নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেলেটা খুব ভুল করেছে শক্ত পাথর ভেঙে..

কাঁচের দেয়াল

আমি...খুব সাধারণ একটা ছেলে,নিরামিষ টাইপ। জন্মেছিলাম কোনো একদিন,এখন মৃত্যুর জন্যে নিজেকে তৈরী করছি। বুকের মধ্যে কোথায় যেন হাহাকার-মৃত্যু চিন্তার হাহাকার। এই হাহাকার আরো বেড়ে যায় জোছনা রাতে। মমতাময়ী জোছনা আর নিভু নিভু কিছু নক্ষত্রের রাতে নিজেকে খুব একা মনে হয়। গভীর একাকিত্ব গ্রাস করে আমাকে। আসলেই তো,আমার তো আসলেই কেউ নেই। আমার মতন অনেক নিরামিষ-মানুষ নিঃসঙ্গ,অনেকটা আকাশ ভরা তারার মতন। অযুত-কোটি তারার মাঝেও প্রতিটা তারার চোখ ভরা গভীর বিষাদ-একাকিত্বের বিষাদ। একদিন সেইখানে ওদের মাঝে চলে যাবো,তাই পৃথিবীতে আর এখন বিষাদ খুঁজি না। নিষ্পাপ শিশুর আদ্রতামাখা হাসিমুখ খুঁজে বেড়াই...এইতো আমি। আরো অনেক বিচিত্র \'আমি\' কে আমি চিনি। সেসব নাহয় অন্য কোনো দিন লিখতে বসব !

কাঁচের দেয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা ডাক ও কিছু অর্থহীন প্রলাপ..

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

অ্যাম্বুলেন্স এর আর্তনাদ কানে এসে বাজছে সারাটা দিন। আরেকদিকে স্বজনহারাদের আর্তনাদ,আটকে পড়া মানুষগুলোর আর্তনাদ তারচেয়েও ভয়াবহ ভাবে গলার কাছে আটকে আছে কান্না হয়ে। টিভিতে দেখলাম সন্তানহারা এক মা চিৎকার করে বলছিলেন, ''ট্যাকা দিয়া কি করমু? আপনেরা আমার পোলারে ফিরায়ে দেন। ট্যাকা কী আমারে মা বইল্যা ডাকবো ?''

আসলেই এর কোনো উত্তর নেই। যে দেশে শত শত লাশের বোঝা কাঁধে নিয়ে আনন্দ উৎসব আর তারকা জরিপ পুরস্কারের আয়োজন করা হয়, যে দেশে গলিত লাশের গন্ধ নাকে নিয়েও রাষ্ট্রপতি সেনাবহরে সজ্জিত হয়ে সমাধি জিয়ারত নামক মহান উদ্দেশ্যে রওনা করেন,যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবল শোকের মাঝেও অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে জাতি এবং বিশ্বকে হাসিয়ে মেরে ফেলার মতন কৌতুক উপহার দেন এবং সেই কৌতুকে আক্রান্ত মানুষ একটাবারের জন্যেও কোনো উঁচু দালানের সাথে হেলান দিতে দ্বিধাবোধ করেন এই ভেবে যে-কখন না জানি ভেঙ্গে পড়ে ! এই দেশে দৈত্যাকার ইস্পাত আর কংক্রিটের নীচে চাপা পড়া মানুষকে জীবিত উদ্ধারের জন্যে সামান্য টর্চ-রড কাটার-ওয়াল কাটার কিংবা অক্সিজেন স্প্রের জন্য সরকারী সাহায্যের বদলে সাধারণ মানুষের কাছে হাত পাততে হয়,সরকার থাকে নিরুত্তাপ-অসাড় কীটের মতন!! আরেকদিকে তো জুম’আর নামাজে স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম ব্যাখ্যা করতে বসে গেলেন-এই ধরনের গজব আল্লাহর দান,পাপের ফসল,গারমেন্টস কারখানায় জেনা-চুরি-পঙ্কিলতা !!! আরে ভাই,বুঝলাম সব। কিন্তু আল্লাহ্‌ কি ফাটল ধরিয়ে সতর্ক করেননি আগের দিন? তবে কেন মালিকপক্ষ এই গণখুনের ব্যবস্থা করলো? তাহলে পাপটা কার? পাপী কে? আল্লাহ্‌র রাসূলের হাদিসেই তো স্পষ্ট লেখা আছে-দেয়াল চাপা পড়ে নিহত ব্যাক্তি শহীদের মর্‍যাদা পাবে হাশরের মাঠে। তাহলে আল্লাহ্‌ কেন পাপীদের শহীদ হবার রাস্তা সুগম করবেন? কই,আপনি তো মসজিদের এত মানুষ কে একবারো বললেন না-ঐখানে অযথা গিয়ে ভীড় না বাড়ানোর কথা,একবারো আর্থিক কিংবা বিভিন্ন সাহায্যের আবেদনও করলেন না!! কিন্তু মসজিদ নির্মান ফান্ডের টাকা ঠিকই তুললেন!! দারুন !! এমন আচরণ মুসলমান হয়ে আমি নিজেও আশা করিনি। অন্তত আজকের দিনে এমন কথা কল্পনাকেও হার মানালো।



সেই সন্তান হারা মা-কেই বলছি, দেরি নেই..আর বেশি দেরী নেই। একদিন দেখবেন ঠিকই এদেশে টাকা দিয়েই মায়ের খালি বুক ভরিয়ে দিয়ে মন্ত্রী মহোদয় বলবেন-

“আমাদের সরকার ‘মা’ ডাকা টাকা দিয়ে নিহতদের পরিবার কে সাহায্য করছে। আর কোনো মায়ের বুক খালি নেই, সব মা আর বাবা সন্তানের লাশ ফেলে টাকা নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি গেছেন। সরকার সফল। আমরা আনন্দিত।”



দীর্ঘশ্বাস...!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.