘এ্যাই খালিইইইইইইই....!!’ । ডাক শুনে আঙ্কেল উপরদিকে তাকালেন,আমি মোহনীয় ভঙ্গিতে হাসলাম। আঙ্কেলও বিজয়ীর ভঙ্গিতে আমাকে হাত দেখালেন। কারণ দেখলাম রাস্তার পাশের সেই জঙ্গল মতন জায়গাটা থেকে একলোক এগিয়ে আসছে রিকশাটার দিকে। এটাই রিকশাওয়ালা !! নিজের প্রতিভায় আমি নিজেই মুগ্ধ ! আমার চিৎকারে দেখলাম পাশের বাসার মেয়েটাও ঘুম ঘুম চোখে বারান্দায় এসে পড়েছে। তবে সে মুগ্ধ নয় এটা বুঝতে পারলাম। সে ঘটনা বুঝতে পারছে না। গোল গোল চোখে সে একবার আমার দিকে তো একবার রাস্তার দিকে তাকাচ্ছে। দেখালাম আঙ্কেল রিকশায় উঠছেন,এমন সময় রিকশাওয়ালা গম্ভীর ভঙ্গিতে বলল, যামু না.. ।

আঙ্কেল অসহায় চোখে উপরে আমার দিকে তাকালেন, রিকশাওয়ালাও তাকে অনুসরণ করলো। আঙ্কেল এর দৃষ্টি উপেক্ষা করার জন্য রিকশাওয়ালার দিকে তাকালাম। সে ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ কি? ভাবতে ভাবতে দেখলাম রিকশাওয়ালা গামছা দিয়ে তার লুঙ্গির ভেতরের দুর্গম অঞ্চল পরিস্কার করছে (লিখতে সঙ্কোচ হচ্ছে তবু কিছু করার নেই)। আমি, আঙ্কেল এবং সেই মেয়েটা হাবাগোবা দর্শক এর মতন হাঁ করে তাকিয়ে আছি। তবে একটু পর মনে হল আমি জেনে গেছি আসলে কি ঘটেছে। ঘটনা বুঝতে পেরে আমি আঙ্কেল এর দিকে তাকিয়ে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসলাম আর বারান্দা থেকে প্রস্থানের জন্য পা বাড়ালাম। পেছন থেকে রিকশাওয়ালার কন্ঠটা কানে এলো অস্পষ্টভাবে- ‘‘সহাল ব্যালা সহালে এই দিগদারি কেমুন লাগে চাচা কন? ধুরো শালা রাস্তার ধারে আর পিশাব ই করব না। বান্দর পুলাপানডি। ....’’





সেই রিকশাওয়ালা ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়েছে-সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমি বলতে চাই অন্য কথা।

কিছু মানুষ কারণে অকারণে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করার চেষ্টা করে। তাদের সেই চেষ্টা আমার কাছে বড়ো হাস্যকর লাগে। কিছু মানুষ আমাকে হাস্যকর ভাবে ভুল বোঝে,যা আমার ভেতর কিছু নিউরোনে তীব্র মাত্রায় ধাক্কা দেয়। অধিকাংশ মানুষই আমাকে বুঝতে চেষ্টা করেনা। অবশ্য সেটার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। কারণ আমি খুবই নগন্য একজন মানুষ। আমি আমার মতন। যাহোক,সেই মানুষ গুলোকেই বলি,

ভাইইইইইইইই...কোনো এক বিচিত্র কারণে আপনি আমার সাথে যতই খারাপ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন,যতই আমাকে অপমান করার চেষ্টা করবেন,যতই আমাকে ভুল বোঝার চেষ্টা করবেন আমার পেট হাসতে হাসতে ততই ব্যথা হবে। আগে ব্যথা হত মনে,সুখের কথা- সেইটা এখন পেটে চলে এসেছে! আপনার এইসব আচরণ এখন আমার কাছে বিরক্তিকর বিনোদনের বিষয়। এখন আমার আর এইসবে কষ্ট পাবার সময় হয়না। কারণ আমি জানি, দাঁত মাজার ফলে মুখে যে তরল দ্রব্য বিপুল পরিমানে জমা হয় তা আমি আপনার লুঙ্গির ভেতর ফেলি নাই..সো অকারণে ভুরু কুঁচকাইবেন না। বুঝতে পেরেছেন ভাইয়াআআআআ ?? ;)



মোরাল অফ দ্য স্টোরি: রাস্তার পাশে প্রাকৃতিক কাজ করবেন না। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত

টয়লেট ব্যবহার করুন।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

আমিই সেই বাউন্ডুলে বলেছেন: good

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১১

কাঁচের দেয়াল বলেছেন: হা হা হা..

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

খুশবু বলেছেন: ঠিক বলছিস,,,,,,,,,,,,,পেট হাসতে হাসতে ততই ব্যাথা হবে পড়ে আনন্দিত হলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.