নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে..

কাঁচের দেয়াল

আমি...খুব সাধারণ একটা ছেলে,নিরামিষ টাইপ। জন্মেছিলাম কোনো একদিন,এখন মৃত্যুর জন্যে নিজেকে তৈরী করছি। বুকের মধ্যে কোথায় যেন হাহাকার-মৃত্যু চিন্তার হাহাকার। এই হাহাকার আরো বেড়ে যায় জোছনা রাতে। মমতাময়ী জোছনা আর নিভু নিভু কিছু নক্ষত্রের রাতে নিজেকে খুব একা মনে হয়। গভীর একাকিত্ব গ্রাস করে আমাকে। আসলেই তো,আমার তো আসলেই কেউ নেই। আমার মতন অনেক নিরামিষ-মানুষ নিঃসঙ্গ,অনেকটা আকাশ ভরা তারার মতন। অযুত-কোটি তারার মাঝেও প্রতিটা তারার চোখ ভরা গভীর বিষাদ-একাকিত্বের বিষাদ। একদিন সেইখানে ওদের মাঝে চলে যাবো,তাই পৃথিবীতে আর এখন বিষাদ খুঁজি না। নিষ্পাপ শিশুর আদ্রতামাখা হাসিমুখ খুঁজে বেড়াই...এইতো আমি। আরো অনেক বিচিত্র \'আমি\' কে আমি চিনি। সেসব নাহয় অন্য কোনো দিন লিখতে বসব !

কাঁচের দেয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্র্যাজেডিঃ সাভার রানা প্লাজা

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

গতকাল রানা প্লাজায় ফাটলের খবর শুনে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। সকাল বেলায় রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ার খবরটা শুনে টিভি ছাড়লাম। যা দেখলাম ঐ দৃশ্য ঘুম থেকে উঠেই সহ্য করা সম্ভব না।

আপনারা যারা কাছাকাছি আছেন এবং খবরটা শুনেছেন,দয়া করে সাধ্যমতন একটু সাহায্য করুন। প্রচুর রক্ত দরকার,সাহায্যও দরকার। দয়া করে হাসপাতাল আর ক্লিনিক গুলোতে যোগাযোগ করে রক্ত দিয়ে সাহায্য করুন ভাই! তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে আমার মত সবার কাছে একটু সাহায্য প্রার্থনা করুন। (এনাম মেডিকেল PH: number --027743779-82/01716358146) আর অযথা ঐখানে গিয়ে ভীড় বাড়িয়ে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটাবেন না প্লিজ! জানিনা বাংলাদেশের ওপর কোন রাহুর দৃষ্টি পড়েছে। বেঁচে থাকার দায়ে দূর দূরান্ত থেকে শহরমুখী হাজার হাজার শ্রমিক- ব্যবসায়ী- বিভিন্ন বিপণীবিতান এ কর্মরত শতাধিক মানুষ প্রতিদিনের মতই আজ সকালেও ঢুকেছিলো ওই মরণকূপে। তাদের চোখে নিশ্চিন্ত প্রশান্তি আর আশা ছিলো-আরো একটা দিনের অন্ন নিশ্চিত হবার। কিন্তু সকাল না গড়াতেই তাদের কেউ এখনো পর্‍যন্ত নিখোঁজ,কেউ রক্তাক্ত-কেউ না ফেরার দেশে। কেউ হয়তো ওই ধ্বংসস্তুপ এ চাপা পড়ে অস্ফুটস্বরে কাতরাচ্ছে! কেউ শুনছেও না!

কিন্তু গতকালই যখন ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয় তখনই কেন সেটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে ঘোষণা করে সব কার্‍যক্রম বন্ধ করা হলো না? রানা প্লাজার ৭তম ও ৮ম তলার ফ্যানটম অ্যাপারেলস লিমিটেডের সুইং ফ্লোরের লাইনম্যান সামিউল ইসলাম-এর বাংলানিউজকে দেয়া তথ্যমতে, ভবনটির ৭তম ও ৮ম তলা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কাজ করতো। ৩য় ও চতুর্থ তলায় ফ্যানটম টেক্সট লিমিটেডে কাজ করতো আরো দেড় হাজার শ্রমিক। আর ৭ম তলার ইথারপেক ফ্যাশনে কাজ করতে ছয় শ’এর মতো। এছাড়া শতাধিক দোকান,ব্যাংক ইত্যাদিতে কর্মরত মানুষ তো ছিলোই! মালিকপক্ষ কিংবা প্রশাসন- আপনারা কি এই মানুষগুলো কে ‘মানুষ’ মনে করতে পারেন নি? নাকি যাদের শ্রমে আর ঘামে আপনার পেট চলে তাদের প্রাণটাও আপনাদের খুব প্রয়োজন ছিলো...??



ধিক্কার...ধিক্কার...ধিক্কার !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.